a
ফাইল ছবি
ভারতের আসামে একটি চা-বাগানের মধ্যে দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিল একদল হাতি। চা-বাগানসংলগ্ন সেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাতির দলকে ক্রমাগত উত্যক্ত করে যাচ্ছিলেন স্থানীয়রা। এ সময় একটি পূর্ণবয়স্ক হাতি আক্রমণ করে এক যুবককে পায়ের তলা দিয়ে পিষে হত্যা করে।
আসামের গোলাঘাট এলাকায় রোববার বিকালে ওই মর্মান্তিক ওই ঘটনাটি ঘটেছে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন ভাইরাল।
জানা গেছে, নিহত যুবকের নাম পাস্কাল মুন্ডা। তিনি আসামের নুমালিগড়ের মরঙ্গি চা-বাগানের বাসিন্দা। রোববার বিকালে হাতির দল চা-বাগানসংলগ্ন ৩৯ নম্বর জাতীয় সড়ক পার হচ্ছিল।
ভিডিওতে দেখা যায়, হাতির বড়সড় দলটি নিজেদেই ঢঙেই পেরিয়ে যাচ্ছিল রাস্তা। তখন তাদের দেখতে রাস্তার দু’দিকেই দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রচুর মানুষ। বিভিন্ন বয়সেই লোকেদের দেখা যায় সেখানে।
রাস্তা পেরোনোর সময় হাতিদের ক্রমাগ্রত উত্যক্ত করে যাচ্ছিলেন এক দল যুবক। তা অগ্রাহ্য করে দলটির অধিকাংশ হাতিই রাস্তা পেরিয়ে চা-বাগানের অপর প্রান্তে পৌঁছে যায়।
কিন্তু একটি হাতি হঠাৎই জনতার দিকে তেড়ে যায়। তখনই উপস্থিত জনতা পালানোর জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করে। পালাতে গিয়ে পড়ে যান ওই যুবক। তাকেই তখন পায়ে পিষে হত্যা করে বুনো হাতিটি।
ভিডিও লিংকঃ u0SmyGz3KXk&t=79s
ফাইল ছবি
পারস্য উপসাগরে কোনো ধরনের নিরাপত্তাহীনতা সহ্য করা হবেনা। মার্কিনিরা, যারা সবসময় নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে আসে, তাদের এ অঞ্চলে কোনো জায়গা নেই বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরানের ইসলামি রেভুলেশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) নৌ শাখার কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী রেজা তাংসিরি।
গতকাল মঙ্গলবার ইরানের প্রভাবশালী এই সামরিক কর্মকর্তা এমনটাই জানিয়েছেন। আলী রেজা তাংসিরি বলেন, আইআরজিসি পারস্য উপসাগরের কৌশলগত অঞ্চলে কোনো ধরনের নিরাপত্তাহীনতা বা সংঘর্ষ সহ্য করবে না। পারস্য উপসাগর অঞ্চলে আমাদের এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর বাসস্থান।
এ সময় ইরানি এ কামান্ডার ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এ অঞ্চলে আল কুদসের দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ উপস্থিতি নিরাপত্তার সংকট তৈরি করছে। উল্লেখ্য, পারস্য উপসাগরে কয়েকদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ তাড়া করেছে ইরান। সূত্র: তাসনিম নিউজ এজেন্সি।
ফাইল ছবি
রাশিয়ার সঙ্গে খেলা বন্ধ করে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের ভাষণে জেলেনস্কি পশ্চিমাদের প্রতি এ আহ্বান জানান। খবর আলজাজিরা
তিনি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে খেলা বন্ধ করুন এবং ইউক্রেনে মস্কোর ‘অর্থহীন যুদ্ধের’ অবসান ঘটাতে তাদের ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুন। ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন স্বাধীন থাকবে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে— ঠিক কতটা মূল্য দেওয়ার পর সেটি হবে।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন সবসময় একটি স্বাধীন রাষ্ট্র থাকবে এবং এটিকে ভেঙে ফেলা যাবে না। এখন একমাত্র প্রশ্ন হলো— নিজেদের স্বাধীনতার জন্য আমাদের জনগণকে কী মূল্য দিতে হবে এবং একই সঙ্গে আমাদের বিরুদ্ধে এই অর্থহীন যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে কী মূল্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘বিপর্যয়কর এ ঘটনাগুলো এখনও বন্ধ করা যেতে পারে যদি বিশ্ব ইউক্রেনের পরিস্থিতিকে নিজেদের পরিস্থিতি বলে চিন্তা করতে পারে। একই সঙ্গে বৈশ্বিক শক্তিগুলো রাশিয়ার সঙ্গে না খেলে যুদ্ধ শেষ করার জন্য (মস্কোকে) সত্যিই চাপ দেয়, তবে এসব বিপর্যয় এড়ানো যেতে পারে।
এ ছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে মতবিরোধের বিষয়েও অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। একই সঙ্গে ইইউয়ের কিছু দেশ কেন মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের এই পরিকল্পনাটি আটকে দিতে চায়, সেটি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি হাজার হাজার রুশ সেনা পূর্ব ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান দুটি শহর সিভিয়েরোদোনেৎস্ক ও লিসিচানস্ক দখলে নিতে হামলা ব্যাপক জোরদার করেছে। এ পরিস্থিতিতেও মস্কোর বিরুদ্ধে তেল নিষেধাজ্ঞা আরোপে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সম্ভাব্য পদক্ষেপ বেশ ধীরগতির। আর এ কারণেই সম্প্রতি পশ্চিমের সম্পর্কে জেলেনস্কির সমালোচনা করছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন