a
ফাইল ছবি
দখলদার ইসরায়েলের 'রামুন' বিমানবন্দরে আইয়াশ-২৫০ নামে মধ্য পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের দ্বারা ইসরায়েলের সকল স্থানে হামলা চালানোর সক্ষম বলে জানিয়েছে হামাস।
হামাসের সামরিক শাখা ইয্যাদ্দিন কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা জানান, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের রামুন বিমানবন্দরে মধ্য পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র 'আইয়াশ' এর সাহায্যে হামলা চালানো হয়েছে। গাজা থেকে বিমানবন্দরটির দূরত্ব ২২০ কিলোমিটার, আর ২৫০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে আঘাতটি করা হয়। ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আইরন ডোম ক্ষেপনাস্ত্রটিকে ঠেকাতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। ২৫০ কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলের যে কোনো স্থানে হামলা করতে সক্ষম।
ক্ষেপণাস্ত্রটি হামাসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা শহীদ ইয়াহিয়া আইয়াশের নামে নাম দেয়া হয়েছে। তিনি ১৯৯৬ সালের ৫ জানুয়ারি শিনবেত এলাকায় ইসরায়েলের হামলায় শহীদ হন। সূত্র: পার্সটুডে
ফাইল ছবি
মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের একাংশ যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে শিখনেতা হত্যার চেষ্টার অভিযোগে ভারতে ড্রোন বিক্রি আটকে দিয়েছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য ওয়্যার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
এ বিষয়ে ৩১ জানুয়ারি দ্য ওয়্যারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চুক্তি অনুযায়ী প্রস্তাবিত ড্রোনগুলোর মধ্যে ছিল ১৫টি সি গার্ডিয়ান এবং ১৬টি স্কাই গার্ডিয়ান। ভারতের নৌ, সেনা এবং বিমানবাহিনী এই ড্রোন গুলো নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এসব সরঞ্জাবগুলো কেনার কথা ছিল, যার আর্থিক মূল্য তিন বিলিয়ন ডলার।
গত বছরের জুনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে এই ড্রোন কেনার চুক্তি করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার দ্বৈত নাগরিক খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ভারত রাষ্ট্রীয় এজেন্টের সহযোগিতায় হত্যার চেষ্টা করছে মর্মে অভিযোগ করে মার্কিন এবং কানাডীয় গোয়েন্দা সংস্থা গুলো।
পান্নুনকে হত্যাচেষ্টার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর ভারতের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আমেরিকা। এই খবরে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের একাংশ ভারতের ওপর এখনো ক্ষুব্ধ। অস্ত্র বিক্রি বন্ধের বিষয়ে তারাই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তারা এই ঘটনার অর্থপূর্ণ তদন্ত চান।
ওয়্যারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—শুধু ড্রোন নয়, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সমুদ্রে টহল দেওয়ার জন্য বিমান কেনারও কথা ছিল ভারতের। ছোট-বড় সবগুলো চুক্তির বাস্তবায়নই থেমে গেল। সূত্র: বাংলা নিউজ২৪
ফাইল ছবি
কাবুল বিমানবন্দরে জঙ্গি হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ ১০০ জনের ওপর মৃত্যুর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পদত্যাগের দাবি জোরাল হল।
জাতিসংঘে আমেরিকার সাবেক রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালি টুইট করে বলেন, "বাইডেন কি এবার পদত্যাগ করবেন, নাকি তাকে সরানো হবে? তবে বাইডেন সরে গেলে যদি কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে তা দশগুণ খারাপ হবে। স্রষ্টা আমাদের রক্ষা করুন।"
নিক্কির এই টুইটের পরে রিপাবলিকান পার্টির একাধিক কংগ্রেস ম্যান টুইট করে বাইডেনের পদত্যাগ দাবি করতে থাকেন। বাইডেনের সঙ্গে সঙ্গে তারা কমলা হ্যারিস ও বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনেরও পদত্যাগ দাবি করেন। রিপাবলিকান সাংসদরা বলতে থাকেন, যদি একটা ফোনের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচ করা হয়ে থাকে, তাহলে কেন বাইডেনের ইমপিচমেন্ট হবে না।
আফগানিস্তান থেকে যেভাবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে, তা বাইডেনের চরম গাফিলতি বলে রিপাবলিকান দলের নেতারা জানাতে থাকেন। বস্তুত, আফগানিস্তান ইস্যুতে বাইডেনের ব্যর্থতার জন্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পদত্যাগ চেয়েছিলেন। রিপাবলিকান কংগ্রেস ম্যানরা অবিলম্বে মার্কিন কংগ্রেসের অধিবেশন দাবি করলেও স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তা উড়িয়ে দিয়েছেন।
আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার মৃত্যু শেষবার হয়েছিল ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তার কয়েক সপ্তাহ বাদেই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তালেবানের সঙ্গে চুক্তি করেন, যাতে মার্কিন বাহিনীর উপর তারা কোনও হামলা না করে। ফলে গত বৃহস্পতিবার কাবুলের বিস্ফোরণে ১৩ মার্কিন সেনার মৃত্যু বাইডেনকে চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে।
তালেবান যেভাবে আফগানিস্তান নিজেদের দখলে নিয়েছে, তাতে গোটা বিশ্বের সঙ্গে মার্কিন জনতারও একটি বড় অংশ বাইডেনের উপর ক্ষুব্ধ। কাবুলের বিস্ফোরণ সেই ক্ষোভকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
সূত্র- ফক্স নিউজ, দ্যা নিউজ এন্ড অবজারভার।