a
ফাইল ছবি
দখলদার ইসরায়েলের 'রামুন' বিমানবন্দরে আইয়াশ-২৫০ নামে মধ্য পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের দ্বারা ইসরায়েলের সকল স্থানে হামলা চালানোর সক্ষম বলে জানিয়েছে হামাস।
হামাসের সামরিক শাখা ইয্যাদ্দিন কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা জানান, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের রামুন বিমানবন্দরে মধ্য পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র 'আইয়াশ' এর সাহায্যে হামলা চালানো হয়েছে। গাজা থেকে বিমানবন্দরটির দূরত্ব ২২০ কিলোমিটার, আর ২৫০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে আঘাতটি করা হয়। ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আইরন ডোম ক্ষেপনাস্ত্রটিকে ঠেকাতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। ২৫০ কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলের যে কোনো স্থানে হামলা করতে সক্ষম।
ক্ষেপণাস্ত্রটি হামাসের গুরুত্বপূর্ণ নেতা শহীদ ইয়াহিয়া আইয়াশের নামে নাম দেয়া হয়েছে। তিনি ১৯৯৬ সালের ৫ জানুয়ারি শিনবেত এলাকায় ইসরায়েলের হামলায় শহীদ হন। সূত্র: পার্সটুডে
ফাইল ছবি
পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জাররাহ এলাকার বাসিন্দা ফিলিস্তিনি আন্দোলনকর্মী সেই দুই ভাই-বোনকে মুক্তি দিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি পুলিশ। আটকের কয়েক ঘণ্টা পর ইসরায়েলি পুলিশ তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য দেয়। খবর আল-জাজিরার
খবরে বলা হয়, ২৩ বছর বয়সী দুই আন্দোলনকর্মীর নাম মুনা আল-কুরদ ও মোহাম্মদ আল কুরদ। তারা শেখ জাররাহতে চলমান ফিলিস্তিনি আন্দোলনের সম্মুখসারির কর্মী।
ইসরায়েলি পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্তির পর মুনা আল-কুরদ বলেন, ‘আমাদের আতঙ্কিত করতে এবং ভয় দেখাতে দখলদাররা যাই করুক না কেন এবং যতোবার গ্রেফতার করুক, তাতে আমরা ভীত নয়। আমরা আমাদের বাড়িতে থাকব এবং আমাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠার ভূমি রক্ষায় প্রতিরোধ আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
মুনার ভাই মোহাম্মদ আল কুরদ বলেন, ‘আমরা মোটেও ভীত নয়। আমরা সব অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলে যাব এবং আমাদের বাড়ি ও ভূমি রক্ষায় আরও তৎপর থাকব।’
এর আগে রোববার (৬ জুন) মুনা ও মোহাম্মদকে আটক করে নিয়ে যায় ইসরায়েলি পুলিশ। শেখ জাররাহ আন্দোলনের পেছনে তাদের উস্কানি রয়েছে বলে অভিযোগ করে দখলদার ইসরায়েলি পুলিশ।
মুনা আল-কুরদকে আটকের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায় মুনাকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি পুলিশ। এসময় মুনা তার পরিবারকে ভয় না পেয়ে আরও শক্ত হতে বলতে শোনা যায়।
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে মাত্র ১১ কিলোমিটার দক্ষিণের চর আসিয়াব শহরে পৌঁছে গেছে তালেবান। এরই মধ্য দেশটির ৩৪টি প্রাদেশিক রাজধানীর মধ্যে ১৮টিই দখল করে নিয়েছে এই সশস্ত্র গোষ্ঠী।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, আজ শনিবার চর আসিয়াব শহরে তালেবানের পৌঁছানোর খবরটি নিশ্চিত করেছেন লগার প্রদেশের আইন প্রণেতা হোদা আহমাদি। কাবুলের দক্ষিণের এই প্রদেশও চলে গেছে তালেবানের হাতে।
আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার ও তৃতীয় বৃহত্তম শহর হেরাতও এখন তালেবানের দখলে।
গতকাল বৃহস্পতিবার কয়েকটি শহর দখলে নেয় তালেবান। নতুন দখল করা শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে কালাত, তেরেনকোট, পুল-ই-আলম, ফিরুজ কোহ, কালা-ই-নাও ও লস্করগাহ। এর মধ্যে লগার প্রদেশের রাজধানী হলো পুল-ই-আলম। এই শহর কাবুল থেকে মাত্র ৩০ মাইল দূরে।
বালখ প্রদেশের মাজার-ই-শরিফ শহরেও তীব্র আঘাত হেনেছে তালেবান। উত্তর আফগানিস্তানের এই শহরটি একসময় তালেবানের শক্ত ঘাঁটি ছিল। বালখ প্রদেশের গভর্নরের মুখপাত্র মুনির আহমেদ ফরহাদ জানিয়েছেন, চতুর্দিক থেকে শহরটিতে হামলা চালিয়েছে তালেবান। এর আগে গত বুধবার আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি মাজার-ই-শরিফ সফর করেন। শহরটি রক্ষায় তিনি সেখানকার তালেবানবিরোধী যোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করেন।
এদিকে প্রাণ বাঁচাতে সংঘাতপূর্ণ এলাকা ও শহরগুলো থেকে হাজারো সাধারণ মানুষ নিরাপদে আশ্রয়ের আশায় রাজধানী কাবুলের দিকে ছুটছে। বাস্তুচ্যুত সাধারণ মানুষের জন্য আশপাশের দেশগুলোকে সীমান্ত খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।