a হুমকির কারনে ভারত ছাড়লেন সেরাম ইনস্টিটিউট এর প্রধান
ঢাকা শনিবার, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২, ১২ জুলাই, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

হুমকির কারনে ভারত ছাড়লেন সেরাম ইনস্টিটিউট এর প্রধান


হানিফ, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
রবিবার, ০২ মে, ২০২১, ১০:৫৯
হুমকির কারনে ভারত ছাড়লেন সেরাম ইনস্টিটিউট এর প্রধান

ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের কারনে যখন হিমসিম খাচ্ছে ভারত তখনি বিশ্বের সর্বোচ্চ টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট প্রধানের ভারত ছাড়া চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্যা টাইমস। 

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘দ্য টাইমস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আগারওয়াল জানান, টিকার জন্য ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা এবং তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, বড় বড় ব্যবসায়ীরা তাকে ফোন করেছেন। টিকার জন্য তাকে একরকম হুমকিই দিয়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে ব্রিটেনে অবস্থান করছেন আদর পুনেওয়ালা। লন্ডনে আরও কয়েকদিন থাকবেন জানিয়ে তিনি বলেন, এই রকম চাপের মুখে তিনি পড়তে চান না। টিকা নিয়ে সবকিছুর চাপ তিনি একা বহন করতে নারাজ।

তবে সামাজিকযোগাযোগধ্যমে গুঞ্জন উঠেছে হুমকি পেয়েই ভারত ছেড়েছেন ভারতের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের এ কর্মকর্তা।

আদর পুনেওয়ালার বিশেষ নিরাপত্তার জন্য এরইমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তার নিরাপত্তায় জন্য ১১ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। দেশের যে কোনো প্রান্তে এই নিরাপত্তা পাবেন আদর পুনেওয়ালা বলে নিশ্চিত করেছে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্ব রাজনীতি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০২২, ১২:১৫
ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্ব রাজনীতি

ফাইল ছবি

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গত এক মাসে কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং ইউক্রেন থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী ইউরোপীয় দেশগুলোয় আশ্রয় নিয়েছেন ত্রিশ লাখেরও বেশি মানুষ। দুই পক্ষের অনেক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।

বিধ্বস্ত হয়েছে ইউক্রেনের কয়েকটি শহর, আবাসিক এলাকা, বিদ্যালয়, এমনকি হাসপাতালও। পশ্চিমারা এরপরও ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনমূলক আক্রমণকে সফল বলছে না! এর কারণ, এখনো ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পতন হয়নি। তার মানে আরও বেশি সাধারণ মানুষ এবং শহর, আবাসিক এলাকা, বিদ্যালয় ইত্যাদি ধ্বংসস্তূপে পতিত হলে সেটা পশ্চিমা চোখে বিজয় বলে পরিগণিত হবে (যেমনটি তারা বিভিন্ন দেশে করেছে)!

অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি সেদেশের ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি পুরুষদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন, যাতে তারা দেশের পক্ষে লড়তে পারেন। কেউ কেউ এভাবে জোরপূর্বক আটকে রাখাকে নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করছেন। কারণ তাদের স্ত্রী-সন্তানরা আপনজনহীন অবস্থায় উদ্বাস্তু হয়ে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে প্রাণ নিয়ে ছুটছেন।

পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে রাশিয়া গত বিশ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কোনো নেতা সেটা যৌক্তিক বলে স্বীকারও করেছেন। তারপরও আমেরিকার আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি বদলায়নি। রাশিয়া বলছে, এটাই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মূল কারণ। কিন্তু আমাদের আরও অতীতে যেতে হবে এ যুদ্ধের প্রেক্ষাপট বোঝার জন্য।

১৯১৭ সালে রাশিয়ায় সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে আরও ১৪টি সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র নিয়ে ১৯২২ সালে গঠিত হয় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। পুঁজিবাদ তথা বৈষম্যমূলক অর্থনীতির জায়গায় সমতাকেন্দ্রিক অর্থনীতিনির্ভর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও জোরদার হয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন সেসব আন্দোলনকে সমর্থন ও সহযোগিতা দেয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাম্রাজ্যবাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। দেশে দেশে সমাজতন্ত্রের বিজয়ে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ভীত হয়ে পড়ে। ফলস্বরূপ, সোভিয়েত ইউনিয়নবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং বিভিন্ন দেশে সোভিয়েতপন্থি সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদান শুরু করে। সোভিয়েত ইউনিয়নবিরোধী কর্মকাণ্ডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৪৯ সালে ১২টি দেশ নিয়ে গঠন করে ন্যাটো সামরিক জোট। ১৯৫৪ সালে পশ্চিম জার্মানিকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় সোভিয়েত ইউনিয়ন সাতটি সমাজতান্ত্রিক দেশ নিয়ে ১৯৫৫ সালে ওয়ারশ সামরিক জোট গঠন করে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তির পর এ জোটও বিলুপ্ত হয়। ওয়ারশ জোট বিলুপ্ত হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে তার একক কর্তৃত্ব বহাল রাখার উদ্দেশ্যে ন্যাটোকে আরও বিস্তৃত করে। বর্তমানে ৩০টি দেশ ন্যাটো জোটের অন্তর্ভুক্ত। ইউক্রেনকেও যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। যে ইউক্রেন একসময় ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত একটি প্রজাতন্ত্র, সেই ইউক্রেন এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লেজুড় হতে চায়!

লেজুড় কেন বললাম? এটি বোঝার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কর্মকাণ্ডে চোখ বুলানো যাক। আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া ইত্যাদি দেশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো, সেসব দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠন, নিজেদের পছন্দের পুতুল সরকার বসানো বা বসানোর চেষ্টা ইত্যাদি অমানবিক কাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র করেছে গত কয়েক দশকে। ২০০৩ সালে মিথ্যা অভিযোগে ইরাক আক্রমণ, লাখ লাখ মানুষকে হত্যা এবং দেশটিকে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করার কাজে লিপ্ত থেকেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানে সোভিয়েতসমর্থিত সরকারকে হঠাতে জঙ্গিগোষ্ঠীকে সহযোগিতা, বিনিময়ে দশ বছরে (১৯৭৯-১৯৮৯) লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু, দেশান্তরি হওয়া-এসবের পেছনেও ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপর আবার ২০০১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান দখলে রাখার চেষ্টা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি সৃষ্টি এবং স্বার্থ-সংঘাতে জঙ্গি দমনে নির্বিচারে কোনো দেশে আক্রমণ চালানো-এসব কর্মকাণ্ড মার্কিন অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার জন্যই দরকার। কেন দরকার? কারণ, যুদ্ধ হলে প্রচুর অস্ত্র বিক্রি হয়, যা তার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে এবং আরও দেশ আক্রমণ করার সুযোগ দেয়।

তাই প্রশ্ন আসে, চার হাজার কিলোমিটার দূরের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে গিয়ে ইউরোপকে নিরাপত্তা দেবে-এটা কি বাস্তবসম্মত? নাকি, বিশ্বের দ্বিতীয় পরমাণু শক্তিধর রাশিয়াকে কোণঠাসা করা এবং নিজের সাম্রাজ্যবাদী কর্তৃত্ব বিস্তৃত করাই তার মূল লক্ষ্য? এখন সোভিয়েত ইউনিয়ন নেই, নেই ওয়ারশ জোটও। তাহলে কী প্রয়োজন ন্যাটোর? ইউরোপের দেশগুলোর নিজেদের স্বার্থ দেখার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন কি যথেষ্ট নয়? ইউরোপীয় ইউনিয়নে রাশিয়াকে যুক্ত না করার উদ্দেশ্য কী? ইউক্রেন যেটা করেছে-পাশের দেশের সঙ্গে শত্রুতা রেখে চার হাজার কিলোমিটার দূরের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লেজুড় হওয়া-এটা কি সম্মানের? নাকি প্রতিবেশী রাশিয়াকে নিয়ে নিজেদের মাঝে মৈত্রী গড়ে তোলা জরুরি?

এখানে বলা দরকার, ১৯৯১ সালের আগে বিশ্ব যখন দুই পরাশক্তির (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন) প্রভাব বলয়ে ছিল, তখন মূলত তৃতীয় বিশ্বের ১২০টি দেশ নিয়ে গঠিত হয় জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম), যাদের মূল লক্ষ্য ছিল সাম্রাজ্যবাদবিরোধী, উপনিবেশবিরোধী, বর্ণবাদবিরোধী ঐক্য। তারা কোনো পরাশক্তির জোটে ছিল না। আধুনিক ইউরোপ কি মতাদর্শগত দিক থেকে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর চেয়েও অনুন্নত? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশে যে অন্যায় আগ্রাসন চালিয়েছে, তার সহযোগী ছিল ন্যাটো এবং ন্যাটোভুক্ত কিছু দেশ! এসব কি লজ্জার নয়?

এ বাস্তবতায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তার ক্ষমতা ধরে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান। চান অস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং রাশিয়ার ওপর আরও অর্থনৈতিক অবরোধ। এসবের পরিণতি কী? ইউক্রেনে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ছে, এর প্রতিক্রিয়ায় বাড়ছে জীবনযাত্রার ব্যয়। এটা আমাদের আরেকটা শিক্ষাও দিচ্ছে। সেটা হলো, যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগী দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবরোধে এবং আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা ‘সুইফট’ থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ডলারভিত্তিক বিশ্ববাণিজ্যও কিছুটা হুমকির মুখে পড়েছে। ইতোমধ্যে রাশিয়া চীনের মুদ্রা লেনদেন ব্যবস্থা ব্যবহার করতে চাছে, ভারত রুপি দিয়ে রাশিয়া থেকে তেল কিনতে সম্মত হচ্ছে, সৌদি আরব রুবল দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করতে রাজি আছে। এমনকি যে ইউরোপ তেলের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল, সেখানে এবং খোদ যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম হুহু করে বেড়েছে।

তাহলে সমাধান কোথায়? জেলেনস্কি প্রথমে না চাইলেও রাশিয়ার প্রধান দাবি ইউক্রেনের ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার ব্যাপারে তিনি এখন নমনীয়। অন্যান্য দাবি (২০১৪ সালে রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়াকে স্বীকৃতিদান, রাশিয়া কর্তৃক স্বাধীন ঘোষিত ইউক্রেনের দুই এলাকা দোনেস্ক ও লোহান্সক বিষয়ক) নিয়েও তিনি আলোচনা করতে চান।

আমাদের এটিও বুঝতে হবে, আজকের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কোনো মার্কিনবিরোধী সমাজতান্ত্রিক যুদ্ধ নয়। কিংবা কোনো দেশে মার্কিন আগ্রাসনবিরোধী রাশিয়ার সহযোগিতা নয়। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনও একজন পুঁজিবাদী রাষ্ট্রনায়ক। আর পুঁজিবাদের লক্ষ্য হলো সাম্রাজ্যবাদী হওয়া। আজকের রাশিয়া নব্য-সাম্রাজ্যবাদী হতে চাচ্ছে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের রাশিয়াবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে। যে কারণে জেলেনস্কির আলোচনা প্রস্তাবে পুতিন এখনো সাড়া দেননি। দুই দেশের অন্য প্রতিনিধিদের পাঁচ দফা আলোচনাও যুদ্ধ বন্ধে ভূমিকা রাখছে না।

আমরা ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের ওপর রাশিয়ার আক্রমণ ও ধ্বংসযজ্ঞের নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত এ অমানবিক যুদ্ধের পরিসমাপ্তি চাই। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাঝে আত্মসম্মান জাগ্রত হোক, সেই আশাবাদ ব্যক্ত করি। ইউক্রেনকে নিয়ে পশ্চিমাদের ন্যাটো-রাজনীতিরও তীব্র নিন্দা জানাই। ন্যাটোর বিলুপ্তি বৈশ্বিক দাবি হোক, যা বিশ্বে যুদ্ধ বন্ধ করার দাবিও। তা না হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর নব্য-সাম্রাজ্যবাদী রাশিয়ার দ্বন্দ্বে পৃথিবীকে ভুগতে হবে অনেকদিন। সূত্র: যুগান্তর

অপূর্ব অনির্বাণ : সহকারী অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা; পিএইচডি গবেষক, কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়া

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

উন্নয়ন ভাবনা: মমতা


মমতা,ফরিদপুর প্রতিনিধি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১, ১১:৫৫
উন্নয়ন ভাবনা

ফাইল ছবি । মমতা

উন্নয়ন একটি বহুমাত্রিক  গতিশীলময় ইতিবাচক পরিবর্তন, পরিমার্জন, পরিবর্ধন বিষয়ক ভাবনা ও চিন্তাধারা। তথাকথিত, গতানুগতিক চিন্তাধারা থেকে আরো বেশি উদ্যোগী হওয়া,  উন্নত পরিকল্পনা, কাজে উদ্যোমতা বাড়ানো, সঠিক সময় নির্ধারণ। 

সঠিক শ্রম, দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ, যাচাইকৃত কাচামাল, সুদক্ষ ব্যবস্থাপনা, স্বচ্ছতা জবাবদিহিতামুলক ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন জনবলের সমষ্ঠিগত ভাবনার বহিঃপ্রকাশ হল উন্নয়নের মুল ধারা। তবে ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান বিশেষে উন্নয়ন ভাবনা কিছুটা ভিন্ন ভিন্নরূপে প্রকাশ পেতে পারে। যেমন- সামাজিক উন্নয়ন, রাজনৈতিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক  উন্নয়ন, স্বাংস্কৃতিক উন্নয়ন, ভৌগলিক উন্নয়ন, যোগাযোগ  ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রভৃতি। 

আমার বিষয় হচ্ছে ক্ষুদ্র  শিল্প/ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিষয়ক উন্নয়ন ভাবনা।  তবে কাঙ্খিত  উন্নয়নের ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু বাধা বা প্রতিবন্ধকতা। যেমন উপযুক্ত খাত নির্বাচন না করা, সুবিধাজনক স্হান না পাওয়া, অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, বাজার তৈরী করতে না পারা,পরশ্রী/ পরপুরুষ কাতরতা, ব্যাংক ঋণের জটিলতা প্রভৃতি। 

তবে একথা সত্য যে যদি আপনার সাহসিকতা, উদ্যোমতা ও উদ্যোগ নেয়ার ক্ষেত্রে আপনার  সিদ্ধান্ত গ্রহণ সঠিক থাকে, তবে আপনি নিজেই স্বস্হান থেকে স্হানীয় বাজারভিত্তিক স্বল্প মুলধনে একজন ছোটখাট উদ্যোক্তা হতেই পারেন। 

বেকারত্ব  দূর করতে পারেন সমাজের কিছু মানুষের, হাসি ফোটাতে পারেন কিছু পারিবারের, অংশীদার হতে পারেন দেশ বিনির্মাণে। কেননা শুণ্য থেকেই পুন্য সংখ্যার সৃষ্টি হয়। আমি শুরু করেছি ব্লক,বাটিক, নকশী-কাথা, পাথর পুঁতি  ও পাট দিয়ে- আপনিও এগিয়ে আসুন আপনার সামাজিক দায়বদ্ধতা ও দেশপ্রেমের টানে। 

পরিকল্পিত সঠিক শ্রম সততা সাহসিকতার এ উদ্যোগ ইনশাআল্লাহ আপনার আমার আমাদের সফলতা এনে দেবেই। বাবুই পাখির কথা ভাবুন কিভাবে বুদ্ধি আর শ্রম দিয়ে অন্যের গাছের পাতা দিয়ে সুদক্ষ কারিগরি জ্ঞানের সহায়তায় নিজের শিল্প কর্মের পরিচয় দিয়েছেন। তবে আমি আপনি তো মানুষ, পাখি পারলে আমরা কেন পারবোনা? এই আত্মবিশ্বাসে অগ্রসর করুন নিজেকে, নতুনভাবে তুলে ধরতে কথা দিলাম আপনিও হবেন একজন সফল উদ্যোক্তা। লোভ, আত্ন-অহমিকা, অতীত ইতিহাস, সফলতার মুল প্রতিবন্ধকতা এগুলো বর্জন করে চলুন এগিয়ে যাই কর্মক্ষেত্রে নতুন ধ্যাণ-ধারণায়। তবেই হতে পারি আপনি, আমি, আমরা সফল একজন সেলেব্রেটি।

লেখক: মমতা- মানবাধিকার কর্মী ও নারী উদ্যোক্তা

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক