a
ফাইল ছবি
করোনাভাইরাসের কারনে যখন হিমসিম খাচ্ছে ভারত তখনি বিশ্বের সর্বোচ্চ টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট প্রধানের ভারত ছাড়া চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্যা টাইমস।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘দ্য টাইমস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আগারওয়াল জানান, টিকার জন্য ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা এবং তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, বড় বড় ব্যবসায়ীরা তাকে ফোন করেছেন। টিকার জন্য তাকে একরকম হুমকিই দিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে ব্রিটেনে অবস্থান করছেন আদর পুনেওয়ালা। লন্ডনে আরও কয়েকদিন থাকবেন জানিয়ে তিনি বলেন, এই রকম চাপের মুখে তিনি পড়তে চান না। টিকা নিয়ে সবকিছুর চাপ তিনি একা বহন করতে নারাজ।
তবে সামাজিকযোগাযোগধ্যমে গুঞ্জন উঠেছে হুমকি পেয়েই ভারত ছেড়েছেন ভারতের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের এ কর্মকর্তা।
আদর পুনেওয়ালার বিশেষ নিরাপত্তার জন্য এরইমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তার নিরাপত্তায় জন্য ১১ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। দেশের যে কোনো প্রান্তে এই নিরাপত্তা পাবেন আদর পুনেওয়ালা বলে নিশ্চিত করেছে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
ফাইল ছবি
বারবার চেষ্টার পরেও আবার ব্যর্থ হলো ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, ইসরোর মহাকাশ অভিযান। গত বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা ৪৩ মিনিটে ভারতের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ন স্পেস সেন্টার থেকে ইওএস-০৩ নামের স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ব্যর্থ হলো ভারতের স্যাটেলাইট যাত্রা। ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এমনটি হয়েছে। ইসরোর চেয়ারম্যান কে সিভান জানিয়েছেন, ক্রায়োজেনিক স্তরে ত্রুটি ছিল। যার ফলে উপগ্রহটিকে কক্ষপথে বসানো যায়নি। খুব শীঘ্রই আবারো এ উপগ্রহ পাঠানোর চেষ্টা করা হবে।
জিএসএলভি-এফ-১০ রকেটে করে জিও ইমেজিং স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠানো হয়। পৃথিবীর বুকে বন্যা, ভূমিকম্প, সুনামিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস পেতে স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এ ধরনের স্যাটেলাইট রিয়েল টাইম মনিটরিং করতে সক্ষম।
ইসরো জানায়, উৎক্ষেপণের পর প্রথম দুটি পর্যায় ঠিকঠাকই ছিল। চারটি স্ট্র্যাপ অন বুস্টারও কাজ করছিল। কিন্তু, সমস্যা দেখা দেয় তারপর। উৎক্ষেপণের ৪ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড পর দ্বিতীয় স্টেজটি আলাদা হয়ে যায়। তার এক সেকেন্ড পরেই তৃতীয় স্টেজ অর্থাৎ, ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন চালু হয়। এটিই মহাকাশে উৎক্ষেপণকারী যানের শেষ ধাপ।
অত্যন্ত জটিল এই ইঞ্জিনটি ঠিকমতো কাজ করেনি। ফলে, রকেটটি গতি ও উচ্চতা হারিয়ে ক্রমে পূর্ব নির্ধারিত পথ থেকে সরতে শুরু করে। কয়েক মিনিটের নীরবতার পর ব্যর্থতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয় ইসরো। এরপরই কন্ট্রোল রুম থেকে ‘কিল সুইচ’ ব্যবহার করে মাঝ আকাশেই রকেটটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় হতাশ ইসরোর সাবেক চেয়ারম্যান জি মাধবন নায়ার বলেছেন, এই নিয়ে দুটি ক্ষেত্রে ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের সমস্যার কারণে মিশন ব্যর্থ হল।কিন্তু আমরা আমাদের লক্ষে না পৌছানো পর্যন্ত চেস্টা চালিয়ে যাবো।
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ বেকার সম্প্রদায়। রাত ১টা ৩০ মিনিটে সংঘটনের সভাপতি মো: আল কাওছার এবং সাধারণ সম্পাদক মো: সাইফুল আলমের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা নিবেদন করেন।
একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর স্পিকার ও প্রধান বিচারপতি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তার কিছুক্ষণ পরেই বাংলাদেশ বেকার সম্প্রদায় সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সকলে মিলে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন। পরবর্তীতে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ বিশিষ্টজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
বেকারের অধিকার আমাদের অঙ্গীকার এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সারাদেশের লাখ লাখ বেকারের কর্মসংস্থান এবং বেকারদের জন্য ৪ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে সক্রিয় আন্দোলন এবং গণসংযোগ করে যাচ্ছেন এই সংগঠনটি। জাতির সূর্যতরুণদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সবাই। শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জসীম নায়েক, সহ- সভাপতি - জোবাইদুল হক সবুজ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক - আ আ ম আশিকুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক - বঙ্কিম চন্দ্র সরকার, প্রচার সম্পাদক - মো: রোমান গাজী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) মহান একুশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গত কয়েক বছর ধরে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
বাঙালি জাতির জন্য এই দিবসটি হচ্ছে চরম শোক ও বেদনার। অনদিকে মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। যেকোনো জাতির জন্য সবচেয়ে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার হচ্ছে মৃত্যুর উত্তরাধিকার-মরতে জানা ও মরতে পারার উত্তরাধিকার। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদরা জাতিকে সে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার দিয়ে গেছেন।
১৯৫২ সালের এদিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠীর চোখ-রাঙানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে। মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শংকিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। সেই থেকে দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে।