a
ফাইল ছবি
ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বৃহস্পতিবার তার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাকসিমের ব্যাংকের যাবতীয় হিসাব ও লেনদেনের তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। বিএফআইইউর এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিম এ খান ১৩ বছর ধরে বেতনসহ কত টাকা নিয়েছেন, তার হিসাব চায় হাইকোর্ট। এসব হিসাব জানাতে ওয়াসার বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি জানান, ঢাকা ওয়াসার এমডিকে অপসারণে নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তাকে অপসারণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছে আদালত।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘গত ১৩ বছরে কত টাকা বেতন, বোনাস এবং অন্যান্য সুবিধাদি দেয়া হয়েছে তার হিসাব আগামী ৬০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে জমা করতে বলেছেন আদালত।’
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে করা রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এই আদেশ দেয়। সূত্র: বিডি প্রতদিন
সংগৃহিত ছবি
হোমিওপ্যাথিক ও ইউনানী চিকিৎসাশাস্ত্রে ডিগ্রিধারী কোনো ব্যক্তির নামের আগে এখন থেকে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন বলে রায় দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট। হোমিও ও ইউনানি চিকিৎসা নিয়ে রায়ে পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত জারি করা রুল খারিজ করে আজ শনিবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ৭১ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করেছেন।
রায়ে বলা হয়েছে, দুঃখজনকভাবে এটি লক্ষ্যণীয় যে, এখানে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ এর ২৯ ধারা অনুযায়ী বিএমডিসি এর নিবন্ধনভুক্ত মেডিকেল বা ডেন্টাল ইনস্টিটিউট কর্তৃক এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া অন্য কেউ তাদের নামের পূর্বে ডাক্তার (Dr.) পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না। সেখানে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের বিগত ২০১৪ সালের ৯ মার্চ তারিখের সংশোধিত বিজ্ঞপ্তিতে ‘অল্টারনেটিভ মেডিকেল কেয়ার’ (Alternative Medical Care) শীর্ষক অপারেশনাল প্লানের বিভিন্ন পদে কর্মরত হোমিওপ্যাথি, ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক কর্মকর্তাদের স্ব-স্ব নামের পূর্বে ডাক্তার (ডা.) পদবি সংযোজনের অনুমতি প্রদান করেছে, যা এক কথায় আইনের কর্তৃত্ব ব্যতিত তথা বেআইনি।
এছাড়াও বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড কর্তৃক ইংরেজি ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন শাখায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদেরকে তাদের নামের পূর্বে পদবি হিসেবে ডাক্তার (Dr.) ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করাও বেআইনি। এর আগে হোমিওপ্যাথিক ও ইউনানি চিকিৎসা শাস্ত্রে ডিগ্রিধারীরা নামের পূর্বে ডাক্তার ব্যবহারের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ে করেছিলেন। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম ও অ্যাডভোকেট খোন্দকার নীলিমা ইয়াসমিন। অপরপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম।
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
গত ১০ জুলাই পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত হয় এবং যথাযথভাবে অন্যান্য বছরের ন্যায় সারাদেশের মতো ঢাকা সিটিতে পশু কুরবানি হয়। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবছর অন্যান্য বছরের চেয়ে আগেই কুরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ করতে সক্ষম হয়।
ঢাকা উত্তরের চেয়ে দক্ষিণ একটু পিছিয়ে থাকলেও সরেজমিনে দেখা যায় ঈদের পর রাতের মধ্যেই সিটির প্রায় ময়লা-আবর্জনা অপসারিত হয়েছে।
তবে, সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি ৭ নং ওয়ার্ড কমিশনারের বাসার পার্শ্ববর্তী দুটি বিল্ডিং-এর কুরবানির গরুর বর্জ্য আজ ১৪ এপ্রিল বিকালের মধ্যেও অপসারিত করা হয়নি। সিটি কর্পোরেশনের নাম লেখা দুটি বস্তায় আবর্জনার দুর্গন্ধে আশে-পাশে কিছু অফিস ও দোকানপাটে বসে থাকা কষ্টসাথ্য হলেও দুই বিল্ডিং-এর দাড়োয়ান একে অপরের দোষারোপ ও উদ্ধত আচরণে বাসা-বাড়ির ময়লা নেয়া গাড়িও তা অপসারিত করতে রাজি হয়নি।
আমাদের প্রতিনিধি দুটি বাড়ির দাড়োয়ানকে জিজ্ঞাসা করলে তারা স্বীকার করেন তারা দু'জন দুটি বস্তায় কুরবানির বর্জ্য রেখেছে এবং সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি আসলে তা নিয়ে যাবে বলে জানান। ঈদ ১০ তারিখে হয়েছে আজ ১৪ তারিখ এখনো কি সিটি কর্পোরেশেনে গাড়ি আসেনি বললে তারা সদু্ত্তর দিতে পারেনি। তবে তাদের একজন স্বীকার করেছে, কমিশনার সাহেব নাকি তাদের ময়লা সরিয়ে ফেলতে বলেছে।
দাড়োয়ানেদের সাথে কথা বলার সময়ে হঠাৎ বাসাবাড়ি থেকে ময়লা নেয়া গাড়ি দেখে দুই বাড়ির দাড়োয়ান আমাদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ময়লা গাড়িতে দিতে গেলে তারা নিতে রাজি হয়নি। তারা দাড়োয়ানকে বলছেন ঈদের দিন ও পরের দিন সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি এসেছিল তারা কেন ময়লা দেয়নি? সুতরাং এতবড় বস্তা তাদের ছোট গাড়িতে (এসব গাড়ি শুধু বাসাবাড়ির ময়লা গ্রহণ করে) নেয়া সম্ভব নয়!
ঈদের ৪/৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এসব কিছু কিছু জায়গায় কুরবানির বর্জ্য ও আবর্জনার স্তুপ রেখে দেয়ায় সিটি কর্পোরেশনের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।