a
ফাইল ছবি
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানার এসআই মো. রেজাউল করিমের ড্রয়ার থেকে ঘুষের আড়াই লাখ টাকা বের করেন সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাইমুড়ী সার্কেল) সাইফুল ইসলাম। এ ঘটনার পর এসআই রেজাউল করিমকে প্রত্যাহার করে নোয়াখালী পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অভিযুক্ত এসআই মো. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে তাকে নোয়াখালী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ইতিপূর্বে, গত মঙ্গলবার রাতে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেনের নির্দেশে অভিযুক্ত রেজাউল হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে এসআই রেজাউল বেগমগঞ্জের চৌমুহনী শহরের একজন পল্লী বিদ্যুৎ ডিলারের একটি মালবাহী ট্রাক আটক করেন। গাড়িতে থাকা মালামালগুলো অবৈধ বলে ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করলে, একপর্যায়ে সেই ডিলারের নিকট থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জোরপূর্বক আদায় করেন।
পরে তিনি ওই ডিলারের কাছ থেকে আরও টাকা আদায়ের ফন্দি ফিকির করেন। এদিকে ডিলার ঘুষের টাকা প্রদানের সাথে সাথেই বিষয়টি নোয়াখালীর পুলিশ সুপারকে জানান।
ভুক্তভোগী পুলিশ সুপারকে আরও জানান যে, দ্রুত অভিযুক্ত এসআইয়ের অফিসের ড্রয়ার তল্লাশি করলে তার দেওয়া ঘুষের টাকা পাওয়া যাবে। কথানুযায়ী পুলিশ সুপারের নির্দেশে নোয়াখালী সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাইমুড়ী সার্কেল) সাইফুল ইসলাম সোনাইমুড়ী থানায় এসে এসআই রেজাউলের টেবিলের ড্রয়ার খুলে ঘুষের টাকা পেয়ে ওই টাকা জব্দ করে পুরো ঘটনা ভিডিও ধারণ করে নেন। এ সময় এসআই রেজাউল করিম কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় তাকে তৎক্ষনাত প্রত্যাহার করা হয়।
ফাইল ছবি
নিরাপত্তার স্বার্থে রাত ৮টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে থাকা আইনজীবীদের সবার কক্ষ (চেম্বার) বন্ধ করতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিদিন রাত ৮টা পর্যন্ত চেম্বার (আইনজীবীর কক্ষ) খোলা রাখা যাবে।’
এ কারণে আইনজীবীদের প্রতিদিন নিজ দায়িত্বে রাত ৮টার মধ্যে চেম্বার বন্ধ করে সমিতি ভবন ত্যাগ করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি'র প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, ইরানিদের প্রতিটি ভোট শত্রুদের কাছে যেন একেকটি ক্ষেপণাস্ত্র। আজ শুক্রবার তেহরানে নির্বাচনে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ বিষয়ক এক বৈঠকে অংশগ্রহণ শেষে এসব কথা বলেন।
জেনারেল সালামি আরও বলেছেন, ইরানের শত্রুরা এবারের নির্বাচনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের স্টাইলে ওঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু ইরানের জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে শত্রুদেরকে জবাব দিচ্ছে। একেকটি ভোট শত্রুর ওপর একেকটি ক্ষেপণাস্ত্রের মতো আঘাত হানছে, এ যেন শত্রুদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র-বৃষ্টি।
তিনি বলেন, ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি শত্রুদের সব অসৎ চিন্তা ও পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেবে। আইআরজিসির প্রধান বলেন, নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা পুলিশ বাহিনীকে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন।
আজ ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি সিটি কাউন্সিলসহ স্থানীয় পরিষদের মূল নির্বাচন, পার্লামেন্ট ও বিশেষজ্ঞ পরিষদের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ভোটগ্রহণও চলছে।
সকাল ৭টা থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের বিপুল উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তারা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। ভোটার উপস্থিতি বেশি হলে প্রয়োজনে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে জানানো হয়েছে। সূত্র: বিডিপ্রতিদিন