a বৈষম্য ও বঞ্চিত সামরিক অফিসারদের সুবিচারে গঠিত কমিটির মিথ্যা ও প্রহসন রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান
ঢাকা সোমবার, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বৈষম্য ও বঞ্চিত সামরিক অফিসারদের সুবিচারে গঠিত কমিটির মিথ্যা ও প্রহসন রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান


সাইফুল আলম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৭:০৬
বৈষম্য ও বঞ্চিত সামরিক অফিসারদের সুবিচারে গঠিত কমিটির মিথ্যা ও প্রহসন রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  ২০০৯ - ২০২৪ সময়ে রাজনৈতিক ভাবে বৈষম্যের শিকার হওয়া বঞ্চিত সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর অসংখ্য অফিসারদের দাবির প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তি সরকার ন্যায়বিচার প্রদানের লক্ষ্য একটি কমিটি গঠন করে।  গত ৩০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে, কমিটি তাদের রিপোর্ট প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেন। কিন্তু অত্যন্ত দুখ জনক ভাবে উক্ত রিপোর্টটি  মিথ্যায় পরিপূর্ণ ও পুরাপুরি প্রহসন মুলক। বাস্তবে রিপোর্টটি সত্যের অপলাপ। কমিটি সংস্লিস্ট বঞ্চিত অফিসারদের না ডেকে, তাদের আবেদন বিবেচনা না করে উক্ত রিপোর্ট প্রদান করে বলে প্রায় ৬০০ অফিসার দাবি করেন।

কমিটির এই প্রহসন মূলক রিপোর্টের ফলস্রুতিতে কয়েকশত বঞ্চিত অফিসার দ্বিতীয়বার বঞ্চিত হবার আশংকা দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় উক্ত অফিসারগন পক্ষ থেকে একটা টিম এর কারন জানার জন্য যোগাযোগ করে। এতে জানা যায় যে, কমিটি বাহিনী সদর দপ্তর থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় তাদের কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়নি। এমনকি কমিটির কার্যক্রমে চাকুরীরত সদস্যগন কোনভাবেই উপস্থিত হননি। কমিটি মূলত ইতোপূর্বে বাহিনী সদর দপ্তর কর্তৃক প্রেরিত সুপারিশ সমুহকেই পুনরায় সুপারিশ করেছে মর্মে জানা যায়। দু:খজনকভাবে বাহিনী সদর দপ্তরের সুপারিশে ফ্যাসিস্টদের সহযোগীরাই পুনরায় সুবিধা পেতে যাচ্ছে। আজ ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাস্টিস ফর কমরেডস আয়োজিত প্রোগ্রামে বক্তারা এই দাবি জানান।

এ প্রহসনের কারন হিসেবে উল্লেখ্য করা যায় যে পটপরিবর্তনের পরে অদ্যবধি বাহিনী সমুহে গুনগত সংস্কার না করায় ফ্যাসিস্ট এর দোসররাই এখানে বাহিনীসমূহ নিয়ন্য্রন করছে। এমনকি কমিটি তে নিযুক্ত সদস্যগনও ফ্যাসিস্ট আমলের সুবিধাভোগি। ফলে তাদের এই রিপোর্টটি পুরাপুরি পক্ষপাততুস্ট।

বক্তারা অভিযোগ করেন – কমিটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছে যে তারা সকল আবেদনকারীর সাথে কথা বলেছেন/সাক্ষাতকার নিয়েছেন, অথচ বাস্তবে  বেশিরভাগ বঞ্চিত অফিসারকে ডাকাই হয়নি। মূলত তাদের আবেদন বিবেচনাই করা হয়নি। সকল আবেদনকারীদের সাক্ষাতকার ছাড়া কমিটি পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেয়া এবং ‘সকল আবেদনকারীদের সাক্ষাতকারের মাধ্যমে সুপারিশ করা হয়েছে’ এইরূপ বক্তব্য সম্পূর্ন ভাবে মিথ্যা। বক্তাদের কাছে এটা প্রতিয়মান যে, বাহিনী সদর দপ্তর যেসব পছন্দনীয় ব্যক্তদেরকে সুপারিশ করেছিল, সরকার গঠিত কমিটিও তাদেরকেই সুপারিশ করেছে। এক্ষেত্রে ফ্যসিস্ট আমলে তৈরি করা অসত্য ডকুমেন্ট সমূহকেই তারা বিবেচনায় নিয়েছে। এই কাজে গোয়েন্দা সংস্থা সহ ইতোমধ্যে সুপারিশকৃত কিছু অফিসার কমিটিকে প্রভাবিত করে নিজেদের সুবিধা আরো বাড়িয়ে নিয়েছে।

সরকারের কাছে লেঃ জেনারেল হাফিজ এর কমিটি যে রিপোর্ট জমা করেছে তা বক্তারা প্রত্যাখ্যান করছে। বক্তারা জমাকৃত প্রতিবেদন স্থগিত বা বাতিল করার দাবি করেন। তারা সরকারের কাছে সকল আবেদনকারীদের জন্য কমিটির কার্যক্রম চালু রেখে অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মত আবেদনকরা বাকি ৬০০ অফিসার ও যারা এখনো আবেদন করতে পারেননি কিন্তু সত্যিকারভাবে বঞ্চিত তাদের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

মধ্যরাতে নুরুল হক নুরের বাসায় ডিবি, দরজা ভেঙে তল্লাশির অভিযোগ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ০২ আগষ্ট, ২০২৩, ১১:০১
মধ্যরাতে নুরুল হক নুরের বাসায় ডিবি, দরজা ভেঙে তল্লাশির অভিযোগ

সংগৃহীত ছবি

মধ্যরাতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বাসায় অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বাসার দরজা ভেঙে ডিবি তল্লাশি চালায় বলে জানা গেছে। রাতে ফেসবুক থেকে লাইভে এসে পুরো বিষয়টি জানায় নুর।

জানা গেছে, অভিযান শেষে বাসার সিসি ক্যামেরা ও হার্ডডিস্ক নিয়ে যায় ডিবি।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব গণমাধ্যমকে বলেন, এর আগে রাত ১০টার দিকে ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানকে সাদা পোশাকে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। রাত ৮টায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লার বাবা রফিকুল মোল্লাকেও তুলে নিয়ে যায়। তবে ভোরে দুজনকে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়।

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ বলেন, কোনো ধরনের ওয়ারেন্ট ছাড়া মধ্য রাতে এই ধরনের অভিযান আইন পরিপন্থি। আমরা মনে করি চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন থেকে গণঅধিকার পরিষদকে দূরে রাখতেই মূলত সরকার নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।

এদিকে ফেসবুক থেকে লাইভে এসে নুরুল হক নুর জানান, মধ্যরাতে তার বাসায় ডিবি হানা দিয়েছে। পরে নূরের বাসার দরজা ভেঙে কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি।

তিনি বলেন, আমার দুই মাস ও সাড়ে তিন বছরের ছোটো দুটো বাচ্চা পুলিশের এ তাণ্ডবে ভীত-সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়ে। আমাদের ছাত্ররা যখন সরকার পতন আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ তখনই প্রশাসন নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। বুয়েটের ২৪ জন ছাত্র গ্রেপ্তারের ঘটনায় আজ বিকেলে আমাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। তাই আন্দোলনকে প্রভাবিত করতেই রাতের অন্ধকারে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লাকে তুলে নিয়ে গেছেন তারা। সূত্র: ইত্তেফাক

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বাবর ‘ঝড়ে’ উড়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা


ক্রীড়া ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:০৪
বাবর ‘ঝড়ে’ উড়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা

ফাইল ছবি

দক্ষিণ আফ্রিকার সেঞ্চুরিয়ন (১৪ এপ্রিল) চার ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯ উইকেটে হেরেছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। টস হেরে ব্যাটে নেমে ৫ উইকেটে প্রোটিয়ারা ২০৫ রান। ২০৬ রানের লক্ষ্য পাকিস্তান টপকে যায় ১২ বল হাতে রেখেই।

এদিকে টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সদ্যই আইসিসি ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ে বিরাট কোহলির ১ হাজার ২৫৮ দিনের রাজত্ব নিজের নামে লিখিয়ে নেয়া বাবর আজম। ক্যারিয়ার সেরা ১২২ রানের ইনিংস খেলে থামেন এই ব্যাটিং জিনিয়াস। ৫৯ বলের বিধ্বংসী ইনিংসটি ১৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজান পাক অধিনায়ক।

তার আগে ওপেনিং জুটিতে ফাওয়াদ আলমকে নিয়ে গড়েন ১৯৭ রানের রেকর্ড জুটি। ক্ষুদ্র ফরম্যাটে আগেই শতকের স্বাদ পাওয়া ফাওয়াদও ছিলেন মারমুখী, ৪৭ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ৭৩ রানে। দুই বলে দুটি চারে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেন মাঠ ছাড়েন ফখর জামান। টি-টোয়েন্টিতে এটি পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এই সিরিজেরই প্রথম ম্যাচে ১৮৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জয় ছিল তাদের আগের রেকর্ড।

বাবরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকানরাও খারাপ ব্যাটিং করেনি। ইয়ানেমান ম্যালান ও এইডেন মার্করামের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১০৪ রান। ফিফটি পেয়েছেন দুজনই। ম্যালান ৪০ বলে ৫৫ ও টানা তৃতীয় ফিফটি পাওয়া মার্করাম ৬৩ রান করেছেন ৩১ বলে। মার্করামদের ভিত্তির ওপরে দাঁড়িয়েই ২০০ পেরোয় দলটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাবরের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের ছায়ায় ঢাকা পড়তে হলো তাঁদের।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - আইন