a হাইকোর্ট স্থগিত করেছে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন
ঢাকা বুধবার, ১৭ পৌষ ১৪৩২, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

হাইকোর্ট স্থগিত করেছে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন


কাজল,সিলেট প্রতিনিধি:
সোমবার, ২৬ জুলাই, ২০২১, ০১:২৯
হাইকোর্ট স্থগিত করেছে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন

সংগৃহীত ছবি

করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি বিবেচনায় নিয়ে আগামী ২৮ জুলাই অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদের সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ ৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার দুপুরে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বিপুল বাগমার।

এর আগে সকালে স্থানীয় সাতজন বাসিন্দা এবং ছয়জন আইনজীবী এ রিট আবেদন করেন।

আবেদনকারী আইনজীবীরা হলেন- মুজাহিদুল ইসলাম, আল-রেজা মো. আমির, মো. জোবায়দুর রহমান, মো. জহিরুল ইসলাম, মিসবাহ উদ্দিন এবং মুস্তাফিজুর রহমান।  

বাসিন্দারা হলেন- সালেহ আহমদ, ফয়েজ আহমদ, বাবরু মিয়া, শিপন আহমদ, আব্দুল আলীম, তারিস মিয়া ও রিপন আহমেদ।

এর আগে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাকে রোববার আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছিল।

সুপ্রিমকোর্টের পাঁচ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এ নোটিশ দিয়েছিলেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

হেফাজতের অন্দোলনে অংশ নেওয়া হাছান ইমাম গ্রেফতার


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ০৩ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৩৮
হেফাজতের অন্দোলনে অংশ নেওয়া হাছান ইমাম গ্রেফতার

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের পতাকা হাতে ঘোড়ায় চড়ে হরতালের সমর্থনে আন্দোলনে অংশ নেওয়া হেফাজত নেতা হাছান ইমামকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। 

শুক্রবার মধ্যরাতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলার দুর্গম আমতলী কবিরপুর মাহিল্লা খতমে নবুওয়াত জমিরিয়্যাহ মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। 

বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নাশকতার মামলায় হাছান ইমামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

কারাবন্দী থেকেই ব্যবসায় জড়িত শীর্ষ জঙ্গিরা


নিউজ ডেস্ক:
বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১, ১০:০৯
কারাবন্দী থেকেই ব্যবসায় জড়িত শীর্ষ জঙ্গিরা

প্রতিকী ছবি

নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা কারাগারে বসেই ব্যবসা করছে। গড়ে তুলেছে সরবরাহ প্রতিষ্ঠান। অসাধু কিছু কারা সদস্যকে ম্যানেজ করে শুরু করা এসব ব্যবসা থেকে অর্জিত মুনাফা পৌঁছে যাচ্ছে কারাবন্দী জঙ্গি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে। ব্যবসার মূলধন এবং সংগঠনের তহবিল সংগ্রহের জন্য কারাবন্দী জঙ্গিদের নির্দেশেই তাদের একটি অংশ বর্তমানে ডাকাতিসহ নানা অপরাধে লিপ্ত। অবাক করা তথ্য হলো- এসব কিছু হচ্ছে ভয়ংকর অপরাধী এবং কারাবন্দী শীর্ষ জঙ্গিদের জন্য তৈরি করা কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি জেলে। 

গত সোমবার পূর্ব তেজতুরী বাজার এলাকা থেকে দুই জঙ্গিকে  গ্রেফতারের পর চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য পেয়েছে ঢাকা মহানগর  গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও জোনাল টিম। আসিফুর রহমান আসিফ (২৬) ও পিয়াস শেখ (২৮) নামে এই দুই জঙ্গিকে গতকাল আদালতের নির্দেশে তাদের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এর আগে  সোমবার রাতে ডিবির পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা ( নম্বর ৭০) করেন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গ্রেফতারের সময় আসিফের কাছে টাকার দুটি বান্ডিল পাওয়া গেছে। ২০ হাজার টাকার  একটি বান্ডিলের ওপরে নাহিদ তাসনিম, কাশিমপুর এবং ১৫ হাজার টাকার একটি বান্ডিলের ওপর আল-আমিন, কাশিমপুর লেখা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসিফ জানিয়েছে, এগুলো ডাকাতির টাকা। এই টাকা কাশিমপুর জেলখানায় কর্তব্যরত একজন কারারক্ষীর মাধ্যমে ভিতরে নাহিদ তাসনিম ও আল-আমিনের কাছে পাঠানোর কথা ছিল। এর আগেও ডাকাতি করা টাকা তারা একাধিক কারারক্ষীর মাধ্যমে কারাগারের ভিতরে পাঠিয়েছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহাদাত হোসেন সুমা গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি এখনই কোনো মন্তব্য করতে চান না। তবে গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। এগুলোর যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। শিগগিরই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। গ্রেফতারকৃত দুজনের তথ্য এবং তাদের কাছ থেকে একটি সেল ফোনে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসিফ জানিয়েছে, ডাকাতি করা অর্থ দিয়ে সংগঠনের কারাবন্দী শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে হালাল অ্যান্ড ফ্রেশ নামে একটি খাদ্যপণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিল। কারাগার থেকে তাসনিম, সাঈদ, ফয়সাল ও আল-আমিন তাকে বিভিন্ন লোকজনের নম্বর দিত সেখানে সে চাহিদামতো মধু, খেজুরসহ বিভিন্ন পণ্য দিয়ে আসত। 

শীর্ষ নেতাদের নির্দেশ মতো একাধিকবার সে কাশিমপুর কারাগারেও খেজুর ও মধু সরবরাহ করেছে। কারাগারে যোগাযোগের জন্য কাজে লাগানো হতো নারীদের। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গ্রেফতার আসিফ ও পিয়াস জেএমবির সক্রিয় সদস্য। 

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি জেলে কারাবন্দী জেএমবির পৃষ্ঠপোষক ও শীর্ষ নেতা আবু সাঈদ, আবদুল্লাহ আল তাসনিম, আল-আমিন ও ফয়সালের সঙ্গে নিয়মিত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করত। শীর্ষ এই জঙ্গি নেতাদের নির্দেশে জেএমবির সক্রিয় সদস্য আনোয়ার আলী ওরফে হৃদয়, হাফিজুল শেখ ওরফে সকাল, আবু সালেহ, সোহেলসহ অজ্ঞাতনামা জঙ্গিরা ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে। এই অর্থের একটি অংশ জেলখানায় কর্তব্যরত কয়েকজন সদস্যের মাধ্যমে কারাবন্দী শীর্ষ নেতাদের কাছে পাঠাত। অবশিষ্ট টাকা হৃদয়, তানজিল বাবু ও সকালের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত সংগঠনের নেতা-কর্মী ও জেলে থাকা সদস্যদের পরিবারের কাছে পাঠাত। তাদের কাছ থেকে দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল, কয়েকটি মোবাইল ও ৩৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। 

দীর্ঘদিন জঙ্গি প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করে আসা কাউন্টার টেরোরিজমের একজন কর্মকর্তা জানান, তাদের কাছে আগে থেকেই তথ্য ছিল কাশিমপুর কারাগারে তাসনিম-সাঈদরা রীতিমতো ব্যবসা-বাণিজ্য করে অর্থ উপার্জন করছে। কারাবন্দীদের কাছে এবং তাদের পরিবারের কাছে তাসনিম মধু বিক্রি করত। আসিফ গ্রেফতারের পর আগে থেকে পাওয়া তথ্যের সত্যতা পেয়েছেন।

জানতে চাওয়া হলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তাই এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। কারাগারে জঙ্গিরা কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু জঙ্গি কেন, সাধারণ কোনো বন্দীরও মোবাইল ফোন ব্যবহার বা বিধিবহির্ভূত কিছু করার সুযোগ নেই।

ডাকাতির নির্দেশ আসে কারাগার থেকে : আসিফের মোবাইল ফোনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন অ্যাপস ঘেঁটে কিছু তথ্যে রীতিমতো বিস্মিত তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। কারণ, এসব বার্তা ছিল কারাবন্দী শীর্ষ জঙ্গিদের। একটি বার্তায় সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বাসায় ডাকাতি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ডাকাতি করতে গিয়ে গ্রেফতার হলে কি করতে হবে সে বিষয়েও নির্দেশনা রয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই আসিফ এবং পিয়াস জানিয়েছে, তারা পুরাতন জেএমবির সক্রিয় সদস্য। কাশিমপুর কারাগারে বন্দী তাদের শীর্ষ নেতা আবদুল্লাহ আল তাসনিম ওরফে নাহিদ, আবু সাঈদ, আল-আমিন ও ফয়সালের নির্দেশে তারা সংগঠনের তহবিল সংগ্রহের জন্য ডাকাতি করে বেড়াত। পুলিশের অভিযানের সময় তাদের সঙ্গে আনোয়ার আলী ওরফে হৃদয়, তানজিল বাবু, হাফিজুল শেখ ওরফে সকাল, আবু সালেহ, পাভেল ওরফে রাহুল, জোসেফ, রোজীসহ বেশ কয়েকজন বৈঠকের জন্য মিলিত হয়েছিল। 

গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে হাতিরঝিল, তেজগাঁও থানাধীন এলাকায় ছয়টি ডাকাতির ঘটনায় তারা পেশাদার ডাকাত দলের সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততা পেয়েছিলেন। সে সময় পেশাদার কয়েকজন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতারের পর হৃদয়, তানজিল বাবু, সকালসহ কয়েক জনের নাম পান তারা। তবে ঘটনার পর থেকেই তারা আত্মগোপনে ছিল।

নির্দেশদাতা কারা : জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে গঠিত বিশেষায়িত ইউনিট কাউন্টার টেরোরিজম সূত্র বলছে, নির্দেশদাতাদের অন্যতম হলেন শীর্ষ জঙ্গি নেতা আবু সাঈদ। কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দী এই শীর্ষ জঙ্গি ২০০৫ সালে সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি। ২০০৭ সালে ভারতে পালিয়ে গিয়ে নদীয়া, বীরভূম ও বর্ধমান জেলার জেএমবির কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

২০১৪ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণে তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় কলকাতা পুলিশের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) তাকে ধরতে ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করে। ২০১৫ সালে আবু সাঈদ দেশে ফিরে এলে দুই বছরের মাথায় ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর বগুড়া জেলা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। 

নির্দেশদাতাদের অন্য আরেকজন আবদুল্লাহ আল তাসনিম ওরফে নাহিদ। ২০১০ সালে জেএমবির আমির মাওলানা সাইদুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব পালন করে তাসনিম। ২০১৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে তাসনিম গ্রেফতার হয়। আবু সাঈদ ও তাসনিম ছাড়াও বাকি দুই শীর্ষ জঙ্গি নেতার একজন আল-আমিন আনসার আল ইসলামের নেতা ও ফয়সাল হরকাতুল জিহাদ নেতা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তারা কারাগারে রয়েছে। সূত্র:বিডিপ্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - আইন