a বিএফইউজে ও ডিইউজে’র নেতৃবৃন্ধ কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি
ঢাকা মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বিএফইউজে ও ডিইউজে’র নেতৃবৃন্ধ কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি


খোরশেদ আলম: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ১৩ জুন, ২০২১, ১০:১৪
বিএফইউজে ও ডিইউজে’র নেতৃবৃন্ধ কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি

ফাইল ছবি

কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে। রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএফইউজে ও ডিইউজে’র আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্ধ এ দাবি করেন।

গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় বিচার বিভাগের নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে সাংবাদিক নেতারা বলেন, দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে বিচার বিভাগকে মুক্তসাংবাদিকতার পক্ষে ভূমিকা নেয়া উচিত। তারা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আদালত আজ মুক্ত সাংবাদিকতার পক্ষে রায় দিচ্ছেন। অথচ বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো সংবিধান বিরোধী আইন বন্ধে আদালতের ভূমিকা আমরা দেখতে পাইনি। 

সাংবাদিকরা গ্রেফতার হচ্ছেন এবং তারা বছরের পর জেল আছেন অথচ জামিন দেয়া হচ্ছে না।  দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন বলা হয়। কিন্তু কতটুকু স্বাধীন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দেশের বিচার বিভাগ নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারলে রুহুল আমিন গাজী মুক্তি পেতেন।

সমাবেশে বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, এ সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ গণমাধ্যম। আর সত্য হচ্ছে প্রধান শত্রু । সত্য প্রকাশের জন্য অনেক সাংবাদিককে আটক করে রাখা হয়েছে। অনেক সাংবাদিক খুন হয়েছেন। মামলা-নির্যাতনে হয়রানি করা হচ্ছে।

রুহুল আমিন গাজীসহ সকল কারাবন্দি সাংবাদিকের মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, মামলার মেরিট দেখে আর সংবিধান প্রদত্ত অধিকার প্রয়োগ করে বিচার বিভাগ রায় দিলে এসব মামলা টিকতে পারে না। 

এ প্রসঙ্গে শওকত মাহমুদ সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে প্রেস ফ্রিডম নেই। অথচ ওই দেশের বিচারপতিরা সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অনেক মামলার আসামিকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় সাংবাদিক আটককে অবৈধ ঘোষণা করেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার মূল লক্ষ্য তাদের অপশাসনকে দীর্ঘায়িত করা। তিনি মুক্ত সাংবাদিকতা বিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালা কানুন বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, কোনো সভ্যদেশে এমন ভয়ংকর আইন কল্পনাও করা যায় না। 

আমেরিকার সংবিধানে প্রথম সংশোধনী আনা হয় মিডিয়ার স্বাধীনতা রক্ষায়। এতে বলা হয়, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করে এমন কোনো আইন কখনো মার্কিন কংগ্রেসে পাস করবে না। এরাই হলো সভ্য। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশের সংবিধানেও সংশোধনী এনে মিডিয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হোক।

বিএফইউজে মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন সরকারকে অতীত থেকে শিক্ষা নেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, ৭৫ পূর্বে সংবাদপত্র বন্ধ করে এবং নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে তৎকালীন সরকার নিজেদের রক্ষা করতে পারেনি। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ অবস্থান নিলেই রুহুল আমিন গাজীসহ কারাবন্দি সকল সাংবাদিকের মুক্তি সম্ভব।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, এ সরকার অবৈধ। এ সরকার কর্তৃত্ববাদী। টিকে থাকার জন্য এ সরকার সব কিছু করতে পারে।

ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম অবিলম্বে কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তি এবং শওকত মাহমুদসহ অন্যদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, রুহুল আমিন গাজী কিডনি সমস্যাসহ অনেক জটিল রোগে আক্রান্ত। অথচ তার চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই।

ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ। বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালীন নোমানী, রফিকুল ইসলাম আজাদ সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, বিএফইউজের সহসভাপতি মোদাব্বের হোসেন, বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ খায়রুল বাশার, ডিইউজের সহ-সভাপতি শাহীন হাসনাত ও রাশেদুল হক, বিএফইউজের সহকারি মহাসচিব শহীদুল্লাহ মিয়াজী, ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য একেএম মহসীন, ডিইউজে নেতা শাহজাহান সাজু, দেওয়ান মাসুদা, সাখাওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক খুরশীদ আলম, দপ্তর সম্পাদক তোফায়েল হোসেন, নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন, ডিইউজের সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ আলী আসফার, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য জেসমিন জুঁই প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার ও কোষাধ্যক্ষ গাজী আনোয়ারুল হক।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জাফরুল্লাহ ভ্যাকসিন নিয়ে প্রতারণার শিকার বাংলাদেশ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ০৪ জানুয়ারী, ২০২১, ০৪:২০
ভ্যাকসিন নিয়ে প্রতারণার শিকার বাংলাদেশ

সবকিছু ঠিকঠাক এগুচ্ছিল। বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি হয় ভারতের ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি সিরাম ইনস্টিটিউটের। চুক্তি মোতাবেক চলতি জানুয়ারিতেই ভ্যাকসিন পাওয়ার আশার কথা শুনিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। কিন্তু হঠাৎ বেঁকে বসে ভারত সরকার। এ নিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ প্রতারণার শিকার হয়েছে।

আজ (সোমবার) দিনভর চলে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। উদ্বেগ তৈরি হয় সাধারণ মানুষের মধ্যেও। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার খবর শোনার পর আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় তাদের (ভারত) হাইকমিশন এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছে। চুক্তি ব্যাহত হবে না বলে আশ্বস্ত করেছে ভারত।

সংবাদ সম্মেলনে জাহিদ মালেক আরো বলেন, ভারত সরকার তাদের দেশে এমার্জেন্সি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবে। আমরা শুনেছি, এ জন্য তারা আপাতত বিক্রি বন্ধ রাখবে। এর পরপরই আমরা বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেছি। আলোচনা অব্যাহত থাকবে।আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে ভারতের সঙ্গে। আশাকরি এ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।

চুক্তি অনুযায়ী, সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে ৩ কোটি ভ্যাকসিন আমদানি করার কথা বাংলাদেশের। প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ৬ মাসের মধ্যে এই ভ্যাকসিন আনার কথা ছিল।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / এম এ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত ১৭, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ২৭ আগষ্ট, ২০২১, ১০:৩৭
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত ১৭, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক

ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বালুবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে শতাধিক যাত্রীবাহী একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার ফলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৯ নারী ও শিশু রয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম জানা যায়নি।

শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইস্কা বিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন। আহতদের মধ্যে ৮ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহতদের কয়েকজন হলেন- আইয়ূব মিয়া (৪০), ইব্রাহীম (১২), আহমদউল্লাহ (১৩), মুরাদ মিয়া (৩৫), তানজির (১০) ও ফারুক মিয়া (৪৫)।

খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে দেখতে আসেন।

নৌকার যাত্রী সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের আঁখি আক্তার বলেন, তিনি তার স্বামী মুরাদ মিয়া, দুই ছেলে, শাশুড়ি, ভাসুরের তিন ছেলেসহ বিজয়নগরের চম্পকনগর ঘাট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আনন্দবাজার ঘাটে আসতে নৌকায় উঠেন। নৌকায় প্রায় শতাধিক যাত্রী ছিলেন। নৌকাটি পথিমধ্যে লইস্কা বিলে এসে বালুবোঝাই একটি ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পানিতে তলিয়ে যায়। তিনি তার স্বামী ও এক শিশু পুত্রকে নিয়ে সাঁতরে বিলের কিনারে আসতে পারলেও তার আরেক ছেলে, শাশুড়ি ও ভাসুরের তিন ছেলে নিখোঁজ রয়েছে।

অপরদিকে, হাসপাতালে আহত মুরাদ মিয়া বলেন, হঠাৎ ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। তারপর অনেক কষ্টে এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে সাঁতরে উপরে উঠেছি। আমার এক ছেলে, মা ও তিন ভাতিজা এখনো নিখোঁজ। 

নৌকায় থাকা যাত্রী মোহাম্মদ রাফি বলেন, আমি নৌকার ছাদে বসেছিলাম। বিজয়নগরের চম্পকনগর নৌকাঘাট থেকে বিকাল সাড়ে ৪টায় নৌকাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার আনন্দ বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। নৌকাটি লইস্কার বিলে এলে বালুবোঝাই একটি ট্রলারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। আমি ঝাঁপ দিয়ে পানিতে পড়ে সাঁতরে উপরে উঠি। তিনি আরও বলেন, নৌকার নিচে ও উপরে শতাধিকের মতো যাত্রী ছিল।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে আছি। এ পর্যন্ত ৯ নারীসহ ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এখনো নৌকাটি উদ্ধার করা যায়নি। তিনি বলেন, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - গণমাধ্যম