a বিএফইউজে ও ডিইউজে’র নেতৃবৃন্ধ কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি
ঢাকা রবিবার, ২৫ কার্তিক ১৪৩২, ০৯ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বিএফইউজে ও ডিইউজে’র নেতৃবৃন্ধ কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি


খোরশেদ আলম: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ১৩ জুন, ২০২১, ১০:১৪
বিএফইউজে ও ডিইউজে’র নেতৃবৃন্ধ কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি

ফাইল ছবি

কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে। রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএফইউজে ও ডিইউজে’র আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্ধ এ দাবি করেন।

গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় বিচার বিভাগের নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে সাংবাদিক নেতারা বলেন, দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে বিচার বিভাগকে মুক্তসাংবাদিকতার পক্ষে ভূমিকা নেয়া উচিত। তারা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আদালত আজ মুক্ত সাংবাদিকতার পক্ষে রায় দিচ্ছেন। অথচ বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো সংবিধান বিরোধী আইন বন্ধে আদালতের ভূমিকা আমরা দেখতে পাইনি। 

সাংবাদিকরা গ্রেফতার হচ্ছেন এবং তারা বছরের পর জেল আছেন অথচ জামিন দেয়া হচ্ছে না।  দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন বলা হয়। কিন্তু কতটুকু স্বাধীন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দেশের বিচার বিভাগ নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারলে রুহুল আমিন গাজী মুক্তি পেতেন।

সমাবেশে বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, এ সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ গণমাধ্যম। আর সত্য হচ্ছে প্রধান শত্রু । সত্য প্রকাশের জন্য অনেক সাংবাদিককে আটক করে রাখা হয়েছে। অনেক সাংবাদিক খুন হয়েছেন। মামলা-নির্যাতনে হয়রানি করা হচ্ছে।

রুহুল আমিন গাজীসহ সকল কারাবন্দি সাংবাদিকের মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, মামলার মেরিট দেখে আর সংবিধান প্রদত্ত অধিকার প্রয়োগ করে বিচার বিভাগ রায় দিলে এসব মামলা টিকতে পারে না। 

এ প্রসঙ্গে শওকত মাহমুদ সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে প্রেস ফ্রিডম নেই। অথচ ওই দেশের বিচারপতিরা সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অনেক মামলার আসামিকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় সাংবাদিক আটককে অবৈধ ঘোষণা করেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার মূল লক্ষ্য তাদের অপশাসনকে দীর্ঘায়িত করা। তিনি মুক্ত সাংবাদিকতা বিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালা কানুন বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, কোনো সভ্যদেশে এমন ভয়ংকর আইন কল্পনাও করা যায় না। 

আমেরিকার সংবিধানে প্রথম সংশোধনী আনা হয় মিডিয়ার স্বাধীনতা রক্ষায়। এতে বলা হয়, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করে এমন কোনো আইন কখনো মার্কিন কংগ্রেসে পাস করবে না। এরাই হলো সভ্য। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশের সংবিধানেও সংশোধনী এনে মিডিয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হোক।

বিএফইউজে মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন সরকারকে অতীত থেকে শিক্ষা নেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, ৭৫ পূর্বে সংবাদপত্র বন্ধ করে এবং নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে তৎকালীন সরকার নিজেদের রক্ষা করতে পারেনি। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ অবস্থান নিলেই রুহুল আমিন গাজীসহ কারাবন্দি সকল সাংবাদিকের মুক্তি সম্ভব।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, এ সরকার অবৈধ। এ সরকার কর্তৃত্ববাদী। টিকে থাকার জন্য এ সরকার সব কিছু করতে পারে।

ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম অবিলম্বে কারাবন্দি সাংবাদিকদের মুক্তি এবং শওকত মাহমুদসহ অন্যদের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, রুহুল আমিন গাজী কিডনি সমস্যাসহ অনেক জটিল রোগে আক্রান্ত। অথচ তার চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই।

ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ। বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালীন নোমানী, রফিকুল ইসলাম আজাদ সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, বিএফইউজের সহসভাপতি মোদাব্বের হোসেন, বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ খায়রুল বাশার, ডিইউজের সহ-সভাপতি শাহীন হাসনাত ও রাশেদুল হক, বিএফইউজের সহকারি মহাসচিব শহীদুল্লাহ মিয়াজী, ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য একেএম মহসীন, ডিইউজে নেতা শাহজাহান সাজু, দেওয়ান মাসুদা, সাখাওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী প্রমুখ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক খুরশীদ আলম, দপ্তর সম্পাদক তোফায়েল হোসেন, নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন, ডিইউজের সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ আলী আসফার, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য জেসমিন জুঁই প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার ও কোষাধ্যক্ষ গাজী আনোয়ারুল হক।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধের প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে: মোস্তফা জব্বার


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৯:২৩
অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধের প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে: মোস্তফা জব্বার

ফাইল ছবি

অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধের প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। মঙ্গলবার ( ২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মোস্তফা জব্বার বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আজকেই শেষ দিন ছিল অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালগুলো বন্ধের জন্য। তবে বিটিআরসি'র তালিকা ধরে নিউজ পোর্টালগুলো বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিলো যেখানে বেশকিছু ত্রুটি আছে। তাই আপাতত অনিবন্ধিত নিউজপোর্টাল বন্ধের প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এর কাছে তালিকা চেয়েছি, তাদের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল গুলো বন্ধ করা হবে। এ জন্য আদালতের কাছেও নতুন করে সময় চাওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

এরআগে, দুপুরের পর থেকে অনিবন্ধিত নিউজপোর্টালগুলো বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সে সময় বেশকিছু নিউজপোর্টাল বন্ধ দেখতে পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর দেশের সব অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। যা আগামী সাত দিনের মধ্যে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ও প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক রিটে সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন দুই রিটকারী আইনজীবী জারিন রহমান ও রাশিদা চৌধুরী নীলু। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল (এম আর) চৌধুরী। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বিশ্বজুড়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্ব: গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০২৪, ১০:৩০
বিশ্বজুড়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্ব:  গোয়েন্দাদের সতর্কবার্তা

ছবি সংগৃহীত

বিশ্ব জুড়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্ব। আন্তঃদেশীয় চ্যালেঞ্জ ও আঞ্চলিক সংঘাত এর অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এক মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তায় উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে আমেরিকাকে ক্রমশ ভঙ্গুর বিশ্ব ব্যবস্থা মোকাবিলা করতে হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে চীন প্রভাবিত করতে পারে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

সোমবার মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআই), কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ), কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (এফবিআই) দেশটির সিনেট গোয়েন্দা কমিটির কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়েছে চীন, ইরান ও রাশিয়া বর্তমান আন্তর্জাতিক বিশ্বব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। একই সঙ্গে ইউক্রেনে রুশ অভিযান ও ফিলিস্তিনের গাজায় হামাস ও ইসরাইলের সংঘাত বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চাভিলাষী ও উদ্বিগ্ন চীন, সংঘাতপ্রবণ রাশিয়া, আঞ্চলিক কিছু শক্তি যেমন ইরান এবং আরো সক্ষম কিছু অরাষ্ট্রীয় গোষ্ঠী বিশ্বব্যবস্থার নিয়মনীতিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে। একই সঙ্গে বিশ্বব্যবস্থায় আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এর পেছনে চীন, রাশিয়া ও ইরানের মতো শক্তিধর কয়েকটি রাষ্ট্ একত্র হয়ে কাজ করছে।

বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়া যখন যুদ্ধে লিপ্ত, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাবিষয়ক সহায়তা দিয়ে মস্কোর পাশে দাঁড়াচ্ছে চীন। রাশিয়া ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ছে। রাশিয়ায় সামরিক কাজে ব্যবহূত হতে পারে, চীন থেকে এরকম সব পণ্যের রপ্তানি ২০২২ সাল থেকে তিন গুণ বেড়েছে।

সোমবার সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির কাছে ইউক্রেনে সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন এনআইয়ের পরিচালক এভ্রিল হেইনস। সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নসও একই ধরনের অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যদিকে এফবিআই পরিচালক ক্রিস্টোফার রে আমেরিকায় সন্ত্রাসবাদের হুমকি নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন। সূ্ত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - গণমাধ্যম