a
ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জেয়াদ আল মালুম মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জেয়াদ আল মালুমের ভাগিনী অ্যাডভোকেট মাকসুদা আক্তার লাইলী মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত ২৫ মে রাতে স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়ায় জেয়াদ আল মালুমকে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ফুসফুসে মারাত্মক সংক্রমণ ও জটিলতা ধরা পড়ে। পরবর্তীতে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাকে সিএমএইচে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য অ্যাডভোকেট জেয়াদ আল মালুম প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে তিনি জামায়াতে ইসলামির সাবেক আমির গোলাম আযম ও মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে করা মামলার বিচারে রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
জেয়াদ আল মালুমের টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার করোটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। সে সময় জেয়াদ আল মালুম ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সংশ্লিষ্ট শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ছবি সংগৃহীত
মাধবপুরে লাচানা শুক্ল বৈদ্য (৫০) নামে এক চা শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দুপুরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
নোয়াপাড়া চা-বাগানের ইউপি সদস্য দুলাল ঘোষ জানান, মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা চা-বাগানে কাজ করতে গেলে বাগানের ভেতরে একটি জায়গায় নোয়াপাড়া চা-বাগানের বিষ লাইন এলাকার বাসিন্দা চা-বাগানের শ্রমিক লাচানা শুক্ল বৈদ্য’র ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
ফাইল ছবি
রাজধানী ঢাকার নর্দায় রাইদা পরিবহনের দুটি বাসের মধ্যে প্রতিযোগিতায় আঙ্গুল কেটে ঝুলে পড়েছে এক চালকের। গতকাল রবিবার (২৬ জুন) রাত ১০ টার দিকে বাস দুটি একটি আরেকটিকে ওভারটেক করতে গেলে বামপাশে থাকা বাস চালকের আঙ্গুল কেটে যায়।
যাত্রীরা চালকের হাতে কাপড় দিয়ে ব্যান্ডেজ করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় এবং চালকের আসনে হেলপার বসে গাড়ি য়াত্রীশুন্য করে গন্তব্যে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় বাসযাত্রীরা ক্ষুব্ধ হলেও পরে যে যার মতো চলে যায়। কারণ তারা এসব নিত্যদিনের ঘটনা নিজেদের প্রায় মানিয়েই নিয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজধানী ভেতর দিয়ে চলাচলকারী রাইদা বাস দিয়াবাড়ি টু পোস্তগোলা রোডে চলাচল করে। এই বাস সার্ভিস চালুর পর এই রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রীদের মধ্যে অনেক আনন্দ ছিল। কারণ এদের স্টাফগুলো অন্যান্য গাড়ির তুলনায় ভাল ও দক্ষ ছিল। কিন্তু দুই এক বছর পার হতো না হতে এদের পরিবহন সেবা অনেক বাজে হয়ে গেছে। একই রোডে চলাচলকারী তুরাগ বাসের চেয়েও এতের সার্ভিস খারাপ হয়ে গেছে।
রাইদা বাস সার্ভিস চালুর পর স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা এবং মহিলাশিক্ষক রিকসা না গিয়ে এই বাসে চলাচল করতেন। তারা খরচের পাশাপাশি এই বাসে চলাচলে নিজেদের নিরাপদ মনে করতেন। কিন্তু এখন তারা আগের মতো ভরসা পাননা। কারণ অন্যান্য সমস্যাগুলো তো আছেই, তারপর এরা পেসেঞ্জার তোলার সময় অনেক সময় নিয়ে তুললেও বাসস্টপে নামার সময় নামতে না দিয়েই দ্রুত প্রস্থান করতে গিয়ে অনেকে পড়ে গিয়ে মারাত্বক দুর্ঘটনা ঘটে।
বিশেষ করে কোন একটা বাস স্টপে অনেক সময় ধরে বসে থাকলেও পেছন থেকে একই লাইনের গাড়ি ওভারটেক করতে গেলে নিজেদের মাঝে প্রায় যুদ্ধ লেগে যায়। সামনে-সাইডে কোন লোক বা রিকসা থাকলেও সেগুলো তোয়াক্কা না করে অনেক সময় ধাক্কা দিয়েই পার হতে গিয়ে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে।
এসব দূর্ঘটনায় যাত্রীদের সহযোগিতায় এদের পুলিশে সোপর্দ করলেও আইনের ফাঁক-ফোকরে এরা পার পেয়ে যায় এবং পরবর্তীতে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। বেপরোয়া এসব চালকদের জন্য যাত্রীদের প্রায়ই ভোগান্তির শিকার হতে হয় এবং এমন ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনাও নেহায়েত কম নয়!