a ফকির আলমগীর আর নেই
ঢাকা সোমবার, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ফকির আলমগীর আর নেই


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ২৪ জুলাই, ২০২১, ১০:৩৩
ফকির আলমগীর আর নেই

ফাইল ছবি

ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কোভিড ইউনিটে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় ফকির আলমগীর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে তার মৃত্যু ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

কয়েক দিন ধরে ফকির আলমগীর জ্বর ও খুসখুসে কাশিতে ভুগছিলেন। পরে তিনি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। চিকিৎসকের পরামর্শমতো কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানোর পর তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। তখন থেকেই তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপর তাকে গ্রিন রোডের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই সময় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) প্রয়োজন পড়লে সেখান থেকে তাকে গুলশানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
 
ফকির আলমগীরের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল। যে কারণে জটিলতা বাড়তে থাকে। হাসপাতালে ভর্তির পর দুই ব্যাগ প্লাজমা দেয়া হয় তাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর।

তার ছেলে মাশুক আলমগীর জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার বাবার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৪৫-এ নেমে আসে। ওই দিন থেকে চিকিৎসকেরা তাকে ভেন্টিলেশনে নেয়ার পরামর্শ দেন। ভেন্টিলেশনে নেয়ার পর থেকে তার বাবার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯০ পর্যন্ত উন্নীত হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। এক সময় রক্তে ও ফুসফুসে ইনফেকশন পাওয়া যায়। রক্তচাপ খুবই নেমে যায়। রক্তে ইনফেকশনের জন্য প্রায় প্রতিদিনই সকালে জ্বর আসতো। শুক্রবার নতুন অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া শুরু করেন চিকিৎসকরা। একপর্যায়ে রাতে আবারো অবস্থার অবনতি হয়। এরপর গণসংগীতের এই শিল্পীকে মৃত্যু ঘোষণা দেয়া হয়।
 
ফকির আলমগীর ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মো: হাচেন উদ্দিন ফকির, মা বেগম হাবিবুন্নেসা। শিল্পী কালামৃধা গোবিন্দ হাইস্কুল থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে স্নাতক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।

ফকির আলমগীর ষাটের দশক থেকে সংগীতচর্চা করেছেন। গান গাওয়ার পাশাপাশি বাঁশীবাদক হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে। বাংলাদেশের সব ঐতিহাসিক আন্দোলনে তিনি তার গান দিয়ে মানুষকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন। ১৯৬৬ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় সদস্য ছিলেন ফকির আলমগীর। এরই ধারাবাহিকতায় ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও গণশিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলন–সংগ্রামে ও ’৬৯-এর গণ–অভ্যুত্থানে গণসংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। গণ–অভ্যুত্থান, ’৭১–এর মুক্তিযুদ্ধ ও ৯০–এর সামরিক শাসনবিরোধী গণ–আন্দোলনে তিনি শামিল হয়েছিলেন তার গান দিয়ে।
 
জনপ্রিয় গান:
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার কণ্ঠের বেশ কয়েকটি গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। এর মধ্যে ‘ও সখিনা’ গানটি এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। ১৯৮২ সালের বিটিভির ‘আনন্দমেলা’ অনুষ্ঠানে গানটি প্রচারের পর দর্শকের মধ্যে সাড়া ফেলে। কণ্ঠ দেয়ার পাশাপাশি গানটির সুরও করেছেন ফকির আলমগীর।

ফকির আলমগীর গানের পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখিও করেছেন। ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান’, ‘গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান’, ‘আমার কথা’, ‘যারা আছেন হৃদয়পটে’সহ বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে তার।

সম্মাননা ও পদক:
সংগীতের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এ পর্যন্ত পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় ‘একুশে পদক’, ‘শেরেবাংলা পদক’, ‘ভাসানী পদক’, ‘সিকোয়েন্স অ্যাওয়ার্ড অব অনার’, ‘তর্কবাগীশ স্বর্ণপদক’, ‘জসীমউদ্‌দীন স্বর্ণপদক’, ‘কান্তকবি পদক’, ‘গণনাট্য পুরস্কার’, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক মহাসম্মাননা’, ‘ত্রিপুরা সংস্কৃতি সমন্বয় পুরস্কার’, ‘ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড যুক্তরাষ্ট্র’, ‘জনসংযোগ সমিতি বিশেষ সম্মাননা’, ‘চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড বিশেষ সম্মাননা’ ও ‘বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশিপ’।

শোক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বরেণ্য শিল্পীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে রাতে সরকারি সংবাদ সংস্থা- বাসসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

অপি করিমের বাবা আর নেই


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১, ১১:২০
অপি করিমের বাবা আর নেই

ফাইল ছবি

বিশিষ্ট কবি ও লেখক সৈয়দ আব্দুল করিম মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে মৃত্যু হয় তার। সৈয়দ আব্দুল করিম অভিনেত্রী অপি করিমের বাবা।

অভিনেতা শামীম শাহেদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপি করিমের বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর আজিমপুর কবরস্থানে সৈয়দ আবদুল করিমকে সমাহিত করা হবে।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

চট্টগ্রামে ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে আটকে মারধর, ২ জন সিএমএইচে


নিউজ ডেস্ক:
শুক্রবার, ২৬ মার্চ, ২০২১, ৯:৩০
চট্টগ্রামে ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে আটকে মারধর, ২ জন সিএমএইচে

সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা থানা কার্যালয়, ভূমি অফিস ও ডাক বাংলোতে ভাংচুর চালায়। তাছাড়া মাদ্রাসাছাত্রদের বিরুদ্ধে অস্ত্র লুট ও ভূমি অফিসে অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ উঠেছে। তারা চার পুলিশ কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে মারধর করেছে। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দুইজনকে সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরোধিতা করে মোদিবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে হাটহাজারীতে সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এতে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাটহাজারী মাদ্রাসার তিন ছাত্র ও একজন পথচারী নিহত হয়েছে। এছাড়া পুলিশ ও মাদ্রাসা ছাত্রদের দফায় দফায় সংঘর্ষের মাদ্রাসার ছাত্র, পথচারী, সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী, থানা পুলিশ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর দুপুর আড়াইটার দিকে হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা মাদ্রাসার সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি মাদ্রাসা এলাকা অতিক্রম করার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বাঁধা এড়িয়ে হাটহাজারী থানার সমানে গেলে তারা ফের বাঁধার সম্মুখীন হয়।

এ সময় উত্তেজিত মাদ্রাসাছাত্ররা থানা কার্যালয় লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের (মাদ্রাসা ছাত্র) ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছুঁড়লে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদের মধ্যে তিন ছাত্র ও একজন পথচারীসহ চারজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দীন তালুকদার। তিনি জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত অনেককে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

নিহতরা হলেন- হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র কুমিল্লা জেলার মো. রবিউল ইসলাম, মাদারীপুর জেলার মো. মেহরাজুল ইসলাম, ময়মনসিংহ জেলার মো. আব্দুল্লাহ মিজান এবং পথচারী হাটহাজারী উপজেলার মো. জসিম।

মাদ্রাসা ছাত্র ও পথচারীসহ ৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ মাদ্রাসাছাত্ররা চার পুলিশ কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে মারধর করেছে। তাদের মধ্যে এএসপি (শিক্ষানবীশ) প্রবীর ফারাবী ও এসআই মেহেদী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটহাজারী সার্কেল) শাহাদাৎ হোসেন।

তিনি বলেন, হঠাৎ থানায় হামলা করা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। তবে মাদ্রাসার বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের সামনে অবস্থান নেওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ভূমি অফিসের একটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেয়ায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন। তিনি বলেন, আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের হামলাকারীরা ভূমি অফিসে প্রবেশে বাধা দেয়। তারা শুধু ভূমি অফিস নয়, উপজেলার ডাক বাংলোতে ঢুকেও ব্যাপক ভাংচুর করেছেন হামলাকারীরা। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মছিউদ্দৌল্লাহ রেজা বলেন, মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে ছাত্ররা বিনা উস্কানিতে থানায় হামলা চালায়। তারা থানা কম্পাউন্ডে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।

ঘটনার ব্যাপারে জানতে হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্য মাওলানা ইয়াহিয়ার মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি অসুস্থ আছেন বলে জানান। তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

তবে হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়েজী জানান, জুমার নামাজের পর মাদ্রাসার ছাত্ররা এ বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই ছাত্রদের ওপর গুলি ছুঁড়ে। এতে চারজন নিহত হয়। পরে পুলিশের সঙ্গে ছাত্ররা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার খরব পেয়ে হাটহাজারীর এমপি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম রশিদুল হকসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্য ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, আমরা এ রকমের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। কারণ তারা প্রায়ই মিছিল করে। কিন্তু তারা আজ হঠাৎ থানা কার্যালয় লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করায় আমরা হতভম্ব। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

হাটহাজারীর এমপি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এ ঘটনায় যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সঙ্গে কথা হয়েছে। ওনি চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে হাটহাজারীতে আসলে আমরা এ ব্যাপারে আলোচনায় বসবো।

এদিকে এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনে অবস্থান নিয়ে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। সন্ধ্যা নাগাদ পুলিশের সঙ্গে ফের সংঘর্ষে জড়ালে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। এছাড়া ঘটনাস্থলের আশেপাশে প্রচুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়নের পাশাপাশি হাটহাজারী থানার সামনে প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছেন এবং একটি এপিসি ও একটি ওয়াটার ক্যানন মজুদ রাখা হয়েছে। হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ডে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়।

অন্যদিকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাটহাজারীর এমপি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে  হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মুফতি জসিম উদ্দিন, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব নাসির উদ্দিন মুনির, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদরিসসহ একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একটি বৈঠক চলছে বলে খবরে জানা গেছে। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - বিবিধ

সর্বোচ্চ পঠিত - বিবিধ

বিবিধ এর সব খবর