a
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়মে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস. এম. আকতার হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, শেখ হাসিনা কখনই অস্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন না,এখনো বিশ্বাসী না। আর এটাই ছাত্রলীগের সব থেকে বড় সুবিধা। যে যাই বলুক স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অবদান ছিলো একশো ভাগ এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। কর্মশালায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রায় দুইশত নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
দুয়ার পাবলিকেশন থেকে তরুণ লেখক কারিশমা ওয়াজেদ শ্রেয়সীর প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ ❝অশ্বমেধ❞ প্রকাশিত হয়েছে। আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু অমর একুশে বইমেলা- ২০২৪ প্রকাশনীর স্টলে (৩৫৬নং) পাওয়া যাবে এ কাব্যগ্রন্থটি।
কারিশমা ওয়াজেদ শ্রেয়সী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও পত্রিকায় তার একাধিক লেখা প্রকাশিত হয়েছে। ❝অশ্বমেধ❞ বইটিতে তিনি নানা যোগ অনুযোগ এবং প্রেম-বিরহের কবিতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। বইটি ৫১ টি কবিতা নিয়ে সংবলিত।
শ্রেয়সী বলেন, তিনি উপেক্ষিত যা কিছু তা নিয়ে কথা বলেন। তার ভাষ্যমতে- " আমি উপেক্ষিত প্রেম, আবেগ, বিরহ ও মানুষের কথা বলি"। তিনি বেড়ে উঠেছেন এই রাজধানীর বুকেই। রাজধানীর এই ব্যস্ততা, জনজীবন এবং বৈচিত্র্যময় জীবন-যাপন তাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। উপেক্ষিত মানুষের উপেক্ষা নিয়েই তিনি লিখতে চান। অশ্বমেধ তার প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ।
ফাইল ছবি
নাজমুল হাসান শান্তর প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি সাথে তামিম ইকবাল ও অধিনায়ক মুমিনুল হকের দায়িত্বশীল ব্যাটিং প্রথম টেস্টের প্রথম দিনটি নিজেদের করে নিল টিম টাইগার দিন শেষে মাঠে অপরাজিত ছিল নাজমুল শান্ত ১২৬* রানে এবং অধিনায়ক মুমিনুল হক ৬৪* রানে।
সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও উইকেট বিলিয়ে ৯০ রানে থামেন তামিম। এ নিয়ে ২য় বারের মত ৯০ এর ঘরে আউট হলে বাংলাদেশের এই ড্যাশিং ওপেনার। এমন চার টেস্টের মধ্যে তিনটিতে যারা আগে ব্যাট করেছে তারাই জয়ী হয়েছে। সে বিবেচনায় টসটা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একের পর এক ব্যর্থতার বৃত্তে থাকা বাংলাদেশ অধিনায়ক টসে জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্তকে কার্যকর করেন ব্যাটসম্যানরা। এদিকে ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে অভিষেক হওয়া প্রতিভাবান বা বাঁহাতির ব্যাটসম্যান নাজমুল শান্ত বিরূপ কন্ডিশনে হঠাৎ খেলতে নেমে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি কিন্তু শান্ত প্রতি আস্থা হারায়নি নির্বাচকরা।
আজ ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে দিনটাই নিজের করে নিলেন এই বাহাতি ব্যাটসম্যান। টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দিনের শুরুতে দলীয় ৮ রানে ব্যক্তিগত ০ রানে সাইফ হাসানের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায়, তবে সে ধাক্কা সামলে নিয়েছেন তামিম-শান্তর ১৪৪রানের জুটি।
দিনের দ্বিতীয় ওভারেই শ্রীলঙ্কার একমাত্র সফল বোলার বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরেন সাইফ।এর পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শান্ত যোগ করেন ১৪৪ রান দলীয় ১৫২ রানে সেঞ্চুরি থেকে ১০ রান দূরে থাকতে আউট হন মি.খান সাহেব।তামিম আউট হবার আগেই ফিফটি তুলে নেন শান্ত।পরে অধিনায়ক মুমিনুল হককে নিয়ে চা বিরতির আগে দলীয় খাতায় যোগ করেন ৪৮ রান। তবে চা বিরতির পরের সেশনে কোন উইকেটই হারায়নি বাংলাদেশ। শান্তের সাথে পাল্লা দিয়ে রান বাড়াতে থাকেন মুমিনুলও।
৭৪তম ওভারের পঞ্চম বলে চার হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। এক হাতে ব্যাট অন্য হাতে হেলমেট উঁচিয়ে মাথা নিচু করে ড্রেসিংরুমে দিকে উদ্দেশ্য উদযাপন করলেন নিজের সেঞ্চুরি। ২৩৫ বলে ১২ চার ১ ছক্কায় সেঞ্চুরিতে পৌঁছানো এই বাঁহাতি দিনশেষে অপরাজিত ২৮৮ বলে ১৪ চার ১ ছক্কায় ১২৬ রানে। মুমিনুল করেন ১১৭ বলে ৫ চারে ক্যারিয়ারের ১৪ তম ফিফটি করেন ১৫০ বলে ৬৪ রান।
দিন শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় শান্ত বলেন, গত কয়েক মাসে সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং আমি রান করছিলাম না, তবে আমি জানতাম যে আমি যদি ঘুরে দাড়াই এবং আমার প্রাকৃতিক খেলা খেলি তবে আমি স্কোর করতে পারি এবং আমি সত্যিই খুশি।
মানসিকভাবে আমি খুব ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করছি এবং এটি আমাকে অনেক সহায়তা করেছে। আজ আমি ব্যাটিংয়ের সময় অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছিলাম এবং কখন এবং কোথায় স্কোর করব সে সম্পর্কে খুব বেশি ভাবছিলাম না, আমার চিন্তার প্রক্রিয়াটি কেবল বলটি দেখার এবং সেই অনুসারে খেলতে হবে। আমাদের ভাল ব্যাট করতে হবে।
প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর: ৩০২/২ (৯০), তামিম ৯০, সাইফ ০, শান্ত ১২৬*, মুমিনুল ৬৪*; বিশ্ব ১৭-২-৬১-২।