a
ফাইল ছবি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে বাসভবনে অবরুদ্ধ করে রাখার কর্মসূচি থেকে সরে এসেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে আন্দোলনের অন্যান্য কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের মুখপাত্র মোহাইমিনুল বাশার রাজ এমনটাই জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জাফর স্যার এবং ইয়াসমিন ম্যামের অনুরোধে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক এবং ভিসির বাসভবনের সামনে থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা মিছিল, সমাবেশ, অবস্থান কর্মসূচি, প্রতিবাদী গান ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
মোহাইমিনুল আরও বলেন, আমাদের ৫ দাবির মধ্যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অর্থদানের অভিযোগে গ্রেফতার ৫ সাবেক শাবি শিক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর হয়েছে। অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহার হয়েছে। অনশনকারী শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা খরচ মিটিয়ে দেয়া হয়েছে। ১৬ জানুয়ারি উপাচার্যের মদদে সংঘটিত পুলিশি হামলায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল দাবি উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনকে প্রত্যাহার এবং ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টোরিয়াল বডির অপসারণের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে জাফর স্যার এবং ইয়াসমিন ম্যাম শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এই দাবি পূরণে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করার দায়িত্ব নিয়েছেন। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসের সব আবাসিক হল যা বর্তমানে শিক্ষার্থীরা নিজেদের উদ্যোগে সচল আছে, সেগুলোও পুরোদমে চালু হবে বলে জানিয়েছেন।’
এর আগে, গতকাল সকাল ১০টা ২০ মিনিটে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষক দম্পতি। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে অনশন ভাঙলেও বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে মঙ্গলবার ভোর ৪টায় ঢাকা থেকে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ক্যাম্পাসে পৌঁছান জাফর ইকবাল দম্পতি। ক্যাম্পাসে পৌঁছার পর ড. জাফর ইকবাল ও ইয়াসমিন হক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের অনশন ভাঙার অনুরোধ জানান।
একপর্যায়ে অনশনরত শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনশনরত অন্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে সকালে অনশন ভাঙার প্রতিশ্রুতি দেন। সকালে হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে অনশনস্থলে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসারত শিক্ষার্থীদের। পরে সবাইকে পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান অধ্যাপক জাফর ইকবাল দম্পতি। সূত্র:বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল চালুর আগে আরও চারজনকে হল টিউটর এবং সাতজনকে সহকারি হল টিউটর হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামানের সই করা এক দাপ্তরিক আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।
নবনিযুক্ত চারজন হাউজ টিউটর হলেন- গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শরাবান তোহরা, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিপা দেবনাথ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তাসলিম আক্তার এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাবিবুন নাহার।
অন্যদিকে সাতজন সহকারী হাউজ টিউটর হলেন- বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাবিনা ইয়াসমিন, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দীপিকা মজুমদার, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মানসুরা বেগম, দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুসরাত জাহান পান্না, ফার্মেসী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সায়েমা খানম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোশরাত জাহান এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সামিনা বেগম।
আদেশে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের জন্য এসব শিক্ষকদেরকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে হাউজ টিউটর ও সহকারী হাউজ টিউটর হিসেবে নিযুক্ত থাকবেন। তাদের ভাতা ও অন্য সুবিধাদি পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হবে।
বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের বর্তমানে প্রভোস্ট হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. শামীমা বেগম। এছাড়া আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. প্রতিভা রাণী কর্মকার হাউজ টিউটর হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র হতে বলা হচ্ছে হলে ছাত্রী উঠার জন্য তালিকা খুব শিঘ্রই প্রকাশ করা হবে। পূর্বে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলে আসছেন, যারা নির্ধারিত শর্তের মধ্যে থাকবেন তাদেরকে সিট প্রদান করা হবে। কোন লিঙ্ক লবিংয়ে সিট দেয়া হবে না।
ফাইল ছবি
দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির বিরুদ্ধে আসা বিভিন্ন অভিযোগের জবাব দিতে প্রতিষ্ঠানটিকে ‘কারণ দর্শানোর সুযোগ’ দেয়া হবে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, ‘গ্রাহকদের কাছ থেকে তারা যেই টাকা নিয়েছে, তা তারা কীভাবে ফেরত দেবে সেই বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হবে।’ রবিবার বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এছাড়া ইভ্যালি, আলেশা মার্টসহ দেশের প্রচলিত সকল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছে তাদের ব্যবসা পরিকল্পনা চাইবে সরকার, বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাণিজ্য সচিব। দেশে ই-কমার্স সেক্টরের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ই-ক্যাব, বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিপ্তর, প্রতিযোগিতা কমিশন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার প্রতিনিধি ও ব্যবসা বিষয়ক আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হলে সংশ্লিষ্ট ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে সরকার। কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বাংলাদেশের প্রচলিত আইনসিদ্ধ না হলে সেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে। বাণিজ্যসচিব আরও জানান, কোনো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নতুন গ্রাহকের টাকা দিয়ে পুরানো গ্রাহককে পরিশোধ করতে পারবে না।
বিবিসি বাংলাকে তপন কান্তি ঘোষ জানান, বৈঠকে ইভ্যালি সম্পর্কে যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তাতে প্রতিষ্ঠানটিকে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে ‘কারণ দর্শানোর সুযোগ’ দেয়া হবে। ইভ্যালিকে তাদের বিজনেস প্ল্যান ব্যাখ্যা করার সুযোগ দেয়া হবে সংশ্লিষ্ট একটি কমিটির কাছে। কমিটি যাচাই করবে যে তারা আসলেই ভোক্তাদের কাছ থেকে নেয়া টাকা ফেরত দিতে পারবে কিনা।
কমিটি যদি তাদের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয় তাহলে প্রয়োজনে তাদের সুযোগ দেবে। কমিটি চাইলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ারও সুপারিশ করতে পারে।” তবে এই প্রক্রিয়াগুলো সময় সাপেক্ষ হওয়ায় এগুলোর বাস্তবায়নে কিছুটা দেরি হতে পারে বলে মন্তব্য করেন মি. ঘোষ।