a
ফাইল ছবি
সর্বোচ্চ আদালতে বাংলায় রায় লেখা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে আলাদা শাখা চালু করা হয়েছে।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ ও বিচারপ্রার্থীরা যাতে আদালতের রায় বুঝতে পারে, সে জন্য ইংরেজিতে দেওয়া রায় বাংলায় অনুবাদ করতে সুপ্রিম কোর্টে যুক্ত হয়েছে নতুন সফটওয়্যার ‘আমার ভাষা’। বলা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওই সফটওয়্যারটি দিয়ে রায়গুলো বাংলায় অনুবাদ করা যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজকের দিনে আমাদের মহান ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। তারা যে চেতনা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সেদিন ভাষার জন্য শহীদ হয়েছিলেন, আমাদেরও সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে।’ সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দুটি জায়গা থেকে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এর একটি বাজার এবং অন্যটি গণপরিবহন। সংস্থাটির ভাষ্যমতে, দেশে এখন পর্যন্ত যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের বড় অংশই হয় বাজারে গেছেন, নয়তো গণপরিবহন ব্যবহার করেছেন।
৫ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আট হাজার করোনা রোগীর তথ্য পর্যালোচনা করে আইইডিসিআর জানিয়েছে, আক্রান্ত রোগীদের ৬১ শতাংশের বাজারে যাওয়া এবং গণপরিবহন ব্যবহারের ইতিহাস রয়েছে। এছাড়া সংক্রমিত হওয়া ৩০ শতাংশের বেশি মানুষ জনসমাগমস্থল (সভা–সেমিনার) এবং উপাসনালয়ে গিয়েছিলেন।
ওই সাড়ে আট হাজার রোগীর তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তাঁদের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে গিয়েছিলেন ২৬ শতাংশ, করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন ২২ শতাংশ। এ ছাড়া আন্ত:বিভাগ ভ্রমণ করেছিলেন ১৩ শতাংশ, সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন ১২ শতাংশ।
আইইডিসিআর জানিয়েছে, সংক্রমণ রোধে মাস্কপরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। সাথে নিতে হবে টিকা। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি নিশ্চিত করতে হবে। বাজার খোলা জায়গায় নিয়ে আসার নির্দেশনা আছে, এটিও নিশ্চিত করতে হবে। কোথাও বদ্ধ জায়গায় বাজার হলে সেখানে যাতে জনসমাগম বেড়ে না যায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। সূত্র:ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় বসতঘর মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে সিধুলী ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ কালীবাড়ি বাজার এলাকায় এই দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হতভাগ্য ব্যক্তিরা হলেন জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার হাটবাড়ী গ্রামের মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে ইলিম উদ্দিন (৬০), চরলুটাবর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান রাজু (৩৫) ও বীরলুটাবর গ্রামের বিন্দু সেকের ছেলে মিন্টু (২৮)।
নিহত ইলিম উদ্দিনের নাতী নরুল ইসলাম জানায়, সোমবার সকালে শ্যামগঞ্জ কালিবাড়ী বাজার এলাকায় মোস্তাফিজুর রহমান রাজুর মালিকানাধীন বসতঘর মেরামতের কাজ করছিলো। বসতঘরের চাল খুলে সরিয়ে নিতে রাজুকে সহযোগিতা করছিলো ওই ঘরের ভাড়াটিয়া মিন্টু, সাখাওয়াত ও প্রতিবেশী ইলিম উদ্দিন।
এ সময় বসতঘরের ওই চাল বিদ্যুতের খুঁটির সঞ্চালন লাইনে স্পর্শ হলে সাথে সাথেই চারজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এদের মধ্যে রাজু, মিন্টু ও ইলিম উদ্দিনকে গুরুতর আহত অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। আহত সাখাওয়াতকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল হুদা খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা হবে।