a শুরু হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে বাংলায় রায় লেখা: প্রধান বিচারপতি
ঢাকা শুক্রবার, ২৩ কার্তিক ১৪৩২, ০৭ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

শুরু হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে বাংলায় রায় লেখা: প্রধান বিচারপতি


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ২১ ফেরুয়ারী, ২০২২, ১১:৫৪
শুরু হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে বাংলায় রায় লেখা: প্রধান বিচারপতি

ফাইল ছবি

সর্বোচ্চ আদালতে বাংলায় রায় লেখা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে আলাদা শাখা চালু করা হয়েছে।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ ও বিচারপ্রার্থীরা যাতে আদালতের রায় বুঝতে পারে, সে জন্য ইংরেজিতে দেওয়া রায় বাংলায় অনুবাদ করতে সুপ্রিম কোর্টে যুক্ত হয়েছে নতুন সফটওয়্যার ‘আমার ভাষা’। বলা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওই সফটওয়্যারটি দিয়ে রায়গুলো বাংলায় অনুবাদ করা যাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আজকের দিনে আমাদের মহান ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। তারা যে চেতনা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সেদিন ভাষার জন্য শহীদ হয়েছিলেন, আমাদেরও সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে।’ সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ যাতে দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি না হয় সেজন্য প্রস্তুত থাকুন : প্রধানমন্ত্রী


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২২, ০৯:৫৩
বাংলাদেশ যাতে দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি না হয় সেজন্য প্রস্তুত থাকুন : প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

দীর্ঘস্থায়ী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং চলমান কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বাংলাদেশ যাতে কখনোই দুর্ভিক্ষ এবং খাদ্যের অপ্রতুলতার মতো কোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের মাটি ও মানুষ আছে। তাই এখন থেকেই আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে, বাংলাদেশ যাতে কখনো দুর্ভিক্ষ বা খাদ্য সঙ্কটে না পড়ে। আমরা আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াব।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

শেখ হাসিনা করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আবার রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ এবং একে কেন্দ্র করে স্যাংশনের প্রসঙ্গ টেনে দেশে প্রতি ইঞ্চি জমিকে চাষাবাদের আওতায় এনে উৎপাদন বাড়ানোয় তার আহবান পূণর্ব্যক্ত করেন।

বিশ্ববাজারে প্রতিটি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং পরিবহন ব্যয় অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তার সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্তেষ্টিক্রিয়া এবং জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানকালে উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং সংস্থার প্রধানদের সাথে আলোচনায় আগামী বছর বিশ্ব একটি ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কটের দিকে যেতে পারে বলে সবার উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কথাও উল্লেখ করেন ।

যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বের সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে উল্লেখ করে জাতিসঙ্ঘে প্রদত্ত ভাষণে তার যুদ্ধ বন্ধ করার উদাত্ত আহবানের পাশাপাশি শিশুদের জন্য খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষার পাশাপাশি উন্নত জীবন নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণের আহবানের কথাও অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি মনে করেন না যে যুদ্ধ এত তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ অস্ত্র বিক্রির কারণে যুদ্ধ চালিয়ে রাখতে পারলে কিছু দেশ লাভবান হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশের ডিজেল, এলএনজি, সার, ভোজ্য তেল, গমসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানির বাস্তবতা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেইক্ষেত্রে আমি অনুরোধ করব যে আমাদের নিজেদের পণ্য উৎপাদন যেমন বাড়াতে হবে, পাশাপাশি আমরা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কিছু উদ্যোগ নিয়েছি এবং জাতিসঙ্ঘের নেতৃত্বে আমরা এখন কিনে আনতে পারব।’

তিনি উদাহারণ হিসেবে বলেন, যেমন কানাডার থেকে যাতে আমরা গম ও সার আনতে পারি সেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রাশিয়া অথবা ইউক্রেন এবং বেলারুশ থেকে আমরা সব পণ্য এখন আনতে পারব। জাতিসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেলের চ্যাম্পিয়ন গ্রুপে রয়েছি বলে এটা করতে পারছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পণ্যের দাম যেমন বেড়েছে পরিবহনের খরচও কিন্তু অতিরিক্ত বেড়েছে। তারপরও কৃষকদের ভর্তুকি কিন্তু আমরা অব্যাহত রেখেছি। কারণ আমার দেশের মানুষের খাদ্য এবং পুষ্টির চাহিদা আমাদের পূরণ করতে হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, আমাদের সব সময় মাথায় রাখতে হবে যে আমরা কখনো আমদানি নির্ভর হব না। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াবো।

রফতানি পণ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সেদিকে ব্যবস্থা নেয়ার এবং গবেষণা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। এক্ষেত্রে তিনি দেশীয় বিজ্ঞানীদের জুট জেনোম আবিস্কারের প্রসঙ্গ টেনে পাট পণ্যের বহুমুখীকরণ করে রফতানি বৃদ্ধিতে সরকারের পাশাপাশি এখন বেসরকারি খাতও এগিয়ে আসছে বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, পেঁয়াজ উৎপাদনে আমাদের সক্ষমতা থাকলেও সংরক্ষণ করা যেত না বলে এক সময় আমরা অন্যের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। কিন্তু এখন আমরা এটি উৎপাদনে যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছি এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছি। এই উৎপাদিত পেঁয়াজ সংরক্ষণেরও যেন ব্যবস্থা হয় সেদিকে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছি এবং বেসরকারি খাতকেও আমরা উৎসাহিত করছি।

তিনি আরো বলেন, ‘শুধু উৎপাদন করলে হবে না সেগুলো যেন সংরক্ষণ করতে পারি সে ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে।’

ভোজ্য তেল আমাদের আমদানি নির্ভর হয়ে যাওয়ায় দেশে কিভাবে এর উৎপাদন বাড়ানো যায় সেদিকে সংশ্লিষ্টদের প্রধানমন্ত্রী নজর দিতে বলেন। অতীতে স্থানীয় পর্যায়ে চিনা বাদামের তেল উৎপাদনেরও উদাহারণ দেন তিনি, যা বর্তমানে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে গবেষণার মাধ্যমে উন্নত মানের সরিষা বীজ আমরা পেয়েছি। এছাড়াও অন্যান্য যে তেল আন্তর্জাতিকভাবে অনেকে ব্যবহার করে যেমন সূর্যমূখী, সয়াবিন তা দেশীয়ভাবে উৎপাদনের পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের পরনির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর মত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং এটা আমরা করতে পারব বলে বিশ্বাস করি।’

যত্রতত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে যেন কৃষি জমি নষ্ট না হয় সেজন্য সারাদেশে এক শ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (শিল্পাঞ্চল) প্রতিষ্ঠায় সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে আমার একটা লক্ষ্য আছে যে যে অঞ্চলে আমাদের যেসব কৃষিপণ্য উৎপাদিত হয় সেই উৎপাদন বৃদ্ধি করে সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করার জন্য সেসব অঞ্চলে আমরা কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারি। ফলে দেশে এগুলোর যেমন ব্যবহার হবে, বিদেশেও রফতানি করা যেতে পারে।

তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃষিমন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, এই উৎপাদিত পণ্যগুলোর সংরক্ষণের ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি পণ্য পচনশীল। এটা গাছ থেকে তোলার পর বেশি দিন থাকে না। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের কৃষি পণ্য সংরক্ষণ করতে হবে। কোন কৃষি পণ্য কতটা তাপমাত্রায় ভালো থাকবে সেইভাবে সংরক্ষণাগার গড়ে তুলতে হবে। যাতে উৎপাদিত ফসল বাজারজাতের পাশাপাশি সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়। তাহলে নিজেরা ব্যবহারের পাশাপাশি রফতানিও করতে পারব।

দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের পাশাপাশি পণ্য সংরক্ষণাগার তৈরির সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা তৈরি করার জন্য যে ফান্ড লাগবে সে ফান্ড আমি দেব।’

এজন্য যে ফান্ড দরকার তা তিনি আলাদা করে রেখেছেন। ফলে একটু উদ্যোগ নিলেই এটি করা সম্ভব বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সবাইকে করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণের কথাও অনুষ্ঠানে পুণরায় স্মরণ করিয়ে দেন। সূত্র : বাসস

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

তামাকজাত দ্রব্যের কর কাঠামো সংস্কার ও কঠোর নজরদারির দাবি


সাইফুল আলম, ঢাকা প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫, ১২:০৬
তামাকজাত দ্রব্যের কর কাঠামো সংস্কার ও কঠোর নজরদারির দাবি

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  আসন্ন জাতীয় বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের কর কাঠামো সংস্কার ও কঠোর নজরদারি করতে হবে। এজন্য জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ, কর আদায় ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা ডিজিটালাইজেশন এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকের কর ফাঁকি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশে কর্মরত তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো।  মঙ্গলবার (২৭ মে, ২০২৫) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত প্রাক বাজেট সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানিয়েছে। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।


অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরো’র প্রকল্প কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিলের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়ক সাইফুদ্দিন আহমেদ, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, বিশিষ্ট আইনজীবি ও নীতি বিশ্লেষক মাহবুবুল আলম তাহিন, ভাইটাল স্ট্রাটেজিস এর টেকনিক্যাল এডভাইজর আমিনুল ইসলাম সুজন, একাত্তর টিভির বিশেষ প্রতিনিধি সুশান্ত সিনহা, দেশ রুপান্তর পত্রিকার বিজনেস এডিটর মাসুম বিল্লাহ, তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষক নাসিরুদ্দিন শেখ, এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক শাগুফতা সুলতানা ও প্রমুখ ব্যাক্তিবর্গ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা মিঠুন বৈদ্য। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বিদ্যমান তামাক কর ব্যবস্থা অত্যন্ত জটিল ও ত্রুটিপূর্ণ। পাশাপাশি বিদ্যমান একাধিক মূল্যস্তর তামাক কোম্পানিগুলিকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি দিতে সহায়তা করছে। সমস্যা সমাধানে অ্যাড ভেলোরেম কর পদ্ধতির পরিবর্তে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক পদ্ধতি চালুর দাবি জানানো হয়। বক্তারা তুলে ধরেন, ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর উৎপাদন দ্বিগুণ হলেও মুনাফা বেড়েছে পাঁচ গুণ। যা প্রমাণ করে তামাকজাত দ্রব্যের কর ও মূল্য বাড়ালেও সরকারের রাজস্ব আয় কাঙ্ক্ষিত হারে বাড়েনি। পাশাপাশি ব্যবহার হ্রাসেও কোনো প্রভাব পড়েনি।

বক্তারা আরো বলেন, জর্দা ও গুলসহ ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের ওপর কার্যকর কর আরোপ ও ফাঁকি রোধে এখনো কোনো শক্তিশালী ব্যবস্থা নেই। বাজারে ৩৫০টি কোম্পানির ৮০০টির বেশি ব্র্যান্ডের এসব পণ্যের অধিকাংশেরই লাইসেন্স নেই এবং নির্ধারিত ব্যান্ডরোল ও স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা নেই। এর ফলে সরকার বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে এবং জনস্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। উল্লেখ্য, দেশে ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি হলেও এই খাত থেকে আদায়কৃত করের পরিমাণ সিগারেট ও বিড়ি থেকে আদায়কৃত মোট করের ৬০০ ভাগের এক ভাগ।

তারা বলেন, ডিজিটাল ট্যাক্স ট্র্যাকিং ব্যবস্থা চালু না থাকায় স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবস্থাও কার্যকর হচ্ছে না। বিশেষ করে বিদেশি সিগারেটের প্যাকেটে ব্যান্ডরোল না থাকায় সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। এমতাবস্থায় তামাকজাত দ্রব্য প্রস্তুত ও বিক্রেতাদের বাধ্যতামূলক লাইসেন্সিংয়ের আওতায় আনা, নিয়মিত বাজার তদারকি, এবং এনবিআর ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া জরুরি।

এছাড়া, সংবাদ সম্মেলনে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়। তামাক পাতা রপ্তানি শুল্ক মওকুপ করায় গত ৭ বছরে সরকার ১৫ হাজার কোটি টাকারও অধিক রাস্বস্ব হারিয়েছে। খুবই উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, গত এক বছরেই ৫০,০০০ একর জমিতে তামাক চাষ বেড়েছে। অথচ এই জমিতে খাদ্যশস্য উৎপাদন করলে ডাল ও গমের আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা যেত। এছাড়া তামাক চাষে ব্যবহৃত জমির কারণে পশুপালন কমে যাচ্ছে, শিশুদের পুষ্টি ও শিক্ষায় ব্যাঘাত ঘটছে এবং পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ তুলে ধরেন, যেমন—

> সকল তামাকজাত দ্রব্যের উপর সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা।
> ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্যের জন্য ডিজিটাল ট্যাক্স ট্র্যাকিং ও ব্যান্ডরোল চালু করা।
> সকল তামাকজাত দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতাদের জন্য বাধ্যতামূলক লাইসেন্সিং ব্যবস্থা কার্যকর করা
> মোড়কে উল্লেখিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (MRP) তে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিশ্চিতে মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করা।
> ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নিয়মিত বাজার তদারকি করা
> শক্তিশালী তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতি ও তামাক কর নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।
> তামাক পাতা রপ্তানিতে ২৫% শুল্ক পুনর্বহাল করা।

সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, বাজেটে তামাক নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে জনস্বাস্থ্য রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা হোক।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - জাতীয়