a
ফাইল ছবি
সর্বোচ্চ আদালতে বাংলায় রায় লেখা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে আলাদা শাখা চালু করা হয়েছে।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ ও বিচারপ্রার্থীরা যাতে আদালতের রায় বুঝতে পারে, সে জন্য ইংরেজিতে দেওয়া রায় বাংলায় অনুবাদ করতে সুপ্রিম কোর্টে যুক্ত হয়েছে নতুন সফটওয়্যার ‘আমার ভাষা’। বলা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওই সফটওয়্যারটি দিয়ে রায়গুলো বাংলায় অনুবাদ করা যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজকের দিনে আমাদের মহান ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। তারা যে চেতনা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সেদিন ভাষার জন্য শহীদ হয়েছিলেন, আমাদেরও সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে।’ সূত্র: ইত্তেফাক
৮ মাসের শিশুকে রেখে পালিয়ে গেছে এক মা
শাহজালাল বিমানবন্দরে এক মা তার ৮ মাসের শিশুকে রেখে পালিয়ে গেছে।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) সকাল আটটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আগমন টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে।
বিমানবন্দর সশস্ত্র পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) একজন সদস্য পরিত্যক্ত শিশুটিকে উদ্ধার করেছেন।
এপিবিএন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কান্নারত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাকে এপিবিএন মেস থেকে দুধ এনে খাওয়ানো হয়। পুলিশ বর্তমানে শিশুটির মায়ের খোঁজ করছে।
এদিকে, শিশুটি রেখে যাওয়া মায়ের সহযোগী বলেছিলেন, "আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছি সে কোথা থেকে আসছে, পরে তিনি বলেছিলেন আমি সৌদি আরব থেকে এসেছি।" মহিলা তখন বলেছিলেন যে তিনি সৌদি আরবে বিয়ে করেছেন।
এই কথা বলার সাথে সাথে মহিলাটি কেঁদে উঠল।
ফাইল ছবি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল সোমবার (১৭ মে) রাতে এক বিবৃতিতে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ৫ ঘন্টা আটক ও পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর এবং সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে জিডি করার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবী করেছেন।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই ন্যাক্কার জনক ঘটনায় প্রমান হয়, বাংলাদেশে এখন স্বাধীন সাংবাদিকতা এবং তথ্য পাবার কোনো সুযোগ নাই।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রোজিনা ইসলাম একজন সিনিয়র সাংবাদিক। তাঁর অনেক অনুসন্ধানী ও সাহসী রিপোর্টে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনেক বড় বড় দুর্নীতির খবর জনগণ জানতে পেরেছে। সেজন্য সরকার তাঁর ওপর নজরদারি করছিল বলেই মনে হয়।
পেশাগত কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে একা পেয়ে তাঁকে অন্যায়ভাবে দীর্ঘ ৫ ঘন্টা আটকে রেখে তার ওপর মানসিক নির্যাতন চালালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ ডেকে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
এ ঘটনা তুচ্ছ বা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, কর্তৃত্ববাদী শাসনে সাংবাদিক দলন এবং সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির সংবাদ প্রচারে অব্যাহত প্রতিবন্ধকতার একটি উদাহরণ। রোজিনা ইসলামের মতো সাহসী এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা যাতে আর সরকারের দুর্ণীতি, লুটপাট, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার সংবাদ প্রকাশ করতে না পারে, এ ঘটনার মাধ্যমে তাদেরকে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে মনে হয়।
বিবৃতিতে মীর্জা ফখরুল রোজিনা ইসলামকে মুক্তি, তাঁর বিরুদ্ধে করা জিডি প্রত্যাহার ও তাঁকে আটকে রাখার সাথে জড়িতদের বিচার এবং সাংবাদিক দলন-নিপীড়ন বন্ধ করে স্বাধীন সাংবাদিকতা ও সঠিক তথ্য পাবার অধিকারে সরকারী হস্তক্ষেপ বন্ধের জোর দাবী জানান।