a সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার থেকে কঠোর লকডাউন
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার থেকে কঠোর লকডাউন


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ২৫ জুন, ২০২১, ১২:৩৯
সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার থেকে কঠোর লকডাউন

সংগৃহীত ছবি

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারা দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এই সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। চলবে না যানবাহন। প্রয়োজনে লকডাউনের সময় বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। 

তিনি বলেন, আগামীকাল (শনিবার) বিধিনিষেধ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সোমবার থেকে সারা দেশে এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হবে। এরপর প্রয়োজনে সময় বাড়ানো হবে। সবাই যেন এ বিধিনিষেধ মানেন এজন্য কঠোর কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। এজন্য পুলিশ-বিজিবি কাজ করবে এবং সেনাবাহিনীও নামানো হতে পারে। 

মানুষ অপ্রয়োজনে বাইরে আসবে না। অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে। তবে ৩০ জুন বাজেটের কাজে যেসব অফিস সম্পৃক্ত আছে, যারা এনবিআর, ব্যাংক এগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত সেগুলো স্বল্পপরিসরে খোলা থাকবে। জরুরি পরিষেবা, গণমাধ্যম এ বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবে। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ না করলে সংক্রমণ হারে রাশ টানা কঠিন হয়ে পড়বে।

গত রাতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস লকডাউনে বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। গণমাধ্যম এর আওতার বাইরে থাকবে।

সারা দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ২৪ জুন কভিড-১৯ কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’-এর সুপারিশ করা হয়। 

এতে বলা হয়, দেশে কভিড-১৯-এর ভারতীয় ডেল্টা ধরনের সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। ইতিমধ্যে এর প্রকোপ অনেক বেড়েছে। এ প্রজাতির জীবাণুর সংক্রমণক্ষমতা তুলনামূলক অনেক বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণে সারা দেশেই উচ্চ সংক্রমণ, ৫০টির বেশি জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ্য করা গেছে। এটি প্রতিরোধে খন্ড খন্ডভাবে নেওয়া কর্মসূচির উপযোগিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। অন্যান্য দেশ বিশেষত ভারতের অভিজ্ঞতা হলো, কঠোর ব্যবস্থা ছাড়া এর বিস্তৃতি প্রতিরোধ সম্ভব নয়। ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের মতানুযায়ী যেসব স্থানে পূর্ণ ‘শাটডাউন’ প্রয়োগ করা হয়েছে সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা গেছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ঠেকাতে এবং জনগণের জীবনের ক্ষতি প্রতিরোধে কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সারা দেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাটডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ করছে। জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে আমাদের যত প্রস্তুতিই থাক না কেন স্বাস্থ্যব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বেলজিয়ামের রানি ঢাকায়


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ০৬ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ১০:৩৪
বেলজিয়ামের রানি ঢাকায়

ছবি: বেলজিয়ামের রানি মাথিল্ডে ম্যারি ক্রিস্টিন

বেলজিয়ামের রানি মাথিল্ডে ম্যারি ক্রিস্টিন ৩ দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অ্যাডভোকেট (দূত) হিসেবে বাংলাদেশ সফরে এলেন মাথিল্ডে। তিনি বেলজিয়ামের প্রথম রানি যিনি ঢাকা সফরে এসেছেন।

এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, রানি মাথিল্ডে বাংলাদেশ সফরে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তার সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

দুর্ঘটনা রোধে গাড়ী চালকদের দক্ষতা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে: সেলিম রেজা বাবু


সাইফুল আলম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:৫৬
দুর্ঘটনা রোধে গাড়ী চালকদের দক্ষতা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সেলিম রেজা বাবু

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

সাইফুল আলম, ঢাকা:  বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মোটর চালক দলের আয়োজিত "ট্রাফিক সাইন, ট্রাফিক আইন, লেন পরিবর্তন, হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার ও সড়ক দূর্ঘটনা রোধে পেশাগত গাড়ী চালকদের নিয়ে প্রাথমিক কর্মশালা" য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জননেতা জনাব আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক "দুর্ঘটনা রোধ করা ও সুষ্ঠু যান চলাচলে গাড়ী চালকদের ভূমিকা সবচেয়ে বড়" বলে মন্তব্য করেন। আজ ১ নভেম্বর ২০২৫ বিকেলে রাজধানী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে শাহীন হোসেন মোল্লাহ মাস্টার ট্রেইনার BRTC SEIP প্রকল্প ও ইনস্ট্রাক্টর BRTA এর কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মোটর চালক দল। প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সেলিম রেজা বাবুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ শিপন বকাউল এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক, সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, বিএনপি। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্ণেল এস এম ফয়সাল (অব.), সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মোটর চালক দলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীরা। ট্রাফিক সাইন, ট্রাফিক আইন, লেন পরিবর্তন, হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার ও সড়ক দূর্ঘটনা রোধে পেশাগত গাড়ী চালকদের নিয়ে প্রাথমিক কর্মশালা" য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জননেতা জনাব আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক প্রথমে এই ধরনের একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মোটর চালক দলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো বলেন, ড্রাইভারদেরকে সবচেয়ে বেশি সচেতন হতে হবে। মালিকদের জীবনের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি ড্রাইভার শ্রেণীর কাছেই রয়েছে। তাই তাদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং রিফ্রেশমেন্ট এর প্রয়োজন। আমি চাই আপনারা আরো দক্ষ হন এবং দেশের সেবায় নিয়োজিত হন। এছাড়া BRTA এর পরিচালক ও কর্মকর্তার যেকোনো সহযোগিতার জন্য তিনি সবসময় সাথে থাকবেন। তিনি আরো বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে আমি এই বিষয়টি জানাবো। আশা করি আমাদের দল আপনাদের সাথেই থাকবো। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্ণেল এস এম ফয়সাল (অব.) বলেন, তিনটি বিষয়ই (ট্রাফিক আইন, ট্রাফিক সাইন, লেন পরিবর্তন) গাড়ি চালনার সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো যাবে না৷ গতি সীমা (Speed Limit) মেনে চলতে হবে। সিগন্যাল (লাল, হলুদ, সবুজ) মেনে চলা বাধ্যতামূলক। সকল গাড়ি চালকদের তিনি আহ্বান করেন সুস্থ এবং স্বাভাবিক মস্তিষ্কে গাড়ি চালানোর জন্য। তাহলে অনেক জীবন বেঁচে যাবে। এ সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মোটর চালক দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সেলিম রেজা বাবুর তার বক্তব্যে বলেন, এমন একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারে আমরা সত্যি আনন্দিত। ঐক্য এবং সততা নিয়ে আপনাদের সাথে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ট্রাফিক আইন হলো এমন কিছু নিয়ম ও বিধি যা রাস্তায় নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করে। যার মূল উদ্দেশ্য দুর্ঘটনা রোধ করা এবং সুষ্ঠু যান চলাচল বজায় রাখা। চালকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মাতাল অবস্থায় বা ফোনে কথা বলে গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ। আপনারা সবসময় এই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। গাড়ি চালানোর সময় পথচারী এবং সিট বেল্ট বেঁধে গাড়ি চালাবেন। আশা করছি আপনারা সবাই আমাদের সংগঠনের সাথেই থাকবেন। মাস্টার ট্রেইনার BRTC SEIP প্রকল্প ও ইনস্ট্রাক্টর BRTA কর্মশালায় যে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো আসে সেগুলো হল, তিনটি বিষয় (ট্রাফিক আইন, ট্রাফিক সাইন, লেন পরিবর্তন) গাড়ি চালনার সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সড়ক দূর্ঘটনা হ্রাসকল্পে গাড়িচালক (ড্রাইভারদের) বর্জনীয় ঃ ** বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাবেন না। * একটি হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাবেন না-কারণ অপরদিক থেকে আগত গাড়ি আপনার মোটর সাইকেল মনে করতে পারে এতে মারাত্মক দূর্ঘটনার সম্ভবনা থাকে। * ত্রুটিপূর্ণ হেড লাইট, ব্যাক লাইট, ব্রেক লাইট? ইন্ডিকেটর লাইট ইত্যাদি জ্বালিয়ে গাড়ি চালাবেন না। * রাত্রিকালে সামনের দিক হতে গাড়ি আসলে হাই বীম বাতি জ্বালিয়ে গাড়ি চালাবেন না। * নৈশ-কোচের চালকগণ মাঝপথে যাত্রী * নির্ধারিত গতি সীমার বাইরে গাড়ি চালাবেন না। * ওভারটেকিং নিষিদ্ধ রাস্তার বাঁকে, সরু ব্রীজ ওভারটেক করবেন না। * গাদিতে অতিরিক্ত যাত্রী * মদকদ্রব্য সেবন করে গাড়ি চালাবেন না। * পথচারী ও ক্ষুদ্র যানবাহনের প্রতি তুলবেন না ।
মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - জাতীয়