a
সংগৃহীত ছবি
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারা দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এই সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। চলবে না যানবাহন। প্রয়োজনে লকডাউনের সময় বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, আগামীকাল (শনিবার) বিধিনিষেধ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সোমবার থেকে সারা দেশে এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হবে। এরপর প্রয়োজনে সময় বাড়ানো হবে। সবাই যেন এ বিধিনিষেধ মানেন এজন্য কঠোর কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। এজন্য পুলিশ-বিজিবি কাজ করবে এবং সেনাবাহিনীও নামানো হতে পারে।
মানুষ অপ্রয়োজনে বাইরে আসবে না। অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে। তবে ৩০ জুন বাজেটের কাজে যেসব অফিস সম্পৃক্ত আছে, যারা এনবিআর, ব্যাংক এগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত সেগুলো স্বল্পপরিসরে খোলা থাকবে। জরুরি পরিষেবা, গণমাধ্যম এ বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবে। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ না করলে সংক্রমণ হারে রাশ টানা কঠিন হয়ে পড়বে।
গত রাতে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস লকডাউনে বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। গণমাধ্যম এর আওতার বাইরে থাকবে।
সারা দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ২৪ জুন কভিড-১৯ কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’-এর সুপারিশ করা হয়।
এতে বলা হয়, দেশে কভিড-১৯-এর ভারতীয় ডেল্টা ধরনের সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। ইতিমধ্যে এর প্রকোপ অনেক বেড়েছে। এ প্রজাতির জীবাণুর সংক্রমণক্ষমতা তুলনামূলক অনেক বেশি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণে সারা দেশেই উচ্চ সংক্রমণ, ৫০টির বেশি জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ্য করা গেছে। এটি প্রতিরোধে খন্ড খন্ডভাবে নেওয়া কর্মসূচির উপযোগিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। অন্যান্য দেশ বিশেষত ভারতের অভিজ্ঞতা হলো, কঠোর ব্যবস্থা ছাড়া এর বিস্তৃতি প্রতিরোধ সম্ভব নয়। ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের মতানুযায়ী যেসব স্থানে পূর্ণ ‘শাটডাউন’ প্রয়োগ করা হয়েছে সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা গেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ঠেকাতে এবং জনগণের জীবনের ক্ষতি প্রতিরোধে কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সারা দেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাটডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ করছে। জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে আমাদের যত প্রস্তুতিই থাক না কেন স্বাস্থ্যব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শেখ মুজিব একটি দেশ, একটি জাতি-রাষ্ট্রের স্রষ্টা। কাজেই তার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা একযোগে উদযাপন করছি।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নামের সেই মহাপুরুষের জন্ম হয়েছিল বলেই আজ আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক। তার জন্ম হয়েছিল বলেই আজ আমরা নিজস্ব দেশ, ভাষা-সংস্কৃতি নিয়ে গর্ববোধ করি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা ২৪ বছরের নিরন্তর রাজনৈতিক সংগ্রামের ফসল। আর এই সংগ্রামের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
কলকাতা প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন: কলকাতায় কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল হলে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস সোসাইটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শাখায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বিকেলে কলকাতায় কৃষ্ণপদ মেমোরিয়াল হলে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস সোসাইটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শাখার উদ্যোগে এক সংস্থার সভাপতি ডক্টর অপুর্ব বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্থার প্রধান পৃষ্ঠপোষক এটিএম মমতাজুল করিম। বক্তব্য রাখেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের যুগ্ম সচিব ডক্টর অমল কান্তি রায়, সার্ক কালচারাল সোসাইটি ভারতের সেক্রেটারি ডক্টর অনিন্দ্য চক্রবর্তী, সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল ডক্টর আদম শফি খান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ ইমদাদ হোসেন, এডভোকেট মুন্সী আবুল কাসেম, আব্দুর রশিদ, কোষাধ্যক্ষ মঞ্জু লস্কর প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন ধর্মের উর্ধ্বে মানবতাকে স্থান দিতে হবে। সভায় বিশিষ্ট সংগঠক চন্দ্রনাথ বসুকে সভাপতি ও রঞ্জনা গুহকে সেক্রেটারি নির্বাচিত করে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস সোসাইটির ২১ সদস্যবিশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি গঠন করা হয়।