a
সংগৃহীত ছবি
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চলমান কঠোর লকডাউন আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে গণপরিবহন।
সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
কোরবানি ঈদের মানুষের চলাচল ও পশুরহাটে কেনাবেচার বিবেচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময়ে ভার্চুয়ালিভাবে সরকারি অফিস চলবে এবং বন্ধ থাকবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও খোলা থাকবে শপিংমল ও দোকানপাট।
সংগৃহীত ছবি
করোনা মোকাবেলায় কঠোর বিধি-নিষেধ শেষে আজ বুধবার থেকে মানুষের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে গণপরিবহন। পাশাপাশি অফিস-আদালত এবং দোকান-পাট ও শপিংমলও খুলে দেওয়া হচ্ছে।
তবে সবকিছু উন্মুক্ত হলেও সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধান ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি নিশ্চিত করতে কঠোর হবে সরকার।
আজ বুধবার সব সরকারি-আধাসরকারি-স্বায়ত্তশাসিত অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, দোকান-পাট ও শপিংমল এবং গণপরিবহন চালু রাখার অনুমতি দিয়ে গত রবিবার (৮ আগস্ট) প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ১১ আগস্ট থেকে অফিস-আদালাত ও দোকান-পাট চালুর পাশাপাশি নির্দিষ্ট রুটে অর্ধেক গণপরিবহন চলবে। তবে আসনের সমপরিমাণ যাত্রী বহন করতে পারবে সড়ক পথের গণপরিবহন তথা বাস। কিন্তু অর্ধেক বাস চলা নিয়ে নানা সমালোচনারও তৈরি হয়েছে।
বিধি-নিষেধ শিথিল করা হলেও সবক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত এবং স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে কঠোর হওয়ার কথা জানানো হয়।
যেসব শর্ত মানতে হবে:
১. সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক খোলা থাকবে।
২. সুপ্রিম কোর্ট আদালতসমূহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
৩. সড়ক, রেল ও নৌপথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন, যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর, সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
৪. শপিংমল, মার্কেট, দোকান-পাটসমূহ সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থবিধি অনুসরণ করে খোলা রাখা যাবে।
৫. সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে।
৬. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
৭. সবক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
৮. গণপরিবহন, বিভিন্ন দপ্তর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফাইল ছবি
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ক্রেতা সংকটের কারণে তরমুজ ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সারা দেশের মতো এ উপজেলায়ও চলছে লকডাউন। তাই ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছে না লোকজন। ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে কমে গেছে তরমুজের চাহিদা।
এ ছাড়া ক্রেতা কমে যাওয়ার কারণে অনেকের মজুদ করা তরমুজ পঁচন ধরতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় তরমুজ ব্যবসায়ীরা। তরমুজ ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ধানখালী, চম্পাপুর, লতাচাপলী, ধুলাসার ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষক এর সুফল পেয়েছে। লকডাউনের আগে অধিকাংশ চাষি তাদের খেত বিক্রি করতে পেরেছে বিধায় চাষিরা তরমুজের ভালো দাম পেয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা সংকটে পড়েগেছে। ট্রাক মূলে তরমুজ ক্রয়ের পর হঠাৎ লকডাউনের ঘোষণা আসায় পৌর এলাকায় লোক সমাগম কমে গেছে। ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। তরমুজ ব্যবসায়ী ইউনুচ বলেন, লকডাউনের কারণে বাজারে তরমুজ ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে। দু-চারটা যা বিক্রি করছি তাতে আশানুরূপ ভালো দাম পাচ্ছি না।
জলিল নামে এক ব্যবসায়ী জানান, তিনি এক সপ্তাহ আগে তরমুজ কিনেছেন। বিক্রি কম হওয়ায় তার কিছু তরমুজে পচন ধরেছে। অপর ব্যবসায়ী আনসার আলী জানান, হঠাৎ তরমুজ খাওয়া কমে গেছে। কাঁচামাল মজুদ করারও কোনো সুযোগ নেই। তার অন্তত সহস্রাধিক পিস তরমুজ কেনা ছিল।
লকডাউনের পর থেকে ক্রেতা কমে যাওয়ার কারণে তরমুজ বিক্রি করতে পারেননি। আগে ভাগেই তরমুজ খেত কিনে বিপদে পড়েছি। বিক্রি করে উঠতে পারলে ভালো হত। না হয় লোকসানের বোঝা বহন করতে হবে বলে জানিয়েছেন এই তরমুজ ব্যবসায়ী।
কলাপাড়া বন্দর সমিতির অর্থ সম্পদক মো. ফরিদ উদ্দিন বিপু বলেন, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সারা দেশের মতো কলাপাড়ায় লকডাউন চলছে। তাই ঘর থেকেবাইরে বের হচ্ছে না লোকজন। ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে চাহিদাও কমে গেছে তরমুজের। ফলে তরমুজ ব্যবসায়ীরা লোকসানের শঙ্কায় ভুগছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, এ উপজেলায় তরমুজ চাষ হয়েছে ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে । ফলনও হয়েছে ভালো। চাষিরা লকডাউনের আগেভাগেই খেতের তরমুজ বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই সময় তারা দামও ভালো পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।