a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
নিউজ ডেস্ক: সন্ধিক্ষণ বা ক্রসরোড ব্যক্তি জীবনের পাশাপাশি জাতীয় জীবনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের জীবনের যে কোনো সময়েই আসতে পারে। "ইতিহাসের ক্রসরোড" বলতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের কথা বোঝানো হয়, যেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, "আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রসরোডে দাঁড়িয়ে আছি।"
ক্রসরোড ছিল এমন একটি স্থান যেখানে দুটি পথ বা সীমারেখা মিলে যেত—একটি জায়গা, "না এখানে, না সেখানে।" বিভিন্ন সংস্কৃতি ও পৌরাণিক কাহিনিতে, ক্রসরোডের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকী এবং জাদুকরি অর্থ রয়েছে। এটি সাধারণত এমন একটি স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয় যেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, পরিবর্তন এবং রূপান্তর ঘটে, কারণ এটি জীবনগত এবং রূপকভাবে সমসাময়িক জীবনের আন্তঃসংযোগ।
ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে, আমরা ইতিহাসকে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করি, সব দিক থেকে বিশ্লেষণ করি এবং সকল দৃষ্টিভঙ্গি পর্যালোচনা করি। আমরা প্রায়ই ইতিহাসের পাঠকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের সমঝোতার জন্য আহ্বান করি।
যেমন পূর্বে ইতিহাস ছিল বিজয়ীদের গল্প, তেমনটি নয়, আমরা ইতিহাসকে নিরপেক্ষভাবে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করি, যেখানে আগের সময়ের নিদর্শনগুলোকে ভবিষ্যতের সিদ্ধান্তগুলির জন্য অবজেকটিভভাবে উপস্থাপন করা হয়।
এটি আমাদের কর্তব্য, আমাদের ব্যাপক দক্ষতা এবং জ্ঞানকে সঠিক দিকের জন্য ব্যবহার করা, যাতে আমরা বাংলাদেশকে সেই অবস্থায় পুনর্গঠন করতে পারি, যেখানে এটি ১৯৭১ সালে শুরু হওয়া উচিত ছিল। তবে দুর্ভাগ্যবশত, আমরা একটি সঠিক পথ খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছি।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের মধ্যে ছাত্ররা একটি অনন্য এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং আমাদের জন্য পরিবর্তনের একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এটি একটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ক্রসরোড ছিল—রাজনীতি, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, ধর্ম এবং আরও অনেক ক্ষেত্রের ক্রসরোড।
যেহেতু আমরা ইতিহাসের ক্রসরোডে দাঁড়িয়ে আছি এবং আমাদের উপরে সাইনপোস্টগুলো দেখতে পাচ্ছি, একটি সাইনপোস্ট আমাদের পেছনে, একটি ভয়াবহ এবং অপ্রত্যাশিত রাস্তা নির্দেশ করছে। অন্যটি একটি ভালো ভবিষ্যতের দিকে, তবে সে পথ মসৃণ নয়। এটি একটি পথ যার বাঁক এবং কণ্টকপূর্ণ মোড় রয়েছে।
এটি কখনো কখনো আমাদের অগ্রগতি ধীর করে দেবে এবং পিছনে ফিরিয়ে নেবে। তবুও, আমাদের সেই পথটি নিতে হবে, ইতিহাসের সত্য ব্যবহার করে, অবশেষে, একটি রুটম্যাপ হিসেবে, যা আমাদের আগের সময়ের কষ্ট ও সমস্যার পাশাপাশি সামনে আসা নতুন চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করতে সহায়তা করবে।
আমরা এক ধরনের ক্রসরোডে রয়েছি, কোনো না কোনো কারণে, যেখানে আপনিই থাকার জন্য নির্ধারিত ছিলেন, তাই সেখানে পথ খুঁজুন। এই ইতিহাসের মুহূর্তে আমাদের প্রয়োজন এমন একজন নেতা, যিনি বাংলাদেশে ঐতিহাসিক এবং সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম।
লেখক: কর্নেল আকরাম, সম্পাদক: মিলিটারি হিস্ট্রি জার্নাল এবং আইন ও ইতিহাসের অধ্যাপক
প্রেস বিজ্ঞপ্তি-
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টার-এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম মমতাজুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন সালেহ আহমেদ এক যুক্ত বিবৃতিতে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিবৃতির তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেছেন- বাংলাদেশের নির্বাচন বিগত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি অবাধ ও সুষ্ঠ হয়েছে। আমাদের সংস্থার অনেক সদস্যই এ দেশের সুনাগরিক ও ভোটার তারা সবাই অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন কেন্দ্রে ভোট প্রদান করতে পেরেছেন। এও দেখা গেছে যে, যার ভোট সেই দিয়েছে। অন্যবারের ন্যায় একজনের ভোট অন্যজন দেয়নি এবং তেমন কোন সহিংস ঘটনাও ঘটে নাই। তাহলে ঐসব তথাকথিত গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক হিসাবে দাবীদার আতিপত্যবাদিরা কিভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তাদের দেশেই আজ মানবতা ও গণতন্ত্র ভুলুন্ঠিত।
বার্তা প্রেরক
মো: শামীম হোসেন
দপ্তর সম্পাদক
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন
বাংলাদেশ চ্যাপ্টার
ফাইল ছবি: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, দেশের শান্তিপ্রিয় জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট এবং আইন অমান্য করে ভাংচুর ও আক্রমণ করা হলে সরকার অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যারা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন নষ্ট করার চেষ্টা করছে তারা দেশের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা দেখাচ্ছে না।
আজ রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) আয়োজিত ইপিজেডের শ্রমিকদের জন্য বেপজার হেল্পলাইন সেবা উদ্ধোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে 'নতুন উদীয়মান অর্থনীতির দেশ'। ভৌগলিক অবস্থান, সহজলভ্য, উৎপাদনশীল ও সহজে প্রশিক্ষণযোগ্য সম্ভাবনাময় শ্রমশক্তি এবং পরিমিত উৎপাদন ব্যয়ে এশিয়া এমনকি বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগের প্রধান আকর্ষণীয় ক্ষেত্র।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির বক্তব্য রাখেন। সূত্র:বিডিপ্রতিদিন