a বিপ্লবের মধ্যে দেশ স্বাধীন হলেও দেশ পূনর্গঠনে অপেক্ষা করছে আরো বিপ্লব!
ঢাকা বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বিপ্লবের মধ্যে দেশ স্বাধীন হলেও দেশ পূনর্গঠনে অপেক্ষা করছে আরো বিপ্লব!


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ২৩ ফেরুয়ারী, ২০২৫, ০৩:০৯
বিপ্লবের মধ্যে দেশ স্বাধীন হলেও দেশ পূনর্গঠনে অপেক্ষা করছে আরো বিপ্লব!

সংগৃহীত ছবি

 

পরিবর্তনের জন্য বিপ্লব যেমন সরকার পরিবর্তন করে, তেমনি সমাজ পরিবর্তনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করি। কিন্তু ১৯৭১-পরবর্তী সময়ে আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে সেই বিপ্লব জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তারা দেশের মানুষের প্রতি তাদের অঙ্গীকার ভুলে গিয়েছিল।  

বাংলাদেশে অতীতে কয়েকটি বিপ্লব ঘটেছে, তবে আজ পর্যন্ত জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। ১৯৭৫ সালের আগস্ট বিপ্লব শেখ মুজিবের একনায়কতন্ত্রের পতন ঘটালেও, তার লক্ষ্য সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত করতে ব্যর্থ হয় এবং ইতিহাসে এটি অসমাপ্ত বিপ্লব হিসেবে পরিচিত হয়ে যায়। কিন্তু ৭ নভেম্বর ১৯৭৫-এ সংঘটিত সৈনিক-জনতা বিপ্লব জাতিকে রক্ষা করেছিল এবং জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতায় এনেছিল।  

সৈনিক-জনতা বিপ্লবের ফসল জিয়াউর রহমান সময়ের উপযুক্ত নেতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন। সেই সংকটময় মুহূর্তে তিনি জাতিকে রক্ষা করেন এবং দেশকে সঠিক পথে ফেরান। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে থেকেও তিনি দেশকে স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যান এবং আধুনিক বাংলাদেশের ভিত্তি গড়ে তোলেন। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন ছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা তাকে হারাই।  

অনেকে মনে করেন, বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদী রাজনীতির শিকার হয়েছিলেন তিনি। জিয়াউর রহমানের উত্থানের ফলে ভারত বাংলাদেশে তাদের নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি মিশনে নামে। ১৯৮১ সালের মে মাসে, তাদের স্থানীয় সামরিক এজেন্টদের মাধ্যমে ভারত এই মিশনে সফল হয়।  

এরপর জাতি নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ে, এবং কয়েক মাসের মধ্যে এক রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় আসেন। তিনি ভারতপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত হলেও, তার শাসনামলে বিশাল অবকাঠামো উন্নয়ন সাধিত হয়। তবে, তিনি গণতান্ত্রিক চর্চাকে ধ্বংস করেন এবং তার শাসনামলে সমাজে ব্যাপক দুর্নীতির বিস্তার ঘটে। ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরের গণঅভ্যুত্থলের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করা হয়।  

২০০৬ সালের শেষ পর্যন্ত দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা চলমান ছিল, কিন্তু পরে মঈনউদ্দীন-ফখরুদ্দীন সরকার ভারত-আমেরিকা জোটের সমর্থনে ক্ষমতায় আসে। এই সরকার শাসন পরিচালনায় ব্যর্থ হয় এবং ২০০৮ সালে ভারতের নির্দেশে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়।  

এরপর ভারত বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুরোপুরি আধিপত্য বিস্তার করে এবং ঐতিহাসিক বিডিআর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়। এই ঘটনাটি জাতির জন্য এক গভীর সংকট তৈরি করে।  

শেখ হাসিনা ভারতের প্রকাশ্য সমর্থনে তার পিতার মতোই ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেন এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের নির্মূল করতে সম্ভাব্য সবকিছু করেন। বিএনপি ও জামাতের নেতাকর্মীরা তার শাসনামলে চরম নির্যাতন ও দুঃখ-কষ্টের শিকার হয়। কিন্তু তারা পরিবর্তনের আশা ছাড়েনি এবং ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যায়।  

বিএনপি ও জামাত জনগণের সহানুভূতি অর্জন করলেও, তারা শেখ হাসিনার পতনের জন্য কার্যকর কোনো পথ বের করতে পারেনি। তবে, তারা পরিবর্তনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে সফল হয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব বিএনপি ও জামাতের দীর্ঘদিনের প্রস্তুতির ফলে সম্ভব হয়েছিল। বাংলাদেশের জনগণ বহুদিন ধরে পরিবর্তনের অপেক্ষায় ছিল এবং ছাত্রদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলন তাদের সেই স্বপ্ন পূরণের সুযোগ করে দেয়।  

জাতি সাম্প্রতিক জুলাই বিপ্লবের প্রতিটি অংশগ্রহণকারীর ভূমিকা সম্পর্কে সচেতন। বিশেষত, ছাত্রনেতারা, যাদের অনেকেই শিবিরের সদস্য ছিলেন, বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিপ্লবের মোড় ঘুরে যায় যখন শিবির কর্মী আবু সাইয়েদ স্বেচ্ছায় দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। এই আত্মত্যাগ আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চার করে। শানতা, ওয়াসিম, সাকিব তামিম, মুগ্ধ, রুদ্র, শাকিল, নায়িমা ও সুমাইয়া সহ আরও অনেকে আবু সাইয়েদের পথ অনুসরণ করেন এবং জীবন উৎসর্গ করেন, যার ফলে বিপ্লব সফল হয়।  

কয়েকশো মানুষের জীবন ও কয়েক হাজার মানুষের সীমাহীন কষ্টের বিনিময়ে জুলাই বিপ্লব সফল হয়। ছাত্রনেতারা বিপ্লবের প্রধান কারিগর হলেও, বিএনপি, জামাত, ইসলামপন্থী শক্তি এবং সাধারণ জনগণও এই বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। যদি কোনো গোষ্ঠী এককভাবে এই বিজয়ের দাবি করে, তাহলে তা বিভেদ সৃষ্টি করবে এবং দেশকে বিপদের দিকে ঠেলে দেবে।  

একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পরিবর্তে জাতীয় বিপ্লবী সরকার গঠন করা উচিত ছিল, কিন্তু এই সিদ্ধান্ত ভুলভাবে নেওয়া হয়েছে। তবে এখনো সময় শেষ হয়ে যায়নি। অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি জাতীয় বিপ্লবী সরকার গঠন করা যেতে পারে, যেখানে সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে।  

এটি সুস্পষ্ট যে বিএনপি ও জামাতের মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করতে যাচ্ছে এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (KUET) সাম্প্রতিক ঘটনা এর অন্যতম উদাহরণ। যখন তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিপ্লবকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে পারত, তখন তাদের মধ্যে এই বিভেদ অত্যন্ত অনভিপ্রেত।  

বিএনপি ও জামাত উভয়েরই মনে রাখতে হবে যে, এই দ্বন্দ্ব কারও জন্যই সুফল বয়ে আনবে না, বরং উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের জনগণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এখন বিএনপির নেতৃত্বে চলতে হবে এবং জামাতকে তাদের সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে, একইভাবে ছাত্র সংগঠনগুলোকেও সংযত থাকতে হবে। বিএনপিকে বাদ দেওয়ার জন্য কোনো গোপন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হলে তা জাতীয় বিপর্যয় ডেকে আনবে।  

বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত জাতীয়তাবাদী শক্তি, যার অতীতের রেকর্ড রয়েছে, যদিও ভুলত্রুটি তারা করেছে। জামাতও বাংলাদেশের একটি নির্ভরযোগ্য ইসলামী শক্তি, তবে তাদের জন্য এখনো উপযুক্ত সময় আসেনি, এবং তারা যদি অতিসত্বর ক্ষমতা প্রত্যাশা করে, তাহলে তা দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছুই হবে না।  

বিপ্লব থেকে এখনই সরাসরি রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করলে তারা পূর্বের মতই ‘অ্যান্টি-লিবারেশন’ অপবাদে আক্রান্ত হতে পারে।  

দোষারোপের রাজনীতি এখনই বন্ধ করতে হবে। বিভাজন মানে শত্রুর জন্য দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া, যাতে তারা দুই পক্ষের একটিকে ব্যবহার করে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে হস্তক্ষেপ করতে পারে। বিএনপি ও জামাতের উভয় পক্ষের মধ্যেই কিছু ব্যক্তি আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট হয়ে এই দ্বন্দ্বকে বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করছে।  

সকল পক্ষকে এখন বুদ্ধিমত্তা ও ধৈর্যের সাথে কাজ করতে হবে। জুলাই বিপ্লব এখনো অসমাপ্ত রয়ে গেছে।

 

লেখক: কর্নেল(অব.) আকরাম

অধ্যাপক ও কলাম লেখক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

বাংলাদেশশের দুর্নীতিবাজ-অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য 


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ০৯ আগষ্ট, ২০২৩, ১২:০১
বাংলাদেশশের দুর্নীতিবাজ-অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য 

ফাইল ছবি: ম্যাথিউ মিলার

বাংলাদেশে যাঁরা দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে।

গতকাল মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কখনোই কথা বলে না।

ব্রিফিংয়ে মিলারের কাছে একজন জানতে চান, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতিবিরোধী সমন্বয়কারী রিচার্ড নেফিউ বাংলাদেশে তাঁর সফর মাত্র শেষ করেছেন। সফরকালে তিনি দেশটির বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। 

বাংলাদেশে তাঁর সফরের সময়কালে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের অর্থ পাচার নিয়ে একটি বোমা ফাটানোর মতো প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তিনি (এস আলম) বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারের একজন সহযোগী।


তিনি (এস আলম) এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন। বিদেশে একটি ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন তিনি। ব্যাপক দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়ে স্টেটওয়াচ ডটনেট ও ওসিসিআরপি একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠককালে রিচার্ড নেফিউ ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তাঁরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাকে একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তাঁর প্রশ্ন হলো, বিশেষ করে যাঁরা দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কি নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায়?

জবাবে মিলার বলেন, ‘আমি এর আগে অন্য একটি দেশের বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে যেমনটা বলেছি, নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে বিষয়টি নিয়ে আমরা কখনোই কথা বলি না। সাধারণভাবে বলতে গেলে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি হাতিয়ার হতে পারে নিষেধাজ্ঞা। আমাদের আরও কিছু হাতিয়ার রয়েছে। যেমন সম্পদ জব্দ করা। অংশীদার দেশগুলোকে তথ্য দেওয়া, যাতে তারা মামলা করতে পারে।’

একই প্রশ্নের উত্তরে মিলার বলেন, দুর্নীতিবাজদের নির্মূলে ন্যায়সংগত ও নিরপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাঁরা বাংলাদেশকে উৎসাহিত করেন।

ব্রিফিংয়ে আরেক প্রশ্নে বলা হয়, বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আজ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ হচ্ছে। এ বিষয়ে মুখপাত্রের কোনো মন্তব্য আছে?

জবাবে মিলার বলেন, এখান থেকে তিনি অনেকবার স্পষ্ট করেছেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। তাঁরা বিষয়টি প্রকাশ্যে স্পষ্ট করেছেন। তাঁরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতি অব্যাহত থাকবে জানান মিলার। সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ইউরোপিয়ান গার্লস ম্যাথ অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ প্রথমবারেই পদক


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:২৮
ইউরোপিয়ান গার্লস ম্যাথ অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ প্রথমবারেই পদক

ফাইল ছবি

ইউরোপিয়ান গার্লস ম্যাথ অলিম্পিয়াড (ইজিএমও) ২০২১- অংশগ্রহনকারী মেয়েরা রৌপ্য ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছে এই প্রথমবার বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অলিম্পিয়াডে অংশ নেয়

গত ১১ ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় ইজিএমও ২০২১ ২০১২ সাল থেকেই ইজিএমও যাত্রা শুরু হয় প্রতি বছরের ন্যায় বছরও অনুষ্ঠিত হয় এই অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠান বছর করোনা মহামারীর কারনে অনলাইনে আয়োজিত হয় প্রতিযোগিতা এবার ৫৫টি দেশের ২১৩ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে

প্রথমবার অংশগ্রহণ করেই বাংলাদেশের প্রতিযোগী নুজহাত আহমেদ দিশা ১৫ পয়েন্ট পেয়ে অর্জন করেছে রৌপ্যপদক আর রায়ান বিনতে মোস্তফা পয়েন্ট পেয়ে জয় করেছে একটি ব্রোঞ্জপদক

এছাড়া এই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে আরিফা আলম সাফা তাসনিমও ভালো নম্বর পেয়েছে বাংলাদেশ দলের সর্বমোট পয়েন্ট ২৭ দলগত স্কোরে বাংলাদেশ দল ভারত, নেদারল্যান্ডসের মতো অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - মতামত