a টঙ্গীতে তুলার গুদামে আগুন
ঢাকা রবিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

টঙ্গীতে তুলার গুদামে আগুন



বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১, ০২:৫৫
টঙ্গীতে তুলার গুদামে আগুন

টঙ্গীতে তুলার গুদামে আগুন

টঙ্গীর মিলগেট এলাকার কো-অপারেটিভ সোসাইটি মার্কেটে বৃহস্পতিবার সকালে এক ভয়াভহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১৫ টি তুলার গুদাম পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। 

খবর পেয়ে টঙ্গী ও উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছে।

জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯ টায় উল্লেখিত এলাকার জনৈক মাসুদের তুলা ভাঙ্গানোর মেশিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। 

মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ওই গোডাউনসহ আশপাশের গোডাউনগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। 

খবর পেয়ে টঙ্গী ও উত্তরার ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় সোয়া ২ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।

এ সময় ওই এলাকায় পানি সংকট দেখা দিলে আশপাশের বিল্ডিং থেকে পানির ব্যবস্থা করা হয় বলে জানান ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। 

ততক্ষনে ছোট বড় প্রায় ১৫ টি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান, রক্ষিত মালামাল ও আসবাব পত্র পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। 

তবে ক্ষতিগ্রস্থ তুলা ব্যবসায়ীরা তৎক্ষণাত আগুনে পুড়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানাতে পারেননি। 

এব্যাপারে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার মো. ইকবাল হাসান জানান, তুলা ভাঙ্গানোর মেশিনে স্পার্ক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানা যায়নি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / saiful

আরও পড়ুন

মতিঝিলে শাপলা চত্বর এলাকা থেকে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল আটক


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১, ০১:৫৮
মতিঝিলে শাপলা চত্বর এলাকা থেকে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল আটক

শিশুবক্তা’ রফিকুল আটক

রাজধানীর মতিঝিল শাপলাচত্বর এলাকায় মোদিবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে যুব অধিকার পরিষদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে 'শিশুবক্তা' খ্যাত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করে।

এদিকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার জেরে শাপলাচত্বর হয়ে দৈনিক বাংলা-গুলিস্তান রাস্তা বন্ধ রয়েছে। ওই এলাকায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। 

প্রসঙ্গত, আজকের বিক্ষোভ থেকে আটক হওয়া রফিকুল ইসলাম রাজধানীর জামিয়া মাদানীয়া বারিধারা মাদরাসায় লেখাপড়া করেছেন। শারীরিক আকৃতিতে ছোট বলে তাকে সবাই শিশুবক্তা হিসেবে চেনেন। নেত্রকোনা জেলার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদরাসার পরিচালক রফিকুল ইসলাম।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বাসর রাতে চিৎকার করেনি ফুলি, রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু



শনিবার, ০৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:৪৭
বাসর রাতে চিৎকার করেনি ফুলি রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু

সময় রাত ২টা ৪৫ মিনিট। ডিউটি ডাক্তার সবে মাত্র বিশ্রা'ম নেয়ার জন্য ঘুম ঘুম চোখে বিছানায়। ইমারজেন্সি থেকে কল আসল। চোখের পাতায় ঘুম ঠেসে, ইমারজেন্সিতে এসে চমকে যাওয়ার মত অবস্থা।

মহিলা রোগী, পরনের চাদর র’ক্তে ভেজা। মুখের রঙ ফ্যাকাসে, সাদা। কাপড় দেখেই বো'ঝা যাচ্ছে নতুন বিয়ে হয়েছে। রোগীর নাম ফুলি (ছদ্ম নাম)। হিষ্ট্রি নেয়ার জন্য ডাক্তার জানতে চাইল, কি হয়েছে?

রোগীর সাথে সদ্য বিবাহিত জামাই, জা এবং আরও ৪/৫ জন এসেছে। ডাক্তারের প্রশ্ন শুনেই রোগীর বর চোরের মত, রুম থেকে বের হয়ে গেল। রোগীর সঙ্গে আসা এক মহিলা তেজের সাথে বলল, ‘ডাক্তার হইছেন, বুঝেন না কেরে, সব বলতে হইবো!’

ওদের গ্রামে গাছের মাথায় বাধা মাইকটিতে একটির পর একটি বিয়ের গান বেজে চলছে। বিয়ে বাড়িতে সবা'ই ব্যস্ত। বর পক্ষের যারা এসেছে, কথা বার্তায় অভিজাত ও ব্যক্তিত্ব দেখানোর চেষ্টায় ব্যস্ত।

দর কষাকষি করার পরে, কনে পক্ষ থেকে যৌতুক হিসেবে যা পাওয়া গেছে, তা নেহাতই কম নয়। কিন্তু কম হয়ে গেছে কনের বয়স। বাচ্চা মেয়ে, নাম ফুলি বেগম, সবে মাত্র ১৪ পেরিয়ে ১৫ বছরে পড়েছে।

মেয়ের বাবাও মোটামুটি ভাবে লাল শাড়ি পড়িয়ে মেয়েকে বিদায় দিতে পেরে খুশি। মেয়ে হলে তো বিদায় দিতেই হবে। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত মেয়েকে পড়িয়েছে। কম কি! তাছাড়া, শোনা যাচ্ছে ছেলেও নাকি ভাল।

বাড়ির উঠোনে বসে মুখে পান চিবোতে চিবোতে ছেলের মামা বলল, ‘এমন ছেলে কো'থায় পাবেন মিয়া। তাছাড়া, ছেলে মানুষের একটু দোষ থাকলেও সমস্যা নেই, বিয়ের পর ঠিক হয়ে যাবে।’

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মেয়েকে নিয়ে আসা হল তার নতুন ঘরে। যে মেয়েটি সবে মাত্র জীবনের সংজ্ঞা শিখতে শুরু করেছে, শৈশব থেকে কৈশোরে পা রাখতে যাচ্ছে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই, তার আজ বাসর রাত।

পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে সতীত্ব যাচাই করার উৎসব। আর বিয়ে তো একটি সামাজিক বৈধতা মাত্র। সমাজ অনেক এগিয়েছে ঠিকই, কিন্তু বিয়ের সময় মেয়ের মতামতটা এখনও গৌন।

মেয়ের যদি মতামত না নেওয়া হয় বা পরিবারের কারও ধমকে মতামত দানের পর বিয়ে হয়, তাহলে তাকে ধ’র্ষণ না বলে উপায় নেই। ফুলির ইচ্ছে করছে, চিৎকার করতে, কিন্তু বাসর ঘরে চিৎকার করা যে উচিত নয়, এতটুকু বুঝতে শিখেছে ফুলি।

হাত পা ছুঁড়ে বরের লালসার যজ্ঞ থেকে বেরিয়ে আসার মিথ্যে চেষ্টা। সমাজ বিধীত ‘বর’, যখন আদিম পশুত্ব থেকে বাস্তবে ফিরে আসে, তখন ফুলি র’ক্তে ভেজা। তখনও ফিনকির মত র’ক্ত যাচ্ছে।

ক্রমান্বয়ে সাদা ফ্যাকাসে হয়ে আসছে মুখের রঙ! ফুলি এখন হাসপাতালের বেডে অ’চেতন হয়ে শুয়ে আছে। তাকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে, ফুলির চোখ পড়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর।

তারা যে কানাকানি করে কথা বলছিল, ব্যঙ্গাত্মক হাসি তামাশা করছিল। যেন সব দোষ ফুলির। লজ্জায় কারও দিকে তাকাতেও ভ’য় করে। তারপর ইঞ্জিন চালিত গাড়ীর প্রচণ্ড শব্দ।

আরও এলোমেলো কিছু মুহূর্ত। কিছুক্ষণ পর, সাদা এপ্রোন পড়া একজন ডাক্তার এসে তার হাত ধরেছে। মনে আছে শুধু এটুকুই। ডাক্তার নার্সকে সাথে নিয়ে, ফুলি বেগমকে পরীক্ষা করলেন।

ভয়াবহ রকমের পেরিনিয়াল টিয়ার (যৌ’নাঙ্গ ও তার আশপাশ ছিঁড়ে গেছে)। তখনও র’ক্ত যাচ্ছে প্রচুর। হাতে পালস দেখা হল। খুবই কম। জরুরি ভিত্তি'তে রোগীকে র’ক্ত দেয়া দরকার।

জরুরি অবস্থায় অ’পারেশন করে ছিঁড়ে যাওয়া অংশ ঠিক করতে হবে। এই ভয়াবহ সংকটাপন্ন রোগীকে নিয়ে হিমসিম খাওয়ার অবস্থা কর্তব্যরত ডাক্তারের। ম্যাডামকে ফোন করা হল…

প্রাথমিক ভাবে ম্যানেজ করার জন্য র’ক্ত দরকার… রোগীর সাথে যারা এসেছে এতক্ষণ ইমারজেন্সি রুমের সামনে চিল্লা পাল্লা করছিল। ডাক্তার এসে জানালো জরুরি ভিত্তিতে র’ক্ত দরকার।

তখন সবাই চুপ। কেউ কেউ কেটে পড়ার জন্য পাশে সরে গেল। কিছুক্ষণ পর রোগীর লোক জানালো, তারা র’ক্ত জোগাড় করতে পারবে না। যা হয় হবে! ডাক্তার তাদের বুঝানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু লাভ হল না…

রাত সাড়ে তিনটায় ম্যাডাম আসলেন। তার ধমকে শেষ পর্যন্ত তারা র’ক্ত জোগাড় করতে রাজি হল। কিন্তু র’ক্ত আর সেই রা'তে জোগাড় হল না। অ’পারেশন থিয়েটারে ফুলিকে নিয়ে গিয়ে টিয়ার রিপেয়ার করা হল।

সকালে রোগীর শ্বশুরবাড়ির লোক সবাই উধাও। ফুলির বাবা আসলেন সেই ভোরে, র’ক্ত জোগাড় হল কোন রকমে। ছয়দিন পর, রোগীর সেপ্টিসেমিয়া ডেভলপ করলো। ইনফেকশন র’ক্তে ছড়িয়ে গেছে। ভাল অ্যান্টিবায়োটিক দরকার।

রোগীর বাবা এসে বললেন, তারা আর খরচ চালাতে পারবেন না। ডাক্তার পরামর্শ দিলেন, কোন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে, তাহলে ঔষধ কেনার খরচ কিছুটা বাঁচবে।

কিন্তু, হাসপাতাল মানে তো, কাজকর্ম রেখে একজনকে রোগীর পাশে থাকতে হবে। রিলিজ দিয়ে বাসায় নিয়ে যেতে চাচ্ছেন, যা হবার হবে। রিলিজ নিয়ে ফুলিকে বাসায় নেয়া হল।

আরও বেশি অসুস্থ হওয়ায় চারদিন পরে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হল। পরদিন ভোর ভোর সময়। একবার চোখ খুলে আবার বন্ধ করলো ফুলি। সেই বন্ধ শেষ বন্ধ।

এই সমাজের প্রতি ঘৃ’ণায় চোখ জ্বল জ্বল করছিল কি না কেউ দেখতে পারেনি। ভোরের স্বল্প আলোয় বিদায় জানালো জীবনের নিষ্ঠুরতাকে! ফুলি ‘একিউট রেনাল ফেইলরে’ মারা গেছে।

ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ডায়ালাইসিসের জন্য বলা হয়েছিল, তারা রোগী নিয়ে এত ঝামেলা করতে পারবে না। শ্বশুর'বাড়ি থেকে সেই বাসর রাতের পর, কেউ আসেনি। তাদেরই বা এত চিন্তা কি, একটা বউ মরলে দশটা বউ পাওয়া যায়!

ফুলি একা নয়, এ রকম ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। এই ঘটনা গুলো চক্ষু লজ্জার ভয়ে প্রকাশ হয় না। কিন্তু সচেতনতা জরুরি।    লেখাটি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - ফটো গ্যালারি