a
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘লকডাউন’ বা বিধি-নিষেধ আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সোমবার (৩ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ৬ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চলাচল করবে। তবে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে পারবে না। লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।
‘আজ (৩ মে) থেকে মার্কেটে পুলিশের অভিযান চলবে। মাস্ক না পরলে, স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে মার্কেট বন্ধ করে দেবো’- বলেও জানান তিনি।
ফাইল ফটো: জেবুন নাহার
সময় যত গড়িয়ে যাচ্ছে
ততবেশি নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখছো,
তোমার কাছে একটু সময় চেয়ে
যে মানুষটা বসে থাকে,
তাকে কেন তোমার ব্যস্ততা দেখিয়ে যাচ্ছ?
যার সাথে নানা কথার অজুহাতে
কারনে অকারনে ফোনটা ওপাশ থেকে রেখে দাও,
কথা না বলে চুপ করে থাকো,
সে যে তোমাকে কতটা ভালোবাসে
তা কি কখনও বুঝতে পারো?
অবুঝ মন যখন অবুঝ আচরণে
অবুঝ কোন সিদ্ধান্ত নেয়,
তখন চারিদিকে শুধু হা-হা কার
ধ্বনি প্রকম্পিত হতে থাকে!
অভিমান করে ভুলে থাকার যে
অলিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছ,
তা আমাকে যত না বেশী দূরে রাখছে,
তার চেয়ে কাছে টানার আকর্ষণ আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে ঢের বেশী।
পলাশ, শিমুলের মোহনীয়তায় এবারের ফাগুনে বসন্তের আগমনী বার্তা পেয়েছে তার ভিন্ন রূপ।
বসন্তের রঙিন আলোয় উর্বশী আমি,
তুমি আলতো করে ছুঁয়ে দিয়েছ বলে।
তোমার মায়াবী চোখের মায়াজালে আমার আঁখিপল্লব হারিয়ে ফেলে তার চোখের ভাষা,
উর্বশী আমি মেতে উঠি উন্মত্ত ভালবাসায়।
কথা ছিল আজ সকালে একসাথে সূর্যোদয় দেখব।
তুমি বলেছিলে গাছের আড়ালে সূর্যকে যত সুন্দর দেখায় ততো সৌন্দর্য যেন আর কিছুতে নেই,
রাতভর জেগে থেকে তোমার লোমশ বুকে মাথা রেখে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম,
তুমি ডেকেছিলে মাঝে কিন্তু পরে আর কোন শব্দ করো নি।
সূর্য দেখব বলে ঘুম ভেঙে চোখ খুলে দেখি - আমার কোলে তোমার মাথা, তুমি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
তোমাকে আর জাগালাম না।
সূর্যোদয় আজ আর দেখা হল না,
হয়ত কাল বা অন্য আর একদিন বেরিয়ে পড়বো সূর্যকে দেখার জন্য ।
সূর্যের মডেলিং এ অভিভূত হয়ে নিশ্চয়ই তুমি ব্যস্ত হয়ে পড়বে সূর্যকে নিয়ে,
তুমি কি তাহলে আমাকে আর ভালবাসবে না?
এক হৃদয় ভালবাসা নিয়ে কাছে আসবে না?
স্মৃতির পাতায় হারিয়ে যাই আমি,
হাজারো স্মৃতির ভীড়ে খুঁজে পাওয়া হীরক খন্ডগুলো ।
হ্যাঁ হীরক খন্ডগুলোর কথাই বলছি;
তোমার সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তই আমার কাছে এক একটি হীরকখচিত পান্ডুলিপি।
সেখানে ছিল রাতজাগা ভোর,
মায়াবী পাখির মিষ্টি ডাকাডাকি,
রয়েছে সেখানে লাজুক সূর্যের ঝিলিক দিয়ে উঁকি দেওয়া,
আরও রয়েছে হাতে হাত রেখে পাশাপাশি হাঁটা,
সেখানে রয়েছে তপ্ত রোদে ক্লান্ত দুজনের গাছের ছায়াতলে বিশ্রাম নেয়া,
আরও কতকিছু।
আমার স্মৃতিতে কড়া নাড়ে জ্যোস্না বিলাসীর মহিমান্বিত ফল্গুধারা,
জ্যোস্নার মধুর আবেগ,
এ এক নেশা জাগানো ভালোবাসা।
হৃদয়কে কামনাতুর করার যে প্রলোভন
তা লক্ষ কাজের দামামায় তোমার কথাই মনে করিয়ে দেয় বারবার।
.......ফেসবুক হতে সংগৃহীত
ফাইল ছবি
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের হুমকি ও উস্কানিমূলক বক্তব্য বেড়েছে। ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালানোর জন্য ইহুদিবাদী ইসরায়েল বাজেট তৈরি করছে বলে তাদের গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করেছে।
ইসরায়েলি এ হুমকির প্রতিক্রিয়ায় ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি বলেছেন, 'ইরানের বিরুদ্ধে নাশকতা চালানোর জন্য দেড়শ’ কোটি ডলার বাজেট বরাদ্দ দেয়ার পরিবর্তে ইসরায়েলের উচিত ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার ক্ষতি কাটিয়ে নিজের পুনর্গঠনের জন্য হাজার হাজার কোটি ডলার বাজেট বরাদ্দ দেয়া।'
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা গত এক দশকে ইরানের বিরুদ্ধে বহুবার হুমকি দিয়েছেন। যদিও তারা জানে যে ইরানের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ করার ক্ষমতা তাদের নেই এবং কোনো হুমকিই তারা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। তারপরও যদি তারা ইরানের বিরুদ্ধে সামান্যতম আগ্রাসনের দুঃসাহস দেখায় তাহলে কঠিন জবাব পাবে যার ফলে ইসরাইল নামক দেশটি ধ্বংসও হয়ে যেতে পারে। আর এটা উপলব্ধি করেই ইসরাইল একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ইরানকে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফর গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাতে ইরানের বিরুদ্ধে তাদের নতুন কর্মকৌশল তুলে ধরেন। অনেক বড় পরিসরে যুদ্ধে জড়াবার পরিবর্তে ছোট পরিসরে ইরানে সামরিক হামলা চালানোর পরিকল্পনার কথা জানান বলে জানা গেছে। এর পাশাপাশি তেহরানের ওপর প্রচণ্ড কূটনৈতিক চাপও বৃদ্ধির কথা বলেন।
প্রকৃতপক্ষে, পশ্চিম এশিয়ায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে উঠেছে এবং তারা যেভাবে ইসরাইলকে পাল্টা জবাব দিচ্ছে তাতে ইসরাইল চিন্তিত না হয়ে পারে না।
বলা বাহুল্য, প্রতিরোধ শক্তির কারণে এ অঞ্চলের রাজনৈতিক হিসাব নিকাশ পাল্টে গেছে এবং কিছুই ইসরায়েলের অনুকূলে নেই।
তাই ইসরায়েলের যে কোনো আগ্রাসন এখন আর বিনা জবাবে পার পাবে না। তাই ইরানকে হুমকি দিয়ে তাদের কোনো লাভ হবে না বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।