a আইভীর বিপক্ষে গেলে শামীম ওসমানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা: আব্দুর রহমান
ঢাকা বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আইভীর বিপক্ষে গেলে শামীম ওসমানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা: আব্দুর রহমান


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শনিবার, ০৮ জানুয়ারী, ২০২২, ১২:৫৮
আইভীর বিপক্ষে গেলে শামীম ওসমানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা আব্দুর রহমান

ফাইল ছবি: শামীম ওসমান এমপি

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এমপি শামীম ওসমান আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আইভীর বিরুদ্ধে কাজ করছেন কিনা এমন প্রশ্নে মুখ খুলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান।

আব্দুর রহমান বলেছেন, যার কথা বলা হচ্ছে (শামীম ওসমান) তিনি একটা দলের আদর্শ নীতি শৃঙ্খলা নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ ইত্যাদি লালন করেই কিন্তু এতবড় নেতা হয়েছেন। উনি যদি আজ সেগুলো প্রতিপালন না করেন এবং তিনি যদি এই দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, আমাদের কাছে যেসব খবর আসছে আমরা সেগুলোর তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করছি। যখন বিষয়টি নিশ্চিত হবে যে উনি আমাদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তখন তার বিরুদ্ধেও সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া আমাদের কাছে বিকল্প কোন কিছু থাকবে না। তার বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আজ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবনের দোতলায় অবস্থিত সিনামন রেস্টুরেন্টে মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানককে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন- আইভীর জয়ের বিষয়ে আপনারা আশাবাদী কি-না। নানক উত্তরে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে আমরা যারা আছি, সবাই কাজ করে যাচ্ছি নৌকাকে জেতাতে।

উল্লেখ্য, ভৌগলিক কারণে নারায়ণগঞ্জ আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইভী এতদিন সুন্দর সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমরা সবার সহযোগিতা চাই। ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন এবং নৌকাকে দেবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

জাহাঙ্গীর কবির নানকের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের  কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই প্রমুখ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আজকের রাজনীতি, আগামী দিনের ইতিহাস ড. শেখ আকরাম আলী


কর্নেল(অব.) আকরাম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ১১:০৩
আজকের রাজনীতি, আগামী দিনের ইতিহাস ডক্টর শেখ আকরাম আলী

ছবি সংগৃহীত

 

রাজনীতি একটি জাতির ভবিষ্যৎ ইতিহাস নির্ধারণ করে এবং সঠিক পথে পরিচালিত করে। যে জাতি অতীতের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান থেকে শিক্ষা নেয়, সেই জাতিই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নতুন সমাজ গড়ে তুলতে পারে। ইতিহাসের জ্ঞান ছাড়া কোনো জাতি সামনে এগোতে পারে না। সফলতা ও ব্যর্থতা—উভয়ই জাতীয় ইতিহাসের অংশ এবং সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।  

দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমরা এমন একটি জাতি যারা ইতিহাস অধ্যয়ন পছন্দ করি না; বরং সেটিকে উপেক্ষা করে বারবার ভুল পথে হাঁটি। প্রতিবার ভুল করার সামর্থ্য কোনো জাতির থাকে না, কিন্তু আমরা দীর্ঘদিন ধরে তা-ই করে আসছি, কারণ আমরা ইতিহাসের জ্ঞানকে গুরুত্ব দিইনি।  

ব্রিটিশ ভারতের মুসলমানরা আধুনিক শিক্ষার অভাবে পিছিয়ে ছিল। স্যার সায়্যিদ আহমদ এগিয়ে এসে মুসলমানদের মধ্যে আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটানোর চেষ্টা করেন। একইভাবে স্যার সায়্যিদ আমীর আলী ও নবাব আবদুল লতিফ অবিভক্ত বাংলার মুসলমানদের জন্য কাজ করেন। কিন্তু পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি, যতক্ষণ না পাকিস্তানের জন্ম হয়।  

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যবিত্ত শ্রেণি নতুন শিক্ষার সুযোগ পায় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্রদের জন্য উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। এর ফলে এই অঞ্চলের ছাত্ররা পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রশাসনিক ক্যাডারে ও কেন্দ্রীয় সরকারে প্রবেশের সুযোগ পায়। মূলত এই মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং শিক্ষার্থীরাই বাংলাদেশের জন্ম সম্ভব করেছিল।  

পূর্ব পাকিস্তানের অবহেলিত বাঙালি অভিজাত শ্রেণির দ্রুত উত্থান ঘটে, যা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ফলেই সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু আমরা সেই ইতিহাস ভুলে গেছি এবং তাদের অবদানকে যথাযথভাবে স্বীকার করিনি। এমনকি আমরা তাদের ন্যূনতম সম্মান জানাতেও ব্যর্থ হয়েছি।  

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের তেমন প্রয়োজনীয়তা ছিল না। যদিও একসময় জগন্নাথ কলেজের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব উঠেছিল, তা ব্যর্থ হয়। সম্ভবত রাজনীতিবিদরা তখন সুবুদ্ধির পরিচয় দিয়েছিলেন এবং অতীতের সমাজ সংস্কারকদের প্রতি সম্মান দেখিয়েছিলেন।  

কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের কাজটাই যেন সবচেয়ে আগে শুরু হয়। জিন্নাহ হলের নাম পরিবর্তন করে সূর্য সেন হল রাখা হয়, ইকবাল হলের পরিবর্তে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল নামকরণ করা হয়। সারাদেশেই এমন নাম পরিবর্তনের অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।  

সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পাঁচটি হলের নাম পরিবর্তন করেছে এবং বেশিরভাগ হলের নতুন নামকরণ একটি নির্দিষ্ট পরিবারের সদস্যদের নামে করা হয়েছে। ইতিহাস বারবার ফিরে আসে, কিন্তু আমরা তা থেকে শিক্ষা নিতে পারি না।  

একই ধরনের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির নজির আমরা দেখেছি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে তার বাড়ি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয় এবং বাড়িটি ভেঙে ফেলা হয় শুধুমাত্র প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। কিন্তু কিছু বছর পরেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ঘিরে একই ধরনের প্রতিশোধমূলক রাজনীতি প্রত্যক্ষ করছি।  

বাংলাদেশের সমাজে বিভাজনের বীজ বপন করা হয়েছিল স্বাধীনতার পরপরই। শেখ মুজিবুর রহমানের সময় থেকেই এই বিভাজন দৃষ্টিগোচর হয়, যা পরবর্তীতে আরো গভীর হয়েছে। বিশেষ করে সর্বশেষ ফ্যাসিবাদী শাসনামলে এটিকে প্রকাশ্যে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে সমাজকে স্থায়ীভাবে বিভক্ত রাখার উদ্দেশ্যে।  

সংস্কৃতি ও শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু ভারতীয় রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে এ দুটি ক্ষেত্র পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এর জন্য ভারতীয় স্বার্থরক্ষাকারী স্থানীয় এজেন্টরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছে এবং এখনো করছে।  

গত পাঁচ দশকে আমরা জ্ঞান ও বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষেত্রে চরমভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছি। আমাদের পেশাদার শ্রেণি আজকের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। ফলে আমরা ধীরে ধীরে মেধাহীন ও প্রতিভাহীন জাতিতে পরিণত হচ্ছি। এটি মূলত ভারতীয় আধিপত্যবাদী রাজনীতির ফলাফল।  

উচ্চশিক্ষা থেকে ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়াটা আমাদের সমাজের জন্য বড় অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতা করতে পারছে না, কারণ তাদের ইংরেজির দক্ষতা অত্যন্ত দুর্বল। এটি একমাত্র ফ্যাসিবাদী শাসকদের ভুল নীতির ফলাফল।  

২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া দেয়নি, বরং কখনো কখনো আমাদের হতাশ করেছে। রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ পেয়েছে, এবং তারা যদি এই সুযোগ নষ্ট করে, তাহলে তা জাতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে। তাদের কর্মকাণ্ডই ভবিষ্যৎ ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।  

আমরা আশাবাদী, ভবিষ্যতে তাদের কাছ থেকে পরিপক্ব ও বাস্তবমুখী রাজনীতি দেখতে পাবো। কারণ, আজকের রাজনীতি আগামী দিনের ইতিহাস হয়ে উঠবে, এবং আমরা আর কোনো ভুল করার সুযোগ নিতে পারি না।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

চীন তালেবান সরকারকে ২০০ মিলিয়ন ইউয়ান সহায়তা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০১:৪৪
চীন তালেবান সরকারকে ২০০ মিলিয়ন ইউয়ান সহায়তা

ফাইল ছবি

গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল দখল করে নেয় তালেবান। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর পর আবারও আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।

তবে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর দীর্ঘ তিন সপ্তাহ পর অবশেষে নানা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২২ দিন পর মঙ্গলবার অন্তবর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা দেন তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ।

এদিকে, সরকার গঠনের ঘোষণা দিতেই তালেবানকে ২০০ মিলিয়ন ইউয়ান (৩১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) প্রতিশ্রুতি দিল চীন। জরুরি খাদ্য সরবরাহ ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সহায়তায় অর্থায়ন করতে এই ঘোষণা দিয়েছে চীন।

বুধবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এক বৈঠকে এই সহায়তার ঘোষণা দেন। খবর বিবিসির।

এই সহায়তা দেওয়ার আগেই বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আফগানিস্তানে সদ্য ঘোষিত তালেবান সরকারের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে তারা প্রস্তুত।

নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা আফগানিস্তানে ‘শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন‌্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ ছিল বলেও চীন মন্তব‌্য করে।

এদিকে, আফগানিস্তানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়া থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের সিদ্ধান্ত আসছে দ্রুত।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - রাজনীতি