a
ফাইল ছবি
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের এমপি বলেছেন, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নির্বাচনের ওপর সাধারণ মানুষের কোন আস্থা নেই। দেশের সাধারণ মানুষ মনে করছে, কারচুপি করতেই ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করতে চাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। দেশের মানুষ একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করছেন।
তিনি বলেন, ১৯৯০ সালের পর থেকে বারবার সংবিধান কাটাকাটি করে এক ব্যক্তির শাসন কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এখন সকল ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে। কর্তৃত্ববাদী কোন সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে একথা বলা-ই যায়। একই নির্বাচন কমিশন নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারলেও দলীয় সরকারের অধীনে তা সম্ভব হয়নি।
কারণ, কর্তৃত্ববাদী সরকারের প্রার্থীদের সাথে অন্য প্রার্থীদের নির্বাচনে হলে কখনোই লেভেল প্লেইং ফিল্ড হয় না। মুক্তিযুদ্ধে চেতনা অনুযায়ী সমতা, সামাজিক ন্যায় বিচার ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, দুর্ণীতিতে দেশ ভেসে যাচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ী, আমলা আর রাজনীতিবীদদের একটি চক্র ব্যবসার নামে দেশে লুন্ঠন করছে। রাজনীতির অবস্থা এমন হয়েছে যে, নির্বাচনে যারা পরাজিত হবে, তারা যেন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। দেশের মানুষ এমন রাজনৈতিক পরিবেশ দেখতে চায় না।
আজ দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে কৃষক শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে আসেন। এসময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কেউ দেশ ও মানুষের কথা বললেই তাকে দমিয়ে দেয়া হচ্ছে। কেউ সরকারের সমালোচনা করলেই তাকে দেশদ্রোহী হিসেবে গণ্য করা হয়। দেশের ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে।
এসময় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, এমন বালাদেশের জন্য আমরা যুদ্ধ করিনি। দেশে মানুষের অধিকার ও মর্যাদা নেই। গণভবনের একজন কর্মচারীর যে সম্মান আছে, তা এখন মন্ত্রী ও এমপিদেরও নেই। সরকারি কর্মচারীরা এখন লাগামহীন। মানুষের সম্মান ও মর্যাদার ভারসম্য ফিরিয়ে আনতে হবে। এভাবে দেশ চলতে পারে না।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি প্রমুখ।
ছবি: সংগৃহীত
আগামীকাল শনিবার কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। শুক্রবার সকাল থেকে মিছিল নিয়ে কুমিল্লার টাউন হল মাঠে আসতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বেলা গড়ানোর সাথে সাথেই দখল হয়ে যায় টাউন হল প্রাঙ্গণ। নেই তিল ধারণের ঠাঁই। সন্ধ্যায় পুরো টাউন হলে উপস্থিত নেতাকর্মীরা এক আওয়াজ। ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই-লড়াই করে বাঁচতে চাই।’
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আর কোনো মিছিল টাউন হলে প্রবেশ করতে পারছে না। কান্দিরপাড় পূবালী চত্বর, লিবার্টি মোড়, রামঘাটলায় অবস্থান নিচ্ছেন কর্মীরা। এদিকে আধা কিলোমিটর দূরে ঈদগাহে, দেড় কিলোমিটার দূরে আদালতের পাশের সড়কে চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ায় নেতাকর্মীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। টাউন হল মাঠে উপরে সাদা কাপড় টানিয়ে ঘাসের উপরে শুয়ে নেতাকর্মীরা বিশ্রাম নিচ্ছেন।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থেকে আসা যুবদল নেতা শাহাবুদ্দিন ও রিপন জানান, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। খাবার কিনে খেতে কষ্ট হয়। আমরা পরিবর্তন চাই।
লাকসামের ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা কয়েক হাজার নেতাকর্মী টাউন হলের গণসমাবেশে এসেছি। মানুষের মধ্যে এক রকম জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এই জোয়ার পরিবর্তনের জোয়ার।
মহানগর বিএনপি নেতা কাউসার জামান বাপ্পী বলেন, অনেকে ধারণা করছেন সমাবেশে ৫ লাখ মানুষ উপস্থিত হবে। আমি মনে করি এটা আরো অনেক বেশি হবে। কারণ আজ বিকাল পর্যন্ত টাউন হল ও তার আশপাশে হাঁটার জায়গা নেই।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) মোস্তাক মিয়া বলেন, সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বক্তব্য রাখবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, মীর্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খানসহ অন্যান্য নেতারা।
সভাপতিত্ব করবেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন। কেন্দ্রীয় নেতারা দুপুর ২টা থেকে বক্তব্য দিলেও সমাবেশের কার্যক্রম সকাল থেকেই শুরু হয়ে যাবে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও গণসমাবেশের প্রধান সমন্বয়ক আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন বলেন, এই সমাবেশ জনসমুদ্র হবে না, এটা হবে মহাসমুদ্র। আমাদের ধারণার বাইরে নেতাকর্মীরা হাজির হচ্ছেন।
তিনি জানান, আমরা কয়েকশ’ মাইক প্রস্তুত রেখেছি। সমাবেশের মূলমঞ্চ টাউন হলে থাকবে। নেতাকর্মীরা থাকবেন আশেপাশের পাঁচ-ছয় কিলোমিটার এলাকায়। কান্দিরপাড় থেকে শাসনগাছা, টামছম ব্রিজ, রানীর বাজার, ফৌজদারী মোড় ও চকবাজার পর্যন্ত বিস্তৃতি হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
সংগৃহীত ছবি
গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২১২ জন। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ হাজার ৪ জন।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে ১১,৩২৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৫৪৩ জন।
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়, গত ১ দিনে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৬০৩৮ জন করোনারোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৬২ হাজার ৩৮৪ জন।
উল্লেখ্য, করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২১২ জনের মৃত্যু হওয়ায় এখন পর্যন্ত একদিনের এটি সর্বোচ্চ মৃত্যু।