a খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেওয়ার কথাটি হিউমার: ওবায়দুল কাদের
ঢাকা রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেওয়ার কথাটি হিউমার: ওবায়দুল কাদের


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০২২, ০৮:৩০
খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেওয়ার কথাটি হিউমার: ওবায়দুল কাদের

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে টুস করে ফেলে দেওয়ার কথাটি ছিল হিউমার। তিনি আরও বলেছেন, বিএনপি ঘেরাও করতে এলে চা খাওয়ানোর কথাটিও হিউমার ছিল। আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে একজন সাংবাদিক ওবায়দুল কাদেরকে প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিএনপিকে চা খাওয়ার দাওয়াতের কথা বলে আসলে সংলাপের দরজা খুলতে চাইছেন কি না। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখুন, এ তো পলিটিক্যাল হিউমার। যেমন বেগম খালেদা জিয়াকে টুপ করে ফেলে দেওয়ার কথাটি হিউমার। তারা (বিএনপি) ঘেরাও করবে, আন্দোলন করবে—এটারই জবাবে হিউমারের দিক থেকে বলেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলেরা ঘেরাও করতে এলে চা খাওয়ালে অসুবিধা কী?’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৮ মে দলীয় এক সভায় পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অতীত মন্তব্যের সমালোচনা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে। সেতুতে যে স্প্যানগুলো বসাচ্ছে, এগুলো তার কাছে ছিল জোড়াতালি দেওয়া। বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না। চড়লে ভেঙে পড়বে। আবার তার সঙ্গে কিছু দোসরেরাও...তাদের এখন কী করা উচিত? পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত।’

গত শনিবার দলীয় আরেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, বিএনপি যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেয়, তাতেও বাধা দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলামোটরে যে বাধা দেওয়া, সেটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছি। আসুক না হেঁটে হেঁটে যত দূর আসতে পারে। কোনো আপত্তি নেই। আমি বসাব, চা খাওয়াব। কথা বলতে চাইলে শুনব।’ সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

‘খালেদা জিয়াকে হত্যার অভিপ্রায়ে সরকার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিচ্ছে না’


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শনিবার, ১৯ আগষ্ট, ২০২৩, ০৬:০৩
‘খালেদা জিয়াকে হত্যার অভিপ্রায়ে সরকার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিচ্ছে না’

ফাইল ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি দিচ্ছে না কেন? তিনি যদি উন্নত চিকিৎসার জন্য যান সেখানে চিকিৎসায় ধরা পড়তে পারে কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় তার খাবারে বিষ মেশানো হয়েছিল কি না। বিদেশে উন্নত ল্যাবে এটা ধরা পড়তে পারে। এই কারণেই বেগম জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না।

শনিবার (১৯ আগস্ট) বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ঢাকা জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির শুরুতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রিজভী এই অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, আমাদের ধারণা হয়, আশঙ্কা হয় বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে হত্যা করার অভিপ্রায়ে ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়েছিল। কারণ শেখ হাসিনার একতরফা নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে বড় ভয় ছিল খালেদা জিয়া। পথের কাটা দূর করতে, নির্বাচনি মাঠ শূন্য করতে রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে, আইন আদালত ব্যবহার করে বন্দি করা হয়েছিল।

যে সুস্থ মানুষটি কারাগারের ভেতরে গেলেন, আজকে তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কেন? কারণ, শেখ হাসিনার বিরাট চক্রান্ত খালেদা জিয়াকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। উনি এমন রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী যে, এক দল থাকবে, এক নেত্রী থাকবে। কেউ কোনো সত্য উচ্চারণ করবে না। যে করবে সে গুমের শিকার হবে বা বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হবে। এই কারণেই বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে যে দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, সেটা তিনি নিজেই প্রমাণ করেছেন। তার নির্বাচনে বিরোধী দল থাকে জেলখানায়। নির্বাচনি মাঠ শূন্য করার জন্য একের পর এক পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয় না। তাই নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় এই সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন মাস্টার, তমিজ উদ্দিন, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু প্রমুখ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

মুমিনের ভাবনায় নতুন বছর


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ০২ জানুয়ারী, ২০২২, ১০:১৭
মুমিনের ভাবনায় নতুন বছর

প্রতিকী ছবি

দিন শেষে রাত আসে। রাতের অপেক্ষা ফুরায়। আবার রাত শেষে দিন আসে। দিনের অপেক্ষা ফুরায়। মাস ফুরিয়ে নতুন মাস আসে, বছর ফুরিয়ে আসে নতুন বছর। এভাবেই একসময় দেখতে দেখতে আমাদের জীবনটাও ফুরিয়ে যাবে। পাড়ি জমাতে হবে অন্ধকার গহিন কবরের শেষ ঠিকানায়। সময়ের পালা-বদলে পুরনো একটি বছরকে বিদায় জানিয়ে আগমন করেছে নতুন আরেকটি বছর। নতুন বছর ঘিরে নানা জনের নানা ভাবনা থাকে।

এ ক্ষেত্রে একজন মুমিনের ভাবনা হলো, আমার জীবনের মূল্যবান একটি অংশ চলে গেছে। আমি মৃত্যুর আরও কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। কারণ আল্লাহ মানুষকে সুনির্দিষ্ট একটি সময় দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। এ সময়ের কোনো হেরফের বা কমবেশি হবে না। যার জন্য যতটুকু সময় নির্ধারিত, ততটুকু ফুরিয়ে গেলেই জীবন শেষ হয়ে মৃত্যুর ডাক এসে যাবে।

কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘যখন কারও নির্ধারিত সময় উপস্থিত হবে তখন আল্লাহ তাকে কিছুতেই অবকাশ দেবেন না। তোমরা যা কিছুই কর আল্লাহ সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত।’ সুরা মুনাফিকুন।

তাই একটি বছরের উপসংহারে দাঁড়িয়ে মুমিনের মানসপটে প্রশ্ন উত্থাপিত হয় যে একটি বছর তো আমি শেষ করেছি, কিন্তু যে মহান উদ্দেশ্যে আল্লাহ আমাকে এ পৃথিবীতে পাঠালেন যেমনটি তিনি কোরআনে বলেছেন ‘আমি জিন ও মানুষকে কেবল এজন্যই সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার ইবাদত করবে।’ সুরা জারিয়াত।

সে পথে আমি কতটুকু অগ্রসর হয়েছি? জীবনের চূড়ান্ত গন্তব্য জান্নাতের দিকে কতটা এগিয়ে যেতে পেরেছি? এর জন্য পাথেয় সংগ্রহ করেছি কতটুকু? নাকি এখনো উদাসীনতার আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছি?

কোরআনে আল্লাহ এমন লোকদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘যারা ইমান এনেছে তাদের কি এখনো সময় হয়নি আল্লাহর স্মরণে এবং যে সত্য অবতীর্ণ হয়েছে তাতে তাদের অন্তর বিগলিত হবে?  তারা কি তাদের মতো হবে না, যাদের আগে কিতাব দেওয়া হয়েছিল। এরপর যখন তাদের ওপর দিয়ে দীর্ঘকাল অতিক্রান্ত হলো, তখন তাদের অন্তর শক্ত হয়ে গেল এবং আজ তাদের অধিকাংশই অবাধ্য।’ সুরা হাদিদ।

অতএব নতুন বছরে একজন মুমিনের কর্তব্য হলো বিগত বছরের ভুলত্রুটি সংশোধন করা এবং সেগুলোর জন্য তওবা করে নতুন বছরে নির্ভুল ও পাপমুক্ত জীবনযাপনের জন্য প্রত্যয়ী হওয়া। পরকালে আল্লাহর সামনে হিসাব-নিকাশের মুখোমুখি হওয়ার আগে পৃথিবীতেই জীবনের হিসাব-নিকাশ করে নেওয়া। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

লেখক: মাওলানা মাহমূদ হাসান তাসনীম, ইসলামবিষয়ক গবেষক।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - রাজনীতি