a খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেওয়ার কথাটি হিউমার: ওবায়দুল কাদের
ঢাকা বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেওয়ার কথাটি হিউমার: ওবায়দুল কাদের


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০২২, ০৮:৩০
খালেদা জিয়াকে টুস করে ফেলে দেওয়ার কথাটি হিউমার: ওবায়দুল কাদের

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে টুস করে ফেলে দেওয়ার কথাটি ছিল হিউমার। তিনি আরও বলেছেন, বিএনপি ঘেরাও করতে এলে চা খাওয়ানোর কথাটিও হিউমার ছিল। আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে একজন সাংবাদিক ওবায়দুল কাদেরকে প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিএনপিকে চা খাওয়ার দাওয়াতের কথা বলে আসলে সংলাপের দরজা খুলতে চাইছেন কি না। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখুন, এ তো পলিটিক্যাল হিউমার। যেমন বেগম খালেদা জিয়াকে টুপ করে ফেলে দেওয়ার কথাটি হিউমার। তারা (বিএনপি) ঘেরাও করবে, আন্দোলন করবে—এটারই জবাবে হিউমারের দিক থেকে বলেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলেরা ঘেরাও করতে এলে চা খাওয়ালে অসুবিধা কী?’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৮ মে দলীয় এক সভায় পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অতীত মন্তব্যের সমালোচনা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে। সেতুতে যে স্প্যানগুলো বসাচ্ছে, এগুলো তার কাছে ছিল জোড়াতালি দেওয়া। বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না। চড়লে ভেঙে পড়বে। আবার তার সঙ্গে কিছু দোসরেরাও...তাদের এখন কী করা উচিত? পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত।’

গত শনিবার দলীয় আরেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, বিএনপি যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেয়, তাতেও বাধা দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলামোটরে যে বাধা দেওয়া, সেটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছি। আসুক না হেঁটে হেঁটে যত দূর আসতে পারে। কোনো আপত্তি নেই। আমি বসাব, চা খাওয়াব। কথা বলতে চাইলে শুনব।’ সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ইতিহাসের মোড় ঘোরানো মুহূর্তগুলো: ড. শেখ আকরাম আলী


কর্নেল(অব.) আকরাম, কলাম লেখক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:৫৭
ইতিহাসের মোড় ঘোরানো মুহূর্তগুলো: ড. শেখ আকরাম আলী

ছবি সংগৃহীত

 

নিউজ ডেস্ক: ইতিহাসের মোড়ঘোরানো মুহূর্তসমূহ একটি জাতির রূপ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং তা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট এলাকা বা দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার উপর।দক্ষিণ এশিয়ার জনগণ ইতিহাসের এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত প্রত্যক্ষ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, যা তাদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। উদাহরণস্বরূপ, দ্বাদশ শতকের শেষ দিকে মুসলমানদের বিজয়ী হিসেবে আগমন এবং পরবর্তীকালে শাসক হিসেবে এই ভূখণ্ডে বসবাস শুরু, যা চলতে থাকে ১৭৫৭ সালে পলাশীর তথাকথিত যুদ্ধে ব্রিটিশদের দ্বারা বাংলা দখল পর্যন্ত। এই ১৭৫৭ সালকে ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের ইতিহাসে একটি মোড়ঘোরানো বছর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ব্রিটিশ শাসনামলে মুসলমানরা তাদের ক্ষমতা হারায় এবং সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগীতে পরিণত হয়।১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের প্রতিক্রিয়ায় তারা চরম নিপীড়নের শিকার হয়, যদিও হিন্দুরাও ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। এই ১৮৫৭ সালও ভারতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত। ১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ব্রিটিশ সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত হলে মুসলমানদের সরাসরি রাজনীতিতে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা হয়নি। কিন্তু বিশ শতকের শুরুতে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে, যখন ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ গঠিত হয়। এই ১৯০৬ সালকেও ভারতের মুসলমানদের ইতিহাসে একটি মোড়ঘোরানো বছর হিসেবে দেখা হয়। ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ভারতের মুসলমানদের রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন।

১৯১৩ সালে মুসলিম লীগ মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে নেতা হিসেবে পেয়ে সৌভাগ্য অর্জন করে, যদিও ১৯১৫ সালের জানুয়ারিতে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত হন। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু গ্র্যাজুয়েট মুসলিম লীগে যোগ দিয়ে জিন্নাহর হাত শক্তিশালী করেন। অল্প সময়েই জিন্নাহ ভারতের মুসলমানদের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হন। এক সময় তিনি হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন, কিন্তু কংগ্রেস নেতাদের মনোভাব তাকে বুঝতে বাধ্য করে যে, হিন্দু মহাসভার অধীনে ভারতের মুসলমানদের অধিকার নিরাপদ নয়। ১৯২৩ সালের শুরুতে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তাঁর বিখ্যাত দ্বিজাতি তত্ত্ব ঘোষণা করেন এবং বলেন, ধর্ম, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও দৈনন্দিন জীবনে মুসলমানরা হিন্দুদের থেকে আলাদা। এই তত্ত্ব ভারতের মুসলিম জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।

১৯৩৭ সালের নির্বাচনের পর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন প্রথম ভারতীয় সরকার গঠিত হয়, যা জিন্নাহকে স্পষ্ট করে দেয় যে, মুসলমানদের জন্য পৃথক মাতৃভূমির কথা ভাবা ছাড়া উপায় নেই। ফলে ১৯৪০ সালে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন, যেখানে মুসলিম রাষ্ট্রের দাবি তোলা হয়। এটিও ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়।

পাকিস্তানের জন্মকে ভারতীয় মুসলমানদের প্রায় দুই শত বছরের সংগ্রামের ফলাফল হিসেবে দেখা হয় এবং ১৯৪৭ সালকে দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানদের ইতিহাসে একটি মোড়ঘোরানো বছর হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু পাকিস্তান শুরুর থেকেই অভ্যন্তরীণ ও বহিঃশত্রুতার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। ভারত প্রথম থেকেই পাকিস্তানের বিরোধী হয়ে ওঠে এবং তা ভাঙার জন্য বদ্ধপরিকর ছিল।

ইয়াহিয়া খানের সামরিক সরকার পূর্ব পাকিস্তানে সাধারণ মানুষের ওপর সেনা অভিযান চালিয়ে ভারতের জন্য এক ‘সুবর্ণ সুযোগ’ তৈরি করে এবং ভারত এই সুযোগকে পুরোপুরি কাজে লাগায়, যার জন্য তারা বহুদিন অপেক্ষায় ছিল। বাংলাদেশের জন্ম ঘটে ভারতের সামরিক সহায়তা ও কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে। আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেদের স্বার্থে ভারতের সাথে একটি সাত দফা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন, যা বাংলাদেশের জন্মকে ত্বরান্বিত করে কিন্তু তাকে চিরস্থায়ী দাসত্বের দিকে ঠেলে দেয়। এভাবেই ১৯৭১ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে আরেকটি মোড়ঘোরানো বছর হয়ে ওঠে।

জনগণ দ্রুতই বুঝে যায় যে তারা নিজেদের নেতাদের এবং ভারতের আধিপত্যবাদী রাজনীতির দ্বারা প্রতারিত হয়েছে। যে নেতা গণতন্ত্রের জন্য লড়েছিলেন, তিনিই নিজের হাতে তা ধ্বংস করেন এবং এর জন্য চরম মূল্যও দেন। ভারতের আধিপত্যবাদী রাজনীতির গতি স্তব্ধ হয় ১৯৭৫ সালের আগস্টে শেখ মুজিবের পতনের মাধ্যমে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়।

নভেম্বর ১৯৭৫-এ সিপাহী-জনতার নেতৃত্বে একটি বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের উত্থান ঘটে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত হয় এবং নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ জিয়াউর রহমানের আনা পরিবর্তনে সন্তুষ্ট হন। কিন্তু তার মর্মান্তিক মৃত্যু আবারো ভারতকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপের সুযোগ এনে দেয়।

১৯৯০ সালের ডিসেম্বর মাসে এরশাদের পতন রোধ করা যায়নি এবং খালেদা জিয়ার ক্ষমতায় আরোহন ঘটে। এসময় ভারত সাময়িকভাবে ব্যাহত হলেও ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত শেখ হাসিনার প্রথম সরকারে আবারও সাফল্য পায়।

মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমেরিকার সহযোগিতায় ভারতকে আবারো বাংলাদেশে প্রকাশ্য রাজনৈতিক খেলা খেলার সুযোগ দেয়। আমরা বাঙালি মুসলমানরা পুনরায় শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসন এবং ভারতের রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের শিকার হই। ভারত বাংলাদেশকে নিজের উপনিবেশ মনে করতে শুরু করে।

কয়েক শত প্রাণের ত্যাগ ও কয়েক হাজার মানুষের অজানা দুঃখ-কষ্ট জুলাই বিপ্লব ২০২৪-এর মাধ্যমে একটি ঐতিহাসিক পরিবর্তন এনে দেয়। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের এই পরিবর্তনের সুযোগ দিয়েছেন, এবং তা পুরোপুরি নির্ভর করছে আমাদের আন্তরিকতার উপর। আমরা যদি এই ট্রেন মিস করি, তবে তা চিরতরে হারিয়ে যাবে। জুলাই বিপ্লব ২০২৪ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি মোড়ঘোরানো মুহূর্ত হিসেবে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।

জনগণ, রাজনৈতিক দল এবং সরকারকে এটি উপলব্ধি করতে হবে এবং জুলাই বিপ্লবকে জাতির সর্বশেষ রাজনৈতিক মোড়ঘোরানো ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। জাতিকে দলীয় ও ব্যক্তিস্বার্থ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং সরকারের উদ্যোগকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জবাবদিহির আওতায় না আনা পর্যন্ত র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূত


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৪:৩৫
জবাবদিহির আওতায় না আনা পর্যন্ত র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

ফাইল ছবি

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, জবাবদিহির আওতায় না আনা পর্যন্ত র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ ও জার্মান থিংক ট্যাঙ্ক ফ্রেডরিখ এবার্ট স্টিফটাং আয়োজিত 'মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর' অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

পিটার হাস বলেন, নিষেধাজ্ঞাগুলো শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে নয় বরং আচরণ পরিবর্তন ও তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য। গত বছরের ডিসেম্বরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এটা খুব ভালো সংকেত। আমরা আশা করছি, র‍্যাবের আচরণ পরিবর্তন হবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে পিটার হাস বলেন, ইন্দো প্যাসিফিক কৌশল- আইপিএসে বাংলাদেশের যোগ দেওয়া না দেওয়াটা কোনো বিষয় নয়। এটা একটি নীতি। এটা বাংলাদেশ কীভাবে নেয়, সেটাই দেখার বিষয়।

তিনি বলেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ- বিআরআইয়ে যোগ দেওয়াটা বাংলাদেশের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ কোন জোটে যোগ দেবে, সেটা তাদের বিষয়।

অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও সাবেক কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: সমকাল

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - রাজনীতি