a
ছবি সংগৃহীত
ঢাকা প্রতিনিধি: বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘আজকে অনেকে সংস্কারের কথা বলে কিন্তু অতীতের দিকে তাকিয়ে দেখেন সংস্কারের দলই হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)। সংস্কার দিয়েই যার যাত্রা শুরু। বাকশাল থেকে বহুদলীয় গনতন্ত্র এই দেশে প্রথম যিনি দিয়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য অর্থনীতির শৃঙ্খলা ও সংস্কার শুরু করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং জনগণের অধিকার আদায়ের এই ধারাবাহিকতায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতি থেকে পার্লামেন্ট্রি ফর্ম অব গর্ভমেন্ট এটি অত্যন্ত বড় সংস্কার ছিল। সেটিও কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কৃতিত্ব।
ডা: জাহিদ বলেন, ‘আজকে নারী শিক্ষায় অগ্রগতি বলেন,নারীদের ক্ষমতায়ন বলেন প্রতিটি ক্ষেত্রে অবদান হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের। কাজেই সংস্কারে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। আর জনগনের ভোটাধিকারের বিশ্বাস করে দেখেই সংসদে প্রস্তাব পাশ করে সংবিধানে ইন কর্পোরেট করা হয়েছিল যার কারণে ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারী পরবর্তীতে ৯৬ এ আরেকটি নির্বাচন হয়েছিল তত্বাবধায়ক সরকার প্রথা সংবিধানে সন্নিবেশিত করে। অর্থাৎ বিএনপি কোন অবস্থাতেই নিজের দলের কথা স্বার্থের কথা চিন্তা করে নাই। বিএনপি সব সময় চিন্তা করেছে,দেশের কথা,দেশের মানুষের কথা,জনগনের কথা। সংস্কারের কথা। সেজন্যই মানুষের অধিকারে বিশ্বাস করা যে দল সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। যে দল মানুষের পাশে থাকে। যে দল দেশের মানুষকে ফেলে পালিয়ে যায় না। যে দলের নেত্রী অনেক প্রলোভন অনেক সুযোগ সুবিধার প্রস্তাবনা আসার পরেও শত বাধাবিপত্তির মুখেও বাংলাদেশে থেকেছেন। নিজের অসুস্থতাকে গ্রহণ করেছেন। স্বীকার করেছেন। কিন্তু কোন ধরনের নতি স্বীকার করেন নাই। আপোষ করেন নাই। সেই দল হচ্ছে,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’।
তিনি আরও বলেন,‘সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা যেটি এটিও বিএনপি’র সংস্কারের ধারাবাহিকতার কর্মসূচীর একটি অংশ। তাই যতো দ্রুততার সঙ্গে আগামীদিনে জনগনের অধিকার প্রয়োগে সুযোগ সৃষ্টি হবে,জনগন তার অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। এবং আগামী দিনে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব জনগণ যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে দিতে পারে সেই জন্যই অন্ত:বর্তী সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে,তাদের নামই হচ্ছে,অন্ত:বর্তীকালীন। অর্থাৎ তাদের মেয়াদ খুবই ক্ষণস্থায়ী র্দীঘস্থায়ী নয়। তাদেরকে বুঝতে হবে জনগনের অধিকার জনগণকে ফেরত দেয়ার জন্য অতিদ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে জনগণকে তাদের অধিকার প্রয়োগের সুযোগ গ্রহণ করবে। জনগন যাকে খুশি তাদের ইচ্ছামতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে এবং জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই আগামীদিনের সিদ্ধান্ত নিবে দেশ কোন দিকে এগোবে’।
আজ বুধবার (১৪ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের অভিজাত বেঙ্গল কনভেনশন হলে আয়োজিত জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ুনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আব্দুর রিপনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ জিকে গউছসহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন,মিফতাহ সিদ্দিকী, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমান। এতে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী,জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
ডা: জাহিদ হোসেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর ইউনিটের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘আগামীর বাংলাদেশ কিভাবে সুন্দর করা যায় সেজন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। আগামীর বাংলাদেশ সুন্দর করার জন্য,সুন্দর ভাবে গড়ে তোলার জন্যদেশের মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এবং সূখী সমৃদ্ধশালী সার্বভৈৗম একটি বাংলাদেশ যেখানে সুশাসন থাকবে। আইনের শাসন থাকবে। মানবাধিকার থাকবে। জনগণের অধিকার থাকবে। সকল ধর্মের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকবে এবং সকল শ্রেণী পেশোর মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে সামনেরদিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ৩১ দফা কর্মসূচী প্রণয়ন করে তারেক রহমান সহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল শুধু নয়, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামি অন্যান্য রাজনৈতিকদল ৩১ দফাকে জনগণের দফায় এবং জনগণের দাবিতে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, ‘এ ৩১ দফাকে সুন্দরভাবে বাস্তবায়নের জন্য মৌলভীবাজারকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একটি দুর্গ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে অতীতেও কাজ করেছেন এখনও কাজ করছেন এবং সংগঠনকে আরও কিভাবে সুসংগঠিত করা যায়, সংগঠনকে কিভাবে আরও জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো যায় এবং আগামীদিনে জনগনের অধিকার আদায়ের যে সুযোগ আসবে সেই সময় ৩১ দফার পক্ষে জনগনকে কিভাবে ঐক্যবদ্ধ করে জনগনের সমর্থন আদায় করা যায় সেই লক্ষেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সকল ইউনিটের নেতৃবৃন্দরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
ডা: জাহিদ আরও বলেন,জনগনের দাবী আদায়ের জন্য ঐক্যের বিকল্প কিছু নেই। ঐক্যবদ্ধ যদি থাকি তাহলে আমরা বিশ্বাস করি তারেক রহমানের ৩১ দফাকে দেশের দেশের জনগণ যেভাবে গ্রহণ করেছে একইভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া টু জিরো ত্রি জিরো ভিশনের মাধ্যমে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, এর পূর্বে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসুচীর মাধ্যমে দিয়েছিলেন। যেটি আজ জনগনের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
মনে রাখতে হবে আমাদের দলের সবার মধ্যে কিভাবে ঐক্যকে ধারণ করা যায় এবং ঐক্যবদ্ধভাবে এগোতে পারলেই ৫ ই আগষ্ট ২০২৪-এ যেরকম স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে ঐক্যের কারণে একইভাবে ৩১ দফার পেছনেও জনগনের সমর্থন আদায় করা যাবে যদি আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে জনগনের সামনে যেয়ে দাঁড়াতে পারি’।
বিএনপি মিডিয়া সেল থেকে সংগৃহীত।
ফাইল ফটো
স্থানীয় সরকারের পর এবার জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। শুধু লক্ষ্মীপুর নয়, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে আর কোনো নির্বাচনেই অংশ না-নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি'র হাইকমান্ড।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে-এমন নিশ্চয়তা বা পরিবেশ সৃষ্টি না-হওয়া পর্যন্ত তারা আর ভোটে অংশগ্রহণ করবে না। এ মুহূর্তে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেয়ে দুটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করছে তারা। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কমিশন সংস্কার এবং নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিতে কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলা।
এ লক্ষে সরকারের বাইরে থাকা সব দলকে নিয়ে গড়ে তোলা হবে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য। এ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে দ্রুত আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করবে দলটি। বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত শনিবার জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেওয়া না-নেওয়াসহ ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে উপস্থিত বেশিরভাগ নেতাই উপনির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মতামত জানান।
এক নেতা বলেন, বিএনপি স্থানীয় সরকারের (পৌরসভা) সব নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তাই নির্বাচন বর্জন করলে সুশীল সমাজ বা বাইরের কোনো শক্তি এ নিয়ে তাদের দোষারোপ করতে পারবে না। কারণ, সারা দেশে নির্বাচনের নামে যে তামাশা হচ্ছে তা প্রমাণিত।
এখন মানুষই প্রশ্ন তুলছে-কেন আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। তাই এ সরকার ও ইসির অধীন আর কোনো নির্বাচনে অংশ না-নেওয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান ওই নেতা।
আন্দোলনের ইস্যু কী হবে, তা নিয়েও নেতারা অভিমত ব্যক্ত করেন। একাধিক নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশনের আমূল সংস্কার এবং বিদ্যমান নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তনকে সামনে রেখে জনমত তৈরি করতে হবে। কারণ, বিদ্যমান সরকার ব্যবস্থা এবং নির্বাচন কমিশনের সংস্কার না করে নির্বাচনে অংশ নিলে ফলাফল বিগত দিনের মতোই হবে।
তাই এ দুটি বিষয় সামনে রেখেই আমাদের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। এক নেতা বলেন, এ নিয়ে আমরা অতীতেও আন্দোলন করেছি; কিন্তু দাবি আদায় না-করেই আমরা সরকারের সঙ্গে সংলাপ করে বিগত নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। ফলাফল যা হওয়ার তাই হয়েছে।
তাই এবার আন্দোলনের আগে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সরকার যদি আলোচনায় বসে, তাহলে আমরা কোন কোন জায়গায় ছাড় দেব। তা ছাড়া এ দাবি শুধু আমাদের একার নয়, দেশের প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজসহ সবার। সবাই চাচ্ছে, এ দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।
বর্তমান সরকারের অধীন তা সম্ভব নয় বলে সবাই মনে করছে। আমাদের বাইরে থাকা দল ও সুশীল সমাজকে এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম করতে হবে। প্রয়োজনে এ ইস্যুতে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুগান্তরকে বলেন, সরকার নির্বাচনি ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে। এ কারণে বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো বর্জন করতে বাধ্য হয়েছে।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যুগান্তরকে বলেন, দেশে নির্বাচনি সিস্টেমটা পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কার প্রয়োজন। বর্তমান নির্বাচনি ব্যবস্থা পরিবর্তন না হলে শুধু বিএনপি নয়, জনগণও ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবে না।
তাই এ মুহূর্তে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেয়ে নির্বাচনি ব্যবস্থার পরিবর্তনই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমরা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। আমরা নির্বাচনে যাব না, তা কখনোই বলছি না। যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত হয় এবং জনগণ যদি তা বিশ্বাস করে, তবে আমরা অবশ্যই নির্বাচনে যাব। সেটা যদি আজ হয়, তাহলে আজই আমরা নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেব। কারণ, জনগণের প্রতি আমাদের বিশ্বাস ও আস্থা রয়েছে।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী গণমাধ্যমকে বলেন, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীন আর কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাইকমান্ড। এটা সঠিক সিদ্ধান্ত বলে আমি মনে করি।
কারণ, এদেশে নির্বাচন বলতে কিছু নেই। সরকারি দল নির্বাচনকে টেন্ডারের মতো বানিয়ে ফেলছে। কেউ নৌকার টেন্ডার পেলেই তিনি নির্বাচিত। গত ১০ বছরে স্থানীয় সরকারের প্রায় সব নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। সম্প্রতি শেষ হওয়া পৌরসভা নির্বাচনেও অংশ নিয়েছে।
কিন্তু আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ও বাকি পৌর ও উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সর্বশেষ লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচনসহ বাকি ভোটও বর্জনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। সংগ্রহীত: যুগান্তর
তুমি যদি ভোর ৬.০০ টায় অতিরিক্ত ৫ মিনিট
ঘুমানোর জন্য চোখ বন্ধ করো, চোখ
খুলে দেখবে যে ৭.৪৫ বাজে
কিন্তু যদি ক্লাসে বসে বোরিং লেকচার
শুনতে শুনতে ১২.৩০ টায় ৫ মিনিটের জন্যে চোখ
বন্ধ করো, চোখ খুলে দেখবে যে ১২.৩১ বাজে ।
এক চেইন স্মকার কে একদিন ২ টা সিগারেট
একসাথে জ্বালাতে দেখে এক
ব্যাক্তি জিজ্ঞাসা করলো , ” ভাই, শেষ
খাওয়া খাচ্ছেন নাকি? ”
লোকটি উত্তর দিল, আমার বন্ধু মারা জাওয়ার
আগে আমাকে বলে গিয়েছে ,’ দোস্ত, যখনি বিড়ি খাবি,
আম্র নাম করেও একটা খাবি”
এই জন্যেই ২ টা খাচ্ছি।
এর কিছু দিন পর একদিন তাকে ১ টি সিগারেট
খেতে দেখে লোকটি আবার জিজ্ঞাসা করলো ,
কি ভাই? বন্ধুর কথা ভুলে গেলেন নাকি?
লোকটির উত্তর,
ভাই, আমি সিগারেট খাওয়া ছেরে দিয়েছি । এখন শুধু
বন্ধুর টা খাচ্ছি।
©শিক্ষকঃ এটার
প্রমাণ
কে দিতে পারবে?
... ছাত্রঃ আমি পারব
স্যার?
শিক্ষকঃ বল।
ছাত্রঃ আমাদের পাড়ার
একজন যখন আমাদের
সাথে আড্ডা দিত তখন
তাকে বড় ভাই
বলে ডাকতাম। তারপর
তিনি যখন আমাদের
বাসায়
টিউশনি করতে এলেন
তখন তাকে স্যার
বলে ডাকতাম। এরপর
তিনি আমার
বোনকে বিয়ে করলেন,
এখন তিনি দুলাভাই
জাপানী আর বাংলাদেশি ২টা সাবান কারখানার ঘটনা (কৌতুক)
জাপানী কারখানা! পুরো কারখানাই অটোমেটিক। কোন মানুষ নেই, সব মেশিন...। একদিক দিয়ে সাবানের উপাদান দেওয়া হয়, আর আরেক দিক দিয়ে একদম প্যাকেট হয়ে সাবান বের হয়ে আসে।
কিন্তু একবার হলো কি, একটা সাবানের প্যাকেট বের হলো যেটায় কোন সাবান ছিল না। সেই প্যাকেট যেই না ক্রেতার হাতে গেলো, ক্রেতা অভিযোগ করলেন কোম্পানীতে। ব্যাস, আর যায় কোথায়? কোম্পানীর মালিকদ...ের মাথায় হাত! জাপানীরা ভাবে, "এরকম ভুল হলো কিভাবে??!! এরকম তো আর করা যাবে না। দেখো দেখো কি করা যায়..."
তো, সব কোম্পানীর মালিকরা একজোট হয়ে ৬ মিলিয়ন ডলার খরচ করে একটা মেশিন বসাল যা সাবানের প্যাকেট এক্সরে করে ওজন নিয়ে গন্ধ শুকে আগে থেকে নিশ্চিত হবে প্যাকেটে সবান আছে কিনা, তারপর সেটা রিলিজ দিবে।
একই সমস্যা ঘটল এবার এক বাংলাদেশি কারখানায়! কিন্তু বাংলাদেশি মালিকটি ছিলেন আবার খুব বুদ্ধিমান। তিনি ভাবলেন, ৬ মিলিয়ন ডলার খরচ করে ঐ মেশিন বসানো শুধু শুধু। তিনি করলেন কি, তার কারখানার যেদিক দিয়ে সাবান ভর্তি প্যাকেট বের হয়ে আসে সেখানে একটা ফ্যান লাগিয়ে দিলেন। ব্যাস আর কি... যে সাবানের প্যাকেটে সাবান থাকে না সেটা ফ্যানের বাতাসে উড়ে যায়... :)
--------------
বাংলাদেশিদের মেধা, বুদ্ধিই দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ...
বাড়িওয়ালাঃ কাকে চাই?
–বাড়ি ভাড়া হবে?
–আপনি কি বিবাহিত?
–না।
–তাহলে যান। ব্যাচেলরদের কাছে আমি বাড়ি ভাড়া দেই না।
মালিক মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিলেন। যুবক আবার দরজায় নক করল।
–আবার কী চাই?
–শুনুন, ব্যাচেলররা যদি এতই খারাপ তাহলে ব্যাচেলরদের কাছে মেয়ে বিয়ে দিবেন না যেন।
প্রবাসী স্বামী তার স্ত্রীকে লেখা চিঠিতে লিখেছে,
প্রিয় সুইট হার্ট,
আমি এই মাসের বেতনের টাকা পাঠাতে পারছিনা, তাই তোমাকে ১০০ Kiss পাঠালাম।
ইতি তোমার স্বামী (অমুক)তার বউ কিছুদিন পর সে চিঠির উত্বর দিল এভাবে,
প্রিয় সুইট হার্ট,
তোমার পাঠানো Kiss গুলোর বিস্তারিত জানাচ্ছি।
১/ দুধ ওয়ালা ২টা Kiss বিনিময়ে এক মাসের জন্য দুধ দিতে রাজি হয়েছে।
২/ বিদ্য...ুত্ত বিল ওয়ালা ৭টা Kiss এর বিনিময়ে শান্ত হয়েছে।
৩/ বাড়ি এয়ালাকে প্রতিদিন দুইটা কিংবা তিনটা Kiss দিতে হচ্ছে।
৪/ সুপার মার্কেট মালিক শুধু Kiss তেই মানি রাজি নয়, তাই ……… (সেন্সর)
৫/ আর অন্যান্য খাতে ব্যায় হয়েছে ৪০ টি Kiss।
আমার জন্য কোন চিন্তা করোনা। বাকি রয়েছে ৩৫ টি Kiss। আমি আশা করছি সেগুলোও এই মাসেই ব্যাবহার করতে পারবো।
কি মন একটু ভাল হইছে? তাহলে একবার ঘুরে আসুন
ম্যানেজমেন্ট এর ছাত্র টোকাইমামা ক্লাসরূম এর পাশের করিডোরে একটা মেয়েকে জড়িয়ে ধরল
মেয়ে অবাক হয়ে বলল এটা কি হল???!!!
টোকাই মামা : ‘ ডাইরেক্ট মার্কেটিং জানু’
মেয়ে ঠাশ করে টোকাই মামার গালে এক চর বসিয়ে দিলো!!
টোকাই মামা : এটা কি হল??
মেয়ে : ‘ কাস্টমার ফিডব্যাক” !!!!
বাবা-ছেলের মধ্যে কথা হচ্ছে--
বাবা: পরীক্ষায় এবার তুমি পাস-ফেল যাই করো না কেন, তোমাকে একটা সাইকেল কিনে দেব।
ছেলে: বাবা, তুমি খুব ভালো। তা কোন সাইকেল কিনে দেবে তুমি?
... বাবা: পাস করলে কলেজে যাওয়ার জন্য নতুন রেঞ্জার সাইকেল কিনে দেব।
ছেলে: আর যদি ফেল করি?
বাবা: তাহলে ভাঙাচোরা একটি সাইকেল কিনে দেব।
ছেলে: কেন?
বাবা: বাজারে ঘুরে ঘুরে যাতে তুমি দুধ বিক্রি করতে পারো।
এক ভদ্রমহিলা তিন তিনটে বিবাহযোগ্য কন্যা আছে । অপূব সুন্দরী কিন্তু তাদের প্রত্যোকের একটি মুদ্রাদোষ আছে । সেটা ট মাত্রা উচ্চারন করে কথা বলার । যেমন টুমি কোঠায়? সেজন্য পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে বলে ঠিক করেছে । তাদের মা বললেন পাত্রপক্ষ দেখার সময় যেন কো কথা না বলে যা জবাব দেবার মাই দেবেন। যথাসময় পাত্রপক্ষ হাজির । মেয়ে তিনটি দেখার পর বললেন - আহা কি সুন্দর মেয়েগুলো । যেমন নাক , চোখ , তেমনি মেঘবরন চুল।
পাত্রপক্ষ চুলের প্রসংশা করতে হঠাৎ একটি মেয়ে ফস করে বললেন - টবু টো টুলে টেল দিইনি। দ্বিতীয়জন বলল- এই ডি ডি টুই যে বললি যে ? তৃতীয়জন বললেন- আমি বেশ টুপটাপ।
মজা পাইলে লাইক মাইরা বুজাইয়া দেনঃপি
কমিশনার সাহেব বাসায় আছেন ?
: কেন ?
: আমার একটা চারিত্রিক সার্টিফিকেট দরকার |
: তিন মাস পরে আসেন, উনি নারীঘটিত কেসে ছয় মাসের জেলে আছেন ||
মজা পাইলে লাইক মাইরা বুজাইয়া দেনঃ
এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে রাগতভাবে বলছে,''আর একটা ফালতু কথা বলবি,থাপ্পড় দিয়ে তোর ৬৪ দাতঁ ফেলে দেবো।"
সেটা শুনে তাদের আরেকটা বন্ধু বলে উঠল, "দুস্তো,আগে জানতাম,মানুষের দাত থাকে খুব বেশি হলে ৩২ টা,আর তুই কিনা তাকে বলছিস,"থাপ্পড় দিয়ে তোর ৬৪ দাতঁ ফেলে দেবো???"
তখন ১ম বন্ধু ৩য় জনকে বলল,"আমি আগেই জানতাম তুই মাঝখানে এসে নাক গলাবি,তাই তোরটা সহ হিসাব করে বলেছি।"
অনেক মা-বাবাকেই বলতে শোনা যায়, আমার ছেলে বা মেয়েটা পড়াশোনায় একদম মনোযোগী নয়। বই নিয়ে বসতেই চায় না। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বেশিক্ষণ টিভি দেখা, কম্পিউটারে বা টিভিতে গেমস...্ খেলা। কিছুদিন আগেও শিশুদের মুটিয়ে যাওয়া বা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে অতিরিক্ত টিভি দেখা বা ভিডিও গেমস্ খেলাকে দায়ী করা হলেও এর সাথে যোগ হয়েছে আরো একটি নতুন গবেষণার ফলাফল। যেসব শিশু প্রতিদিন দু’ ঘন্টা বা তার চেয়ে বেশি সময় ধরে টিভি দেখেছে বা ভিডিও গেমস্ খেলেছে তারা অন্যদের তুলনায় শ্রেণী কে উল্লেখযোগ্য হারে কম মনোযোগী।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন টিভি বা ভিডিও গেমসের ছবিগুলো খুব দ্রুতগতিতে ও অতিমাত্রায় পরিবর্তিত হয়। ফলে তা বাড়ন্ত শিশুদের মস্তিষ্কে এক ধরনের প্রভাব ফেলে। এতে শিশুরা চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে যায় এবং পড়াশোনায় মনোযোগ হারিয়ে ফেলে। এ ধরনের শিশুদের কেউ কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে বললে তারা সেটা অতোটা গুরুত্ব সহকারে নেয় না। পর মুহূর্তেই ভুলে যায়। ফলে তারা শুধু পড়াশোনা নয়, সবেেত্রই অমনোযোগী হয় উঠে। আর এই অমনোযোগিতা তাদের ঠেলে দেয় কাসের পেছনের সারিতে।
আগের গবেষণা পর্যালোচনা করলে আরো দেখা যায়, শিশুরা বেশি মাত্রায় টিভি দেখলে বা ভিডিও গেমস্ খেললে বেশির ভাগ সময়ই শুয়ে-বসে কাটায়। ফলে তাদের শরীরে ধীরে ধীরে মেদ জমতে থাকে এবং এক পর্যায়ে তারা মুটিয়ে যায়। শরীরে মেদ বাড়লে রক্তনালীগুলো সঙ্কুচিত হয়ে যায় এবং শরীরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের রক্তনালিতে খাদ্য কনা পৌঁছাতে পারে না। ফলে সেসব অঙ্গ অপুষ্টির শিকার হয়। এতে দেখা যায় স্বাভাবিক ওজনের শিশুর তুলনায় মুটিয়ে যাওয়া শিশুরা কম বুদ্ধিমান হয় এবং কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে বা কোনো কিছু মনে করতে তারা তুলনামূলকভাবে বেশি সময় নেয়। এভাবেই তারা সব কিছুতেই ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়তে থাকে। চালচলনেও তারা অপোকৃত ধীর গতি সম্পন্ন হয়ে থাকে।
তাই উপরোক্ত বিষয়গুলো থেকে দেখা যাচ্ছে শিশুদের অতি মাত্রায় টিভি দেখা বা ভিডিও গেমস খেলার ফলাফল মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়। এ ব্যাপারে মা-বাবাদেরও রয়েছে বিরাট ভূমিকা। বিজ্ঞানীদের মতে, মা-বাবা বেশি মাত্রায় টিভি দেখলে এর প্রভাবও বাচ্চাদের উপর পড়ে। মা-বাবা একটা নিয়ম করে দিতে পারেন যাতে তারা প্রতিদিন দু’ ঘন্টার বেশি এগুলোতে সময় ব্যয় না করে। পাশাপাশি অতিরিক্ত টিভি দেখা ও ভিডিও গেমস্ খেলার ক্ষতিকারক দিকগুলো নিয়ে শিশুদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন এবং তাদের বুঝিয়ে বলতে পারেন। এছাড়া যে সময় শিশুরা বেশি মাত্রায় টিভি দেখে ও ভিডিও গেমস্ খেলে থাকে ওই সময় তাদের অন্যান্য খেলাধুলার প্রতি উৎসাহিত করা যেতে পারে। এতে যেমন তারা অমনোযোগী হওয়া থেকে মুক্ত থাকবে তেমনি মুটিয়ে যাওয়া বা বুদ্ধির বিকাশ কমে যাওয়া থেকেও নিজেদের রক্ষা করতে পারবে সহজেই। এ ব্যাপারে সব মা-বাবারই সচেতন হওয়া দরকার!!!
হযরত আবু যর (রা) বলেন, একবার আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে উপস্থিত হলাম। এরপর তিনি দীর্ঘ হাদিস বর্ণনা করলেন!শেষ পর্যায়ে আমি আরয করলাম- ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে কিছু উপদেশ দিন। তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে খোদা-ভীতির উপদেশ দিচ্ছি। কেননা এটা তোমার যাবতীয় কাজকে অধিক সৌন্দর্যমণ্ডিত করবে। আমি বললাম, আরও অধিক কিছু বলুন। তিনি বললেনঃ কোরাআন তেলাওয়াত ও মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্ তা'আলা...র যিকিরকে নিজের জন্য বাধ্যতামূলক করে নাও। এটা তোমার ঊর্ধ্ব আকাশে স্মরণযোগ্য এবং পৃথিবীতে তোমার জন্য আলো হবে। আমি পুনরায় বললাম, আরও বেশী কিছু বলুন! তিনি বললেনঃ নীরবতা দীর্ঘ কর। কেননা এটা শয়তানকে দূরে সরিয়ে দিবে এবং দীনী কাজে তোমার সহায়ক হবে। আমি আরয করলাম, আরও বেশী কিছু বলুন! তিনি বললেনঃ অধিক হাসা থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ কর। কেননা এটা অন্তরকে মেরে ফেলে এবং চেহারার জ্যোতি বিদূরিত করে দেয়। আমি আরয করলাম, আরো বেশী কিছু বলুন! তিনি বললেনঃ ন্যায় কথা বল! যদিও তা (কারো কাছে) তিক্ত হয়। আরয করলাম, আরো বেশী কিছু বলুন! তিনি বললেনঃ আল্লাহর রাস্তায় কাজ করতে কোনো নিন্দুকের নিন্দাকে ভয় করো না। আরয করলাম, আরো বেশী কিছু বলুন! তিনি বললেনঃ তোমার মধ্যে যে দোষ-ত্রুটি তুমি জান , তা যেন তোমাকে অন্য লোকের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা থেকে তোমাকে বিরত রাখে।
{ বায়হাকী, মিশকাতঃ ৪১৫}
কেন নামাজ আদায় করা ফরজ।
[ লেখাটি একটু বড় বিধায় ধৈর্য সহকারে পড়ুন ;
আপনার মূল্যবান সময় অপচয় হবেনা কথা দিলাম ]
মহান আল্লাহপাক মানুষ ও জ্বীন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তার ইবাদাত করার জন্য।
একাবিংশ শতাব্দীর এই যুগে যখন বিজ্ঞান তার উৎকর্ষতার সর্বশ্রেষ্ঠ সময় অতিবাহিত করছে মানুষের মনে আজ এই প্রশ্ন আসতেই পারে কেন মাহান রাব্বুল আলামিন মানুষের জন্য নামায ফরজ করে দিল এবং কেন নামায আদায়ের ব্যাপারে এত বেশি তাগিদ দিলেন?
গভীর ভাবে বিশ্লেষন করলে এই প্রশ্নের উত্তরে ৪টি বিভাগ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়।
তা হলঃ
১. আধ্যাত্মিক বিভাগ,
২. রাজনৈতিক বিভাগ,
৩. সামাজিক বিভাগ এবং
৪. বৈজ্ঞানিক বিভাগ।
১. আধ্যাত্মিক বিভাগঃ
পৃথিবীর সব কর্মকান্ড থেকে নিজেকে আড়াল করে মানুষ যখন নামাযে দন্ডয়মান হয়ে যায় তখন আল্লাহর সাথে মানুষের আত্মিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। যা আধ্যাত্মিক বিভাগ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
২. রাজনৈতিক বিভাগঃ
রাজনৈতিক বিভাগে বলা হয় যখন মুয়াজ্জিনের আহ্বানে মানব সকল নামাযের জন্য একত্রিত হয় তখন তাদের মধ্যে থেকে
একজনকে ইমাম নির্বাচিত করা হয়। কিছু সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে নামায কায়েমের মধ্যে নিহিত রয়েছে প্রকৃত আধুনিক গণতন্ত্র।
৩. সামাজিক বিভাগঃ
নামায আদায়ের জন্য যখন সবাই ইমামের পিছনে সারিবদ্ধ হয় তখন কে ধনী, কে গরীব, কে কাল, কে ফর্সা ইত্যাদির বিচার করা হয়না বরং সমগ্র মানব জাতীকে একটি প্লাটফর্মে দাড় করিয়ে সুন্দর শান্তিপূর্ণ এক নতুন সমাজ নির্মানে নামায সহায়তা করে।
৪. বৈজ্ঞানিক বিভাগ
বৈজ্ঞানিক বিভাগ নিয়ে সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা করা সম্ভাব নয়।
শুধু মাত্র একটি বিষয় নিয়ে বলার চেষ্টা করব।
মহান রাব্বুল আলামীন বলেন সুন্দর আকৃতি প্রদান করতে মানব দেহ কে এমন ভাবে গড়েছেন যে এর গঠন যেমন বিচিত্র তেমনই এর বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কাজ করার ধরন বিচিত্র।
মানব দেহে ২০৬খান হাড় আছে আর ৩৬০ জোড়া সন্ধি আছে যেগুলো নিয়মিত নড়াচড়া করা অপরিহার্য।
মানব দেহ এমনভাবে তৈরী যেখানে আমাদের মুখম্ডল ও মস্তিস্ক হৃদপিন্ডের উপর অবস্থান করে।
যদি না ইচ্ছাকৃত কেহ মাথানত না করে।
হৃদপিন্ড মানুষের দেহের বাম পাশে অবস্থান করে।
যার কাজ হলো সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক প্রেসার তৈরী করে সমগ্র দেহে রক্ত সঞ্চালন করে।
হৃদপিন্ড যখন রক্ত ছেড়ে দেয় তখন নিউটনের মহাকর্ষন সুত্রানুসারে অভিকর্ষ বলের প্রভাবে অর্থাৎ পৃথিবীর আকর্ষনে হৃদপিন্ডের অবস্থান থেকে মানব দেহের নিচের দিনে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়।
আর হৃদপিন্ডের অবস্থান হতে উপরের দিকে অর্থাৎ মুখমন্ডলে ও মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চলন করতে হৃদপিন্ডটিকে অভিকর্ষ বলে বিরুদ্ধে কাজ করতে হয়।
ফলে উদ্ধাঙ্গ পর্যাপ্ত পরিমান রক্ত পায়না।
মানবদেহের সবচাইতে গুরুপ্তপূর্ণ স্নায়ুতন্ত্র যা মানবদেহের সমস্ত কর্মকান্ডের সমন্বয় সাধন করে।
স্নায়ুতন্ত্র গঠনের একক হলো নিউরণ।
খুলি গহ্বরস্থিত কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের প্রধান অংশকে মস্তিস্ক বলে।
মহান আল্লাহ্ মানব জাতিকে উন্নত মস্তিস্ক প্রদান করেছেন যার সাহায্যে নিজস্ব বুদ্ধি বিবেচনার মাধ্যমে দৈনন্দিন কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারে।
বিধান মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখা অপরিহার্য।
নামাযই মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখার উৎকৃষ্ট পন্থা।
নামাযরত অবস্থায় মানুষ যখন রুকুতে যায় তখন মেরুদন্ডের ৩৩ টি কশেরুকা সক্রিয় হয় এবং হাতে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে ফলে মানব দেহ অটুট থাকে।
মানুষ যখন জমিনে তার কপাল স্পর্শ করে একমাত্র মহান আল্লাহর প্রতি আত্নসমর্পণ করে তখন তাকে সিজদা বলে।
আর ঠিক তখনই হৃদপিন্ডটি মুখমম্ডল এবং মস্তিস্কের উপরে চলে যায় ফলে অভিকর্ষ বলে প্রভাবে অতি সহযেই মস্তিস্ক প্রয়োজনীয় রক্ত পায় এবং মস্তিস্কের অতি সুক্ষ কৌশিক জালিকায় রক্ত প্রবাহিত হয় তখন নিউরনগুলে সঠিকভাবে কাজ করে।
মস্তিস্ক সক্রিয় থাকায় উন্নত চিন্তা করার মত অবস্থা তৈরি হয়।
সুতরাং নামাযের মধ্যে শারীরিক কল্যাণ যেমন নিহিত ঠিক তেমনি পরকালীন মুক্তি অবশ্যম্ভাবী।
••• এবার ছবিটিতে লক্ষ্য করুন •••
শরীর ভালো লাগছে না, কাপড় ঠিক নে
ভোজন রসিকরা সর্বদা "খাওয়ার আগে মাইরের পিছে" নীতিতে পূর্নাঙ্গ ভাবে বিশ্বাসী....যারা এই নীতিতে বিশ্বাসী তাদের জন্য একজন ভোজন যোদ্ধার গবেষনার আলোকে ব্যুফেতে গিয়া কেমনে জাইত্যা পেটের ভিতরে ঠুসাইবার চান তা নিয়া ১২ টি পয়েন্ট উল্লেখ করা হইল।
১/ ব্যুফে খাওয়ার সর্বপ্রথম অলংঘনীয় যে নিয়ম সেটি হল সংগী নির্বাচন।
খাদক ভাইদের ক্ষেত্রে একটি সতর্কীকরন হইল গার্লফ্রেন্ড নিয়া জিন্দেগীতে ব্যুফে খাইতে যাবেন না। ইফ যদি আপনার গার্লফ্রেন্ড ভোজন প্রেয়সী না হয়। তানইলে ইট্টু পর পর খালি তেনা পেচাইব। কইব এই তুমি এরকম অসভ্যের মতন খাচ্ছ কেন?, ঐ লোকটা আমাদের দিকে এভাবে তাকায় আছে কেন? আমরা কি বেশি খাচ্ছি নাকি? ইত্যাদি আজাইরা পেচাল পাইরা কনসেন্ট্রেশনের মায়রে বাপ কইরা ছাইরা দিব। বেস্ট অপশন হইল নিজের চেয়ে বড় খাদক কে সংগী হিসেবে নির্বাচন করা। এতে প্রতিযোগিতার আবেশ তৈরি হয় এবং বেশি খাওয়ান যায়।
২/ আগেই কইছি "খাওয়ার আগে মাইরের পিছে", এইটা ভুলা যাইবনা...ঢাকার ব্যুফে রেস্টুরেন্ট গুলির লান্চ বা ডিনারে নির্দিস্ট সময়সীমা থাকে। সাধারনত ২ থেকে ৩ ঘন্টা সময় বেধে দেয়া থাকে। এক্ষেত্রে সময় শুরু হবার আধা ঘন্টা আগে গিয়া জায়গা দখল করতে হইবে। প্রশ্ন উঠিতে পারে আধা ঘন্টা কি করিবেন। এসময় খালি নাকের ব্যবহার করতে হইবে। আপনার নস্ছাদ্র দিয়া চোষ্য চর্ব লেহ্য পেয় এর সুঘ্রাণ আপনার পরিপাক তন্ত্রে গিয়া অবিরাম আঘাত হানিতে থাকিবা যাহা বেশি খাইবার পক্ষে সহায়ক। ব্যফে টাইম শুরু হইবার সাথে সাথে বিসমিল্লাহ বইলা কোদালের মত ঝাপাইয়া পরবেন। তানাইলে আসল আইটেমে এ শর্ট পইরা যাইব নিশ্চিত।
৩/ ব্যুফেতে জিন্দেগীতে স্যুপ খাইবেন না দুইটা কারন
# স্যুপটা জঘণ্য হয়
# স্যুপ আপনার ক্ষিদা অকালে ধংস করবে অত্যন্ত ক্রুর ভাবে
৪/ব্যুফেতে সালাদ ই থাকে ১২-১৫ ধরনের...২/১ টা ছাড়া বাকিগুলার ধার দিয়াও হাটবেন না।
৫/ ভাত, ফ্রাইড রাইস এবং নুডুল বা পাস্তা অত্যন্ত অল্প পরিমানে চেখে দেখবেন।
৬/সালাদের মত মেইন ফুডেও আজাইরা কিছু আইটেম থাকে ঐগুলার দিকে ফিরাও তাকাইবেন না
৭/ এক ফোটাও পানি খাইবেন না
৮/ ভুলেও লজ্জা পাবেন না, মনে রাখবেন লজ্জা পাইছেন তো ধরা খাইছেন।
৯/ এই পয়েন্টটা ৩/৪ নম্বরে আলোচনা করা উচিত আছিলো, যাউক্গা বেপার না। এই পয়েন্ট টা খাওয়ার আগে অবশ্যই এপ্লাই করতে হইবেক সেটা হইলো খাওয়া শুরু কইরবার আগে অবশ্যই একবার পুরা আয়োজন ঘুরিয়া দেখিতে হইবে কারন দেখা গেল আজাইরা আইটেম পেটের মধ্যে ঢুকাইয়া জায়গা মাইরা দিতাছেন পরে মজার জিনিষের জায়গা নাই
১০ পোষাক নির্বাচন: আপনার সবচেয়ে ঢিলেঢালা প্যান্টটা বের করে পরে ফেলুন। তার উপর ছেড়ে দিন টি-শার্ট। ভুলেও ইন করবেন না আর বেল্টরে ব্যবহার এই ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বর্জণীয়।
১১/ ভুলেও ওয়েটারদের সাথে আই কন্ট্যাক্ট না করা। অনেক ওয়েটার আছে আপনার পারফরমেন্স দেখে আগলি লুক দিতে পারে। সেটা দেখলে আবার আপনার উদ্যম কমে যেতে পারে।
১২/ লাস্ট বাট নট দ্যা লিস্ট যেহেতু সবার আগে গেছেন সেহেতু আপনার হাতে পুরা টাইম ই আছে। তাই পুরা সময় যত্ন সহকারে ব্যয় করিবেন খাওয়া পিছনে। যখনি দেখবেন যে টান্কি পুরা ফুল তখন ৫/১০ মিনিট কাল ব্যাপী জিরাইয়া লইবেন আর চিন্তা করিবেন যে শালা ৮০০ টাকা দিলাম আর কিছুই তো খাইলাম না...দেখবেন যে টাকার আফসুসে পেটের ভিতরে মিনিমাম হাফ লিটার জায়গা খালি হইয়া গেছে
• পরীক্ষার সময় ১ ঘন্টা এবংmark ৫০
• প্রত্যেক ২০ মিনিট পর বিরতি (Strategic Time-out)
... ...
• প্রত্যেক uncommon প্রশ্ন answer এর
জন্য free hit mark.
• প্রথম ৩০ মিনিট powerplay। এসময় কোন
শিক্ষক পরীক্ষার হলে থাকবে না ।
• কোন ছাত্রকে নকলের কারণে বহিষ্কার
করা হলে সে এই decision এর বিরুদ্ধে hall
super (third umpire) এর নিকট appeal
করতে পারবে (DRS) ।
• কোন ছাত্র যদি সময়ের আগে খাতা জমা দেয়
তাহলে তার জন্য বোনাস mark ৫।
• প্রত্যেক room ই cheer girl থাকবে। যখনই
extra paper নেওয়া হবে তারা নাচবে ।