a পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আওয়ামী লীগের কেউ না: আব্দুর রহমান
ঢাকা শনিবার, ৯ কার্তিক ১৪৩২, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আওয়ামী লীগের কেউ না: আব্দুর রহমান


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শনিবার, ২০ আগষ্ট, ২০২২, ০৫:৩৫
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড এ কে আব্দুল মোমেন আওয়ামী লীগের কেউ না আব্দুর রহমান

ফাইল ছবি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আওয়ামী লীগের কেউ না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‌‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আমাদের দলের কেউ না। তার বক্তব্যের দায়ভার আওয়ামী লীগ নেবে না।’

আজ শনিবার দুপুরে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ১৫ আগস্ট নিয়ে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, ‘চট্টগ্রামে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আওয়ামী লীগের দলীয় বক্তব্য নয়। আওয়ামী লীগ জনগণের দল, সুতরাং কোনো দেশের সমর্থনে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা নির্ভর করে না।’

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখতে যা যা করা দরকার, সেটি করতে ভারতবর্ষ সরকারকে অনুরোধ করছি।’

তার এসব বক্তব্যে দেশে সমালোচনার ঝড় বইছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে সমালোচনা। এতে আওয়ামী লীগও বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বিএনপির সমাবেশের ওপরে ড্রোন, আতঙ্কে অনেকে সমাবেশস্থল ছেড়ে যান


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শুক্রবার, ১২ আগষ্ট, ২০২২, ০৪:১৫
বিএনপির সমাবেশের ওপরে ড্রোন, আতঙ্কে অনেকে সমাবেশস্থল ছেড়ে যান

ফাইল ছবি

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সড়কে সমাবেশ করেছে বিএনপি।এই সমাবেশের ওপরে একাধিক ড্রোন উড়তে দেখা গেছে। এতে অনেকের মাঝে সন্দেহ আর আতঙ্ক দেখা দেয়। ড্রোন উড়তে দেখে অনেকেই সমাবেশস্থল ছেড়ে চলে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশের ঠিক ওপরে পল্টন পলওয়েল ও চায়না টাউন মার্কেট বরাবর কয়েকটি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। এগুলো নির্দিষ্ট স্থানে স্থির হয়ে থাকে। তবে এসব ড্রোনে ক্যামেরা ছিল কি না- তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে ‘জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, গণপরিবহণের ভাড়া বৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশের গুলিতে নুরে আলম ও আব্দুর রহিমের হত্যার প্রতিবাদে’ এই সমাবেশ ডাকা হয়।

সমাবেশের জন্য দলীয় কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। সকাল থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

নাইটিংগেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত দুই পাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে জাসাসের আয়োজনে গান, দলীয় সংগীত, কবিতা আবৃত্তির আয়োজন করা হয়। দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হয়।

এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়। সূত্র: যুগান্তর

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপ সত্যিই ঐক্যবদ্ধ?


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ২৫ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ১১:০০
রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপ সত্যিই ঐক্যবদ্ধ

ফাইল ছবি

বছর তিনেক আগে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোকে 'মৃতপ্রায়' বলে মন্তব্য করেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ওই সময় দ্য ইকোনমিস্ট সাময়িকীকে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ইউরোপ নিজের নিরাপত্তার জন্য আর ন্যাটোর ওপর নির্ভর করে না। তার এ মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে হইচই পড়ে গিয়েছিল।

এরপর একে একে বেশকিছু বৈশ্বিক সংকট দেখা দেয়। এর মধ্যে আছে- করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ ও জ্বালানি সংকট।

বিশেষ করে এক বছর আগে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে রুশ জ্বালানির ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউরোপে জ্বালানি সংকট দেখা দেয়। মহাদেশটি এ সংকট মোকাবিলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে দ্রুত ঝুঁকে পড়ে। কিন্তু নিজেদের নিরাপত্তার বিষয়ে মৌলিক প্রশ্নে ইউরোপ এখনো দ্বিধা-বিভক্ত।

হেলেনিক ফাউন্ডেশন ফর ইউরোপিয়ান অ্যান্ড ফরেন পলিসির পরিচালক জর্জ পাগুলাতোস আলজাজিরাকে বলেন, 'আমি মনে করি, ইউরোপের ঐক্য দুর্বল হয়ে গেছে। ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির ইতালি মিলে তাদের পররাষ্ট্রনীতি ঠিক করতেন। তারা ইউরোপের একতা তৈরিতে চালকের ভূমিকা পালন করেছিলেন।'

কিন্তু গত জুলাইয়ে আস্থা ভোটে হেরে যান দ্রাঘি। তার পরিবর্তে ক্ষমতায় আসেন চরম ডানপন্থি ও জর্জিয়া মেলোনি।

গত এপ্রিলের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ফ্রান্সে ম্যাক্রোঁবিরোধীরা জয়লাভ করেন। ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা দিতে অনীহা প্রকাশ করায় জার্মানিকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।

জর্জ পাগুলাতোস মনে করেন, ইউরোপের মনোবল এর কেন্দ্র থেকে সরে মহাদেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলে সরে গেছে। সেখানকার দেশগুলো চায় যেকোনো মূল্যে ইউক্রেন জয়ী হোক এবং রাশিয়া পরাজিত হোক।

ফিনিশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের রিসার্চ ফেলো মিনা অলান্দার আলজাজিরাকে বলেন, 'বাল্টিক, নর্ডিক ও মধ্য ইউরোপের দেশগুলো এখন পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা বিষয়ে আগের চেয়ে বেশি ন্যাটোমুখী। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তাদের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অংশীদার। ফ্রান্স ও জার্মানি এ বিষয়ে নীরব।'

গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পোল্যান্ডে এসে সেই দেশের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, 'বৈশ্বিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষমতা আমেরিকার আছে।'

প্রতিবেদন অনুসারে, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর থেকে পূর্ব ইউরোপের সদস্য দেশগুলোতে সেনা সংখ্যা ৪ গুণ বাড়িয়েছে। পাশাপাশি আরও ৩ লাখ সেনাকে প্রস্তুত রাখার ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।

তবে ইউক্রেন যুদ্ধের আগে ইউরোপ নিজেদের প্রতিরক্ষা নিয়ে একতা দেখাতে পারেনি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) হাইরিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেফ বোরেল বলেছিলেন, 'যারা আমাদের হুমকি দেয় তাদের ওপর চাপ সৃষ্টির ক্ষমতা আমরা রাখি। আমরা শক্তিশালী হচ্ছি।'

তবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সর্বসম্মতভাবে নিষেধাজ্ঞা দিতে ইইউকে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। এমনকি ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা পাঠনোর বিষয়েও এই মহাদেশীয় জোটে বিভেদ দেখা গেছে।

গত জানুয়ারিতে জরিপ সংস্থা ইউরোস্কোপিয়া জানিয়েছে, অস্ট্রিয়ায় ৬৪ শতাংশ, জার্মানির ৬০ শতাংশ, গ্রিসের ৫৪ শতাংশ, ইতালি ও স্পেনের ৫০ শতাংশ মানুষ ভূমির বিনিময়ে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিতে পৌঁছানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - রাজনীতি