a
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার দুপুরে বিএনপির বিজয় র্যালি শুরুর পূর্বে উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘একাত্তরের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই সরকারের মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসপাতালে। আমরা এমনই একটি সময় এই বিজয় র্যালি করছি। তাই এই র্যালি আমাদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে যে রাষ্ট্র অর্জন করেছিলাম তার লক্ষ্য ছিল আমরা একটি নিরাপদ রাষ্ট্র পাবো। আমরা কথা বলার অধিকার পাবো, রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের অধিকার পাবো। কিন্তু এই সরকার একটি বাকশালী রাষ্ট্র কায়েমের লক্ষ্যে এদেশের জনগণকে জিম্মি করে ক্ষমতার চেপে বসে আছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার আমাদের সকল অধিকার ধ্বংস করে দিয়েছে। রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে মানুষের অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়েছে।’
এর আগে রোববার দুপুর ২ টায় র্যালি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়া পল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। দুপুর দেড়টার মধ্যেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে একদিকে নাইটেঙ্গেল মোড় অন্যদিকে ফকিলাপুল মোড় পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মী দিয়ে ভরে যায়।
বিএনপির বিজয় র্যালিতে আসা নেতাকর্মীরা 'স্বাধীনতার অপর নাম, জিয়াউর রহমান', 'স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া, লও লও লও সালাম', ‘মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ স্লোগানে পুরো নয়া পল্টন ও এর আশেপাশের এলাকা প্রকম্পিত করে তুলেছেন।
বিজয় র্যালিতে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ টুকু, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি'র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আযম খান, মহানগর উত্তরের সভাপতি আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম প্রমুখ। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
আজ রবিবার রাজধানীর গুলশানে রওশন এরশাদের বাসায় এক সভায় জিএম কাদের ও চুন্নুকে দল থেকে বহিষ্কার করলেন রওশন এরশাদ। জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ ক্ষমতাবলে পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুকে এই বহিষ্কার আদেশ দেন।
সেই সঙ্গে রওশন এরশাদ নিজেকে পার্টির চেয়ারম্যান ও কাজী মামুনুর রশীদকে মহাসচিব হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
আজ রবিবার রাজধানীর গুলশানে রওশন এরশাদের বাসায় এক সভায় তিনি এই ঘোষণা দেন। এসময় দলের বহিষ্কার, প্রত্যাহার হওয়া নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারও করেন তিনি।
রওশন এরশাদ এই ঘোষণা করে বলেন, ‘দলের সংকট নিরসনে ২০/১ ধরার ক্ষমতাবলে জিএম কাদের ও মহাসচিব চুন্নুকে পার্টি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। নেতাকর্মীদের অনুরোধে পার্টির আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত মামুনুর রশীদকে মহাসচিব ঘোষণা করা হলো। যাদের অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে তারা স্বপদে বহাল থাকবেন।’
এই ঘোষণার আগে সভায় রওশন এরশাদ বলেন, ‘জাতীয় পার্টির ক্ষতি কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। যাদের বিনা কারণে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের চলে যেতে দিতে পারি না, তাই আজ পার্টিকে রক্ষার জন্য কিছু সাংগঠনিক ব্যবস্থা ঘোষণা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি ক্রান্তিকাল পার করছে। নির্বাচনে ২৮৭ আসনে প্রার্থী দিয়ে তারা আবার সমঝোতা করেছে ২৬ আসনে। চেয়ারম্যান-মহাসচিব খোঁজখবর না নেওয়ার কারণে সবার ভরাডুবি হয়েছে। পরাজিতদের সান্ত্বনা না দিয়ে করা হয়েছে বহিষ্কার। তাদের এই আদেশ বাতিল করতে অনুরোধ করা হলেও তারা সেই কথা রাখেনি।’সূত্র: বিডি প্রতিদিন
সংগৃহীত ছবি
‘জিনের আছরে’ রাতের অন্ধকারে নারিকেল গাছের মাথায় উঠে বসে আছে তাহমিনা (২২) নামের এক নারী। এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা গাছে উঠে কৌশলে নামিয়ে আনেন ঐ নারীকে।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বেগমপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাত ৯টার দিকে এধরণের ঘটনা ঘটে। তাহমিনা ওই গ্রামের মো. হাসানের স্ত্রী।
মো. হাসান এ বিষয়ে বলেন, আমার স্ত্রীর জিনের সমস্যা আছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমি বাজারে যাই। রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয়, তাহমিনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়িতে এসে আশেপাশে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
হাসান বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে শুনি আমার স্ত্রী মেয়ের নাম ধরে ডাকছে। আর বলছে আমাকে নামাও, ওরা আমাকে নিয়ে গেল। তার এ কথা শুনে বাড়ির পাশে নারকেল গাছে টর্চলাইট মেরে দেখা যায়, সে গাছের মাথায় বসে আছে। তখন তাকে গাছ থেকে নামানোর চেষ্টা করেও পারা যায়নি। উপায় না পেয়ে মহেশপুর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে নামিয়ে দেয়।
মো. হাসান বলেন, স্ত্রীর এ সমস্যার জন্য অনেক কবিরাজ দেখিয়েছি কিন্তু তাতেও সুস্থ হচ্ছে না।
মহেশপুর ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার রমেশ কুমার সাহা এ ঘটনার বিষয়ে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে একটা ফোন আসে এক নারী নারিকেল গাছের মাথায় উঠে আর নামতে পারছেন না। পরে সেখানে গিয়ে ৪০ মিনিটের চেষ্টায় তাকে গাছ থেকে নামিয়ে আনা হয়।