a
ফাইল ছবি
ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট সি ডিকসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির প্রতিনিধি দল। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকায় অবস্থিত ব্রিটিশ হাইকমিশনে এ বৈঠক হয়। বৈঠকের পর বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তোলা ছবি যুক্ত করে একটি টুইট করেছেন রবার্ট ডিকসন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও বিএনপি নির্বাহী কমিটি সদস্য তাবিথ আউয়াল প্রমুখ। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
আগামী .১২ জুলাই, বুধবার ঢাকায় সমাবেশ করে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেবে বিএনপি। ঢাকার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করেছে দলটি। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোও একই দিন ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে সমাবেশ করে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেবে।
বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাংগঠনিক যৌথসভায় দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানও এ বিষয়ে কথা বলেছেন।
১২ জুলাই থেকে নতুন পর্যায়ের আন্দোলনের ঘোষণা আসছে বলে জানান আমানউল্লাহ। নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘১২ জুলাইয়ের সমাবেশে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে আপনাদের আসতে হবে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থাকতে হবে। সেখান থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নতুন পর্যায়ের আন্দোলনের ঘোষণা দেবেন।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনের ঘোষণায় তাঁদের নতুন কর্মসূচিও থাকবে। তাঁরা এই সমাবেশের প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছেন।
সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে সমমনা কয়েকটি জোট ও দলের সঙ্গে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে গত ডিসেম্বর থেকে। অনেক দিন ধরে তাঁরা এক দফার আন্দোলনে যাওয়ার কথা বলে আসছিলেন।
বিএনপির নেতারা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের মাত্র ছয় মাস বাকি। এই অল্প সময়ের মধ্যে তাঁদের আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নেওয়ার তাগিদ থেকে এখন এক দফার আন্দোলনের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন তাঁরা।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান সভায় বলেন, এই সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন করতে চাচ্ছে। তেমন কোনো নির্বাচন এই দেশে হবে না। জনগণ সেই নির্বাচন করতে দেবে না।
সরকার পতনের দাবিতে শুধু দলের নয়, সাধারণ মানুষও মাঠে নেমে এসেছেন বলে দাবি করেন এই বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, ‘আগামী ১২ জুলাই থেকে আন্দোলনের কর্মসূচি সফল করার মাধ্যমে, নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার কায়েম করে এক দফা বাস্তবায়ন না করে ঘরে ফিরব না।’
সভায় বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে নেতা-কর্মীদের ১২ জুলাইয়ের কর্মসূচিতে আসার আহ্বান জানান। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সাত দিন কষ্ট করবেন, সারা জীবন ভালো থাকবেন। সেই প্রস্তুতি নেন। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে অবৈধ সরকারের পতন ঘটাব। গত ১৫ বছর অনেক কষ্ট করেছেন। এখন কিন্তু ফসল ঘরে তোলার সময়। সকল ইউনিট নিয়ে নাইটিঙ্গেল মোড়ে উপস্থিত হতে হবে।’ সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি
সরকারি ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চাওয়া ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবশেষে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন জেলা প্রশাসন। নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলায় বাস করেন বৃদ্ধ ফরিদউদ্দিন আহমেদ। কিছুদিন আগে ফরিদউদ্দিন আহমেদ সরকারি হটলাইন ৩৩৩ নম্বরে কল করে খাদ্য সহায়তা চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সহায়তা পাননি বরং তাকে জরিমানা হিসেবে ১০০ জনকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে হয়েছিলো।
এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাইন গতকাল রবিবার সকালে জানিয়েছেন বয়োজ্যেষ্ঠ ফরিদউদ্দিনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
ডিসি বলেন, ফরিদউদ্দিনের পরিবারের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রথমে খবর বের হয়েছিল তিনি একজন বাড়িওয়ালা হয়েও ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্য সহায়তা চেয়েছেন এজন্য তাকে জরিমানা করা হয়েছিল এতে তিনি অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হন। পরে বিষয়টির সত্যতা খুজে বের করে তাদের যে পরিমাণ খরচ হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আজ সোমবারের মধ্যেই সেসব ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আছে ১৬ বছর বয়সি প্রতিবন্ধী ছেলে, স্নাতক পড়ুয়া মেয়ে ও স্ত্রী। জানা যায়, তিনি এক সময় হোসিয়ারি কারখানায় কাটিং মাস্টার হিসেবে কাজ করতেন। তিনবার ব্রেনস্ট্রোক করার পর এখন কাজ করতে পারেন না। এখন মাসে মাত্র আট হাজার টাকা বেতনে সেই কারখানাতেই শ্রমিকদের দেখবালের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমান করোনাকালীন মহামারিতে সংকটে পড়ে নিরুপায় হয়েই জাতীয় কলসেন্টারের ৩৩৩ নম্বরে কল করে খাদ্য সহায়তা চেয়েছিলেন তিনি। ওই কলই তার জীবনে কাল হয়েছিল।
সরকারি সহায়তার আশায় তিনি কল করেছিলেন ওই নম্বরে। কিন্তু সহায়তা তো পাননি, উল্টো তিনি চারতলা ভবনের মালিক এমন তথ্যের কারণে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে তাকে। স্থানীয় লোকদের থেকে ধার করে তিনি জরিমানা পরিশোধ করেছিলেন বলে জানান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরার নির্দেশে তাকে ১০০ জনের মধ্যে চাল, আলু, ডাল, লবণ ইত্যাদি খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতে হয়েছিলো।