a বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বৈঠক
ঢাকা বুধবার, ২৭ কার্তিক ১৪৩২, ১২ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বৈঠক


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:১৭
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বৈঠক

ফাইল ছবি

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট সি ডিকসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির প্রতিনিধি দল। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকায় অবস্থিত ব্রিটিশ হাইকমিশনে এ বৈঠক হয়। বৈঠকের পর বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তোলা ছবি যুক্ত করে একটি টুইট করেছেন রবার্ট ডিকসন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও বিএনপি নির্বাহী কমিটি সদস্য তাবিথ আউয়াল প্রমুখ। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ভারত উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের পুরো সময়টাই ছিল ষড়যন্ত্র, যা পারিবারিক জীবন থেকে জাতীয় জীবন পর্যন্ত বিস্তৃত!


কর্নেল(অব.) আকরাম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ১০:২৬
ভারত উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের পুরো সময়টাই ছিল ষড়যন্ত্র, যা পারিবারিক জীবন থেকে জাতীয় জীবন পর্যন্ত ব

ছবি সংগৃহীত

 

কর্নেল(অব.) আকরাম: ষড়যন্ত্র আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি পারিবারিক জীবন থেকে শুরু করে জাতীয় জীবন পর্যন্ত বিস্তৃত। আমাদের জাতি অতীতে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে এবং এর ফলে সীমাহীন কষ্ট ভোগ করেছে। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় ষড়যন্ত্র আমাদের জাতীয় জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অধ্যায় হয়ে উঠেছে।  

ভারতে মুসলিম শাসনের সময় ষড়যন্ত্র ছিল একটি সাধারণ ঘটনা। প্রাসাদ অভ্যন্তরের কূটচাল এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্বের মাধ্যমে বহু শাসকের পরিবর্তন ঘটেছে। পুরো মুসলিম শাসনামলেই রাজপ্রাসাদের অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র শাসকের পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রেখেছিল। তবে এই সময়ে বাইরের কোনো শক্তির সরাসরি হস্তক্ষেপের নজির ইতিহাসে ছিল না।  

বিদেশি শক্তির প্রথম প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্র দেখা যায় বাংলায়, যখন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে পড়ে। কোম্পানি নবাবের সেনাপ্রধান মীরজাফর এবং মুর্শিদাবাদের হিন্দু ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক অভিজাতদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলার শাসনভার দখল করে। মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতা এবং মুর্শিদাবাদের হিন্দু ব্যাংকারদের সহযোগিতার ফলে বাংলার স্বাধীনতা হারায়, আর ভারতবর্ষের মুসলমানরা প্রায় দুইশত বছরের জন্য ব্রিটিশদের দাসে পরিণত হয়।  

পলাশীর যুদ্ধের পরিণতি এতটাই ভয়াবহ হয়েছিল যে, পুরো ভারতবর্ষের মুসলমানরা সমাজের নিপীড়িত শ্রেণিতে পরিণত হয় এবং ব্রিটিশ শাসনামলে একের পর এক ষড়যন্ত্রের শিকার হতে থাকে। কলকাতার হিন্দু অভিজাত সম্প্রদায় বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করে এবং ১৯১১ সালে ব্রিটিশদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে এটি বাতিল করতে বাধ্য করে। কিন্তু ১৯৪৭ সালে একই হিন্দু অভিজাত শ্রেণি বাংলাকে একত্রিত রাখতে দেয়নি। এটি ছিল কংগ্রেসের হিন্দু নেতাদের গভীর ষড়যন্ত্র।  

ভারতের মুসলমানরা ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের জন্ম পর্যন্ত একের পর এক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর, পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যবিত্ত শ্রেণি নতুন সুযোগের সন্ধান পায় এবং উন্নতির স্বপ্ন দেখে। কিন্তু স্বাধীনতার শুরু থেকেই ভারত ষড়যন্ত্রমূলক নীতি গ্রহণ করে পাকিস্তানকে বিভক্ত করার পরিকল্পনা করে। ভারত দ্রুত সোভিয়েত-সমর্থিত কমিউনিস্ট দল এবং সদ্য প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে।  

ভারতের ষড়যন্ত্র তখনই প্রকট হয়ে ওঠে যখন শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের প্রধান নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ছিল ভারতের ষড়যন্ত্রের স্পষ্ট প্রমাণ। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। এই সুযোগে শেখ মুজিব তার ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করেন, যা পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের কাছে ‘ম্যাগনা কার্টা’ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে।  

ছয় দফা দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং ভারত-সমর্থিত আওয়ামী লীগের চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলো পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার জন্য সক্রিয় হতে শুরু করে। আবদুর রাজ্জাক ও সিরাজুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে কয়েকজন তরুণ নেতা স্বাধীনতা আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু গঠন করেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবের নেতৃত্বে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে, কিন্তু পাকিস্তানের সামরিক-রাজনৈতিক অভিজাত শ্রেণি ষড়যন্ত্র শুরু করে। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিবর্তে তারা পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ওপর দমন-পীড়ন চালায়।  

এই সুযোগে ভারত দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যায়। মাত্র নয় মাসের মধ্যে ভারত ও সোভিয়েত রাশিয়ার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পাকিস্তান বিভক্ত হয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়। ভারতের ষড়যন্ত্র সফল হয় এবং তারা বাংলাদেশকে একটি আজ্ঞাবহ রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করে।  

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের ষড়যন্ত্র পুরনো সামাজিক কাঠামো, ইসলামী ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে ধ্বংস করার দিকে মোড় নেয়। কথিত ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’ এর মাধ্যমে সমাজের ধর্মীয় মূল্যবোধকে দুর্বল করা হয়। গত পাঁচ দশকে আমরা সমাজের নৈতিক অবক্ষয়, শিক্ষার মানের বিপর্যয় এবং আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে আমাদের অযোগ্যতার প্রমাণ পেয়েছি। ভারতের ষড়যন্ত্র এতটাই সফল হয়েছে যে, আমরা কখনো তা বুঝতে পারিনি।  

আমাদের রাজনৈতিক নেতারা, জিয়াউর রহমান ছাড়া, ভারতের ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতিকে বিশ্লেষণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ভারতীয় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে জিয়াউর রহমান নিহত হন। গত ৫৪ বছরে আমরা ভারতের ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত হতে পারিনি, বরং প্রতিবার তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছি।  

বেগম খালেদা জিয়া দুইবার জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এলেও, দুবারই তার নিজের নিয়োগকৃত সেনাপ্রধানদের ষড়যন্ত্রের শিকার হন। উভয় ক্ষেত্রেই ভারতের হাত ছিল, কিন্তু তার গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক এটি আগে থেকে বুঝতে পারেনি। ফলাফল—আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন।  

২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা তৈরি করলেও এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, বরং সবকিছু আরও জটিল হয়ে উঠছে। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত, আর জাতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।  

ভারতীয় আধিপত্যবাদী রাজনীতি আজও সক্রিয় রয়েছে, অন্যথায় কেন রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের পরিবর্তে ভারতের সমর্থনের প্রত্যাশা করবে? আমরা কি কখনো ভারতীয় আধিপত্যবাদী রাজনীতি থেকে মুক্ত হতে পারব? এটি আজ জাতির সামনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।


লেখক: ড. শেখ আকরাম আলী
লেখক ও আন্তর্জাতিক কলাম লেখক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জামালপুরে আবারও লক ডাউন


জামালপুর জেলা প্রতিনিধি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৫ জুন, ২০২১, ০১:১৯
জামালপুরে আবারও লক ডাউন

ফাইল ছবি

জামালপুর জেলার অধিনে পৌরসভা সমুহে গতকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে আগামী ৩০ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত লক ডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জামালপুর জেলা প্রশাসন। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয় জামালপুর জেলাধীন পৌরসভা এলাকায় করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি উচ্চ ঝুকিসম্পন্ন বিবেচনা করে এই লকডাউন ঘোষনা করা হয়। জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে ১০ বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়।

১। কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির বাসস্থান লকডাউনের আওতাভুক্ত থাকবে। উক্ত সময়ে আক্রান্ত ব্যক্তি ও পরিবারের সকলকে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনপূর্বক সার্বক্ষণিক গৃহে অবস্থান করতে হবে। কোনোক্রমেই বাড়ির বাইরে অবস্থান করা যাবে না।

২। সকল পর্যটনস্থল, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

৩। জনসমাবেশ হয় এ ধরণের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি) রাজনৈতিক, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।

৪। সকাল ৬:০০ টা হতে সন্ধ্যা ৬:০০ টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট, শপিংমল খোলা রাখা যাবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ করে দেয়াসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঔষধের দোকানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে।

৫। জরুরি পরিসেবা (যেমন বিদ্যুৎ, গ্যাস, কৃষিপণ্য পরিবহন, পশুখাদ্য ইত্যাদি) ও জরুরি প্রয়োজন (যেমন ঔষধ ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) ব্যতীত কেউ সন্ধ্যা ৭:০০ টা হতে সকাল ৬:০০ টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে অবস্থান করতে পারবেন না।

৬। হোটেল, রেস্তোরা, খাবারের দোকানসমূহ শুধু পার্সেল, টেকওয়ে, অনলাইন অর্ডার বা হোম ডেলিভারী সেবা প্রদান করতে পারবে। কোন অবস্থাতেই উক্ত স্থানসমূহে বসে খাবার গ্রহণ করা যাবে না।

৭। বাস, মাইক্রোবাস ইত্যাদি গণপরিবহনসমূহ নির্ধারিত আসন সংখ্যার অর্ধেক নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যদিধি মেনে চলতে হবে।

৮। সিএনজি অটোরিক্সা, ইঞ্জিনচালিত রিকশা, অন্যান্য রিকশাসমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু ০২জন যাত্রী বহন করতে পারবে। সিএনজি ও অটোরিক্সাসমূহ কোনোক্রমেই সামনের সিটে যাত্রী বহন করতে পারবে না।

৯। কাঁচা বাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৬:০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬:০০ টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে।

১০। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সরকার কর্তৃক জারিকৃত অন্যান্য নির্দেশনাসমূহ এ বিধিনিষেধের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।

প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশে অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - রাজনীতি