a
রওশন এরশাদ । ফাইল ছবি
রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদকে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাতে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি শুনেছি, তাকে সিএমএইচে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে সেখানে ভর্তি হওয়া বিশেষ কিছু না। আগামীকাল (শুক্রবার) বিস্তারিত জানতে পারবেন।’
এদিকে জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা এ বিষয়ে জানিয়েছেন, রওশন এরশাদ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিএমএইচে যান।
অন্যদিকে জাপার মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবুল বলেন, ‘তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে আমি এখনও শুনিনি।’
এ বিষয়ে পার্টির সাবেক মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বলেন, ‘সাধারণত তিনি সিএমএইচে নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করেন। নিয়মিত সেখানে যান। তবে আজকে শারীরিকভাবে খারাপ অবস্থা হয়েছে, এমন কিছু শুনিনি।’
তবে রওশন এরশাদের ব্যক্তিগত সহকারী মামুন হাসান এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি আগামীকাল (শুক্রবার) আপনাদের বিস্তারিত জানাতে পারবো। এখন কিছু বলতে পারবো না।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল প্রকল্প ২০২২ সালের জুন মাসে চালু করা হবে। একই সময়ে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেল চালু করা হবে।
আজ রোববার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু চালুর সময়সীমা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। ২০২২ সালের জুন মাসের দিকে এটি চালু করা সম্ভব হবে। একই সময়ে আরও তিনটি প্রকল্প চালু হয়ে যাবে বলে আশা করেন তিনি। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
পদ্মা সেতু ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকার প্রকল্প। এটি বাস্তবায়িত হলে মোংলা বন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। তাতে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়বে বলে সরকার আশা করছে। পদ্মা সেতু চালু হলে এর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হবে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সমীক্ষায় দেখা যায়, ২০২২ সালে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে ওই বছর সেতুতে চলাচল করবে প্রায় ২৪ হাজার যানবাহন। সংখ্যাটি প্রতিবছরই বাড়বে। ২০৫০ সালে প্রায় ৬৭ হাজার যানবাহন চলবে পদ্মা সেতু দিয়ে।
সংগৃহীত ছবি
তোমারই আমি
এম.এস প্রিন্স
সজনী, ফাগুন বলিল কড়া নাড়া দিয়ে-
অপেক্ষায় আছি তোমার পানে হাত বাড়িয়ে।
জবাবে বলে আমি তাঁকে দিয়েছি বিদায়-
"যদি পরাই, মালা পরাবো সজনীর গলায়।"
বিদায় কালে ছিলো কত, লাবণ্য মুখ তাঁর
না আছে, সে কথা বলার বালাই আমার।
যাইবার কালে তবু আশায় গিয়াছে বলে
যদি পারো মুখ ফিরে তাকিও কোনো ছলে।
কিভাবে তাকাবো, আমি আশায় জাল বুনে
তোমার পরশ খুঁজি পৃথিবীর স্তনে।
না জানি তুমি আজ কোথায় কিভাবে
কোন লামা-দেবশ্রীর ভিলা সাজাও ভবে?
আমি আছি, আজও সেই আগেরি মত
যত শোক, যত দুখ আরও আছে যত ক্ষত
ভুলে থাকি, সেই গান সেই চিঠি-কবিতা পড়ে
আলিঙ্গনে মাতিয়া পাণি ভরি আঁধার নীড়ে।
মনে কি পড়ে তোমার বলা সেই কথা!
"দুঃখের কারণ হলে খাবো বাপও মায়ের মাথা।"
আমি তাই মেনে পাখির মত ডানা মেলে
নদীর মত লতার মত গতিচোখ খোলে
নিজেকে দেখিতে লাগি তোমার নূরে
এ যে কত সুখ কত শান্তি জগৎ-সংসারে
নানা ভঙ্গে অঙ্গে অঙ্গে ভাবের মূর্তি জাগায়ে
ইচ্ছে মত বলেছ দিয়েছ শিখায়ে
সুমধুর সম্বোধনে- "তুমি আমার।"
এর থেকে শ্রেষ্ঠ বাক্য শুনিনি জগতে আর।
সঘন পত্রপল্লব ছায়ার মত আমি স্বপনে
সৌন্দর্যের পৃথিবী এঁটে চলেছি আনমনে।
শাড়ি কেমন কেমন বেণী চলনবলন
গেঁথেছি তাতে আরও যত তোমার সৃজন
ভাবি-নাই কভু তাই হবে জীবনের কাল
থেমে গেছে জীবন, নেই জীবনের হাল।
একা, আমি একা আজ পৃথিবী আঁধার
ভাবি তবু ফিরে এসে বলবে- তুমি আমার।
আমি সেই সুখে সেই গানে সেই সুমধুরে
বরণ করে নিবো - নয়নে নয়ন ফিরে
সবুজ সবুজের ছায়
মিশে রব ছবি হব তুমি আমি পৃথিবীর নায়।