a
রওশন এরশাদ । ফাইল ছবি
রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদকে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাতে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি শুনেছি, তাকে সিএমএইচে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে সেখানে ভর্তি হওয়া বিশেষ কিছু না। আগামীকাল (শুক্রবার) বিস্তারিত জানতে পারবেন।’
এদিকে জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা এ বিষয়ে জানিয়েছেন, রওশন এরশাদ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিএমএইচে যান।
অন্যদিকে জাপার মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবুল বলেন, ‘তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে আমি এখনও শুনিনি।’
এ বিষয়ে পার্টির সাবেক মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বলেন, ‘সাধারণত তিনি সিএমএইচে নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করেন। নিয়মিত সেখানে যান। তবে আজকে শারীরিকভাবে খারাপ অবস্থা হয়েছে, এমন কিছু শুনিনি।’
তবে রওশন এরশাদের ব্যক্তিগত সহকারী মামুন হাসান এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি আগামীকাল (শুক্রবার) আপনাদের বিস্তারিত জানাতে পারবো। এখন কিছু বলতে পারবো না।’
ফাইল ছবি
সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির এক দফা দাবি আদায়ে ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ অভিমুখে রোডমার্চ শুরু করেছে বিএনপি।
রোববার (১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে উদ্বোধনী সমাবেশের পর রোডমার্চ শুরু হয়।
ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জে ১১৪ কিলোমিটার পথে ময়মনসিংহের চুরখাই বাজার, সম্ভুগঞ্জ চায়না মোড়, ঈশ্বরগঞ্জ, ময়মনসিংহ উত্তরসহ কয়েকটি স্থানে পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। পরে কিশোরগঞ্জের লতিফাবাদ চক্ষু হাসপাতাল সংলগ্ন ময়দানে সমাপনী সমাবেশের মাধ্যমে রোডমার্চ শেষ হবে।
রোডমার্চে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য ড. আবদুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান। উদ্বোধনী সমাবেশে তারা বক্তব্য প্রদান করেন। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি । ইয়োসি কোহেন
দীর্ঘ সময় ধরে ইসরায়েলি গোয়েন্দারা কীভাবে ইরানে গোপন অভিযান চালিয়ে আসছেন, তার বিশদ বিবরণ তুলে ধরেছেন সেখানকার গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের সদ্য বিদায়ী প্রধান ইয়োসি কোহেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইরানের পরমাণু আর্কাইভে ঢুকে কীভাবে হাজার হাজার নথি বের করে নেওয়া হয়েছে, তার রোমহর্ষ বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।
ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনা ধ্বংস এবং একজন পরমাণুবিজ্ঞানী হত্যায় ইসরায়েলের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিতও দিয়েছেন ইয়োসি কোহেন।
গতকাল শুক্রবার (১১ জুন) বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরায়েলের চ্যানেল ১২–এর ইউভডা ডকুমেন্টারি প্রোগ্রামে সাংবাদিক ইলান ডায়ানকে ওই সাক্ষাৎকার দেন কোহেন। ওই ডকুমেন্টারি ইসরায়েলি টেলিভিশনে স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার (১০ জুন) রাতে সম্প্রচার করা হয়।
সাক্ষাৎকারে মোসাদের কার্যক্রমের গোপন অনেক তথ্যও সামনে চলে এসেছে। কোহেন ৫ বছরের বেশি সময় ধরে মোসাদকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর গত সপ্তাহে অবসরে যান।
জানা যায়, ২০১৮ সালে ইরানের ওয়্যারহাউসে হামলা চালিয়ে পরমাণু কর্মসূচিসংক্রান্ত হাজার হাজার নথি চুরি করে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। ২০১৮ সালে নেতানিয়াহু এক সংবাদ সম্মেলনে চুরি করা ওই সব নথি দেখিয়ে দাবি করেছিলেন, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। তবে ইরান বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
সাক্ষাৎকারে কোহেন বলেছেন, ‘ওই অপারেশন পরিকল্পনা করতে দুই বছর সময় লেগেছিল মোসাদের। এর সঙ্গে ২০ জন মোসাদ এজেন্ট মাঠপর্যায়ে যুক্ত ছিলেন। অথচ এসব এজেন্টের কেউই ইসরায়েলি নাগরিক ছিলেন না এবং তেল আবিবের কমান্ড সেন্টার থেকে গোয়েন্দা প্রধান এসব অপারেশন দেখছিলেন। এজেন্টরা ওয়্যারহাউস ভেঙে ঢুকে পড়ে ৩০টি সিন্দুক ভাঙেন। স্ক্রিনে যখন ওই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো দেখানো হয়, তা ছিল আমাদের জন্য দারুণ রোমাঞ্চকর।’
তিনি দাবি করেন, ওই অপারেশনে অংশ নেওয়া সব এজেন্ট জীবিত ফিরে এসেছিলেন। তবে কয়েকজন এজেন্টকে ইরান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
বিবিসি জানায়, মোসাদের সাবেক প্রধান হিসেবে গণমাধ্যমের সামনে বিশেষ কিছু বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার ঘটনা একেবারে নতুন নয়। তবে ইয়োসি কোহেনের মন্তব্যে যে মাত্রায় বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে, তা অসাধারণ। কোনো রোমাঞ্চধর্মী গল্পের মতোই কোহেন তাড়ার মুখে এজেন্টদের সিন্দুক ভেঙে ইরানের পারমাণবিক তথ্য বের করে আনার এবং তা দেশের বাইরে পাঠানোর ঘটনা বর্ণনা করেন।
সাক্ষাৎকারে ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর বিষয়টি স্বীকার করার কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন কোহেন। তবে ওই সাক্ষাৎকারটি যথেষ্ট হিসাব–নিকাশ করেই প্রচার করেছে ইসরায়েল। তাদের সামরিক বাহিনীর সেন্সরও পার হয়েছে। এ ছাড়া সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের সময়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের সমঝোতা চুক্তি যখন নতুন করে জীবন পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে, সে সময় সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হলো।
কোহেন তার সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, ‘তিনি ইরানের ওই স্থাপনা সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানেন। এমনকি তিনি ওই স্থাপনার ঘূর্ণমান সেন্ট্রিফিউজের কাছ পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারবেন। ইরান যে সেলার ব্যবহার করে সেটা ঘূর্ণমান। এখন অবশ্য এ ধরনের সেলার ব্যবহৃত হয় না।’
সাক্ষাৎকারে ইরানের পরমাণুবিজ্ঞানী মহসেন ফাখরিজাদেকে নিয়েও কথা বলেন কোহেন। গত বছরের নভেম্বরে তেহরানের বাইরে তার ওপর হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনার জন্য সরাসরি ইসরায়েলকে দোষারোপ করে ইরান। ওই বিজ্ঞানীর মৃত্যুর ঘটনায় সেসময়ে ইসরায়েলের যুক্ত থাকার কথা স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটাই করেননি কোহেন। তবে তিনি বলেন, ওই বিজ্ঞানী দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে ছিলেন। কারণ, তাঁর বৈজ্ঞানিক প্রজ্ঞা মোসাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।