a রওশন এরশাদ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে
ঢাকা সোমবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

রওশন এরশাদ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:১২
রওশন এরশাদ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে

রওশন এরশাদ । ফাইল ছবি

রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদকে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাতে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
 
এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি শুনেছি, তাকে সিএমএইচে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে সেখানে ভর্তি হওয়া বিশেষ কিছু না। আগামীকাল (শুক্রবার) বিস্তারিত জানতে পারবেন।’

এদিকে জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা এ বিষয়ে জানিয়েছেন, রওশন এরশাদ নিয়মিত চেকআপের জন্য সিএমএইচে যান।

অন্যদিকে জাপার মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবুল বলেন, ‘তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে আমি এখনও শুনিনি।’
 
এ বিষয়ে পার্টির সাবেক মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বলেন, ‘সাধারণত তিনি সিএমএইচে নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করেন। নিয়মিত সেখানে যান। তবে আজকে শারীরিকভাবে খারাপ অবস্থা হয়েছে, এমন কিছু শুনিনি।’

তবে রওশন এরশাদের ব্যক্তিগত সহকারী মামুন হাসান এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি আগামীকাল (শুক্রবার) আপনাদের বিস্তারিত জানাতে পারবো। এখন কিছু বলতে পারবো না।’

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জামালপুর ২ আসনে এমপি প্রার্থী এএসএম আবদুল হালিম গুলশান অফিসে সাক্ষাৎকার ও আবেগ আপ্লূত পরিবেশের সাক্ষী


আরাফাত আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ০৪:৪৮
জামালপুর ২ আসনে এমপি প্রার্থী এএসএম আবদুল হালিম গুলশান অফিসে সাক্ষাৎকার ও আবেগ আপ্লূত পরিবেশের সাক্ষ

ছবি সংগৃহীত

প্রিয় ইসলামপুরবাসী, আমার প্রিয় নেতাকর্মীবৃন্দ,
আসসালামু আলাইকুম।

আজ সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ বিভাগ, ফরিদপুর ও কুমিল্লার আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীগণকে গুলশান দলীয় কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এক মতবিনিময় সভায় ডেকেছিলেন।
এ সভায় জনাব তারেক রহমান এক অভূতপূর্ব, আবেগঘন ও নির্দেশমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। এটি শুধু একজন নেতার বক্তব্য নয়, এটি একজন রাষ্ট্রনায়কের ভাষণ। এ ভাষণে আমরা আবেগাপ্লুত না হয়ে পারিনি।

তিনি বলেছেন, নিজেদের অস্তিত্বের জন্য দলকে ভালোবাসতে হবে। দলে অনৈক্য কখনোই কাম্য নয়। দলে শুধু ঐক্য চাই — চাই ইস্পাত-কঠিন ঐক্য। ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, পরস্পরের মধ্যে বিভেদ কখনোই কাম্য নয়। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও বন্ধুত্বই ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে। নেতাকর্মীদের মধ্যে কটু কথা ও অশোভন বচন দলের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনে। এজন্য অশ্লীল বাক্য সর্বদা পরিত্যাজ্য।

তিনি আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, এই দলের, দলের নেতাকর্মীদের জন্য এবং এ দেশের আপামর জনসাধারণের জন্য তার পিতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জীবন দিয়েছেন। তাঁর মাতা, গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়া — যিনি নেতাকর্মী এবং এ দেশের মানুষকে নিজের সন্তানের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন — তিনিও এই জনগণের জন্য ছয়বার মৃত্যুকূল থেকে ফিরে এসেছেন। কিন্তু এদেশের মানুষকে ফেলে তিনি কোথাও যাননি।

দেশমাতার এই নিঃস্বার্থ ত্যাগের তুলনা হয় না। এসব কথা বলতে গিয়ে জনাব রহমান অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি। তিনি বলেন, দল, দলের নেতাকর্মী এবং দেশের সাধারণ মানুষকে ভালোবাসলেই সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হওয়া যায়। দলে বিভেদ কমিয়ে আনতে হলে পরস্পরের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ অন্তরে ধারণ করতে হবে। দলীয় কর্মকাণ্ডে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার বন্ধ রাখতে হবে।

তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দলীয় কোনো কোনো কর্মকাণ্ডে অকারণ মিষ্টান্ন বিতরণ ইত্যাদি তাঁকে ক্ষুব্ধ করেছে। এজন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের কাজ না হয়, সে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও দুঃখ প্রকাশ করেছেন এই কারণে যে, আজকের সভায় শুধুমাত্র প্রার্থীদের ডাকা হয়েছিল; কিন্তু অনেকেই অনেক নেতাকর্মীকে সঙ্গে এনেছেন, ফলে রাস্তায় এবং অফিস প্রাঙ্গণে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে, এমনকি যান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটেছে। এজন্য তিনি ক্ষুব্ধতা ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভবিষ্যতে এমনটি না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

দলকে তিনি তাঁর বক্তব্যে আমাদের নিজ নিজ সন্তানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এই সন্তানকে লালন-পালন করা, বড় করে তোলা, সুষ্ঠুভাবে গড়ে তোলা, এর নিরাপত্তা ও মঙ্গল দেখা — এ দায়িত্ব আমাদের, দলীয় নেতাকর্মীদের। দলের প্রতি আমাদের সবার স্নেহ, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা থাকা বাঞ্ছনীয় এবং কর্তব্য।

মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনোনয়ন প্রসঙ্গে বলেন, যেসব নির্বাচনী এলাকায় একাধিক প্রার্থী রয়েছেন, সেখানে মাত্র একজনকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। এর ব্যত্যয় ঘটানোর কোনো সুযোগ নেই। কাজেই একজন খুশি হবেন, অন্যজন নমিনেশন না পেলে অখুশি হবে — এটাই স্বাভাবিক। দলের স্বার্থে এবং দেশের স্বার্থে আমাদের এটি মেনে নিতে হবে। এজন্য পরস্পরের মধ্যে হিংসা, বিবাদ বা অনৈক্য সৃষ্টি করা যাবে না।
কারো প্রতি কোনো কটু কথা বা অশালীন বাক্য ব্যবহার করা ঠিক হবে না। মনে রাখতে হবে, মানুষের মনে দুঃখ দেওয়া দৈহিক আঘাতের চাইতেও অনেক কঠিন ও ক্ষতিকর।

মাননীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজকে যে ভাষণ দিয়েছেন, তা দিকনির্দেশনামূলক তো বটেই — তার এই ভাষণের মধ্যে অন্তর্নিহিত রয়েছে বাংলাদেশের গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা। আগামী দিনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যেন সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে, সে লক্ষ্যেই তিনি শুধু একজন সত্যিকারের নেতার মতো নয় — একজন রাষ্ট্রনায়কের মতো মূল্যবান ভাষণ প্রদান করেছেন।

তবে তিনি মনোনয়ন কবে ঘোষণা করবেন, সে বিষয়ে কিছু বলেননি। সুতরাং, মনোনয়ন নিয়ে কোনো নেতাকর্মীর দুশ্চিন্তার কারণ নেই।

সকলকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানাচ্ছি।
_________________________________________
এ.এস.এম. আব্দুল হালিম
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রাষ্ট্রপতি বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবসে বাণী দিয়েছেন


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ১২ জুন, ২০২১, ১১:২৭
রাষ্ট্রপতি বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবসে বাণী দিয়েছেন

ফাইল ছবি

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ শনিবার ( ১২ জুন) বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে বাণী প্রদান করেছেন: মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেন-
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ বছর বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের আহ্বান, শিশুশ্রমের অবসান’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। জাতিসংঘ ২০২১ সালকে ‘আন্তর্জাতিক শিশুশ্রম নিরসন বছর’ হিসেবে ঘোষণা করায় এ বছরের ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ উদযাপন বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

শিশুশ্রম একটি জাতীয় সমস্যা। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে শিশুর সার্বিক কল্যাণ নিশ্চত করে তাদের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। আর সেজন্যই শিশুশ্রম নির্মূল করে বাধ্যতামূলক শিক্ষাপ্রদানের মাধ্যমে শিশুর যথাযথ বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ এ বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছে। তাই শিশুদের সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করার এখনই সময়। সরকার এসডিজি-বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম-নিরসন এবং ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে সকল ধরনের শিশুশ্রম হতে মুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। সরকার শিশুশ্রম-নিরসনে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অঙ্গীকারবদ্ধ।
 
বাংলাদেশ জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমবিষয়ক আইএলও-কনভেনশন অনুসমর্থনকারী দেশ। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিবিষয়ক এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য শিশুশ্রম-নিরসনকে অন্যতম সূচক হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি United Nations Periodical Review (UPR), European Union এর সাথে প্রণীত National Action Plan on Labour Sector of Bangladesh এ এজেণ্ডাভুক্ত আছে। শিশুশ্রম নিরসনে ২০১০ সালে ‘জাতীয় শিশুশ্রম-নিরসন নীতিমালা’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ নীতিমালা-বাস্তবায়নে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরি ও শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। শিশুশ্রম-নির্মূলে জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে কমিটিগঠনের মাধ্যমে চারস্তরবিশিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া এ বছর ৬টিসহ এ পর্যন্ত মোট ৮টি শিল্পখাতকে শিশুশ্রমমুক্ত করা হয়েছে। আমি আশা করি, সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সকল প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে শিশুশ্রমের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - রাজনীতি