a
ফাইল ছবি
ছাত্রলীগের সাথে সংঘর্ষের ১২ দিন পর গতকাল রজনীগন্ধা নিয়ে ক্যাম্পাসে আসে ঢাবি ছাত্রদল। ‘প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি’র অভিযোগে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসে ছাত্রদল। গতকাল ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষা শেষে কাজী মোতাহার ভবনের সামনে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের রজনীগন্ধা ফুল ও কলম দিয়ে স্বাগত জানায় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। গতকাল ছাত্রদলের এ কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি।
এর আগে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের গেটে অবস্থান নেন ছাত্রদল ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আকতার হোসেন ও সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ফুল নিয়ে ক্যাম্পাসে যাওয়ার সময় প্রথমে বাধা দিলেও পরে পুলিশের সহযোগিতায় তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে।
এ সময় আমানউল্লাহ আমান বলেন, ক্যাম্পাসে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে রাখা হয়েছিল। তবে যতই ভীতিকর পরিস্থিতি থাকুক না কেন, আমরা আমাদের অধিকার চর্চার জন্য প্রাণের ক্যাম্পাসে আসবই। আমরা চেষ্টা করেছি, ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের স্বার্থে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
নাগরিকদের গণতান্ত্রিক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পথে অন্তরায় যে কোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে বিশিষ্ট নাগরিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয়েছে ‘গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি’।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় এক সভা থেকে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়।
আজ শুক্রবার কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সামিনা লুৎফা নিত্রার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটির গঠনের কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাহাড় ও সমতলের সব নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে নিবর্তনমূলক ও জনবিরোধী আইন বাতিল করতে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে, শ্রমিক ও কৃষকের অধিকার রক্ষা করতে এবং দখলদারত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নিশ্চিত করাসহ সব ধরনের গণতান্ত্রিক দাবিতে এই প্ল্যাটফর্ম কাজ করে যাবে।
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি বলেছে, প্রতিটি গণ–অভ্যুত্থানের পর পুনরায় ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হতে দেখা যায়। মানুষের প্রাণের বিনিময়ে অর্জন ব্যর্থ হয়েছে। এবারের গণ–অভ্যুত্থান ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। তাই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সব শক্তির একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম জরুরি। তাই এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, অধ্যাপক তানজিমউদ্দীন খান, সীমা দত্ত, মাহা মীর্জা ও কল্লোল মোস্তফা।
সদস্য হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক আকমল হোসেন, অধ্যাপক মামুন আল রশিদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, মোশাহিদা সুলতানা রিতু, স্নিগ্ধা রেজওয়ানা, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, আশরাফ কায়সার, বিধান রিবেরু, আনিস রায়হান, চৌধুরী মুফাদ আহমেদ, এ এস এম কামাল উদ্দীন, আফজালুর বাসার, মযহারুল ইসলাম বাবলা, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, লেখক ও শিল্পী মোস্তফা জামান, শিল্পী অরুপ রাহী, মফিজুর রহমান লাল্টু, বিথী ঘোষ, সুষ্মিতা রায় সুপ্তি, আজিমুন নুজহাত মণিষা, ওমর তারেক চৌধুরী, জামশেদ আনোয়ার তপন, চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, কামার আহমাদ সাইমন, অধ্যাপক কাজী রফিকুল ইসলাম, বাকী বিল্লাহ, জয়দীপ ভট্টাচার্য, নাসিমুল খবির ডিইক, তসলিমা আক্তার লিমা, জলি তালুকদার, আমেনা খাতুন, সুনয়ন চাকমা, হারুন-অর-রশিদ ভূঁইয়া, মানস নন্দী, শামীম ইমাম, সত্যজিৎ বিশ্বাস, ইকবাল কবীর, আফজাল হোসেন, রাশেদ শাহরিয়ার, আইনজীবী মানজুর আল মতিন, রাগিব নাঈম, সালমান সিদ্দিকী, দিলীপ রায়, সৈকত আরিফ, সায়েদুল হক নিশান, অঙ্কন চাকমা, তাওফিকা প্রিয়া প্রমুখ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামী ২৩ থেকে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকাশ হতে পারে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি থেকে ফলাফল প্রস্তুত করে রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। গত ১৪ নভেম্বর শুরু হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। করোনার কারণে এ বছর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
পরীক্ষায় ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন।