a ১৪৪ ধারা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষকে আটকিয়ে রাখতে পারবেন না: রুমিন ফারহানা
ঢাকা সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩২, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

১৪৪ ধারা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষকে আটকিয়ে রাখতে পারবেন না: রুমিন ফারহানা


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শনিবার, ০৮ জানুয়ারী, ২০২২, ০৮:৫০
১৪৪ ধারা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষকে আটকিয়ে রাখতে পারবেন না: রুমিন ফারহানা

ফাইল ছবি

বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা (এমপি) আজ শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে ২ বার বাধার মুখে পড়েন। পরে বেলা ৩.১০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই এলাকার বটতলীতে সমাবেশস্থলে যোগদান করেন।

বাধা দেওয়ার বিষয়ে আইনিভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির এই নেত্রী। তিনি সমাবেশস্থলের কয়েক শ গজ দূরে নেমে মঞ্চে যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সরকার পতনের ডাক দিয়ে এ সময় তিনি বলেন, ‘একটা একটা রক্তবিন্দুর হিসাব আমরা নেব। এর বিচার নেব। আমি দেখতে পাচ্ছি আপনারা সবাই জেগে উঠেছেন। যত দূর দেখি তত দূরই বিএনপি নেতাকর্মী। তারা পুলিশকে ভয় পায় না, তারা প্রশাসনকে ভয় পায় না।

গতকালকেও পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি করেছে। কিন্তু তারা আমাদেরকে কোনোভাবেই দমাতে পারে নাই।

এ সময় রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আজকের এ সমাবেশ প্রমাণ করে পুলিশ দিয়ে পারবেন না। রাস্তায় রাস্তায় বাধা দিয়েও নেতাকর্মীদের আটকে রাখতে পারেননি।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের অনেক ভয়। দেশনেত্রী ও তারেক রহমানকে ভয়। যে কারণে দেশনেত্রীকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বেগম জিয়া পায়ে হেঁটে কারাগারে গেছেন। এখন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন না। এর জবাব সরকারকে দিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া ক্ষমতায় আছেন। এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটি দেখে যান। আমার কোটি কোটি ভাইয়ের সমর্থন দেখে যান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া তো সেই মাটি, যেখানে মোরগও লড়াই করে বেঁচে থাকে। এখানে ১৯৫২ সালে অলি আহাদ ভাষার জন্য ১৪৪ ধারা ভেঙিছিলেন। এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে ১৪৪ ধারা কাজ করে না। ১৪৪ ধারা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষকে আটকিয়ে রাখতে পারবেন না।’

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

২০২৪ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহতের ৪২২ জনই ছিলেন বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৮:২৭
২০২৪ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহতের ৪২২ জনই ছিলেন বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত

ফাইল ছবি: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ

 

২০২৪ সালে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির রাজনীতি সঙ্গে জড়িত ছিল বলে উল্লেখ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘নিহত ৪২২ জনের নাম-গ্রামসহ সম্পূর্ণ তালিকা আমাদের কাছে আছে। এটি আমাদের ওয়েবসাইট প্রকাশ করা হবে।’

আজ রবিবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী জুলাই গণহত্যায় ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে শহীদ হন ৮৭৫ জন। যার মধ্যে কমপক্ষে ৪২২ জন মানুষ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দেশজুড়ে শহীদ হওয়া সব শ্রেণি-পেশা-রাজনীতির মানুষগুলোর বিশাল অংশ যে বিএনপির নেতাকর্মী-এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং আমাদের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের অনিবার্য ফল।’

তিনি আরও বলেন, ‘পোশাকশ্রমিক কিংবা রিকশাচালক, পাবলিক কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বাম কিংবা ডান আদর্শের অনুসারী, সব মত ও পথের রাজনৈতিক কিংবা অরাজনৈতিক ব্যক্তি-হতাহতের পরিচয় যাই হোক না কেন, প্রতিটি প্রাণের মূল্য ও রক্তের মর্যাদা সমান। আর তাই, সমান গুরুত্বের সঙ্গেই প্রণয়ন করতে হবে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের তালিকা ও নিশ্চিত করতে হবে সুবিচার।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে, ১ দিনে রেকর্ডসংখ্যক ৮২০ ভর্তি


স্বাস্থ্য ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ০৯ জুলাই, ২০২৩, ১০:৩৮
ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে, ১ দিনে রেকর্ডসংখ্যক ৮২০ ভর্তি

ফাইল ছবি

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে, এক দিনে রেকর্ড ৮২০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে হাপাতালগুলোতে। ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার বিস্তার রাজধানী ঢাকাসহ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। সব বয়সের মানুষেরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেও আতঙ্কে রয়েছেন শিশুর অভিভাবকরা। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ৫৭ জেলায় রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে অসংখ্য ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন। তবে সব হিসাব হয়তো সরকারের খাতায় আসছে না। বছরের শুরুতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও মে-জুন মাস থেকে ডেঙ্গু ভয়াবহ হয়ে উঠছে। এ বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬৭ জনের। আর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এ বছরের এক দিনে সর্বোচ্চ ৮২০ ডেঙ্গু রোগী। এর আগে গত ৪ জুলাই এক দিনে সর্বোচ্চ ৬৭৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।

গতকাল শনিবার ঢাকা শিশু হাসপাতালের ওয়ার্ডে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে নিস্তেজ হয়ে শুয়ে আছে আইদান হায়দার। সাত বছর বয়সি শিশু আইদান থাকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর কাদিরাবাদ হাউজিংয়ে। শিশুটির অভিভাবক আনিস রহমান জানান, ‘আইদান ও শিশুটিকে দেখভাল করার কাজে নিয়োজিত বিথী (১৫), দুই জনে বাসার ছাদে বৃষ্টিতে গোসল করতে গেলে তাদের ডেঙ্গু মশা কামড় দেয়। এর একদিন পরেই তাদের দুই জনেরই জ্বর আসে। বর্তমানে তারা দুই জনই শিশু হাসপাতালের ১৬ ও ১৭ নম্বর বিছানায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। জ্বর সেরেছে, তবে চিকিৎসক বলেছেন, তাদের দুই জনের অবস্থায়ই ক্রিটিক্যাল। আমরা অত্যন্ত আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।’    

শিশু হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ড চতুর্থ তলায়  ১০ বছর বয়সি সাজিম ও তার মায়ের সঙ্গে কথা হয়। সাজিম যাত্রাবাড়ীর একটি মাদ্রাসায় আবাসিকে থেকে লেখাপড়া করে। ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার পর তার জ্বর আসে। সাজিমের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। জ্বরের সঙ্গে গায়ে র‍্যাশ দেখা দিলে, ফার্মেসি থেকে ওষুধ এনে খাওয়ান সাজিমের মা। জ্বর না সারায় তারা গত মাসের ২৭ তারিখে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করায় সাজিমকে। শিশুটির অবস্থা খারাপ হওয়ায় কুমুদিনী হাসপাতাল থেকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সাজিমের মা বলেন, ‘ওর বাবা থাকেন সৌদি আরবে, আমি একলা ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে খুব ভয়ে আছি।’      

ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক নিশাত জাহান গণমাধ্যমকে জানান, প্রতিদিনই হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুরা ভীড় করছেন। ডেঙ্গুতে শিশু ও বয়স্করা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি বলেন, চতুর্থ তলায় আমাদের ডেঙ্গু ওয়ার্ড, তবে সেখানে বেড ফাঁকা না থাকায় হাসপাতালের অন্যান্য ওয়ার্ডেও ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশু ভর্তি রয়েছে। তিনি বলেন, এই মাত্র একটি শিশু এসেছে শক সিনড্রোম নিয়ে। জ্বর সেরে যাওয়ার তিন দিন পরে হাসপাতালে এসেছে, এখন তার অবস্থা খুব একটা ভালো না। তিনি বলেন, এবার জ্বর ছাড়াও পেটে ব্যথা, পাতলা পায়খানা, বমি নিয়ে হাসপাতালে আসছে শিশুরা, আসার পর ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে। 

ডেঙ্গু পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. রাশিদা সুলতানা বলেন, সব হাসপাতাল রেডি রয়েছে। যে কেউ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে, তার চিকিৎসা দিতে হবে। সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া আছে। উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সবাইকে সেবা নিতে হবে। আমি বলব, সবাইকে মশারি টানিয়ে ঘুমাতে। নিজবাড়ির আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখারও পরামর্শ দেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - রাজনীতি