a ভাতা বাড়ানোর দাবিতে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

ভাতা বাড়ানোর দাবিতে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক::
বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২, ০৮:৫০
ভাতা বাড়ানোর দাবিতে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ

ফাইল ছবি

পূর্ব নির্ধারিত মাইল-এজ বা ভাতা বাতিল করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। 

আজ বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বরত মাস্টার আফসার উদ্দিন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

মাস্টার আফসার উদ্দিন বলেন, রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে ড্রাইভাররা ট্রেন চালানো বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সারা দেশেই ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল ৬টা থেকে দেশের সব জায়গায় একযোগে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। সমাধান হলে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। 

এ সময় কমলাপুর রেলওয়ের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, অনিবার্য কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কখন ট্রেন চলাচল শুরু হবে তা বলা যাচ্ছে না। কেউ চাইলে টিকিট ফেরত দিয়ে কাউন্টার থেকে টাকা নিতে পারেন।
  
এদিকে ভাতা বাড়ানোর দাবিতে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকেও কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। বুধবার সকাল থেকে হঠাৎ করেই ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় শত শত যাত্রীকে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ঈদ যাত্রা হয়রানীমুক্ত, নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে সকলকে সচেতন হতে হবে


সিয়াম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫, ০৫:৫৮
ঈদ যাত্রা হয়রানীমুক্ত, নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে সকলকে সচেতন হতে হবে

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে যাত্রীদের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন, নিরাপদ, যাত্রী হয়রানীমুক্ত টিকেট কালোবাজারী বন্ধ, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ ও সড়ক পথে চাঁদাবাজী বন্ধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন কর্তৃক যৌথভাবে প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করে।

আজ ২৪/৩/২০২৫ইং তারিখে জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আজকের প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সকলকে কৃতজ্ঞ এবং আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে আসন্ন ঈদে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সিনিয়স সহ-সভাপতি ও ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি জনাব এম, এ, বাতেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি জনাব আব্দুর রহিম বক্স দুদু ও সাধারন সম্পাদক জনাব হুমায়ূন কবির খান এবং মোঃ সাইফুল আলম মহাসচিব বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও সাধারন সম্পাদক ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।

জনাব মোঃ সাইফুল আলম বলেন, আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে, আসন্ন পবিত্র ঈদ উপলক্ষ্যে ঢাকা থেকে ঘরমূখী মানুষ তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপন করার জন্য নিজ নিজ গন্তব্যে যাতায়াত করবেন। এই যাত্রাকে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে সকলকে সচেতন করার জন্যই আজকের এই প্রেস ব্রিফিং। ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা থেকে যে পরিমান যাত্রী সড়ক পথে যাত্রা করিবেন, নির্দিষ্ট সংখ্যক গাড়ী দিয়ে কম সময়ে সে পরিমান যাত্রীকে নিরাপদ গন্তব্যে পৌছানো কষ্টদায়ক কাজ। ঈদ যাত্রাকে নির্বিঘ্ন, নিরাপদ, যানজটমুক্ত এবং সড়ক পথে চাঁদাবাজিমুক্ত রাখার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, আইন-শৃংখলা বাহিনী, যৌথবাহিনী এবং মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিসহ দেশের সকল জায়গায় যৌথসভা করা হয়েছে।

আমরা ঢাকাস্থ টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের যাত্রাপথে সার্বিক সহযোগিতায় এবং নিম্নোক্ত বিষয়ে কার্য্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও প্রশাসনের নিকট সবিনয়ে আহবান জানাচ্ছি-
১। ঈদের ৫ দিন পূর্ব হতে ঈদের ১ সপ্তাহ পর পর্যন্ত ঢাকাস্থ সকল বাস টার্মিনাল এবং আশেপাশের এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করতে হবে।
২। ঢাকার চার পাশের চিহ্নিত স্থান সমূহ যেমন: চন্দ্রা, বাইপাল, গাজীপুর বাইপাস, সাইন বোর্ড, শনির আখড়া, কেরানীগঞ্জ, ভূলতা গাউসিয়া, মদনপুর, সাভার, নবীনগর, হেমায়েতপুর এলাকায় স্থানীয় ও হাইওয়ে পুলিশের মাধ্যমে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে যানজটমুক্ত রাখতে হবে।
৩। ইতিমধ্যে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৫ মার্চ ২০২৫ইং থেকে ঈদ পর্যন্ত এবং ঈদের পরের ৩ দিন পণ্যবাহী পরিবহন বন্ধ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
৪। সড়ক ও মহাসড়কে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই বন্ধ সহ সড়ক পথে যে কোন নামে চাঁদাবাজি বন্ধ করার লক্ষ্যে সারা দেশের থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের বিশেষ টহলের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
৫। ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন, নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে যাত্রীদের যাত্রাপথে সহযোগিতার জন্য ঢাকাস্থ সকল টার্মিনালে একটি “হেল্প ডেস্ক” থাকবে। যাদের কাজ হবে যাত্রীদের তাৎক্ষনিক অভিযোগ নিষ্পত্তি ও যাতায়াতে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা। এই “হেল্প ডেস্ক” ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও সংশ্লিষ্ট টার্মিনালের মালিক-শ্রমিকদের সহযোগিতায় সার্বক্ষনিক তদারকিতে নিয়োজিত থাকবেন। যাত্রীদের যে কোন প্রয়োজনে এই “হেল্প ডেস্ক সেবা‘ গ্রহন করার জন্য আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি।
৬। স্ব-স্ব কোম্পানী/কাউন্টারে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট দৃশ্যমান স্থানে টানাইয়া রাখিতে হবে। এর ব্যাত্যয় ঘটলে বা বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে যাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষনিকভাবে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
৭। কোন অবস্থাতেই ফিটনেসবিহীন গাড়ী, লক্কর-ঝক্কর গাড়ী রাস্তায় যাত্রী বহন করিতে পারিবে না । এই বিষয়ে সকল মালিক শ্রমিককে নির্দেশনা দেওয়া হইয়াছে । প্রশাসনকেও ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ জানানো হইয়াছে ।
৮। সিটিতে চলাচলরত গাড়ী দূরপাল্লায় যাত্রী নিয়ে না যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হইয়াছে ।
৯। লাইসেন্সবিহীন/অপেশাদার চালক কোন যাত্রীবাহী বাস না চালানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হইয়াছে।
১০। কোন অবস্থাতেই ঈদ বকশিশ বা অন্য যে কোন নামে যাত্রীদের কাছ থেকে কোন অতিরিক্ত অর্থ চাওয়া যাইবে না বলে সকলকে নির্দেশনা দেওয়া হইয়াছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করিয়া আসিতেছি যে, মাঝে মাঝে কিছু ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া প্রকৃত ঘটনা ও সঠিকভাবে অনুসন্ধান না করে সড়ক পরিবহন সেক্টরের মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দের নাম চাঁদাবাজির খবরের সঙ্গে সংযুক্ত করে শিরোনাম করা হচ্ছে। যাহা তথ্যভিত্তিক ও সত্য নয়। আমরা এ সব খবরের প্রতিবাদ পাঠালেও সংবাদে তা ছাপানো হয় না। যাহা দুঃখজনক এবং প্রকৃত সাংবাদিকতার পরিপন্থি বলে আমরা মনে করি।
বিগত ১৬ বৎসর পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার সড়ক পরিবহন সেক্টরকে দলীয়করনসহ চাঁদাবাজীর স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছিল এবং সকল ক্ষেত্রে একটি বিশৃংখল অবস্থা সৃষ্টি করিয়াছে।

আমরা আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, গত ৫ আগষ্ট'২০২৪ এর পর ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নামে সকল প্রকার চাঁদা বন্ধ ঘোষনা করা হইয়াছে । যাহা অদ্যাবধি বলবৎ আছে। শুধুমাত্র স্ব-স্ব পরিবহন কোম্পানী/কাউন্টার মালিকেরা তাহাদের নিজ নিজ পরিবহন পরিচালনার প্রয়োজনে মালিকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিচালনা ব্যায় মিটাইয়া থাতকেন। এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় মালিক সমিতি বা কেন্দ্রীয় শ্রমিক ফেডারেশন কোনভাবেই সংশ্লিষ্ট বা জড়িত
নয়।

কিন্তু লক্ষ্য করা গিয়াছে যে, স্ব-স্ব পরিবহন কোম্পানী/কাউন্টার পরিচালনার জন্য যে সকল অর্থ আদায় ও ব্যবসা পরিচালনার জন্য খরচ করেন সে সকল অর্থের পরিমান দৈনিক/মাসিক/বাৎসরিক আয় দেখিয়ে একটি বিশাল অংকের দায়ভার কেন্দ্রীয় মালিক সমিতি এবং কেন্দ্রীয় শ্রমিক ফেডারেশনের উপর দায়ভার দেখাইয়া কিছু কিছু সংবাদে খবর ছাপানো হয় । যাহা সম্পূর্ণ অসত্য এবং সঠিক তথ্য ভিত্তিক নয় বলিয়া আমরা মনে করি।

স্ব-স্ব পরিবহন কোম্পানী/কাউন্টার মালিকগন কোম্পানী আইনে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করিয়া থাকেন এবং আয়-ব্যয়ের হিসাবের জবাবদিহিতার দায়ভার তাদের নিজেদের। তারপরও আমরা সমিতিগতভাবে অবৈধ অর্থ আদায় বন্ধ করা বা চাঁদাবাজির নামে অতিরিক্ত কোন অর্থ যাহাতে গাড়ী থেকে আদায় না করা হয় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করি এবং ভবিষ্যতেও করিব।

উল্লেখিত বিষয়টি বিবেচনায় রাখার জন্য সকল সাংবাদিক ভাই ও বোনদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানাইতেছি।

আমরা পরিশেষে বলতে চাই, সড়ক পরিবহন দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। জাতীয় এই যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পণ্য পরিবহনে অত্যান্ত গুরুত্ব ভূমিকা রাখিয়া থাকে। তাই এই সেক্টরকে শৃংখলায়ন, যানজটমুক্ত ও চাঁদাবাজমুক্ত গড়ে তোলার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।

আপনাদের উপস্থিতি আমাদেরকে উৎসাহিত করেছে। ভবিষ্যতে আপনাদের সহযোগিতা এ সেক্টরের উত্তরোত্তর উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করে যাব। প্রেস ব্রিফিং শেষে সকলকে অগ্রীম ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

টিকাদান কর্মসূচিতে কেন্দ্র ও লোকবল বাড়াতে হবে


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ২৮ জুলাই, ২০২১, ১০:৪৯
টিকাদান কর্মসূচিতে কেন্দ্র ও লোকবল বাড়াতে হবে

সংগৃহীত ছবি

করোনার টিকা পাওয়া নিয়ে যে অনিশ্চয়তা ছিল, তা কিছুটা দূর হয়েছে। এর আগে যে পরিমাণ টিকা পাওয়া গেছে এবং যে পরিমাণ টিকা আসার পথে আছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় কম হলেও পরিস্থিতি এখন অপেক্ষাকৃত স্বস্তিদায়ক। বিশেষ করে জাপান থেকে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসার পর প্রথম ডোজ নিয়ে যেসব মানুষ অপেক্ষা করেছিলেন, তাঁরা এখন দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছেন।

অন্যদিকে টিকা দেওয়া নিয়ে শুরুতে অনেকের মধ্যে যে সংশয় ও দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল, তা-ও অনেকটা কেটে গেছে। টিকাকেন্দ্রগুলোয় বিপুলসংখ্যক মানুষের ভিড় প্রমাণ করে, তাঁরা টিকা নিতে আগ্রহী। কিন্তু সাধ আর সাধ্যের মধ্যে বিরাট ফারাক রয়ে গেছে। সরকার এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ টিকাকেন্দ্র করেছে, সেটি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এ কারণে বিভিন্ন টিকাকেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। গতকাল একটি পত্রিকার পাতায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন হাসপাতালের ফটকে টিকাপ্রার্থী মানুষের দীর্ঘ সারির ছবি ছাপিয়েছে। এ ধরনের ভিড়ে কারও পক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব নয়। অনেকেরই টিকা নিতে এসে ফিরে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এর প্রতিকার কী? প্রতিকার হলো অধিকসংখ্যক টিকাকেন্দ্র স্থাপন। অধিকসংখ্যক টিকাকেন্দ্র পরিচালনার জন্য অধিক লোকবলেরও প্রয়োজন হবে। কিন্তু সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ অজ্ঞাত কারণে ‘ধীরে চলা নীতি’ অনুসরণ করে চলেছে। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় সারা দেশের শহরে ও গ্রামে ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী টিকাকেন্দ্র আছে। হাম-রুবেলা বা অন্য কোনো টিকার বিশেষ প্রচারণার সময় এসব কেন্দ্র থেকে এক দিনে প্রায় দুই কোটি শিশুকে টিকা দেওয়া হয়।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত দেশে টিকা এসেছে ২ কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ডোজ। ২৫ জুলাই পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ১ কোটি ২১ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৫ জন। টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ৩৭২ জন। টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৪৩ লাখ ৫ হাজার ৯৬৫ জন। সে ক্ষেত্রে সরকারের প্রথম কর্তব্য হওয়া উচিত, প্রথম ডোজ পাওয়া ব্যক্তিদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া। তাহলে করোনার টিকা কেন দিনে তিন লাখ ডোজ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলো? ভারতসহ যেসব দেশ অধিকসংখ্যক টিকা দিয়েছে, সেসব দেশে সংক্রমণের হার দ্রুত কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। অতএব, টিকা প্রদানে ধীরগতির কোনো যুক্তি আছে বলে মনে করি না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দিনে ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা কর্মসূচির আওতায় আনতে হলে এই লক্ষ্যমাত্রা কমপক্ষে ১০ গুণ বাড়াতে হবে। দিনে কমপক্ষে ৩৫ লাখ মানুষকে টিকা দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে যোগ দিয়ে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা যত দ্রুত কার্যকর করা যাবে, ততই মঙ্গল।

বিধিনিষেধের মধ্যেও করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বমুখী, মৃত্যু ও সংক্রমণের রেকর্ড হচ্ছে। এই অবস্থায় টিকা কর্মসূচি জোরদার করার বিকল্প নেই। সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - ভ্রমন

সর্বোচ্চ পঠিত - ভ্রমন

ভ্রমন এর সব খবর