a
ফাইল ছবি
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগেই আগামীকাল রবিবার ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়া আগামীকাল সব বিভাগে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানা গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আগামী রবিবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এ সময় ঢাকায় দক্ষিণ-পশ্চিম/দক্ষিণ দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮ থেকে ১৫ কিলোমিটার থাকবে, যা অস্থায়ীভাবে দমকায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার হতে পারে।
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া সাবান ফ্যাক্টরি গলির একটি ভাড়া বাসায় মায়ের সাথে থাকেন ১১ বছরের মোঃ ইমন নামের এক মাদ্রাসার ছাত্র। ২৫ জুলাই(সোমবার) সকালে মা ও মামার সাথে রাগ করে চুনকুটিয়া এলাকা থেকে শরিয়তপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে হাটতে হাটতে কমলাপুর রেলস্টেশনে চলে আসে সে। রেলস্টেশন থেকে শরিয়তপুর যাওয়ার কোন ট্রেন না থাকায় কমলাপুর স্টেশনের পাশে এক বাইক মেকানিকের দোকানে এসে ক্ষুধা লাগছে বলে কান্না করতে থাকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হবীবুল্লাহ কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈকত চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক
বি এম এম আদিল ভূঁইয়া।
তারা ইমনের কাছ থেকে তার নাম ঠিকানা ও কেন এখানে এসেছে সব তথ্য সংগ্রহ করে। তারপর কেরানীগঞ্জ বাসিন্দা হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য বাদল রহমান তুন্নার সহযোগিতায় ইমনকে তার অসুস্থ মায়ের কাছে পৌছে দিয়ে আসেন। এসময়ে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকত চৌধুরী ইমনের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব নেন এবং ইমনকে যেন তার পরিবার ভালো মত দেখভাল করেন খেয়াল রাখেন ও কোন সমস্যা হলে সৈকত চৌধুরীকে জানানোর কথা বলে আসেন।
সেসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবির আসাদ, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মোঃসাত্তার মজুমদার ও কার্যকারি সদস্য এনামূল হাসান।
হারানো সন্তানকে ফিরে পেয়ে ইমনের মা অশ্রুসিক্ত হয়ে হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দদের ধন্যবাদ ও প্রাণ ভরে দোয়া করেন।
ছবি: সংগৃহীত
পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এতে সাগর উত্তাল রয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে উপকূল। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মােংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুরোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর চার) বলা হয়েছে, ‘গভীর নিম্নচাপটি আজ রবিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মােংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।’
‘গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়াে হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।’
‘গভীর নিম্নচাপটির বর্ধিতাংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৪০-৫০ কি.মি. বেগে দমকা/ ঝড়াে বাতাস বয়ে যেতে পারে, সেইসাথে ভারি (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারি (৮৯ মি.মি.) বর্ষণ হতে পারে।’
‘গভীর নিম্নচাপটির বর্ধিতাংশ, অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরােজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভােলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নােয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৩-০৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।’
‘উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন