a
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
আজ ১৪ আগষ্ট ২০২১ ইং দুপুর ২২-৩০ মিনিটে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়, হবিগঞ্জে দৈনিক মুক্ত সংবাদ প্রতিদিন এর সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি সাংবাদিক শেখ আঃ কাদির কাজল এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব, হবিগঞ্জ জেলা আয়োজিত পরিচিতি, আলোচনা ও পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
হবিগঞ্জের সকল উপজেলার সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান খান, মীর দুলাল, আছাদুজ্জামান সুমন, মোতালিব তালুকদার দুলাল, শাহেনা আক্তার, ডাঃ সৈয়দ রুবায়েল আহমেদ জুয়েল, রাহেনা শিরিন প্রমুখ।
সভাপতি উপস্থিত সকল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা, নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানোর মতো। আপনারা পেশাদারীত্ব, স্বচ্ছতা ও জবাবদীহিতা নিশ্চিত করে কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন।
পরিশেষে শোকের মাস আগষ্ট উপলক্ষে-১ মিনিট নিরবতা পালন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবার ও সকল নৃশংস হত্যাকান্ডের নিন্দা ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
ফাইল ছবি
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে দেশের উপকূলীয় ১৯টি জেলা। দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টার বেশি এ ঘূর্ণিঝড়ে দেড় লাখের বেশি বাড়িঘর সম্পূর্ণ ও আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাড়ে ৩৭ লাখ মানুষ। এছাড়া বসতবাড়ি, রাস্তায় উপড়ে পড়েছে গাছ।
এছাড়াও উপকূলের তিন জেলায় ৬১ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু এলাকায় পুরোপুরি এবং কিছু এলাকায় আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাঁধ। এতে বাঁধসংলগ্ন নিচু এলাকা উপচে লোকালয়ে নোনা পানি প্রবেশ করেছে। এতে ভেসে গেছে হাজার বিঘার চিংড়ি ঘের।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) খুলনার প্রধান প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা জানান, খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলায় মোট ৬১ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি স্থানে নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। খুলনার দাকোপ উপজেলার দুই স্থানে বাঁধ ভেঙেছে।
একটি তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়ার ঢাকি নদীর ডান তীরে। এখানে অন্তত ২০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। একই উপজেলার পানখালী-খলসি এলাকার পশুর নদের ভাঙনে সেখানকার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাইকগাছার কামিনীবাসিয়া পুরনো পুলিশ ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ খুব দুর্বল ছিল। আবার বাঁধ নিচু হওয়ায় জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। স্থানীয়রা বলছে, পাইকগাছা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টি ইউনিয়নের ২১টি স্থানে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহেরা নাজনীন জানান, উপজেলায় প্রায় দেড় লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২১টি স্থানে বাঁধ ভেঙেছে।
বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বলাইবুনিয়া ইউনিয়নের শ্রেণিখালী-দৈবজ্ঞহাটিতে পানগুছি নদীর ভাঙনে বাঁধ ভেঙেছে।
বাগেরহাট সদরের দড়াটানা নদীর ভাঙনে বাঁধ ভেঙেছে। এছাড়া সাতক্ষীরা সার্কেলভুক্ত খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশীর হরিহরপুরে শাখবাড়ী নদীর ভাঙন এবং পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের ভদ্রা নদীর ভাঙনে বাঁধ ভেঙেছে।
বাঁধের ভাঙনে খুলনার কয়রা উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ভেসে গেছে শতাধিক চিংড়ির ঘের, ভেঙে গেছে কয়েক শ কাঁচা ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। এ ছাড়া রাতজুড়ে ভারি বৃষ্টি ও ঝড়ের তাণ্ডবে উপজেলার বিপুলসংখ্যক গাছপালা উপড়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গত রবিবার রাতে জোয়ারের পানির প্রচণ্ড চাপে মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের সিংহেরকোনা, মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া ও দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেলাল গাজীর বাড়ির সামনের বাঁধ ভেঙে গেছে।
মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, গত রবিবার রাতের জোয়ারে ইউনিয়নের দশহালিয়া এলাকায় প্রায় ৫০ মিটার বাঁধ ভেঙে কপোতাক্ষ নদের পানি প্রবেশ করেছে। এতে দুটি গ্রাম ও কয়েক শ চিংড়িঘের তলিয়ে গেছে।
মহেশ্বরীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারি বলেন, ইউনিয়নের সিংহেরকোনা এলাকায় বাঁধ ভেঙে গেছে। এছাড়া নয়ানি এলাকার বাঁধের নিচু জায়গা ছাপিয়ে সারা রাত পানি ঢুকেছে। এতে সাতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে ও ভারি বৃষ্টিতে কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে এলাকাবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী জানান, তাঁর ইউনিয়নের মাটিয়াভাঙ্গা এলাকায় রবিবার রাতের জোয়ারে বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। এতে পাঁচ-সাতটি গ্রামে নোনা পানি ঢুকেছে। এছাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় নিচু বাঁধ ছাপিয়ে এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে।
খুলনার দাকোপ উপজেলায় গত রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার শিবসা ও ঢাকী নদীর বাঁধ ভেঙে তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের কামিনীবাসিয়া গ্রামের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা তলিয়ে গিয়েছে।
তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ক্ষীতিশ গোলদার জানান, এখানে পাঁচটি পয়েন্ট ভেঙে পানি প্রবেশ করছে। এলাকাটি নোনা পানিতে ভরে গেছে।
কয়রার ইউএনও এ বি এম তারিক উজ জামান বলেন, ‘কয়েকটি স্থানে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। ভারি বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় গাছপালা এবং মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
গতকাল (০৮ মে ২০২১ খিস্টাব্দ, ২৫ রমজান ১৪৪২ হিজরি, রোজ শনিবার) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের বার্ষিক দোয়া মাহফিল জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও রোভার স্কাউট গ্রুপের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ এবং প্রধান স্কাউট ব্যক্তিত্ব হিসেবে মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান রিপন, জাতীয় কমিশনার (প্রোগ্রাম) বাংলাদেশ স্কাউটস উপস্থিত ছিলেন।
গ্রুপ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ মনিরুজ্জামান খন্দকার, এলটি এর সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র রোভার মেট মোঃ কামরুল হাসান এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আবু লায়েক এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সহকারী অধ্যাপক কাজী ফারুক হোসেন সহ বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় উপকমিশনার (আন্তর্জাতিক) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট খান মো. পীর-ই-আজম আকমল (পিআরএস), বাংলাদেশ স্কাউটস ঢাকা জেলা রোভারের সাবেক সম্পাদক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সম্পাদক মোঃ ওমর আলী এলটি ও বাংলাদেশ স্কাউটস ঢাকা জেলা রোভার এর সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম পিআরএস।
এছাড়াও সংযুক্ত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রোভার-ইন-কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন সহ গ্রুপের সাবেক এবং বর্তমান রোভার ও গার্ল-ইন-রোভারবৃন্দ।
এসময় ইসলামি আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল হোসাইন।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট পরিবারে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং কোভিড সহ বিভিন্ন রোগ যারা আক্রান্ত তাদের আরোগ্য সহ দেশ ও বিশ্ববাসীর মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন এডভোকেট মোঃ হেমায়েত হোসাইন হিমু, সাবেক সিনিয়র রোভার মেট ও সভাপতি জবি রোভার-ইন-কাউন্সিল।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর বার্ষিক দোয়া ও ইফতার মাহফিল একসাথে রোভার ডেনে হয়ে থাকে। কিন্তু এবছর করোনা পরিস্থিতি , সরকারের বিধিনিষেধ ও সকলের স্বাস্থ্যবিধির কথা চিন্তা করে অনলাইনে আয়োজন করা হয়।