a
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (২৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম শাখার সদস্য শায়রুল কবির খান। শায়রুল বলেন, 'গত দুইদিন ধরে উনার ডিসেন্ট্রি (আমাশয়) হচ্ছিল। গত বুধবার রাতে উনার শরীর বেশি দুর্বল হয়ে যায়। এরপর দ্রুত উনাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক ভর্তির পরামর্শ দিলে তাকে ভর্তি করানো হয়।
বর্তমানে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।' শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতারা তার সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। উনি (নজরুল ইসলাম) এবং উনার পরিবার দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
ডোমের ছেলে হয়ে বাশফোঁড় সম্প্রদায়ের মেয়েকে বিয়ে করায় ডোম সমাজের সমাজপতিদের নানা হেনস্তার শিকার হচ্ছেন হৃদয়-রিতা দম্পতি। পবিত্রতার কথা বলে প্রকাশ্যে নববধূর শরীরে ছেটানো হয়েছে বাংলা মদ। একঘরে করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের ওপর চালানো হচ্ছে মানসিক নির্যাতন। বিচার বসিয়ে করা হয়েছে জরিমানাও।
এখানেই শেষ নয়, ২০ দিনের মধ্যে সারাদেশের ডোম সমাজের লোকজনকে দাওয়াত করে খাওয়ানোরও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা।
ঘটনাটি ঘটেছে চুয়াডাঙ্গার স্টেশন সংলগ্ন মাছের আড়তপট্টি এলাকায়। গত ২৩ মার্চ রাত আনুমানিক ৯টার দিকে বিচার বসিয়ে এ নির্দেশ দেন ডোম সমাজের সমাজপতিরা।
এদিকে বিচারের নামে অপমান হেনস্তা ও মানসিক নির্যাতন বন্ধ এবং নির্যাতিত পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জয়ভীম ছাত্র-যুব ফেডারেশন। এ দাবিতে শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেন ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।
আবেদনপত্রে বলা হয়েছে যে, চুয়াডাঙ্গার সাতগাড়ি এলাকার স্বর্গীয় বিরু ডোমের ছেলে হৃদয় ডোম মাস দুয়েক আগে বড়বাজার মাথাভাঙ্গা ব্রিজ এলাকার কালীচরণের মেয়ে রিতা বাশফোঁড়কে বিয়ে করেন। ডোমের ছেলে হয়ে বাশফোঁড় সমাজের মেয়ে বিয়ে করায় ডোম সমাজের জাত গেছে বলে অভিযোগ তুলে বিচারের আয়োজন করে সমাজিপতিরা। হৃদয় ডোমের পরিবারকে একঘরে করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে গত ২৩ মার্চ বিচার বসান রতন, দুখু, চলুয়া, ভুটকা, বাদল হিরু ডোমসহ ডোম সমাজের সমাজপতিরা। বিচারে নববধূ রিতাকে বাশফোঁড় সম্প্রদায় থেকে ডোম সমাজে রূপান্তরিত করে পবিত্র করার নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশ মোতাবেক ৫০-৬০ পুরুষের সামনে নববধূ রিতা বাশফোঁড়ের শরীরে বাংলা মদ ছিটিয়ে দেন তারা।
শুধু তাই নয়, বিচারে হৃদয় ডোমের পরিবারকে নগদ ৬ হাজার টাকা জরিমানা, আগামী ২০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশের সকল ডোম সম্প্রদায়ের লোকজনকে দাওয়াত করে খাওয়ানোর নির্দেশ এবং নববধূ রিতা বাশফোঁড় তার বাবার বাড়িতে গেলেও কোনো প্রকার খাদ্যগ্রহণ করতে পারবে না বলেও নির্দেশ দেয়া হয়।
বাংলাদেশ জয়ভীম ছাত্র-যুব ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বর্তমান যুগেও বিচারপতিদের এ ধরনের বিচার মেনে নিতে হচ্ছে। তবে যুবসমাজের অনেকেই জাতে তোলার নামে হেনস্তা করার বিষয়টির প্রতিবাদ করতে চায়। ইচ্ছা থাকলেও তারা সমাজপতিদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলতে পারে না। কেননা তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেই সেই পরিবারকে ঢেকি বা একঘরে করে রাখা হবে। ফলে সমাজপতিদের অন্যায় অত্যাচার দিন দিন বেড়েই চলেছে।
হৃদয়-রিতা দম্পতির বিয়ের ঘটনায় সমাজপতিদের অন্যায় বিচারের রায় বাতিলসহ আগামীতে বিচারের নামে যেন কোনো নারী বা কোনো পরিবারকে হেনস্তা-অপমানের শিকার না হতে হয় তাই জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন জানানো হয়। একইসাথে সমাজপতিদের বিচার পরিচালনা বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান বাংলাদেশ জয়ভীম ছাত্র-যুব ফেডারেশনের নের্তৃবৃন্দ।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান ফখরুল আলম জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ছবি-মুক্তসংবাদ প্রতিদিনঃ রংপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক
জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রংপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ কমিটির মো: সোহাগ মন্ডল কে সভাপতি এবং আমিনুল ইসলাম কে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
শনিবার (৯ আগস্ট) রংপুর জেলা ছাত্রকল্যাণে উপদেষ্টা এবং সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ারুল সালাম ও সহকারী অধ্যাপক মো শরিফুল ইসলাম এবং অনান্য উপদেষ্টাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়।
কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসাবে আছেন – রবিউল ইসলাম ও মোঃ সোহেল রানা; যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, মোঃ লাইচ মিয়া, রাফিউল ইসলাম, মোঃ আসাদুজ্জামান আসিব মন্ডল; সাংগঠনিক সম্পাদক
টি এম নোমানী, মোঃ রানা হোসাইন সাগর, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোঃ হিমেল, অর্থ-বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নিশাত ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক জামিল হোসেন সালমান, প্রচার সম্পাদক অনিক লাকড়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ লিমন, আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আলী আশা, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রিয়াদ হাসান, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আলামিন হোসেন। কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে পূণাঙ্গ করার র্নিদেশনা দেন উপদেষ্টারা।
দায়িত্ব গ্রহন করে সভাপতি মো: সোহাগ মন্ডল বলেন,”রংপুর জেলা ছাত্র কল্যাণ একটি অরাজনৈতিক এবং ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। আমরা এই সংগঠনকে এবং সংগঠনের সকল সদস্য কে নিয়ে একত্রে কাজ করে জেলা ছাত্র কল্যাণকে রোল মডেল হিসাবে উপস্থাপন করবো ইনশাআল্লাহ্। ”
সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন,”রংপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন, সংগঠনের সাথে জড়িত প্রতিটা মানুষ খুবই আন্তরিক। তাদের দীর্ঘদিনের ফসল আমাদের এই সুনামধন্য সংগঠন, তারা আমাকে যোগ্য বিবেচনা করে দায়িত্ব দিয়েছে, ইনশাআল্লাহ আমি চেষ্টা করবো সংগঠনের সাথে প্রতিটা কর্মকাণ্ড সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করার।”