a
ফাইল ছবি
গত প্রায় আট বছরে ক্রিকেট বিশ্বে দক্ষিণ আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়ার জন্য ভয়ংকর এক দল হয়ে উঠেছে। ১৭ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাই জয় পেয়েছে ১৪ বার। মাত্র তিনবার জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এই পরিসংখ্যানের কথা মাথায় রেখেই আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হচ্ছেন প্যাট কামিন্সরা। লক্ষ্ণৌর ইকানা স্পোর্টস সিটিতে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা থাকে। এই দুটো দলই ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম ৪০০ রানের মাইলফলক অতিক্রম করে। ২০০৬ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ার করা ৪৩৪ রান দক্ষিণ আফ্রিকা টপকে যায় এক উইকেট ও এক বল হাতে রেখে। ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা সেই ম্যাচটার কথা এখনো নিশ্চয়ই মনে আছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাজেভাবেই হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের বিপক্ষে মাত্র ১৯৯ রান করেছিল তারা। ভারত সেই রান করে ৫২ বল হাতে রেখে। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই সামর্থ্যরে প্রমাণ দিয়েছে।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে তারা (৪২৮ রান)। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে শ্রীলঙ্কা ৩২৬ রানে নিজেদের ইনিংস শেষ করে। ১০২ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দুটো দলকে নিয়ে আগে থেকে কিছু অনুমান করা বেশ কঠিন। একদিকে কুইন্টন ডি কক, ডুসেন, মারক্রাম, রাবাদা, এনগিডি লুঙ্গিরা গড়ে তুলেছেন এক দুর্দান্ত দল।
অন্যদিকে স্টিভ স্মিথ, ওয়ার্নার, মিচেল স্টার্ক, জাম্পাদের নিয়ে গড়া অস্ট্রেলিয়া। এমন দুই দল, যাদের যে কোনো ক্রিকেটার হয়ে উঠতে পারেন ম্যাচের নায়ক। সেমিফাইনাল খেলতে হলে এই ম্যাচে দুটি দলেরই জয় প্রয়োজন। যে ম্যাচটিতে জিতবে, তাদের সামনের পথ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। সূত্র: যুগান্তর
ছবি সংগৃহীত
আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সেন্ট ভিনসেন্টে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস। জাকের আলির ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে সফরকারীরা।
ছক্কা ও ৩ চারে ৪১ বলে ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের। এছাড়া পারভেজ হোসেন ইমন ২১ বলে ৩৯ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ২৩ বলে ২৯ রান করেন।
১৯০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৭ রানে জোড়া উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রানের খাতা খোলার আগেই ব্রান্ডন কিংকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন আহমেদ। এরপর জাস্টিন গ্রিভসকে আউট করে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন মেহেদী হাসান।
এরপর নিকোলাস পুরান ও জনসন চার্লস মিলে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন। ৩৮ রানের জুটি গড়েন তারা। এর দ্রুতই আরও তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা। পুরান ১০ বলে ১৫, জনসন ১৮ বলে ২৩ ও রস্টন চেজ খালি হাতে ফিরে যান।
এরপর দলীয় ৬০ রানে ১২ বলে ২ রান করে আউট হন রভম্যান পাওয়েল। তার বিদায়ের পর রোমারিও শেফার্ড ও গুডাকেশ মোতেই মিলে লড়াই করার চেষ্টা করেন। ৩৫ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।
এরপর দ্রুতই তিন উইকেট তুলে নিয়ে জয় অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ। মোতেই ১২ বলে ১২, আলজারি জোসেফ ২ বলে ১ ও শেফার্ড ২৭ বলে ৩২ রান করেন। আর শেষ ব্যাটার হিসেবে ওবেড ম্যাকই আউট হলে ১৬ ওভার ৪ বলে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের পক্ষে রিশাদ হোসেন নেন ৩টি উইকেট।
উল্লেখ্য, সিরিজ আগেই নিজেদের করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তাই শেষ ম্যাচটা ছিল হোয়াইটওয়াশের মঞ্চ, যেটা বাংলাদেশীরা বাংলা ওয়াশ বলতে স্বাচ্ছন্নবোধ করেন। এমন ম্যাচে জ্বলে উঠলেন ব্যাটাররা। এরপর বাকী কাজটা করলেন বোলাররা। এতেই ৮০ রানের বড় জয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ বা বাংলা ওয়াশ করলো টাইগাররা।
ফাইল ছবি
আগামী ২৫ মে থেকে চীনের টিকার প্রথম ডোজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক সভায় তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমরা রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলেছি ভ্যাকসিনের ব্যাপারে। আবার দ্বিতীয় ডোজের জন্য ভারত, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কথা চলছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ভারতের কাছে আমাদের অর্ডার আছে ৩ কোটি, আর পেয়েছি ৭০ লাখ। তাই দ্বিতীয় টিকার ডোজ নিয়ে আমরা চিন্তিত।
তিনি বলেন, যে কোনো ভ্যাকসিন তৈরি করতে হলে ওষুধ প্রশাসনের আবেদন লাগে। যারা আবেদন করে, তাদের নানান বিষয় যাচাই-বাছাই করতে হয়। আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে ক্রয়ও করব, প্রয়োজনে উৎপাদন করব।
যাদের উৎপাদনের সক্ষমতা আছে তাদের এগিয়ে আসতে হবে। তাদের আবেদন দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সে রকম কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমাদের কাছে প্রতিবেদন আসলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। টিকা ক্রয় করার চেষ্টা থাকবে, তাহলে তাড়াতাড়ি হবে। টিকা তৈরি করলে দীর্ঘসময় লাগবে। উৎপাদন করলেও পাঁচ-ছয় মাসের আগে করা সম্ভব হবেনা।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আলী নূর উপস্থিত ছিলেন।