a
ফাইল ছবি
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে নামিবিয়া। দলে ডাক পেয়েছেন সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার ডেভিড ভিসা। দক্ষিণ আফ্রিকা দলে ব্রাত্য এই ক্রিকেটারকে নামিবিয়ার জার্সিতে বিশ্বকাপ মাতাতে দেখা যাবে। এর আগে ২০১৬তে প্রোটিয়াদের জার্সি গায়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছিলেন তিনি।
মারয়ে এরাসমাসকে অধিনায়ক ও জেজে স্মিতকে দেওয়া হয়েছে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব। ১৫ সদস্য'র এই দলের সঙ্গে রাখা হয়েছে এক রিজার্ভ ক্রিকেটারও। প্রথমবারের মতো দলে ডাকা হয়েছে মিচেল বেন শিকঙ্গোকে। মাউরিশিয়াস গুপিটা থাকছেন দলের অতিরিক্ত ক্রিকেটার হিসেবে।
বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে গ্রুপ এ-তে রয়েছে নামিবিয়া। যেখানে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে শ্রীলঙ্কা, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসকে। ১৮ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে নামিবিয়া। ২০ অক্টোবর নেদারল্যান্ডস ও ২২ অক্টোবর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে তারা।
নামিবিয়ার বিশ্বকাপ স্কোয়াড : মারয়ে এরাসমাস (অধিনায়ক), জেজে স্মিত (সহ-অধিনায়ক), ডেভিড ভিসা, জ্যান ফ্রাইলিংক, কার্ল বারকেনস্টক, বেন শিকঙ্গো, বার্নার্ড স্কোলটজ, নিকোল লফটি এটন, ক্রেইগ উইলিয়ামস, মাইকেল ফন লিনজেন, স্টিফেন বার্ড, রাবেন ট্রাম্পেলমান, জেন গ্রিন, পিকি ইয়া ফ্রান্স, মিচাউ ডু প্রেজ।
রিজার্ভ ক্রিকেটার: মাউরিশিয়াস গুপিটা।
ফাইল ছবি
আসন্ন বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড ৫ম্যাচ টি-টুয়ান্টি সিরিজকে সামনে রেখে কোয়ারান্টাইন পর্ব শেষ করে অনুশীলনে ব্যস্ত উভয় দল। গতকাল শুক্রবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে টাইগাররা।
একদিন পর গতকাল শনিবার দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে গত ২৪ আগস্ট রাতে তিনি দেশে ফিরেছেন। এরপর সিরিজের নিয়ম অনুযায়ী যেতে হয় তিন দিনের কোয়ারেন্টিনে। ফলে একদিন পর শুরু হয় তার প্রস্তুতিপর্ব।
গত ২৪ আগস্ট দল জৈব সুরক্ষায় প্রবেশ করলেও সাকিবকে অন্য হোটেলে রুম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়। অবশেষে গতকাল ২৮ আগস্ট শেষ হয় তার কোয়ারেন্টিন। এরপর তিনি মিরপুর শেরে বাংলায় অনুশীলনে নামেন। বেলা ২টায় শুরু হয়ে সাকিব- মাহমুদউল্লাহদের অনুশীলন চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আগামী ১ সেপ্টম্বর পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শুরুর আগে ৩১ আগন্ট পর্যন্ত চলবে অনুশীলন। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বাকি চার ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ৩, ৫, ৮ ও ১০ সেপ্টেম্বর। নিউজিল্যান্ডের সময়ের সঙ্গে মিল রেখে ম্যাচগুলো শুরু হবে বিকাল ৪টায়।
ছবি সংগৃহীত
তালবিনা একটি হৃদয় প্রশান্তকারী প্রাচীনতম ন্যাচারাল পুষ্টি খাবার। তালবিনাতে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড ও এসেন্সিয়াল ডেইলি নিউট্রিশন। এটি এতটাই পাওয়ারফুল যে, পুষ্টিবিজ্ঞানীরা এটাকে “অলৌকিক অণু” বা Miracle Molecule” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অনেকে এটিকে একটি সুন্নতি খাবার বা প্রফেটিক মেডিসিন নামেও অবহিত করে থাকেন। প্রচুর ফাইবারযুক্ত এ খাবারটি উচ্চ পুষ্টিসমৃদ্ধ যা একটি উৎকৃষ্ট সম্পূরক খাবার হিসেবে বিবেচিত।
তালবিনা অত্যন্ত বরকতময় একটি খাবার। এটা শুধু বড়দের জন্য নয়, ১ বছরের বাচ্চা থেকে আবাল বৃদ্ধ সুস্থ অসুস্থ নারী পুরুষ সবাই খেতে পারেন। উচ্চ ফাইবার যুক্ত হওয়ার কারনে সহজে হজম হয়। এতে আমাদের অন্ত্রে বসবাসকারী উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়। গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডিটি, IBS, কোষ্ঠকাঠিন্য & বদহজমের সমস্যা সমাধানে তালবিনা দারুন কাজ করে (প্রমানিত)।
তালবিনা রাসুল (সঃ) এর দেয়া প্রেসক্রিপশন যাকে প্রফেটিক মেডিসিন নামেও আখ্যায়িত করা হয়। প্রিয় নবীজির দেওয়া প্রেসক্রিপশনে তালবিনা অস্থির হৃদয় প্রশান্তকারী এক অলৌকিক খাবার। এটি এমনই এক সুপার ফুড যা আমাদের রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবাদের (রাঃ) সময়ে শোক-দুঃখসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ে খেতে পরামর্শ দেওয়া হতো।
এটি আমাদের একটি ভুলে যাওয়া সুন্নাহ তাই অনেকে নাও জেনে থাকতে পারি।
নিয়মিত তালবিনা ড্রিঙ্কস পানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারঃ
★ সুস্থ ও স্বাভাবিক রক্তচাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
★ স্বাভাবিকভাবে কার্ডিওভাসকুলার হেলথ বা হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
★ ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
★ নার্ভাস সিস্টেমকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
★ হাঁড় এবং কোষের বৃদ্ধি ও পুনর্গঠনে সহায়তা করে।
★ পুরুষের শক্তি বৃদ্ধি ক্ষমতা পুনর্বহাল করতে সাহায্য করে।
★ চর্বি ও শর্করার বিপাকীয়তায় সাহায্য করে।
★ অ্যান্টি-এইজিং হরমোন তৈরিতে সহযোগিতা করে।
★ ইমিউন সিস্টেমকে কার্যকর রাখতে বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
★ পেশী বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে এবং এটি শরীরচর্চাকারী উনাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
★ এটি হৃদযন্ত্রের সুস্থতা ও ইমিউন প্রক্রিয়াকে কার্যকরী ও সচল রাখে।
স্বাস্থ্যের বহুবিধ উপকারিতার জন্য তালবিনা দেহে অনেক উত্তেজনাকর ঘটনার অবতারণা করে থাকে, এতে অবাক হওয়ারও কিছু নেই। তালবিনা এবং এর শক্তিশালী পুষ্টি সমৃদ্ধ উপাদানের ফলশ্রুতির মাধ্যমে আপনার পুরো পরিবারের সুস্বাস্থ্য সুরক্ষিত হবে |
✔ সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে নিজেদের তত্ত্বাবধানে আমাদের নিজের হাতে বাছাইকৃত উৎকৃষ্ট দানা থেকে জেনুইন তালবিনা তৈরি করা হয় ।
# জেনুইন তালবিনা খাওয়ার_নিয়ম :
জেনুইন তালবিনা পাউডারের সাথে খাঁটি দুধ ও মধু একত্রে গুলিয়ে তালবিনা তৈরি করা হয়। সাথে কলা, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, আম, খেজুর ইত্যাদি ফল মিক্সড করে এর স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ যোগ করা যায়।আমাদের রাসুল (সা:) মিষ্টতা বাড়ানোর জন্য মধু ব্যবহার করতেন। এভাবে খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়। কারো ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে তিনি মধু বাদ দিয়ে খেতে পারেন।
তালবিনা নরমাল পানিতে পরিমাণমতো গুলিয়ে বা ঘন করে চামচ দিয়ে খেতে পারেন। এটি দিনের যে কোন সময়ে ক্ষুধা লাগলে অথবা শরীরের ক্লান্তি দূর করতে ঝটপট তৈরি করে খেতে পারেন। তবে ডায়েট চার্টে যুক্ত করতে সকালে নাস্তা হিসেবে এবং রাতে খেতে পারেন।
এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সাথে ৪/৫ চা চামুচ তালবিনা ও ২/৩ চা চামুচ মধু মিশিয়ে তালবিনা তৈরি করে খেতে পারেন। অথবা, প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ও বিকালে এক গ্লাস পানিতে ৪-৫ চা চামুচ মিশিয়ে খাবেন। আর যদি টেষ্টি করে খেতে চান তাহলে গুড় / লাল চিনি / মধু মিশিয়েও খেতে পারেন।