a পি কে হালদার জেরার মুখে দফায় দফায় কাঁদছেন
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১০ পৌষ ১৪৩২, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

পি কে হালদার জেরার মুখে দফায় দফায় কাঁদছেন


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ১৫ মে, ২০২২, ০৭:৪৭
পি কে হালদার জেরার মুখে দফায় দফায় কাঁদছেন

ফাইল ছবি: পি কে হালদার

প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) তদন্ত কর্মকর্তাদের জেরার মুখে দফায় দফায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। ভারতের অর্থ-সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি) পি কে হালদারকে জেরা করছে। পি কে হালদারের কান্নার তথ্য ইডি সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আজ রোববার দুপুরে এক ইডি কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করার আগে থেকেই জেরা শুরু হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর ২ ঘণ্টা বিরতি দেওয়া হয়। এরপর আবারও ম্যারাথন জেরা শুরু হয়েছে। জেরার মুখে তদন্ত কর্মকর্তাদের সামনে দফায় দফায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পি কে হালদার।

আজ রোববার সকালে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কলকাতার নগর দায়রা আদালত। এর ফলে তাকে রিমান্ডে নিয়েছে ইডি।

এর আগে গতকাল শনিবার পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হন পি কে হালদার। শনিবার ইডি আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এরমধ্যে চারজন বাংলাদেশি। তারা হলেন- প্রীতিশ কুমার হালদার ও তার স্ত্রী (নাম জানা যায়নি), উত্তম মিত্র ও স্বপন মিত্র। এছাড়া প্রণব হালদার নামে এক ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করে ইডি। প্রণব সেখানে সরকারি চাকরি করেন। পরে সঞ্জীব হালদার নামে একজনকে আটক করার কথা জানায় ইডি। সঞ্জীব বাংলাদেশ গ্রেপ্তার সুকুমার মৃধার জামাই।

ইডির অভিযানে পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ২০টি বাড়িসহ পি কের বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে। বাড়িগুলো থেকে জমির দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথি জব্দ করা হয়েছে। সূত্র: সমকাল

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ঈদ উপহারের জন্য অন্তঃসত্ত্বা বউকে হত্যা


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ১০ মে, ২০২১, ১১:৪৬
ঈদ উপহারের জন্য অন্তঃসত্ত্বা বউকে হত্যা

ফাইল ছবি

সিলেটের ওসমানীনগরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ নিহতের স্বামী আরশ আলী ও শাশুড়ি মিনারা বেগমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত রবিবার (৯ মে) দুপুরে স্থানীয় থানায় কনে পক্ষ হত্যা মামলা দায়ের করলে অভিযুক্তদের  গ্রেফতার করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের বড় ভাই ইসলাম উদ্দিন শনিবার (৮ মে) রাতে নিহতের স্বামী এবং শ্বাশুড়িকে আসামি করে ওসমানীনগর থানায় মামালা দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, গত শনিবার দুপুরে সিলেটের  ওসমানীনগর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের তাহিরপুর গ্রামের মৃত ইছন আলীর বাড়ি থেকে নিহত শরিফা বেগমের (২০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের দাগ বিদ্যমান ছিল। নিহত শরিফা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে দাবি তার পরিবারের।

তবে স্বামী ও শাশুড়ির অভিযোগ ছিল, শরিফা আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু শনিবার দুপুরে তার স্বামীর নিজ ঘরের বিছানা থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওসমানীগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের ভাই মামলা দায়ের করেন। আসামীদের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’

এদিকে নিহত শরিফার পারিবার থেকে জানতে পারা যায়, প্রায় ৯ মাস আগে ওসমানীনগর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের তাহিরপুর গ্রামের মৃত ইছন আলীর ছেলে আরশ আলীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পুটিয়া গ্রামের শাকিম উল্লাহর ছোট মেয়ে শরিফার। বিয়ের অল্পকিছুদিন পর থেকেই যৌতুকসহ নানা কারণে স্বামী আরশ আলী ও শাশুড়ি মিনারা বেগম তার ওপর বিভিন্ন সময় অত্যাচার নির্যাতন শুরু করেন। বিষয়টি নিহতের পরিবার জানা সত্ত্বেও শরিফা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় কারণে তার বাবা মা তাকে এসব সহ্য করে শ্বশুরবাড়িতেই থাকার কথা বলে।

পরিবারের অভিযোগ, এই রমজানে আরশ আলী শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান। এ সময় ইফতার দিতে কিছুটা  দেরি করার নানা কথা শোনান স্বামী। এছাড়া তাকে কেন আলাদাভাবে সাজানো থালায় ইফতার দিল না এ নিয়ে তাদের উভয়ের মাঝে তুমুল ঝগড়া হয়।

গত শুক্রবার (৭ মে) সন্ধ্যায় শরিফার বাবা তার স্বামীসহ অন্যান্য সদস্যদের জন্য ঈদের উপহার এখনো কেন নিয়া আসে নাই তা নিয়ে আবার ঝগড়া শুরু হয়। ঘটনার একপর্যায়ে শরিফাকে তার স্বামী ও শাশুড়ি মারধর করে। বিষয়টি সাথে সাথেই তার ভাইকে ফোন করে জানান শরিফা। পর সাহরির সময়ে শরিফার মোবাইল বন্ধ পান তার পরিবার। পরে যখন নতুন জামা কাপড় নিয়ে শরিফার বোন রওয়ানা হন পথিমধ্যে খবর পান শরিফা ভীষণ অসুস্থ তার এসে দেখেন তার বোন চিরতরে ঘুমিয়ে গেছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে: ফখরুল


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০২৩, ০৯:০৬
পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে: ফখরুল

ফাইল ছবি


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকে সরকার দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে। বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। দেশের প্রতিটি সেক্টর আজ ধ্বংস করে দিয়েছে। আজকে মানুষের কোনো অধিকার নেই। সব কিছু কেড়ে নিয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।’

শুক্রবার বিকালে নয়াপল্টনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশ থেকে সরকার পতনের একদফা দাবিতে আগামীকাল শনিবার (২৯ জুলাই) ঢাকা শহরের সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখে বেলা ১১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। মহাসমাবেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দুপুর সোয়া ২টায় এ সমাবেশ শুরু হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে মানুষ দু'বেলা পেট ভরে ভাত খেতে পারে না। জিনিসপত্রের দামের কারণে মানুষের জীবন আজ অতীষ্ট হয়ে গেছে। আজকে বিদ্যুৎতের দাম বেড়েছে। বিদ্যুৎ নাকি আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। অথচ বিদুৎ নেই। কিছুদিন পরপরই বাড়ানো হচ্ছে বিদ্যুৎতের দাম। আজকে প্রবাসীরা কষ্ট করে দেশে টাকা পাঠায়। আর সরকার তাদের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করছে। এরা লুটেরা সরকার। এরা অর্থনৈতিকভাবে দেশকে পঙ্গু করে দিয়েছে। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা শেষ করে দিয়েছে। ঢাকা ১৭ আসনে ৫ শতাংশ ভোটও পড়েনি। জনগণ জানে এ সরকার ভোট চোর সরকার। তাই ভোট কেন্দ্রে যেয়ে লাভ নেই।’ 

তিনি বলেন, ‘আজকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য আমরা ৩৬ দল একসাথে আন্দোলন করছি। এর বাইরেও যারা আছেন তারাও বলেছে এদের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। আমরা আন্দোলনে শরিক সকল দলকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করব। যে বিচার ব্যবস্থা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম ও উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, শামসুজ্জামান দুদু, জয়নুল আবদীন ফারুক, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আজম, আলতাফ চৌধুরী, উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আনম সাইফুল ইসলাম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি সাদেক খান প্রমুখ।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও ঢাকার আশপাশের এলাকাগুলো থেকে ব্যাপক জনসমাগম ঘটে এ সমাবেশে। এ সময় মিছিলে মিছিলে সয়লাব ছিল পুরো পল্টন এলাকা। নয়াপল্টনের সড়ক মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। 

পশ্চিমে কাকরাইল মসজিদ, পূর্বে নটরডেম কলেজ ও উত্তরে শান্তিনগর- শাহজাহানপুর পর্যন্ত পুরো এলাকায় ছিল শুধু মানুষ আর মানুষ। জনসভায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপির বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মী, জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ব্যানার ফ্যাস্টুন ও প্লেকার্ড নিয়ে বিশাল মিছিল সহকারে সমাবেশে যোগদান করেন। 

মহাসমাবেশে ডেমরা-যাত্রাবাড়ী-কদমতলী (আংশিক) বিএনপির মিছিলে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবী, শ্যামপুর-কদমতলী থানা বিএনপির মিছিলে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলাম।

এছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, বৃহত্তর উত্তরা বিএনপির নেতা হাজী মোস্তফা জামান, গুলশান বনানী ক্যান্টনমেন্টের বিএনপি নেতা কামাল জামান মোল্লা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুমন ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন সরদার, দারুসসালাম থানা বিএনপির আহ্বায়ক এস এ সিদ্দিক সাজু, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ মৃধা, মিরপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আব্দুল মতিন ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী দেলোয়ার হোসেন দুলু, সাবেক মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা সাইদুল ইসলাম সাইদুল, শাহআলী থানা বিএনপির সোলায়মান দেওয়ান, কাফরুল থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আকরামুল হক ও সাব্বির দেওয়ান জনি, ডেমরা থানা বিএনপির সাবেক ছাত্রনেতা মো. মনির হোসেন খান, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এস আহমাদ আলী ও ৩৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুম খান রাজেশ, রূপনগর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহমেদ রাজু এবং সারাদেশের বিভিন্ন জেলা, মহানগর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুনসহ মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - অপরাধ