a
ফাইল ছবি: পি কে হালদার
প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) তদন্ত কর্মকর্তাদের জেরার মুখে দফায় দফায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। ভারতের অর্থ-সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি) পি কে হালদারকে জেরা করছে। পি কে হালদারের কান্নার তথ্য ইডি সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আজ রোববার দুপুরে এক ইডি কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করার আগে থেকেই জেরা শুরু হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর ২ ঘণ্টা বিরতি দেওয়া হয়। এরপর আবারও ম্যারাথন জেরা শুরু হয়েছে। জেরার মুখে তদন্ত কর্মকর্তাদের সামনে দফায় দফায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পি কে হালদার।
আজ রোববার সকালে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কলকাতার নগর দায়রা আদালত। এর ফলে তাকে রিমান্ডে নিয়েছে ইডি।
এর আগে গতকাল শনিবার পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হন পি কে হালদার। শনিবার ইডি আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এরমধ্যে চারজন বাংলাদেশি। তারা হলেন- প্রীতিশ কুমার হালদার ও তার স্ত্রী (নাম জানা যায়নি), উত্তম মিত্র ও স্বপন মিত্র। এছাড়া প্রণব হালদার নামে এক ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করে ইডি। প্রণব সেখানে সরকারি চাকরি করেন। পরে সঞ্জীব হালদার নামে একজনকে আটক করার কথা জানায় ইডি। সঞ্জীব বাংলাদেশ গ্রেপ্তার সুকুমার মৃধার জামাই।
ইডির অভিযানে পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ২০টি বাড়িসহ পি কের বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে। বাড়িগুলো থেকে জমির দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথি জব্দ করা হয়েছে। সূত্র: সমকাল
ছবি: কথিত সাংবাদিক শাহনাজের বিভিন্ন কৌশলী ছবি
তথাকথিত সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, বহুবিবাহে আবদ্ধ, চাঁদাবাজ, ধান্ধাবাজ, প্রতারক বরগুনা জেলার পাথারঘাটা থানার তালুকের চরধনি গ্রামের মৃত শাহাদাৎ শিকদারের মেয়ে শাহনাজ পারভীন (৪৫)। প্রতারণা করাই তার মুল পেশা।
সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে শাহনাজ পারভীন রাজধানী ভাটারা, বাড্ডা, খিলক্ষেত ও গাজীপুর মহানগরে বিভিন্ন এলাকায় অনৈতিক সকল কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় যে, ফরিদপুর জেলার ইউনুসের সাথে তার প্রথমে বিবাহ হয়। ঐ স্বামীর সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হলে পরবর্তীতে সাগর নামে আরেক ব্যাক্তিকে বিবাহ করে, কয়েক বছর পরে এই স্বামী সাগর শাহনাজের ছোট বোনকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে করে। তারপর মাসুদ নামে আরো এক ব্যক্তিকে বিবাহ করে ঢাকা কুড়িল চৌরাস্তা এলাকায় চলে আসে। বেশি লেখাপড়া না থাকলেও সে মোবাইল চালানো বেশ দক্ষ ও প্রতারণার কৌশলে বেশ অভিজ্ঞ।
উল্লেখ্য, ঢাকায় এসে কুড়িল চৌরাস্তায় প্রথমে বাড়ি বাড়ি কাজ করতো, হোটেলে প্লেট ধোওয়ার কাজ, ব্যাটারীর দোকানে কাজ, ফুটফাতে চা বিক্রি করতো। আবার একসময় সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করে তারপর হয়ে উঠে সাংবাদিক।
নিজের নাম ঠিকানা ঠিক মত লিখতে না জানা শাহনাজকে একটা মহল তাদের প্রয়োজন মেটাতে সাংবাদিক বানায়। আর এই সাংবাদিক কার্ড ও ক্যামেরা গলায় ঝুলিয়ে সেই চক্রের সাথে চাঁদাবাজী শুরু করে। এই চাঁদাবাজী করতে গিয়ে কয়েকবার ধরা পরে এবং চাঁদাবাজীর মামলায় জেলখাটে। বর্তমানে তার নামে প্রতারণা ও চাঁদাবাজীর একাদিক মামলা চলমান।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, শাহনাজ ২০১৭ সালের ১৪ এপ্রিল মাসে বাবুল মিয়া নামে একজনের সাথে তার বিয়ে হয় এবং ঠিকমত ভরণ-পোষণ ও খোঁজ-খবর না নেওয়ার অভিযোগে বাবুল মিয়ার ঠিকানায় ১৫/০৫/২০১৯ সালে উকিল নোটিশ পাঠানো হয় । সূত্রে আরো জানা যায়, গাজীপুর চৌরাস্তায় আরেক প্রতারক ও চাঁদাবাজ মো: আব্দুস সোবহান নামের এক ব্যাক্তির যোগসূত্রে হাজী নুরুল হকের ৭২ শতাংশ মার্কেট জমি ভুয়া ক্ষমতাপত্র তৈরি করে জোড় পূর্বক চাঁদাবাজী করে আসছে। এমনকী হাজী নুরুল হকের নামে একটি অবৈধ কাবিন নামা তৈরি করে নিজেকে হাজী নুরুল হকের স্বামী দাবী করে প্রতারণা করে আসছে।
অনুসন্ধান টীম আরও কিছু ভয়ংকর তথ্য উদ্ধার করে। শাহনাজ নিজের মেয়েকে দিয়ে অনৈতিক কাজ করিয়ে বিভিন্ন পুরুষকে ফাসিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়, শাহনাজের বোন রুপসী হিজরা, সাথে আরো হিজরা নিয়ে গ্যাং তৈরি করে তাদেরকে নিয়েও বিভিন্ন অন্যায় কার্যকলাপ করে যাচ্ছে।
শাহনাজ তার নিজের মেয়েকে দিয়ে একাদিক পুরুষের সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তুলে এক সময় তাদের সাথে অনৈতিক সর্ম্পক করিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজী করে। যাহার একাদিক প্রমাণ অনুসন্ধান টিমের হাতে সংরক্ষিত আছে। মাত্র ২০ বছর বয়সে সে তার মেয়েকে চার বিয়ে করিয়ে কিছু দিন পর পর তালাক দিয়ে কাবিনের টাকা আদায় করে নেয়। একাদিক বিয়ে করে কাবিনের টাকা হাতিয়ে নেওয়া শাহনাজ এবং শাহনাজের মেয়ে চালিয়ে আসছে।
সামপ্রতিক শাহনাজ সাহায্যের নামে বিভিন্ন ব্যানার বানিয়ে প্রবাসীদের কাছে ফেসবুকে বুস্ট করে, মিথ্যে অভিনয়ে নতুন প্রতারণায় অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এখানে সে উল্লেখ করে বলে যে, সে কিডনী রোগী, মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গে গেছে আবার সে ব্রেস্ট ক্যানসার, ব্লাড ক্যন্সারে আক্রন্ত। আবার এতিম শিশুদের নামে সাহায্য চেয়েও আবেদন করে। এই বিষয়ে শাহনাজের মোবাইলে ফোন দিয়ে এর সতত্যর একাদিক রেকডিং পাওয়া গেছে ও বেশ কিছু ব্যানার ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামে ছড়িয়ে পড়েতে দেখা যায়।
শাহনাজ কথায় কথায় মানুষকে মিথ্যে মামলার হুমকী প্রদান করে বিশেষ সুবিধা গ্রহণ করে। তার কাজে তাকে সাহায্য করার জন্য কিছু উকিল ও সাংবাদিক নিয়োগ দিয়ে রেখেছে এবং এসব উকিল ও সাংবাদিকদের সহযোগিতায় সে প্রতারণা করার উৎসাহ পেয়ে আসছে।
কিছুদিন আগে সে জনপ্রিয় ব্যাক্তি বেরিষ্টার সুমন, অভিনেতা ডিপজলসহ অনেক গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের কাছে সাহায্যের নামে ধরণা দিয়েছে এবং তার নিজের ফেসবুকে এই বিষয়ে একাদিক ভিডিও শেয়ার করেছে।
তার সর্ম্পকে তার বাসায় আশে-পাশে তথ্য জানতে গেলে, নাম না প্রকাশে কয়েকজন বলেন বড় ফ্লাট নিয়ে সে একা বাসায় থাকে, প্রতিদিন বিভিন্ন পুরুষ-মহিলা তার বাসায় আসা-যাওয়া করে। প্রতিবেশীরা জানান যে, কিভাবে একা একটি ফ্লাট ভাড়া নিয়ে থাকে, তার আয়ের উৎস কি আমাদের জানা নেই । আসা-যাওয়া লোকদের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলে সাংবাদিক শাহনাজের কাছে তাদের ভিন্ন ভিন্ন কাজ থাকে তাই তারা আসে।
অনুসন্ধান টিম উক্ত বিষয়ে শাহনাজের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে সে উত্তেজিত হয়ে বলে, কত সাংবাদিক লাগবে সে নিয়ে আসবে, পরবর্তীতে যেন তাকে আর ফোন না দেওয়া হয়। আর ফোন দিলে সে দেখে নিবে বলে হুমকী দেয়। সে আরো হুমকি দেয় যে, তার হিজরা বোন রুপসীকে দিয়ে কাপড় খুলে রেখে এক একজনকে রাস্তায় ছেড়ে দেবে। সূত্র: ডে-নাইট নিউজ, সীমান্ত বার্তা
বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সকল ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত। সেই সঙ্গে এসএমসি প্লাস বাজারজাতকারি কোম্পানি একমির কর্ণধার তানভীর সিনহাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রোববার এ নির্দেশ দেন বিচারক আলাউল আকবার।
এর আগে দোষ স্বীকার করে আজ সকালে জামিন চান তিনি। এ সময় তানভীর সিনহা বলেন, এতে তাদের দোষ নেই কারণ তারা জানতেন না, এটার লাইসেন্স নেই। পরে আদালত তাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেন। সেই সঙ্গে বাজার থেকে সব এসএমসি প্লাস প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিরাপদ কর্তৃপক্ষের পরিদর্শক কামরুল হাসান।
গত ১৬ মে অনুমোদনহীন ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বিক্রির কথা স্বীকার করায় এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলামের জামিন মঞ্জুর করে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।
গত মঙ্গলবার (১৪ মে) বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত। সেই সঙ্গে পাঁচটি কোম্পানির মালিকদের আগামী ৫, ৬ এবং ৯ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ এবং টারবো- এগুলো ওষুধ নাকি এনার্জি ড্রিংকস সে বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা দিবেন।
এর আগে ওই দিন সকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। এ সময় নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক বলেন, এগুলোর একটিরও অনুমোদন নেই।
তিনি আরও বলেন, ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারে না এগুলো ওষুধ না ড্রিংকস। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যর প্রসারে প্রচারণা করছেন ক্রিকেটার তামীম ইকবাল। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। আমরা বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলেছি, শোনেনি কোনো কোম্পানি। কাজেই এদের বিরুদ্ধে জরুরীভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সূত্র: যুগান্তর