a আগামী বছর থেকে পরিবর্তন আসছে শিক্ষা কার্যক্রমে
ঢাকা বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আগামী বছর থেকে পরিবর্তন আসছে শিক্ষা কার্যক্রমে


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:২৫
আগামী বছর থেকে পরিবর্তন আসছে শিক্ষা কার্যক্রমে

ফাইল ছবি

আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বেশকিছু পরিবর্তন আসছ্র শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন কারিকুলামে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা থাকছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেন, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা থাকবে না, এ বিষয়ে আগেই প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছিলেন। নতুন কারিকুলামে সেটা চূড়ান্ত করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবার অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। তাই এখন থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা থাকবে না।

২০২৩ সাল থেকে নতুন কারিকুলামে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা থাকবে না বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি জানান, পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের পাইলটিং চলবে ২০২২ সালে। আর শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে ২০২৩ সাল থেকে। ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যযাক্রমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাক্রমের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছেন।

এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

ইউজিসি'র অভিন্ন নীতিমালা প্রত্যাখ্যান জবি শিক্ষক সমিতির


শিক্ষা ডেস্ক:
শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২১, ০৩:৫৭
ইউজিসি'র অভিন্ন নীতিমালা প্রত্যাখ্যান জবি শিক্ষক সমিতির

সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদোন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক প্রণীত অভিন্ন নীতিমালা প্রত্যাখ্যান করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস)। একইসঙ্গে এই নীতিমালা প্রণয়নে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরে আলম আব্দুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদোন্নয়নের যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণের নির্দেশিকা’ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করে, যা আমাদের গোচরীভূত হয়। 

এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসন পরিপন্থী ও প্রচলিত আইনের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এবং উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার পথে বিরাট অন্তরায়।

তাই গত ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় প্রদত্ত সর্বসম্মত মতামতের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন ও আইনের পরিপন্থী হওয়ায় শিক্ষক সমিতি নির্দেশিকাটি গ্রহনযোগ্য নয় বলে মনে করছেন এবং তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। 

শিক্ষকদের স্বতন্ত্র পে-স্কেল প্রণয়ণ এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য পর্যাপ্ত বৃত্তিসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।

এসময় নীতিমালা ত্রুটিপূর্ণ ও বাস্তবসম্মত নয় বিধায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ ধরণের নীতিমালা প্রণয়নের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

বিশাল প্রতারণার ফাঁদে "মা এগ্রো ফার্ম”র উদ্যোক্তা গোলাম মাওলা কায়েস


সাইফুল আলম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩৫
বিশাল প্রতারণার ফাঁদে মা এগ্রো ফার্ম এর উদ্যোক্তা গোলাম মাওলা কায়েস

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:   প্রতারক চক্রের ফাঁদে পরে ক্ষতিগ্রস্থ মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার “মা এগ্রো ফার্ম” এর উদ্যোক্তা এবং কোলাপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি'র সাধারন সম্পাদক জনাব মোঃ গোলাম মাওলা কায়েস।

আজ ১১ নভেম্বর ২০২৫ সকালে রাজধানী ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে গোলাম মাওলা কায়েস বলেন, আমি “মা এগ্রো ফার্ম” এর উদ্যোক্তা মোঃ গোলাম মাওলা কায়েস। পিতাঃ মৃত আঃ খালেক বেপারী, মাতাঃ মজনু বেগম । স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রাম- দক্ষিন কোলাপাড়া, ডাকঘর- কোলাপাড়া, থানা- শ্রীনগর, জেলা- মুন্সীগঞ্জ ৷ জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ৪৬০ ৬৩১ ১১০৫৪।

আমি বিগত ১৬-০৮-২০২৫ইং তারিখে সম্পাদিত একটি ব্যবসায়ী চুক্তিপত্র সহি সম্পাদন করি । যাহার প্রথম পক্ষ মোঃ গোলাম মাওলা কায়েস আমি নিজেই । দ্বিতীয় পক্ষ ১) মোঃ সাবিত ইসলাম সামি পিতাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম, মাতাঃ ফেরদৌসী বেগম, স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রীন কর্নার, গ্রীন রোড, ডাকঘরঃ নিউমার্কেট-১২০৫, থানা ধানমন্ডি, জেলা ঢাকা । জাতীয় পরিচয় পত্র নংঃ ৮৬৭৩৫১১৭২৭। ২) মোঃ আক্তার হোসেন, পিতাঃ সুরুজ মিয়া, মাতাঃ ফজিলতুন নেসা, স্থায়ী ঠিকানাঃ ইব্রাহীমপুর, ডাকঘরঃ ক্যান্টনমেন্ট, থানাঃ কাফরুল, জেলাঃ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন । জাতীয় পরিচয়পত্র নংঃ ৬৪০৪৮৫৭৮৩৮।

উপরোক্ত দুইজন দ্বিতীয় পক্ষ হলেও উক্ত চুক্তিপত্রের সমস্ত কার্যক্রম সম্পাদনের সম্পূর্ন দ্বায়ভার গ্রহন করেন প্রতারক চক্রের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত আছেন পরিচয় দানকারী এস.এম সামসুল আলম (শওকত) ওরফে শেখ শওকত আলী, বৈজ্ঞানিক সহকারী-১, খাদ্য ও বিকিরন জীব বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট এ.ই.আর.ই সাভার, বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশন (আইডি কার্ড অনুযায়ী) ভুয়া আইডি কাড নং ৬১০৩১০২৩১৩৪১১৩০০২৪৪। মোবাইল নংঃ ০১৭৫১-৩৭৭৩৫০, ০১৭১১-৭৫৩৬৩০, ০১৭১১-৫৭৩২১৬, ০১৭১১-২৭৬৯৩৫ প্রতারক শওকত উপরে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন বলে আমাকে মিথ্যা বয়ান দিলেও খোজ নিয়ে জানতে পারি, এই নামে অত্র প্রতিষ্ঠানে উক্ত এস.এম সামসুল আলম (শওকত) চাকুরী করেন না বা কখনো করেন নি। পরিচয় পত্রটি সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট (ভুয়া আইডি কার্ড এর ফটোকপি আমার নিকট রয়েছে) ।

উক্ত প্রতারক এস.এম সামসুল আলম (শওকত) উল্লেখিত চুক্তিপত্রের ৩নং দফায় আমাকে ২৫ (পঁচিশ) কোটি টাকা ব্যাংক লোন করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১০০ (একশো) টাকার তিনটি স্ট্যাম্প এ চুক্তিবদ্ধ হন। বিনিময়ে উক্ত প্রতারক আমার নিকট হইতে ১০% হারে উক্ত ২৫ (পঁচিশ) কোটি টাকার লোন হইতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ২,৫০,০০,০০০/- (দুই কোটি পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা গ্রহন করার প্রতিশ্রুতি গ্রহন করেন।

গ্যারান্টি হিসেবে উক্ত প্রতারক আমার নিকট থেকে উত্তরা ব্যাংক এর ২,৫০,০০,০০০/- (দুই কোটি পঞ্চাশ লক্ষ) টাকার একটি চেক গ্রহন করেন। যাহার চেক নম্বর- ৪৩৪৪০৪৯। পরবর্তীতে প্রতারক শওকত আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে উক্ত লোন পাশ করানোর জন্য নগদ টাকার প্রয়োজন দেখিয়ে আমার নিকট হইতে নগদ ৪০,০০,০০০/- (চল্লিশ লক্ষ) টাকা গ্রহন । কিন্তু ৪০,০০,০০০/- (চল্লিশ লক্ষ) টাকা গ্রহন করার পর প্রতারক শওকত আমাকে লোন করিয়ে দিবে বলে তালবাহানা করতে থাকেন এবং বার বার সময় দিয়ে ঘুরাতে থাকে। পরবর্তীতে আমার সাথে ২য় পক্ষগন ও শওকত এর মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।

পরবর্তীতে ২য় পক্ষগন ও শওকত আমাকে ঢাকা রিজেন্সী হোটেলে যেতে বলে সমস্যা সমাধানের করার জন্য রাত ৯:৩০ মিনিটে। আমি আমার ১জন কর্মচারী নাম (আবুল কালাম) ও পরিচিত ছোট ভাই (নাসিম) সহ রিজেন্সী হোটেলের সামনে গেলেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী র‍্যাব-০১ এর সদস্যদের দ্বারা আমাদের ৩ (তিন) জনকে সেখান থেকে ধরে নিয়ে যায় (ঘটনার তারিখ ০৭-০৯-২০২৫)। তৃতীয় দিন আনুমানিক দুপুর ১২:০০ (বারো) টার দিকে আমাদেরকে খিলক্ষেত থানায় হস্তান্তর করে এবং অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার দেখায়। খিলক্ষেত থানার মামলা নং-০৯ (৯) ২০২৫। বিষয়টি সম্পূর্ন পূর্ব পরিকল্পিত ও র‍্যাব-০১ এর যোগসাজসে ২য় পক্ষ ও শওকত এর সাজানো নাটক। পরবর্তীতে আমি খোজ নিয়ে জানতে পারি, প্রতারক শওকত চুক্তিপত্রে যে বাসা'র ঠিকানা ব্যবহার করেছে তা সম্পূর্ন ভুয়া, মিথ্যা ও বানোয়াট ।

পরবর্তীতে আমি জামিনে কারামুক্তির পর নির্বাচন কমিশন থেকে প্রতারক শওকতের প্রকৃত নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ করি । উক্ত প্রতারকের আসল নাম এস.এম সামসুল আলম, জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ৫৫১২৩৩০৭৮৭, পিতাঃ সোরাব আলী মোল্লা, মাতাঃ হামিদা বেগম, স্ত্রীর নামঃ মমতাজ, ঠিকানাঃ গ্রাম শিবান্দপুর, পোঃ কালুভানি, ইউনিয়নঃ হাবাসপুর, উপজেলাঃ পাংশা, জেলাঃ রাজবাড়ী।

আমাদের সাংবাদিক সম্মেলন করার একমাত্র কারন র‍্যাব-১ এবং প্রকৃত অপরাধীদের মুখোশ উম্মোচন করা। যাহাতে বাংলাদেশের অন্যকোন নিরীহ নাগরিক হয়রানীর শিকার না হয়। দেশবাসী র‍্যাব-১ এর অসংখ্য অপকর্মের কথা ইতিপূর্বে পত্রিকায় পরেছেন ও টিভিতে দেখেছেন। দেশবাসীর ধারনা হয়তো র‍্যাব- ১ তার চরিত্র বদল করেছেন এবং জনগনের সেবামূলক কাজে নিয়োজিত আছে। কিন্তু দেশ যখন গনতন্ত্রের সঠিক পথে অগ্রসর হচ্ছে সেই সময়ে টাকার বিনিময়ে আমাদের মতো সাধারন বাংলাদেশের নিরস্ত্র নাগরিকদের নিজেরা অস্ত্র দিয়ে মিথ্যা অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার দেখানো প্রমান করে র‍্যাব-১ তার চরিত্র বদলায়নি। র‍্যাব তার পূর্বের ফ্যাসিস্ট চরিত্রেই আছে।

আমাদের সমাজে যে পরিমাণ মানসম্মান খুন্ন করা হয়েছে, আর্থিক ক্ষতি করা হয়েছে ও সমাজে আমাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে প্রমান করার অপচেষ্টা করা হয়েছে, তার বিচার দেশবাসী, আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা ও বিচার বিভাগের নিকট চাই। আর কত নিরীহ সাধারন মানুষ র‍্যাব-১ এর দ্বারা সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা মিথ্যা মামলার শিকার হবে জানতে চাই এবং এর ন্যায়বিচার চাই।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হলেই যে কোন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিককে ঘুষ গ্রহনের মাধ্যমে জীবন অতিষ্ট করে তোলা যায় এবং তারা মনে করে তাদের সকল অপকর্ম বৈধ, এর প্রতিকার চাই। এ ব্যাপারে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার উদ্যোগ গ্রহন করেছি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - শিক্ষা