a
ফাইল ছবি। ডা. দীপু মনি
করোনা মহামারি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে চলতি বছরের নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মন্ত্রী।
যে পদ্ধতিতে হতে পারে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা:
করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে এলে সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রুপ ভিত্তিক তিনটি বিষয়ের ওপর শুধু নৈর্বাচনিক পরীক্ষার মাধ্যমে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। পূর্ববর্তী ক্লাসে যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর পরীক্ষা না নিয়ে আগের পরীক্ষার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। চলতি মাস থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ১২ সপ্তাহে ২৪টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাস সম্পন্ন করেই নেওয়া হবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। অ্যাসাইনমেন্টগুলো নেওয়া হবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে। আবশ্যিক বিষয়গুলোর মূল্যায়ন হবে সাবজেক্ট ম্যাকিংয়ের মাধ্যমে। আর যদি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হয়, তবে অ্যাসাইনমেন্ট ও সাবজেক্ট ম্যাকিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন হতে পারে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ফাইল ছবি : সামিয়া রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
গবেষণা জালিয়াতির ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমানের পদাবনতির আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। রোববার (২৬ মে) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চ ঢাবির আপিল অকার্যকর বলে খারিজ করে দেন।
এর আগে গত বছরের ৪ আগস্ট বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সামিয়া রহমানের পদাবনতির আদেশ অবৈধ ঘোষণা, পাশাপাশি তাকে সকল সুযোগ-সুবিধাসহ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সামিয়া রহমান ও মারজানের যৌথভাবে লেখা ‘এ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার : এ কেস স্ট্যাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম’ শিরোনামের আট পৃষ্ঠার একটি গবেষণা প্রবন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউ’ জার্নালে প্রকাশিত হয়।
এটি ১৯৮২ সালের শিকাগো ইউনিভার্সিটির জার্নাল ‘ক্রিটিক্যাল ইনকোয়ারি’তে প্রকাশিত ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকোর ‘দ্য সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার’ নামের একটি নিবন্ধ থেকে প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠা হুবহু নকল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এক লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ কথা জানিয়েছিল ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো প্রেস।
এছাড়াও বুদ্ধিজীবী অ্যাডওয়ার্ড সাঈদের ‘কালচার অ্যান্ড ইমপেরিয়ালিজম’ গ্রন্থের পাতার পর পাতাও সামিয়া ও মারজান হুবহু নকল করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। ফলে ২০১৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমেদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে গত বছর ওই কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২৯ অক্টোবর তাদের একাডেমিক অপরাধের শাস্তির সুপারিশ করতে আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহকে আহ্বায়ক করে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শাস্তির বিষয়ে সুপারিশ জমা দিলে সিন্ডিকেটের সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পরে ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি গবেষণায় জালিয়াতির শাস্তি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিয়া রহমানের পদাবনমন ঘটে। পরে ৩১ আগস্ট সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে এক ধাপ নামিয়ে সহকারী অধ্যাপক করে দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট।
এছাড়াও পিএইচডি থিসিসে জালিয়াতির আরেক ঘটনায় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক ওমর ফারুককে সহকারী অধ্যাপক থেকে প্রভাষক পদে অবনমন ঘটানো হয়েছে। তার ডিগ্রিও বাতিল করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। ফেসবুকের দুটি ঘটনায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই তিন শিক্ষকের শাস্তি নির্ধারণে দুটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।
পরে পদাবনতি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সামিয়া রহমান।
সে রিটের শুনানি নিয়ে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমানকে পদাবনতি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সামিয়া রহমানের গবেষণা জালিয়াতি সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট, গঠিত ট্রাইব্যুনালের নথিসহ সব কাগজপত্র আদালতে দাখিল করতেও বলা হয়েছিল। সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি সংগৃহীত
ঢাকা প্রতিনিধি: কর আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির লক্ষ্যে ‘কর আইনজীবী নিবন্ধন পরীক্ষা-২০২৪’–এর লিখিত পরীক্ষা আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয়। বিসিএস (কর) অ্যাকাডেমি থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিতভাবে এসব বিষয়ে তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়— ‘আয়কর আইন ২০২৩’ এর ধারা ৩২৭ এবং‘ আয়কর বিধিমালা, ১৯৮৪’ এর বিধি ৩৭ অনুযায়ী প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীদের অনলাইন আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়। এরপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠিত কর আইনজীবী নিবন্ধন সংক্রান্ত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৬ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
পরীক্ষার সময় ও কেন্দ্রের বিস্তারিত উল্লেখসহ প্রবেশপত্র ডাউনলোডের লিংক আবেদনকারীদের মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে পাঠানো হয়।
পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর অনুযায়ী পরীক্ষাকেন্দ্র ও আসন বিন্যাস নিম্নে তুলে ধরা হলো:
১. উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ: রোল ১২০০০০০১ থেকে ১২০০৬০০০ পর্যন্ত।
২. ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ (স্কুল ক্যাম্পাস- ভেন্যু ২): রোল ১২০০৬০০১ থেকে ১২০০৭৪৭০ পর্যন্ত।
৩. ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ (কলেজ ক্যাম্পাস - ভেন্যু ১): রোল ১২০০৭৪৭১ থেকে ১২০১০০০০ পর্যন্ত।
৪. সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ: রোল ১২০১০০০১ থেকে ১২০১৩৪০০ পর্যন্ত।
৫. হাবিবুল্লাহ্ বাহার কলেজ: রোল ১২০১৩৪০১ থেকে ১২০১৬৪০০ পর্যন্ত।
৬. মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ: রোল ১২০১৬৪০১ থেকে ১২০২২৪০০ পর্যন্ত।
৭. মতিঝিল সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়: রোল ১২০২২৪০১ থেকে ১২০২৪০৯১ পর্যন্ত।
৮. আবুজর গিফারী কলেজ: রোল ১২০২৪০৯২ থেকে ১২০২৬৫৯১ পর্যন্ত।
৯. সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়: রোল ১২০২৬৫৯২ থেকে ১২০২৮১৯১ পর্যন্ত।
তবে কেউ যদি প্রবেশপত্র ডাউনলোডে কোনও সমস্যা বা টেকনিক্যাল জটিলতার সম্মুখীন হলে, সেক্ষেত্রে তারা https://www.facebook.com/alljobsbdTeletalk পেজে ইনবক্সে মেসেজ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া ই-মেইলে alljobs.query@teletalk.com.bd বা মোবাইল নম্বর ০১৮১৬-০৫৪৮৭৩-এ বিসিএস (কর) অ্যাকাডেমির উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. মাসুম বিল্লাহ’র সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, এবারে অন্যান্য বছরের তুলনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠিত কর আইনজীবী নিবন্ধন সংক্রান্ত কমিটির সিদ্ধান্তানুযায়ী জাতীয় রাজস্ব আয় বাড়াতে উল্লেখযোগ্য কর আইনজীবি নিয়োগের বিষয়টি বিভিন্ন সূত্রের মারফতে জানা যায়।