a গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে যেসব যোগ্যতা লাগবে
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ পৌষ ১৪৩২, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে যেসব যোগ্যতা লাগবে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩, ১১:৪১
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে যেসব যোগ্যতা লাগবে

ফাইল ছবি

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তিতে আবেদন চলছে। গত ১৮ এপ্রিল দুপুর ১২টা থেকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারছেন। আবেদন করা যাবে এ মাসের শেষ দিন (৩০ এপ্রিল) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ভর্তি পরীক্ষার সব তথ্য গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। এবার ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকছে। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আবেদন যোগ্যতা প্রকাশ করা হয়েছে।

২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালের এসএসসি বা সমমান এবং ২০২১ ও ২০২২ সালের এইচএসসি বা সমমান, ডিপ্লোমা ইন কমার্স, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি (ভকেশনাল), এ লেভেল এবং অন্যান্য সমমান পরীক্ষায় (সমমান নির্ধারণ কমিটি কর্তৃক অনুমোদনক্রমে) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই কেবল ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখা থেকে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে যথাক্রমে ইউনিট এ, ইউনিট বি এবং ইউনিট সি-তে আবেদন করতে পারবেন।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩০ নম্বর (পাস নম্বর) পেতে হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে

ইউনিটভিত্তিক আবেদনের যোগ্যতা নিম্নরূপ

ইউনিট এ: বিজ্ঞান শাখা থেকে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ-৩.৫০–সহ সর্বমোট জিপিএ কমপক্ষে ৮ থাকতে হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞান শাখাসহ মাদ্রাসা বোর্ড (বিজ্ঞান) এবং ভকেশনাল (এইচএসসি) বিজ্ঞান শাখা হিসেবে বিবেচিত হবে।

ইউনিট বি: মানবিক শাখা থেকে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ-৩-সহ সর্বমোট জিপিএ কমপক্ষে ৬ থাকতে হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মানবিক শাখাসহ মিউজিক, গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং মাদ্রাসা বোর্ড (সাধারণ, মুজাব্বিদ) মানবিক শাখা হিসেবে বিবেচিত হবে।

ইউনিট সি: বাণিজ্য শাখা থেকে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ-৩-সহ সর্বমোট জিপিএ কমপক্ষে ৬.৫০ থাকতে হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের বাণিজ্য শাখাসহ ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (এইচএসসি) এবং ডিপ্লোমা ইন কমার্স বাণিজ্য শাখা হিসেবে বিবেচিত হবে।

জিসিইয়ের ক্ষেত্রে আইজিসিএসই (ও লেভেল) পরীক্ষায় কমপক্ষে তিনটি বিষয়ে বি গ্রেডসহ পাঁচটি বিষয়ে পাস এবং আইএএল (এ লেভেল) পরীক্ষায় কমপক্ষে দুটি বিষয়ে বি গ্রেডসহ তিনটি বিষয়ে পাস থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে অনলাইনে সংশ্লিষ্ট নম্বরপত্র আপলোডসহ আবেদনের পর সমমান ও যোগ্যতা নির্ধারণ কমিটি কর্তৃক অনুমোদনক্রমে আবেদন করতে হবে।
কোন দিন কোন ইউনিটের পরীক্ষা

ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩০ নম্বর (পাস নম্বর) পেতে হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। শুধু গুচ্ছভুক্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরাই যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে পছন্দকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারবেন। সূত্র: প্রথম আলো

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১১:৫৬
এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ

ফাইল ছবি

২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র তালিকা ও আসনবিন্যাস প্রকাশ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। বৃহস্পতিবার ঢাকা বোর্ড থেকে কেন্দ্র তালিকা ও আসন বিন্যাস প্রকাশ করা হয়।

ঢাকা বোর্ড জানিয়েছে, ভেন্যু কেন্দ্রগুলো মূলকেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পরীক্ষা পরিচালনা করবে এবং পরীক্ষা শেষে যাবতীয় কাগজপত্র মূলকেন্দ্রে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জমা দেবে। জেলা সদরে ডিসি ও উপজেলা সদরে ইউএনও পরীক্ষা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচিত কলেজের অধ্যক্ষ বা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ বা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বা সিনিয়র কোনো অধ্যাপক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হবেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ গত ৪ সেপ্টেম্বর শেষ হয়। এবার এইচএসসির ফরম পূরণ করেছে ১৪ লাখ ৭ হাজার ৬০ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯, যাদের সবাইকে অটোপাস দেয়া হয়েছিল। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৪১ হাজার ২৭১ জন।

করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে একযোগে খুলছে। করোনাভাইরাসের ফলে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকবার চেষ্টা করেও এই মহামারীর কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আর খোলা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দ্রুত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন সংশ্লিষ্টরা।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শনিবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২১, ০৮:০৬
সারাদেশে পরিবহন ধর্মঘটে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ

ফাইল ছবি

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় প্রতিবাদে নেমেছে পরিবহন সেক্টরগুলো। ফলে বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি পর্যন্ত চলেনি রাজধানীসহ সারাদেশে। এতে জনজীবনে অসহনীয় ভোগান্তি ও দুর্দশা নেমে আসে।

বাস মিনিবাস না চলার কারণে সারাদেশ অচল হয়ে পড়ে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ট্রাক ভ্যানের দেখাদেখি সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় এদিন কার্যত হরতালের রূপ নেয়। শুধু বাস বন্ধ থাকার খেসারত দিতে হয়েছে লাখ লাখ বেকার শিক্ষার্থীকে।

শুক্রবার বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারী নিয়োগ পরীক্ষা থাকায় তাদের দুর্বিষহ ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। অনেকেই ঢাকায় আসতে না পারায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। এ ধরনের ধর্মঘটে জনজীবনে ভোগান্তির পাশাপাশি কাঁচাবাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

গতকাল শুক্রবার যেই চিত্র দেখা গেছে- আজ শনিবার তা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে অনেকে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করে শুক্রবারেই সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে আগামীকাল রবিবার পরিবহন নেতাদের সঙ্গে জরুরী বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। তিনি পরীক্ষার্থী ও জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সকল স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বাস্তবভিত্তিক মূল্য সমন্বয়ের মাধ্যমে জনগণের ওপর বাড়তি চাপ সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বাসও দেন।

সড়ক পরিবহন মালিক সমিতিও জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের ডাকা যে কোন বৈঠকে বসতে প্রস্তুত। সংগঠনের সভাপতি এনায়েত উল্লাহ খন্দকার বলেছেন, সরকারের ডাকের অপেক্ষায় রয়েছি। তেলের দাম না কমানো পর্যন্ত মালিকরা গাড়ি চালাবেন না। তবে এই ধর্মঘট কাল রবিবার পর্যন্ত চলবে।

যদিও আমরা কোন ধর্মঘটের ঘোষণা দেইনি-কিন্তু মালিকদের সেন্টিমেন্টের সঙ্গে আমরা একমত ও সংহতি প্রকাশ করছি।


এদিকে সাধারণ নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত নাগরিকদের ভোগান্তি তৈরি ছাড়া আর কিছুই না। তেলের মূল্য প্রত্যাহার বা স্থগিত করার কথা বললেও অন্তরালে আছে ভাড়া সমন্বয় করার কৌশল। পরিবহন মালিকদের উদ্দেশ্য ও স্বার্থ হয়তো রক্ষা হবে কিন্তু সাধারণ নাগরিকদের জীবনযাত্রা ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। আমরা তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল এবং পণ্য পরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাচ্ছি।

এদিন সকাল থেকেই দেখা যায়, রাজধানীসহ সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখেন মালিক-শ্রমিকরা। দিনের শুরুতেই সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। অথচ পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়নি। অর্থাৎ ঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার সকাল থেকে চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট।

তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে শুধু ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। গন্তব্যের উদ্দেশে সড়কের বিভিন্ন মোড়গুলোতে অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। কিন্তু কোন বাস না পেয়ে রিক্সা-সিএনজি কিংবা প্রাইভেটকার ভাড়া করে বাড়তি টাকা খরচ করে ছুটছেন অনেকে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - শিক্ষা