a
ফাইল ছবি
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তিতে আবেদন চলছে। গত ১৮ এপ্রিল দুপুর ১২টা থেকে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারছেন। আবেদন করা যাবে এ মাসের শেষ দিন (৩০ এপ্রিল) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ভর্তি পরীক্ষার সব তথ্য গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। এবার ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে থাকছে। ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আবেদন যোগ্যতা প্রকাশ করা হয়েছে।
২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালের এসএসসি বা সমমান এবং ২০২১ ও ২০২২ সালের এইচএসসি বা সমমান, ডিপ্লোমা ইন কমার্স, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি (ভকেশনাল), এ লেভেল এবং অন্যান্য সমমান পরীক্ষায় (সমমান নির্ধারণ কমিটি কর্তৃক অনুমোদনক্রমে) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই কেবল ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখা থেকে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে যথাক্রমে ইউনিট এ, ইউনিট বি এবং ইউনিট সি-তে আবেদন করতে পারবেন।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩০ নম্বর (পাস নম্বর) পেতে হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে
ইউনিটভিত্তিক আবেদনের যোগ্যতা নিম্নরূপ
ইউনিট এ: বিজ্ঞান শাখা থেকে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ-৩.৫০–সহ সর্বমোট জিপিএ কমপক্ষে ৮ থাকতে হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞান শাখাসহ মাদ্রাসা বোর্ড (বিজ্ঞান) এবং ভকেশনাল (এইচএসসি) বিজ্ঞান শাখা হিসেবে বিবেচিত হবে।
ইউনিট বি: মানবিক শাখা থেকে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ-৩-সহ সর্বমোট জিপিএ কমপক্ষে ৬ থাকতে হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মানবিক শাখাসহ মিউজিক, গার্হস্থ্য অর্থনীতি এবং মাদ্রাসা বোর্ড (সাধারণ, মুজাব্বিদ) মানবিক শাখা হিসেবে বিবেচিত হবে।
ইউনিট সি: বাণিজ্য শাখা থেকে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ-৩-সহ সর্বমোট জিপিএ কমপক্ষে ৬.৫০ থাকতে হবে। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের বাণিজ্য শাখাসহ ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (এইচএসসি) এবং ডিপ্লোমা ইন কমার্স বাণিজ্য শাখা হিসেবে বিবেচিত হবে।
জিসিইয়ের ক্ষেত্রে আইজিসিএসই (ও লেভেল) পরীক্ষায় কমপক্ষে তিনটি বিষয়ে বি গ্রেডসহ পাঁচটি বিষয়ে পাস এবং আইএএল (এ লেভেল) পরীক্ষায় কমপক্ষে দুটি বিষয়ে বি গ্রেডসহ তিনটি বিষয়ে পাস থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে অনলাইনে সংশ্লিষ্ট নম্বরপত্র আপলোডসহ আবেদনের পর সমমান ও যোগ্যতা নির্ধারণ কমিটি কর্তৃক অনুমোদনক্রমে আবেদন করতে হবে।
কোন দিন কোন ইউনিটের পরীক্ষা
ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩০ নম্বর (পাস নম্বর) পেতে হবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। শুধু গুচ্ছভুক্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরাই যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে পছন্দকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারবেন। সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি
কোনো নোটিশ ছাড়াই পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ের রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার সকালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। শিক্ষার্থীরা জানান, কেন্দ্রে এসে তারা জানতে পারেন, পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আজই তাদের শেষ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ২০১৮ সালে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা ২০২২ সালে শেষ হচ্ছে। গত ২১ নভেম্বর পরীক্ষা শুরু হয়ে আজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কোন নোটিশ ছাড়াই তা স্থগিত করা হয়েছে।
অন্য আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কেন্দ্রে আসার পর জানতে পারি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি। এধরণের আচরণ শুধুমাত্র সাত কলেজের প্রতিই করা হয়েছে। আমরা এমনিতেই ভয়াবহ সেশনজটে পড়ে আছি। আজ শেষ পরীক্ষা থাকলেও কেন্দ্রে এসে জানতে পারি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ৭ কলেজের ডিগ্রির এসব শিক্ষার্থীর পরীক্ষা ইডেন কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
এ বিষয় ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও সেভেন কলেজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ড. আবদুল কুদ্দুস সিকদার জানান, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন মৌখিকভাবে পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে, কোনো প্রকার নোটিশ দেওয়া হয়নি। এমন আচরণ আমরাও প্রত্যাশা করি না। দূরদূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে এসেছে। তাছাড়া আজ তাদের শেষ পরীক্ষা ছিল।
বিষয়টি নিয়ে সাত কলেজের সমন্বয়কের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান। সূত্র: যুগান্তর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর । ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনো জটিল বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এ অবস্থায় তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে না দেয়ার বিষয়টি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক, অমানবিক। এটা নিয়ে সরকার রাজনীতি করছে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এবং তার বিদেশ যাওয়া নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে দলের অবস্থান ব্যাখা করতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের ঘোষিত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকার বলছে- অনুমতি দিতে পারছে না। এজন্য যে যুক্তিগুলো দেয়া হয়েছে তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য, খোঁড়া যুক্তি। ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে।
সাজাপ্রাপ্তদের বিদেশে চিকিৎসার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ১৯৭৯ সালে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবকে এই আইনে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে পাঠানো হয়েছিলো। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিমকে সাজাপ্রাপ্ত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছিলো। অত্যন্ত উচ্চপদস্থ প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই সহোদর ভাই ৪০১ ধারায় ক্ষমা করে বাইরে পাঠানো হয়েছিলো। সুতরাং কেনো এই সমস্ত খোঁড়া যুক্তি? সোজা বলেন যে, আমরা খালেদা জিয়াকে যেতে দেবো না।
উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের আবেদনের কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আবেদন করার পরপর সরকার এমনভাবে কথা বলল এবং জনগণসহ সকলেই মনে করেছিলো- অনুমতি দিয়ে দেবে। একজন অসুস্থ মানুষের সঙ্গে কেউ রাজনীতি করবে না বলেই সবাই বিশ্বাস করেছিলো জনগন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে হঠাৎ করে সরকারের সুর বদলে গেল। তারা বলে দিল যে, আমরা দিতে পারছি না।