a
ফাইল ছবি
করোনা ভাইরাসজনিত স্বাস্থ্যঝুকির কথা চিন্তা করে একে একে পিছিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সেশনের ভর্তি পরীক্ষা। এবার ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে পূর্বের সিদ্ধান্তেই অটল রইলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষা পূর্বে সাধারণ নিয়মেই অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার আবেদন আগামী ২০ জুন আরম্ভ হয়ে শেষ হবে ৩১ জুলাই।
গতকাল ১৮ মে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) আবু হাসান এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির ষষ্ঠ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পূর্বে গত ২৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির পঞ্চম সভায় দুই ধাপে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী বাছাই করার পদ্ধতির কথা বিবেচনা করা হয়েছিল। তখন প্রাথমিক ধাপে জিপিএর ভিত্তিতে সব মিলিয়ে ১ লাখ ৮ হাজার জনকে বাছাই করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। দ্বিতীয় ধাপে যাদের বাছাই করা হবে তাদের ভিতর থেকে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পাশাপাশি আবেদন ফরমের দামও বৃদ্ধি করা হয়েছিল। বিভিন্ন অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের ফরমের দাম ৪০০ ও ৬০০ টাকা থেকে যথাক্রমে ৭৫৫ ও ১ হাজার ১৫৫ টাকা করা হয়েছিল।
গৃহীত এসব সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিত গত ১ মে ভর্তি পরিচালনা কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করা হয়। সেদিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছিল, ভর্তি পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিদ্ধান্ত ঈদুল ফিতরের ছুটির পর ১৮ মের সভায় চূড়ান্ত করা হবে। সে মোতাবেক গতকালের সভা হয়।
আবু হাসান বলেন, এখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যায়ে জিপিএ রেজাল্টের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী যাচাই বাছাই করে দুই ধাপে ভর্তি আবেদনের বিষয়টি আর থাকছে না। তবে শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ বহাল থাকছে। কিন্তু পরবর্তী বছরেও এই সিদ্ধান্তই ঠিক থাকবে কি না, এ নিয়ে সভায় কোনো কথা হয়নি। তিনি আরও বলেন, এ বছর ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি বৃদ্ধি করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কমিটির সর্বসম্মত অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে শিক্ষার্থীদের থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ আগের তুলনায় কিছুটা বাড়তি চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কমিটি ।
ভর্তি পরীক্ষার তারিখ আবেদন করার পর কিংবা আগামী মিটিংয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ফাইল ছবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) আবু হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আমাদের কার্যক্রম অনেক অগ্রসর হয়েছে। ইতোমধ্যে সব উপকমিটি করা করার পাশাপাশি ডীনদেরকে প্রশ্নপত্র প্রণয়নের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। সেটিও চলমান। আজ সকাল থেকে প্রার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রও ডাউনলোড করতে পারছেন। তবে আগামী কয়দিন পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন এ বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। ভর্তি পরীক্ষার নম্বর কমানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একজন ডিন এ ধরনের একটি প্রস্তাব দিলেও ভর্তি পরিচালনা কমিটির সভায় তা গৃহীত হয়নি। তাই সবকিছু আগের মতোই থাকছে।
আগামী ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। ৭ থেকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এখনো ইউনিট প্রতি ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করেনি বিশ্ববিদ্যিালয়টি।
গত বছরের চেয়ে এবার ৫১ হাজার ৯৮৪ শিক্ষার্থী কম আবেদন করেছে। এ বছর এক হাজার ৮৮৯ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে তিন লাখ সাত হাজার ৯৭৮টি। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মোট নয়টি ইউনিটের জন্য আলাদাভাবে ফরম পূরণ করতে হয়েছে।
ছবি সংগৃহীত
গাইবান্ধা থেকে সংবাদদাতা: ঈদের ছুটিতেও গাইবান্ধায় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কার্যক্রম পুরাদমে চলমান ছিল।মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র (মাতৃসদন) গাইবান্ধায় ছুটিকালীন সময়ে ৪ জন মাকে স্বাভাবিক প্রসব সেবাসহ গাইবান্ধার অন্যান্য সেবা কেন্দ্রে মডেল, ২৪/৭, ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে মোট ৭৮ জন মাকে স্বাভাবিক প্রসব সেবা ১০১ জন মাকে প্রসব পূর্ববর্তী সেবা, ১২৪ জন মাকে প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদান করা হয়।
এছাড়া সেবা কেন্দ্রেও মাঠ পর্যায়ে ৮৭১ সাইকেল খাবার বড়ি, ৩৩৪৩ পিস কনডম এবং ৫০৪ ভায়াল ইনজেকশন বিতরন করা হয়। সেবা কেন্দ্র ও মাঠ পর্যায়ে কৈশোরকালীন সেবা ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়। জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ও সংশ্লিষ্টরা সেবা কেন্দ্রে অবস্থান পুর্বক সেবা নিশ্চিত করার ব্যাপারে জেলা-উপজেলা কর্মকর্তাগন ভার্চুয়াল মাধ্যমে নিয়মিত খোঁজ খবর নেন বলে জানা যায়।