a
সংগৃহীত ছবি
আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের প্রথম ধাপের অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন মনিটরিং করে পাঠাতে আঞ্চলিক পরিচালকদের নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর।
মাউশি’র মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং এর পরিচালক প্রফেসর মোঃ আমির হোসেন স্বাক্ষরিত ৫ আগস্ট বৃহষ্পতিবার জারি করা অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত অফিস আদেশে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন সকল আঞ্চলিক পরিচালকরা তাদের নিজ অঞ্চলভূক্ত থানা বা উপজেলার সকল সরকারি ও বেসরকারি কলেজের প্রথম দুই সপ্তাহের শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট জমাদানের মোট সংখ্যা উপজেলা ও জেলা ভিত্তিক এবং নিজ অঞ্চলের তথ্যসার-সংক্ষেপ সংযুক্ত ছক অনুযায়ী তা প্রস্তুত করবেন।
উল্লেখিত সময়ে এসব তথ্য-উপাত্ত মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং এর ই-মেইল- assignment.mew@gmail.com এ পাঠাতে হবে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য পূনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির আলোকে প্রণয়নকৃত অ্যাসাইনমেন্ট প্রথম ধাপে দুই সপ্তাহের জন্য গত ২৬ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের কলেজ ও প্রশাসন শাখা হতে মাউশি’র ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
এর আলোকে অধ্যক্ষদের নেতৃত্বে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে একটি করে পরীবিক্ষণ টিম গঠন করে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরীবিক্ষণ করারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মাউশি অধিদফতর হতে পাঠানো বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে এব্ং কভিড-১৯ মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধিকে কোনোভাবেই উপেক্ষা না করারও অনুরোধ জানানো হয়।
ছবি সংগৃহীত: ২০২৪ সালে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ
নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বকশি বাজারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার এ ফলাফল প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, এবার এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৩১ হাজার ৩৭৬ শিক্ষার্থী। আলিম পরীক্ষায় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে নয় হাজার ৬১৩ পরীক্ষার্থী। ভোকেশনাল/বিএম/ডিপ্লোমা ইন কমার্সে পাসের হার ৯৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে চার হাজার ৯২২ শিক্ষার্থী।
গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। সেবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৯২ হাজার ৩৬৫ শিক্ষার্থী।
পরীক্ষার ফলাফল যেভাবে জানা যাবে-
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার জানান, দুই পদ্ধতিতে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.dhakaeducationboard.gov.bd, www.educationboardresults.gov.bd, www.eduboardresults.gov.bd-এ রেজাল্ট (Result) কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন (EIIN) এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক এবং রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল সংগ্রহ করা যাবে। এজন্য HSC Board name (first 3 letters) Roll Year টাইপ করে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। উদাহরণ: HSC Dha 123456 2024 লিখে 16222-তে পাঠাতে হবে। প্রি-রেজিস্ট্রেশন করেও ফল জানতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সিলেট-সুনামগঞ্জের পর নেত্রকোনা-শেরপুরেও বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। জনজীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তি। গৃহপালিত পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে তারা।
শেরপুর: ভারিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নয় দিনের মাথায় ফের আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে নিম্নাঞ্চলগুলোতে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভারিবর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলের পানিতে দ্বিতীয় দফায় শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ প্লাবন দেখা দিয়েছে।
এদিকে উজানের ভারতের মেঘালয়ের বিভিন্ন পাহাড়ি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
নেত্রকোনা: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে নেত্রকোনার কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্টা উপজেলায় বন্যা হচ্ছে। বিশেষ করে কলমাকান্দার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। উপজেলার আটটি ইউনিয়নের ৩৪৩ গ্রামের মধ্যে বেশিরভাগ গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়ায় প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ শুক্রবার সকালে বলেন, ‘কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্টা উপজেলার মধ্যে কলমাকান্দায় বেশি বন্যা হচ্ছে। ক্রমশ পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। তিনটি উপজেলায় প্রচুর মানুষ পানিবন্দি। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢুবে যাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বন্যাকবলিত প্রতিটি উপজেলায় ২০ টন করে চাল ও দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে শুকনো খাবারসহ ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত আছে।’
সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি চরম অবনতি হয়েছে। এতে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলার সদরসহ ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও শান্তিগঞ্জ এই ছয়টি উপজেলা বন্যাকবলিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। পানিবন্দি লোকজন চরম দুর্ভোগে আছেন। সুনামগঞ্জ জেলা সদরে বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে সুনামগঞ্জ শহরেরর ৬০ ভাগ বাসাবাড়িতে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।
সুনামগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহেদ হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সুনামগঞ্জ শহরের ৮০ ভাগ দোকানপাট পাহাড়ি ঢলের পানিতে নিমজ্জিত। দোকান ঘরে পানি ঢুকায় ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। এমন অবস্থায় অনেকে দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে। এতে ক্রেতা সাধারণ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।’
সিলেট: টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সিলেট নগরীসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বন্যাকবলিতদের। বন্যার কারণে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বাড়িঘরেও ঢুকে পড়েছে পানি। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের কাছে বন্যার পানি চলে আসায় বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুতের গ্রিড উপকেন্দ্র রক্ষা করতে কাজ শুরু করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। দুপুর ১২টার দিকে গ্রিড উপকেন্দ্রে পানি প্রবেশ বন্ধ করতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল কাদির গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা দুপুর ১২টা থেকে জিও ব্যাগ ফেলে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি প্রবেশ ঠেকাতে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে সিলেট সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মীরা একযোগে কাজ করছেন। সূত্র: যুগান্তর