a
সংগৃহীত ছবি
করোনা মহামারীতে পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই ঢাকা শিক্ষা বোর্ড উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের নির্দেশনা দিয়েছে। আগামী ২৯ জুন থেকে ১১ জুলাইয়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফরম পূরণ করতে হবে বলে আজ শুক্রবার শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এবার নির্বাচনী পরীক্ষা হবে না জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে সেজন্য ফি আদায় করতে নিষেধ করা হয়েছে। ফরম পূরণের জন্য বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের দুই হাজার ৫০০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শাখার শিক্ষার্থীদের এক হাজার ৯৪০ টাকা ফি দিতে হবে। এর অতিরিক্ত ফি আদায় করলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
উল্লেখ্য, মহামারীর কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ। কয়েক দফা উদ্যোগ নিয়েও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনও খুলতে না পারলেও এবার পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলে আসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেজন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসও প্রকাশ করা হয়েছে।
ফাইল ছবি
দাখিল নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম আগামীকাল ১২ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের ফরম পূরণ ও টাকা জমা দেওয়া যাবে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিলম্ব ফিসহ রেজিস্ট্রেশনের টাকা জমা দেয়া যাবে।
গত শনিবার (৮ আগস্ট) মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে মাদরাসা প্রধানদের কাছে এসব তথ্য জানিয়ে দাখিল নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের (২০২৩ সালের দাখিল পরীক্ষার্থীদের) রেজিস্ট্রেশন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, দাখিল ৯ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন ফি ১৯১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, কেউ নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলে তাকে অতিরিক্ত ৫০ টাকা বিলম্ব ফি দিয়েও রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
১২ বছর পূর্ণ না হলে বা ১৮ বছরের বেশি বয়সের কেউ দাখিল ৯ম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না। জেএসসি বা জেডিসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে কোনো শিক্ষার্থীর নবম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না। ফেল করা শিক্ষার্থী নবম শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে না।
শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ফরম পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। মাদরাসাগুলোতে পাঠানোর উদ্দেশ্য নির্দেশনায় অনলাইনে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণের বিস্তারিত প্রক্রিয়া তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহে নমুনা ছকও প্রকাশ করা হয়েছে।
ফাইল ছবি
রাজশাহীর ওপর দিয়ে গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। এরপর মৃদু তাপপ্রবাহ এবঙ সর্বশেষ মাঝারি তাপপ্রবাহ তীব্র তাপপ্রবাহে পরিণত হয়।
রাজশাহীর তাপমাত্রার পারদ ওঠে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এমন পরিস্থিতিতে বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছিল। অবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মিলেছে। স্বস্তির বৃষ্টিতে হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন রাজশাহীর মানুষ।
আবহাওয়া অধিদফতর বলেছে, এর দুপরের পর আকাশে মেঘ জমতে শুরু করে। বিকাল সাড়ে ৫টার পর রাজশাহীর পুরো আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়। এরপর সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে নামে সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে, কখনও গুঁড়িগুঁড়ি কখনও বা মুষলধারে। আজকের বজ্রসহ বৃষ্টি মানুষের মনে প্রশান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাজশাহীর পার্শ্ববর্তী উপজেলা এলাকায় ৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার এবং ৯ এপ্রিল ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
টানা তাপদাহের পর বুধবারের এই বৃষ্টি জনমনে স্বস্তি এনে দিয়েছে। তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আপাতত আর বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা।
এদিকে, বৃষ্টি শুরুর পর থেকেই রাজশাহী বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে এবং কোথাও বিদ্যুৎ আসলেও চলছে লোড শেডিং।