a
সংগৃহীত ছবি
করোনা মহামারীতে পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই ঢাকা শিক্ষা বোর্ড উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের নির্দেশনা দিয়েছে। আগামী ২৯ জুন থেকে ১১ জুলাইয়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফরম পূরণ করতে হবে বলে আজ শুক্রবার শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এবার নির্বাচনী পরীক্ষা হবে না জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে সেজন্য ফি আদায় করতে নিষেধ করা হয়েছে। ফরম পূরণের জন্য বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের দুই হাজার ৫০০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শাখার শিক্ষার্থীদের এক হাজার ৯৪০ টাকা ফি দিতে হবে। এর অতিরিক্ত ফি আদায় করলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
উল্লেখ্য, মহামারীর কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ। কয়েক দফা উদ্যোগ নিয়েও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনও খুলতে না পারলেও এবার পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলে আসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেজন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসও প্রকাশ করা হয়েছে।
ফাইল ছবি
করোনায় আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান (৭৪)(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাজি রাজিউন)। গত শুক্রবার (২০ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমানের মৃত্যুর তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন তার মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক তাসমিনা রহমান। অধ্যাপক তাসমিনা রহমান জানান, পারিবারিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তার বাবাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
গত ০৪ আগস্ট করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান। পরবর্তীকালে অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিউ) স্থানান্তর করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের গুণী এ অধ্যাপক ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ চার বছর জাবির উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। এদিকে অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমানের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে। সাবেক এই উপাচার্যের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।
শোকবার্তায় অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, "জাবির শিক্ষা, গবেষণা এবং সম্প্রসারণে অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমানের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে"। এদিকে খন্দকার মুস্তাহিদুরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশসহ বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফাইল ছবি: দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
আজ রোববার বিকেলে বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে কারাগার থেকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএসএমইউ) পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে বিকেলে তাঁদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর ইসিজিসহ বেশ কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে দেখা যায়, তাঁর সুগার অনেক বেশি, প্রেশার নিয়ন্ত্রণে নেই। এ ছাড়া তিনি হৃদ্রোগে (হার্ট অ্যাটাক) আক্রান্ত হয়েছেন। যে কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় বিএসএসএমইউতে পাঠানো হয়েছে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-১-এর জেল সুপার মো. শাহজাহান আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আছেন।
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১-এ বন্দী আছেন জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। সেখানে থাকা অবস্থায় আজ বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে কারাগারের অ্যাম্বুলেন্সে করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন সাঈদী। পরে ২ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সূত্র: প্রথম আলো