a
সংগৃহীত ছবি
দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এবতেদায়ি ও কওমি মাদ্রাসাসমূহের চলমান ছুটি আগামী ৩১ জুলাই তারিখ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন।
দেশে করোনা পরিস্থিতি খারাপ থাকায় এবং কঠোর লকডাউন চলমান থাকায়, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনা করে এবং কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
ফাইল ফটো: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ভবন
করোনার সংক্রমণ বাড়ার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রুখতে ১২ দফা সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসবের মধ্যে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা, যে কোনো পাবলিক পরীক্ষা যেমন—বিসিএস, এইচএসসি ও এসএসসিসহ অন্যান্য পরীক্ষা বন্ধ রাখা।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও বর্তমানে করণীয় সম্পর্কে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১২টি প্রস্তাব গৃহীত হয়।
১. সম্ভব হলে কমপ্লিট লকডাউনে যেতে হবে, সম্ভব না হলে ইকোনমিক ব্যাল্যান্স রেখে যে কোনো জনসমাগম বন্ধ করতে হবে।
২. কাঁচাবাজার, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, শপিং মল, মসজিদ, রাজনৈতিক সমাগম, ভোট অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, পবিত্র রমজান মাসের ইফতার মাহফিল ইত্যাদি অনুষ্ঠান সীমিত করতে হবে।
৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ আছে সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে। অন্যান্য কার্যক্রম সীমিত রাখতে হবে।
৪. যে কোনো পাবলিক পরীক্ষা (বিসিএস, এসএসসি, এইচএসসি, মাদ্রাসা, দাখিলসহ অন্যান্য) বন্ধ রাখতে হবে। ৫. কোভিড পজিটিভ রোগীদের আইসোলেশন জোরদার করা।
৬. যারা রোগীদের সংস্পর্শে আসবে তাদের কঠোর কোয়ারেন্টাইনে রাখা।
৭. বিদেশ থেকে বা প্রবাসী যারা আসবেন তাদের ১৪ দিনের কঠোর কেয়ারেন্টাইনে রাখা এবং এ ব্যাপারে সামরিক বাহিনীর সহায়তা নেওয়া।
৮. আগামী ঈদের ছুটি কমিয়ে আনা।
৯. স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আইন প্রয়োজনে জোরদার করা।
১০. পোর্ট অব এন্ট্রিতে জনবল বাড়ানো, মনিটরিং জোরদার করা।
১১. সব ধরনের সভা ভার্চুয়াল করা।
১২. পর্যটন এলাকায় চলাচল সীমিত করা।
সংগৃহীত ছবি
আলোচিত নায়িকা পরীমণি রাজধানীর বিভিন্ন সামাজিক ক্লাব ও বারে নিষিদ্ধ হচ্ছেন। সবাই এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তার সাম্প্রতিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বিরক্ত হয়ে। এর মধ্যে সামাজিক ক্লাবগুলোর কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে পরীমণিকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার।
পরীমণি কিংবা তার মত কাউকে ক্লাবে কোনো সদস্য নিয়ে গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, কোন অনাকাংঙ্খিত ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট সদস্যের সদস্যপদ খারিজ করা হবে। ক্লাব ও বারগুলোর এ সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী ও প্রদর্শকরাও।
তারা বলছেন, ব্যক্তি বিশেষের দায়ভার কোনোভাবেই পুরো চলচ্চিত্র জগত নিতে পারে না। পরীমণি বাংলাদেশের সিনেমার বড় ধরণের ক্ষতি সাধন করেছে। নেতিবাচক ধারণা তৈরি করেছেন চলচ্চিত্র জগত সম্পর্কে। তার কারণে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন অন্য অভিনেত্রীরাও।
এদিকে, পুলিশ গুলশান অল কমিউনিটি ক্লাবে পরীমণির ভাঙচুর ও মাতলামির সকল সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে সত্যতা পেয়েছে। এখন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বোট ক্লাবের ফুটেজগুলো। প্রয়োজনে পুলিশ পরীমণি ও তার সঙ্গীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।