a কৌতুক অভিনেতা চিকন আলীকে ডিভোর্স দিয়েছে তার স্ত্রী
ঢাকা বুধবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

কৌতুক অভিনেতা চিকন আলীকে ডিভোর্স দিয়েছে তার স্ত্রী


বিনোদন ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শুক্রবার, ২০ আগষ্ট, ২০২১, ১০:২০
কৌতুক অভিনেতা চিকন আলীকে ডিভোর্স দিয়েছে তার স্ত্রী

ফাইল ছবি

দীর্ঘদিনের জল্পনা কল্পনার ইতি টেনে বর্তমান বদলগাছী উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কৌতুক অভিনেতা চিকন আলীর স্ত্রী খালেদা আক্তার কল্পনা তার স্বামী শামিনুর রহমান ওরফে চিকন আলীকে ডিভোর্স দিয়েছেন। ডিভোর্সের কাগজ হাতে পাওয়ার পর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা চিকন আলী।

১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার, রাত সাড়ে দশটায় তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে আক্ষেপ করে লিখেছেন যে,শুধু প্রেমিকের জন্য আমাদের বিবাহিত জীবনের ১৬ বছরের সম্পর্ককে ইতি টানলেন? দুই বাচ্চার মায়া ত্যাগ করে,তিনি গত গত ১৩ আগস্ট তারিখে আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়ে,পরের দিন শনিবার ১৪ আগস্ট,২০২১ তারিখে আমাকে ডিভোর্স দেয়। তাহলে বুঝা গেলো পুর্ব পরিকল্পনামতো তিনি কাজ করেছেন। আমি বাইক এক্সিডেন্ট করে যে দুইমাস তার সাথে ছিলাম, সে কোন ফোন ব্যবহার করে নাই। এখন সেই ফোন খোলা আপনারাই বলেন,এই নারীর কি বিচার হওয়া উচিৎ।

উল্লেখ্য যে গত বুধবার (১৮ আগষ্ট) রাত ১১ টায় ‘চিকন আলী শামীনুর রাহমান’ নামে তার ফেসবুক আইডি থেকে পোষ্টে লিখেছে- ‘বদলগাছী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, খালেদা আক্তার কল্পনা, পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে গত শুক্রবার বের হয়ে গেছেন। যদি কেউ তার সন্ধান পেয়ে থাকেন। নিকটস্থ থানায় অবহিত করবেন…. ধন্যবাদ।

চিকন আলীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ আগষ্ট ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আক্তার বাড়ি থেকে বড় ছেলে আরিয়ান (১৫) ও ছোট ছেলে আহবানকে সঙ্গে নিয়ে পাশ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলায় চিকিৎসার জন্য যান। চিকিৎসা শেষে বড় ছেলেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ছোট ছেলেকে নিয়ে তিনি আর বাড়ি ফিরেননি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার সন্ধ্যান চেয়ে ফেসবুকে ছবিসহ একটি পোষ্ট দেন চিকন আলী।

শামীনুর রাহমান ওরুফে চিকন আলী বলেন, ভালবেসে তাকে (খালেদা আক্তার কল্পনা) বিয়ে করেছিলাম। বিয়ের আগে বুঝতে পারিনি বিভিন্ন জনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এরমধ্যে এক সন্তান জন্ম নেয়। সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে আর  ডিভোর্সের কোন চিন্তা না করে সংসার চালিয়ে আসছিলাম। কিন্তু কিছুতেই সে সংশোধন হচ্ছিল না। পরে সিদ্ধান্ত নিলাম আমার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে তাকে জনপ্রতিনিধি করার। কারন জনপ্রতিনিধি হলে আত্মসন্মানের জন্য হয়তো ভাল হবে। এরপর ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হওয়ার পর বয়স্ক, বিধবা ভাতাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ আসতে থাকে। এলাকার কোন উন্নয়ন না করে সবকিছু আত্মসাৎ করত। এলাকাবাসী আমাকে ফোন করে এসব অভিযোগ করতো। আত্মসাতকৃত টাকা তার বাবার বাড়িতে পাঠাতো। এসব বিষয় নিয়ে তার সাথে একাধিকবার মনোমানিল্য হয়। তাকে সংশোধন হতে বলা হয়। উল্টো আমাকেই মামলার হুমকি দেয়। ছেলের চিকিৎসা করানো কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এমনকি তার ফোন নম্বরও বন্ধ আছে। তার বাবার বাড়িতে কয়েক ঘন্টা ছিল বলে শুনেছি। তার অনিয়মের বিষয়গুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান তিনি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

৭০ মিলিয়ন ভিউ ছাড়িয়েছে ভাইরাল গান মানিকে মাগে হিতে


বিনোদন ডেস্ক:
সোমবার, ৩০ আগষ্ট, ২০২১, ০৯:২৮
৭০ মিলিয়ন ভিউ ছাড়িয়েছে ভাইরাল গান মানিকে মাগে হিতে

ফাইল ছবি

বর্তমান ভাইরালের যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকসহ নানা মাধ্যমে চোখ রাখলেই ভেসে আসে তার ছবি ও ভিডিও। দুর্বোধ্য ভাষার গান গাইছেন তিনি। যার একটি অর্থও জানা নেই। তবুও তার গানের ভিডিওতে মজেছে বাংলাদেশ সহ পুরো বিশ্ব।

ভারত, পাকিস্তানসহ আরও অনেক দেশেই পৌঁছে গেছে তার গানের এই ভিডিও। যেটি মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। ওই গায়িকার গায়কীই মূলত তাকে আলোচনায় নিয়ে এসেছে। রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টার বানিয়ে দিয়েছে। ‘মানিকে মাগে হিতে’ শিরোনামের গানটির এ গায়িকার নাম ইয়োহানি ডি সিলভা। তার বেড়ে উঠা শ্রীলঙ্কায়। তার বাবা একজন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা,তার মা একজন বিমান সেবিকা, ইয়োহানি বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করলেও তার আগ্রহ ছিল লজিস্টিক ম্যানেজমেন্টে।

তার গাওয়া সিংহালী ভাষার গানটি নিয়ে স্বয়ং প্রশংসা করেছেন বলিউড গ্রেট অমিতাভ বচ্চন এরইমধ্যে এই গানের তামিল, মালয় ও বাংলা সংস্করণও বের হয়েছে। সেগুলোও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। ইয়োহানি ডি সিলভার বয়স মাত্র ১৮। জন্মসূত্রে তিনি শ্রীলংকান। নিজেই গান লেখেন, সুর করেন ও কণ্ঠ দেন। নিজের দেশে বেশ জনপ্রিয় ইয়োহানি। সেখানে নিয়মিত স্টেজ শো করেন। এর আগে তার গাওয়া আরেকটি গান সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল।

অনেক আগে থেকেই তিনি ইউটিউবে জনপ্রিয়। এছাড়া তার বাদ্যযন্ত্রের ব্যবসাও রয়েছে। বিদেশি বাদ্যযন্ত্র আমদানি করে শ্রীলংকায় বিক্রি করেন, আবার সেখানকার স্থানীয় বাদ্যযন্ত্র রফতানি করেন অন্য দেশে। ‘মানিকে মাগে হিতে’ গানটি তাকে নিজের দেশের বাইরেও তারকাখ্যাতি এনে দিলো। শ্রীলংকায় এখন তাকে ‘র‍্যাপ প্রিন্সেস’ বলা হচ্ছে। হু হু করে বাড়ছে তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার সংখ্যা। ইউটিউবের সাবস্ক্রিবশন সংখ্যাও রাতারাতি বেড়ে এখন আকাশচুম্বী। ‘মানিকে মাগে হিতে’ লাইনটির বাংলা অর্থ হলো ‘তুমি আমার চোখের মণি’।

এই গান প্রথমে গেয়েছিলেন শ্রীলংকার আরেক র‍্যাপার সথীশন রাথনায়কা। এরপর গত মে মাসে ইয়োহানির কণ্ঠে পুনরায় রেকর্ড করা হয়। এদিকে গানটি ভাইরাল হওয়ার পর বলিউড থেকেও নাকি ইয়োহানিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি এখনই শ্রীলংকা ছেড়ে মুম্বাইতে আসছেন না। তিনি আপাতত র্যাপ গানেই মনোনিবেশ করতে চান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

সুপার ১০ টিমের সাথে ৭ডিসিসির এক বছর পূর্তি উদযাপন


আবু হানিফ, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ০৯ জুলাই, ২০২২, ১১:৪৫
সুপার ১০ টিমের সাথে ৭ডিসিসির এক বছর পূর্তি উদযাপন

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

গণিতের প্রতি যেন গ্রামের ছেলেমেয়েরা ভয় ভীতি না পায়, সেজন্য সহজ বোদগম্যভাবে করতে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন শরীয়তপুরের ছেলে সবুজ। শিক্ষার্থীদের মনোযোগ যেন গণিতের প্রতি বাড়ে, সেজন্য কুইজ, আইকিউ টেস্ট এবং লজিক পাজলের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা শেখান। রীতিমতো এক অন্যরকম আনন্দদায়ক ক্লাস করান তরুন সবুজ। গনিতকে জনপ্রিয় করতেই ২০২১ সালের ৮ জুলাই প্রতিষ্ঠা করেন ৭ ডিসিসি। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সুপার ১০ সদস্যের নিয়ে কাশেমপুর কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টে গতকাল ৮ জুলাই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।

৭ডিসিসি এর প্রতিষ্ঠাতা সবুজ আহমেদ বলেন, আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে ১০ জন সুপার লেভেলের বাচ্চা নিয়ে শুরু করেছিলাম আমার এই সুপার ১০ অলিম্পিয়াড টিম এবং ৭ডিসিসি এডুকেশনাল প্লাটফর্ম।

এই টিমের ১০ জন সদস্যকে তখন  কয়েক ধাপে বাছাই করে নেওয়া হয়েছিল। এদের আইকিউ লেভেল এনাফ গুড। সেই শুরু থেকেই এখন অব্দি এদেরকে আমি গাইড করে আসছি।প্রবলেম সলভিং, ছোট খাটো আইকিউ টেস্ট এগুলা প্রায় সময়ই টিমের সদস্যরা প্রাকটিস করে। টিমের ১০ জনের মধ্যে ৫ জন কলেজ স্টুডেন্ট, ৩ জন এস এস সি ক্যান্ডিডেট, ১ জন ক্লাস ১০ এবং ১ জন ক্লাস ৯ এর শিক্ষার্থী।

সুপার ১০ এর বৈশিষ্ট্যঃ
১.এরা সিনিয়র জুনিকয়র সবাই একসাথে একই ধাপের প্রব্লেম সলভ করে।
২.একজনের প্রব্লেম সলভিং ক্যাপাবিলিটি  দেখে অন্যজন মোটিভেট হয়।
৩.টিম আকারে প্রব্লেম সলভ করে।
৪.একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে, ছুটিকালীন সময়গুলাতে সবাই গণিত বিজ্ঞান প্রাকটিস করে।

এই যে এত এত কিছু করা হয়, এতে কিন্তু কারো কখনো মন খারাপ হয় না, কারো কখনো ক্লান্তিভাব আসে না, ইভেন কারো একাডেমিক এডুকেশনেও প্রভাব পড়ে না। যার শিক্ষক যত ভালো সে তত বেশি এগিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক।

তরুন শিক্ষার্থী সবুজ বলেন, সুপার ১০ টিম এবং ০৭ডিসিসি এর ১ বছর সেলিব্রেশন করলাম আমরা। সবাই যাতে ফ্রেশ মন নিয়ে পুরো উদ্যমে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে, সেকারনে সুপার ১০ অলিম্পিয়াড টিমকে  অনেকেই সাপোর্ট করতে  এগিয়ে আসছেন।

সবুজ আরো বলেন, আমাদের সুপার ১০ এর জন্য আমেরিকা থেকে গিফট মেহেদী হাবিব এর পক্ষ থেকে উপহার এসেছে। তিনি ভবিষ্যতে আমাদের সব রকম সাহায্য করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

সবুজ  বলেন, মেহেদী ভাই আরো একটা মহৎ  কাজের আইডিয়া দিয়েছেন সুপার ১০ এর মতো সুবিধাবঞ্চিত এবং একটু পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে এইবার কাজ শুরু করতে বললেন।

যাদের দিকে সমাজ কিংবা কোনো সংগঠন তাকায় না, এমন ২০ জন বাচ্চা নিয়ে, অতি শীগ্রই আমি আরেকটা টিম করতে যাচ্ছি, যার নাম  হবে, ‘ডিটারমাইন্ড ২০’।
আশা করি, সমাজের সুধীমহল, স্কলার এবং শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা বরাবরের মতো আমার এই টিম গুলাকে সাপোর্ট করবেন।

গণিতপ্রেমী সবুজ বলেন, গত বছর ০৭ডিসিসি গণিত অলিম্পিয়াড  এ লোকাল গভঃ এবং প্রয়াস সংগঠন আমাকে সাপোর্ট  করেছেন।

এইবার সুপার ১০ অলিম্পিয়াড টিমকে সাপোর্ট করতেছেন আমেরিকা থেকে মেহেদী হাবিব। আশা করি, মেহেদী ভাইকে সামনের সকল কাজে পাশে পাব। উনি একজন বাস্তববাদী শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি। এলাকার শিক্ষার্থীদের নিয়ে সারাজীবন চিন্তা ভাবনা করেন।বিদেশে থেকেও যে, আমাদের এই ছোট্ট কাজকে সাপোর্ট করতেছেন, এটা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।

পরিশেষে সবাইকে গণিতপ্রেমে এগিয়ে আসার আহবান জানালেন তরুন এই সবুজ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - বিনোদন