a
ফাইল ছবি। নুসরাত জাহান
জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য নুসরাত জাহানের মা হওয়ার খবরে টলিপাড়া উত্তাল। এরমধ্যেই অভিনেত্রী তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখলেন- ‘তুমি তোমার মতো করে প্রস্ফুটিত হবে’।
অভিনেত্রী কার উদ্দেশে এই বার্তা দিয়েছে তা স্পষ্ট না করলেও নেটিজেনদের অনেকের ধারণা, নুসরাতে এ বার্তা দিয়েছেন ‘অনাগত সন্তানের’ জন্য।
আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মা হতে যাচ্ছেন টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। তবে এ ব্যাপারে নুসরাতের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
নুসরাতের স্বামী নিখিল জৈন বলেছেন, ‘এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ওর সঙ্গে দীর্ঘ দিন আমার কোনো সম্পর্ক নেই। এর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে এই সন্তান আমার নয়।’
দুই বছর আগে ধুমধাম করে নিখিল জৈনকে বিয়ে করেছিলেন নুসরাত। তবে বছর না পেরুতেই শুরু হয় তাদের মাঝে সম্পর্কের টানাপোড়েন। এদিকে এর পরই অভিনেতা যশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে নুসরাতের। বিভিন্ন পার্টিতে একসাথে দেখা যায় দু'জনকে। এ নিয়ে শুরু হয় যশ-নুসরাত নতুন রসায়নের ইঙ্গিত।
নুসরাত-যশের ঘনিষ্ঠসূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত এবং নুসরাতের জীবনে আসতে চলেছে নতুন অতিথি। এক মাস আগেই তারা এই সুখবর পেয়েছেন বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এখন এই জুটি কবে মা-বাবা হওয়ার বিষয়টি ঘটা করে স্বীকার করবে সেটাই দেখার বিষয়।
ফাইল ছবি
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান খান। দুর্দান্ত অভিনয় এবং অসাধারণ ব্যক্তিত্ব দিয়ে সিনেমা প্রেমীকদের মাঝে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। সিনেমার হিরোগিরির পাশাপাশি বাস্তব জীবনেও সালমান সাধারণ মানুষের নিকট অনেক প্রিয়। তার মানবিকতা বরাবরই প্রশংসনীয়।
তাকে দেখা যায় নানা ক্রান্তিলগ্নে সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে এসে দাঁড়াতে। তার দাতব্য প্রতিষ্ঠান বিং হিউম্যান গতবছরের করোনার প্রথম ধাপ থেকেই ভারতের সুবিধাবঞ্চিত নানা অঞ্চলের মানুষের সাহায্য সহযোগিতার কাজে এগিয়ে গিয়েছেন। বিং হিউম্যান তার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে চলতি বছরেও।
ভারতে করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের এই সময়েও কাজ করে যাচ্ছে সালমানের প্রতিষ্ঠানটি। করোনার সম্মুখযোদ্ধা যেমন ডাক্তার, পুলিশ, বিএমসি স্টাফসহ অনেকের জন্যই খাদ্যদ্রব্যসহ অন্যান্য সাহায্য-সহযোগিতা পাঠাচ্ছেন সালমান খান।
গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে যুবসেনা দলনেতা রাহুল কামাল জানান, 'করোনার এই দ্বিতীয় ধাপে সালমান বর্তমানে ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের নিয়ে বেশ চিন্তিত। দীর্ঘ পরিসরে কাজ এবং কাজ শেষে কোয়ারেন্টাইনসহ নানা মারপ্যাঁচে জীবন যাপন করায় ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের জন্য নানা সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন সালমান। করি এবং জুহুল অঞ্চলের এই ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের মাঝে ইতিমধ্যেই খাবারসহ নানা ধরনের প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে সালমানের বিং হিউম্যান।
সালমানের এই খাবার প্যাকেটে রয়েছ চা পাতা, বিশুদ্ধ পানি, বিস্কুট, পাভ ভাজিসহ আরো নানান কিছু।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর নতুন সিনেমা নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন সালমান খান। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা 'রাধে: দ্য মোস্ট ওয়ান্টেড'র ট্রেইলার। চলতি বছর টাইগার সিরিজের তৃতীয় কিস্তির কাজও শেষ করার কথা রয়েছে তার।
ফাইল ছবি
এবারের বাজেটে আগের মতোই থাকছে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা। অর্থাৎ বার্ষিক আয় যাদের ৩ লাখ টাকার কম তাদের কোনো কর দিতে হবে না। আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুন) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের সময় এ প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, যা ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়। নারী করদাতা, সিনিয়র করদাতা, প্রতিবন্ধী করদাতা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা আরও বেশি। তিনি বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর কারণে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য বিদ্যমান করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার জন্য বিদম্যান এই করহার তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্যও প্রযোজ্য ছিল। তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্য সামাজিক আত্তীকরণের লক্ষ্যে বিশেষ বিধান চালুর পাশাপাশি তাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি। বর্তমান সরকার ব্যবসা সহকীকরণ ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। বিশেষ করে ব্যক্তিশ্রেণির ব্যবসায়ী করদাতাদের কর দায় লাঘবে সরকার সদা তৎপর। এ লক্ষ্যে ব্যক্তি করদাতাদের ব্যবসায়িক টার্নওভার করহার কমিয়ে ০.৫ শতাংশের পরিবর্তে ০.২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছিল। চার বছর করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকাই ছিল। সাধারণত চার-পাঁচ বছর পরপর জীবনযাত্রার ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় এই সীমা বাড়ানো হয়।