a
ফাইল ছবি
দেশের জনপ্রিয় তারকা রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। প্রথমবারের মতো কলকাতার সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ‘মায়া’ সিনেমার লুক প্রকাশ্যে আসার পর তাকে ঘিরে দর্শকের প্রত্যাশা বেড়েছে। এরই মধ্যে কলকাতার নতুন আরেকটি সিনেমায় চুক্তি করেছেন।
‘অ্যা রিভার ইন হ্যাভেন’ শিরোনামের সিনেমাটি নির্মাণ করবেন রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায়। এতে তার বিপরীতে পর্দায় হাজির হবেন ববি চক্রবর্তী। ভারতের ইতিহাসের চেয়েও পুরনো উত্তর প্রদেশের বিখ্যাত শহর বারাণসীতে সিনেমাটির দৃশ্যধারণ করা হবে।
নতুন এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে মিথিলা জানিয়েছেন, ‘দুর্দান্ত গল্প ও চরিত্রের জন্য কাজটি করতে সম্মত হয়েছি। এই দুটি বিষয় আমার কাছে খুবই গুরত্বপূর্ণ। চরিত্রের মধ্যে বিভিন্ন শেড আছে। একজন সাধারণ নারী পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে একটি নদীর স্রোতের মতো জীবন যাপন করতে শেখে।’
গঙ্গা নদী, ভালোবাসা, বিশ্বাস, ধোঁকা এবং সবশেষে পুনর্মিলন ইত্যাদি বিষয়ে সাজানো হয়েছে সিনেমাটির গল্প। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকছেন মিথিলা।
এছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করবেন শ্রমণা চক্রবর্তী, সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, চান্দ্রেয়ী ঘোষ, অমৃতা চট্টোপাধ্যায়, তন্নিষ্ঠা বিশ্বাস প্রমুখ। সিনেমাটির গল্প লিখেছেন রিঙ্গো নিজেই। পরিচালনার পাশাপাশি সিনেমাটোগ্রাফি, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের দায়িত্বও তিনিই সামলাবেন। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরেই সিনেমাটির দৃশ্যধারণ শুরু হবে।
ফাইল ছবি
দেশবরেণ্য গণমাধ্যমব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেত অন্যান্য বছরের ন্যায় বইমেলা-২০২৩ নিয়ে এলেন নতুন বই। বইটির নাম ‘আবেগ যখন বিবেকহীন’।
তার লেখালেখি প্রসঙ্গে হানিফ সংকেত গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মিডিয়াতে আমার শুরুটাই লেখালেখি দিয়ে। আর সেটা সত্তুর দশকের শুরু থেকেই। দর্শকদের ভালোবাসার কারণে ইত্যাদিকে নিয়ে বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকতে হয়, তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সবসময় লিখতে পারি না। কারণ গত ৩৪ বছর ধরেই আমাকে একটা সিডিউল মেনে চলতে হচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট তারিখে ইত্যাদি প্রচার হয় বলে আমাকে সেই তারিখের আগে অনুষ্ঠানটি নির্মাণ করে জমা দিতে হয়। তবে যত ব্যস্ত থাকি না কেন মনের ক্ষুধার তাড়নায় চেষ্টা করি সংখ্যায় বেশি না হলেও বছরে অন্ততঃ একটি হলেও বই প্রকাশ করতে।’
তিনি জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান ইত্যাদি নির্মাণ করে আসছেন গত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে। সামাজিক অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি লেখালেখিতেও তার গভীর পর্যবেক্ষণ অনুকরনীয়।
বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরে সমাজকে পরিশুদ্ধ করতে তিনি যেমন নিরন্তন কাজ করে যাচ্ছেন তেমনি আমাদের নাগরিক সচেতনতা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেও ভূমিকা রাখছেন আন্তরিকতার সঙ্গে। তার এবারের গ্রন্থেও সেই বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বলে জানান।
‘আবেগ যখন বিবেকহীন’ বইটি সম্পর্কে হানিফ সংকেত বলেন, আবেগ ও বিবেকের মধ্যে পার্থক্য হলো, বিবেক উচিত-অনুচিত, ভালো-মন্দ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আর আবেগ ভাবাবেগে কাজ করে। আবেগের বেগ বেশি হলে মানুষ ভুল করে বসে, বিবেকও কাজ করে না। ফলে মানুষ হয়ে পড়ে বিবেকহীন। আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন, দেখার চোখই শুধু চোখ নয়। বিবেকেরও চোখ আছে। কিন্তু আমরা অনেকেই চোখ থাকতেও অন্ধ। যে কারণে অসংগতি, দূর্গতি, ভোগান্তি এবং অশান্তি লেগেই থাকে। কারণ বিবেকহীন মানুষ কখনও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে সাজানো হয়েছে ‘আবেগ যখন বিবেকহীন’ গ্রন্থটি। বইটি প্রকাশ করেছে অনন্যা প্রকাশনী। প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। বইটি বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে।
ফাইল ছবি
দেশের আদালতের অবকাশকালীন ছুটি সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ফুলকোর্ট সভার আহ্বান করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। আগামীকাল বুধবার বিকাল ৪ টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় (আপিল ও হাইকোর্ট) বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে নিম্নলিখিত আলোচ্যসূচির ওপর আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ফুলকোর্ট সভা ডাকা হয়েছে।
সভার আলোচ্যসূচিগুলো হলো— বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ২০২২ সালের বার্ষিক ছুটি সংবলিত ক্যালেন্ডার অনুমোদন, অধস্তন দেওয়ানী আদালতগুলোর ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের অবকাশকালীন ছুটি এবং অধস্তন দেওয়ানী আদালতগুলোর ২০২২ সালের অবকাশকালীন ছুটি বিষয়।
প্রসঙ্গত, ফুলকোর্ট সভায় বিভিন্ন এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিচার বিভাগের প্রশাসনিক কার্যক্রম কিভাবে পরিচালিত হবে সেসব বিষয় নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। পদাধিকারবলে প্রধান বিচারপতি এ সভার সভাপতিত্ব করবেন।