a
ফাইল ছবি: মুক্তা দাশ
আমার সারাবেলা
অবসরে যাবার বয়স এখনো অনেকটা দুর ।
বাপের বাড়ির গোত্র ঝেড়ে- মুছে
এই তো সেদিন সবে বিয়ের পিড়িতে বসা হলো...
দিন যেতে না যেতেই তিন তিনটে ছানাপোনা।
হেঁসেল আর ছানাপোনাদের স্কুল কলেজের
গন্ডি পেরোতেই পঞ্চাশটা বছর কেটে গেলো
জীবন থেকে।
অবসরে যাবার বয়স এখনো অনেকটা দুর...!
একাকিত্ব কাটাতে ঘরে আমদানি হলো পোষ্য..
নাম কুকি --- আমার সারাবেলার সঙ্গী !
অবসরে যাবার বয়স এখনো অনেকটা দুর...
সংসারে মেয়েদের আবার অবসর কি !!?
রান্না - বান্না ঘরকন্যা
সংসারে মেয়েদের অবসরে যেতে নেই !
সকালের সূর্যোদয়ে গনগনে গরম উনুন আর
রাতের হেঁসেল গুছানো.. এ আর এমন কি কাজ !
অবসরে যাবার বয়স এখনো অনেক দুর...!
হঠাৎই হয়তো ডাক পড়বে, ফুরাবে সব পুতুলখেলা !
চন্দন কাঠের গন্ধে না হয় গায়ে মাখবো আগুনখেলা !!
সেদিন আমি, সত্যি সত্যি ই ! অবসরে যাবো...
এপারের খেলা শেষে ওপারের নৌকায় উঠবো ।।
ফাইল ছবি
— একজন বঙ্গবন্ধু —
মোসলেমা পারভীন
তুমি কখনও ভাবতে পারোনি
কোন বাঙালী কোনদিন,
তোমার কোন ক্ষতি করতে পারে!
তোমার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি
সুরক্ষিত করার প্রস্তাব
অকাতরে অগ্রাহ্য করে গেছ।
তোমার বাড়ি রেখে গেছ
অবারিত
বাংলার আপামর মানুষের জন্য।
একজন অবিসংবাদিত নেতার ও
তবে বুঝি ভুল হয় —
সেই অরক্ষিত দরজাকে দিতে হল
ভুলের মাশুল!
ঘাতকেরা ঢুকে গেল বিনা বাঁধায়,
দ্বিধা হলনা, বাঙালীর প্রতি
গভীর বিশ্বাস
জমা করে রাখা বুকে,
বুলেট চালাতে!
তার খেসারত বুঝি বা বাঙালী,
বাংলাদেশী দিয়ে যাবে চিরকাল।
বাঙালী আজ আর একে অপরকে
বিশ্বাস করেনা।
যে বিশ্বাস, যে নির্ভরতা নিয়ে তুমি
বেঁচেছিলে,
যে বিশ্বাস, যে নির্ভরতা নিয়ে তুমি
দিয়েছিলে
এই অকৃতজ্ঞ জাতিকে!
সেই বিশ্বাস আজ
পয়তাল্লিশ বছর
টুঙ্গিপাড়ার মাটির নীচে
চাপা পড়া।
বাংলাদেশ আজ তোমার জন্মশতবার্ষিকি
পালন করছে!
তুমি চোখ মেলে দেখোনা!
বিশ্বাসঘাতকের দেশে তোমার
আড়ম্বরপূর্ণ জন্মতিথী পালন!
তুমি দেখোনা!
তোমার মৃত্যুতে খেসারত
দিয়ে যাওয়া,
ক্রমাগত খেসারত দিয়ে যাওয়া
আমরা বাংলাদেশীরা দেখে যাই
উৎসব!
ফাইল ছবি
আজ রবিবার মিরপুরে দুপুর ১টায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৫৭ রান করে টিম টাইগার জবাব দিতে নেমে মেহেদি মিরাজের বোলিং তোপে ৪৮.১ওভারে ২২৪ রানে অল আউট হয় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের জয় ৩৩ রানে।
আজ বাংলাদেশের ইনিংস শুরু করেন তামিম ইকবাল লিটন দাস জুটি। বরাবরের মত এবারো ব্যর্থ লিটন দাস। ইনিংসের মাত্র দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৫ রান আর ব্যক্তিগত ০ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ব্যাটসম্যান। লিটন জিম্বাবুয়ের সাথে ১৭৬ রান করার পর এ নিয়ে তিন ইনিংসে শুণ্য রানে আউট হলেন ওই ইনিংসের পর তার সর্বোচ্চ রান ২২। লিটনের বিদায়ের পর সাকিব তামিম জুটি কিছুটা পথ দেখালেও বেশ সুবিধা করতে পারেনি সাকিবও ব্যক্তিগত ১৫ রানে আউট হন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এর পর মাঠে আসে মি.ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম, তামিমের সাথে জুটি গড়েন ৫৬ রানের। ব্যক্তিগিত ৫২ রানে তামিম যখন আউট হন দলীয় রান তখন ৯৯ পরের বলেই মোহাম্মদ মিঠুনকেও শুণ্য রানে সাজঘরে ফেরান ধনাঞ্জয়া।
দলীয় ৯৯ রানে পর পর দুই উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকা বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরান মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ জুটি। মুশফিক আউট হলে থামে ১০৯ রানের জুটি, ক্যারিয়ারের ৪০তম অর্ধশতক পূর্ণ করে ৮৪ রানে আউট হন মুশফিকুর রহিম। শেষ দিকে রিয়াদের অর্ধশত আর আফিফের ব্যাটিংয়ে ২৫৭ রানের পুজি পায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিংয়ে নেমে মেহেদী মিরাজের বোলিং তোপে লন্ডভন্ড লঙ্কান ব্যাটিংলাইনাপ। ১০ ওভার হাত ঘুড়িয়ে ৩০ রানে একাই নেন ৪ উইকেটে। মুস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন ৩ উইকেট, ২টি নেন সাইফুদ্দিন, এক উইকেট পেয়েছেন সাকিব। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান আসে হাসারাঙ্গার ব্যাট থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান করে লঙ্কান দলপতি কুশল পেরেরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস : বাংলাদেশ
বাংলাদেশ : ২৫৭/৬ (৫০ ওভার)
মুশফিক ৮৪, রিয়াদ ৫৪, তামিম ৫২, আফিফ ২৭*
ধনঞ্জয়া ৪৫/৩, গুনাথিলাকা ৫/১
শ্রীলঙ্কা : ২২৪/১০ (৪৮.১ ওভার)
হাসারাঙ্গা ৭৪, পেরেরা ৩০
মিরাজ ৩০/৪, মুস্তাফিজ ৩৪/৩, সাইফউদ্দিন ৪৯/২, সাকিব ৪৪/১
ফল : বাংলাদেশ ৩৩ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ: মুশফিকুর রহিম