a আমার সারাবেলা
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

আমার সারাবেলা


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২২, ০৮:৪২
আমার সারাবেলা

ফাইল ছবি: মুক্তা দাশ

আমার সারাবেলা

অবসরে যাবার বয়স এখনো অনেকটা দুর ।
বাপের বাড়ির গোত্র ঝেড়ে- মুছে
এই তো সেদিন সবে বিয়ের পিড়িতে বসা হলো...
দিন যেতে না যেতেই  তিন তিনটে ছানাপোনা।
হেঁসেল আর ছানাপোনাদের স্কুল কলেজের
গন্ডি পেরোতেই পঞ্চাশটা বছর কেটে গেলো
জীবন থেকে।
অবসরে যাবার বয়স এখনো অনেকটা দুর...!
একাকিত্ব কাটাতে ঘরে আমদানি হলো পোষ্য..
নাম কুকি --- আমার সারাবেলার সঙ্গী !
অবসরে যাবার বয়স এখনো অনেকটা দুর...
সংসারে মেয়েদের আবার অবসর কি !!?
রান্না - বান্না ঘরকন্যা
সংসারে মেয়েদের অবসরে যেতে  নেই !
সকালের সূর্যোদয়ে গনগনে গরম উনুন আর
রাতের হেঁসেল গুছানো..  এ আর এমন কি কাজ !
অবসরে যাবার বয়স এখনো অনেক দুর...!
হঠাৎই হয়তো ডাক পড়বে, ফুরাবে সব পুতুলখেলা !
চন্দন কাঠের গন্ধে না হয় গায়ে মাখবো আগুনখেলা !!
সেদিন আমি, সত্যি  সত্যি ই ! অবসরে  যাবো...
এপারের খেলা শেষে ওপারের নৌকায় উঠবো ।।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

একটি মানবিক বিয়ের গল্প


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
রবিবার, ০৪ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:৪১
একটি মানবিক বিয়ের গল্প

ফাইল ছবি

হাফেজ শহিদুল ইসলাম আমার ঘনিষ্ঠ সহকর্মীদের একজন। সাংগঠনিক কাজে আমার দু-চারজন সহযোগীর অন্যতম। বেশ পুরোনো আমাদের সম্পর্ক। সম্পর্কের গভীরতা পারিবারিক পরিধি পর্যন্ত। পরিবারসহ একে অপরের বাসায় যাতায়াত আমাদের দীর্ঘদিনের। সেই সূত্রে তার পারিবারিক অভিভাবকত্ব করতাম আমি। পারিবারিকভাবে খুঁটিনাটি বিষয়ে পরামর্শের জন্য তারা আমার দ্বারস্থ হত। দুই সন্তানের ছোট সংসার নিয়ে চলছিল তাদের জীবন।

একটাপর্যায়ে এসে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে শুরু হয় মনোমালিন্য। মনোমালিন্য থেকে বাদানুবাদ এবং সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু। আজ থেকে তিন বছর আগের কথা। তখন তাদের সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি আমি। তাদের উভয়ের সাথে কথা বলি। কিন্তু কোনোভাবেই আর সেটি সম্ভব হয়নি। ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় তাদের। ছাড়াছাড়ির পর দ্বিতীয় সংসার শুরু করেন হাফেজ শহিদুল ইসলাম। সেই বিবাহ আমি পড়াই। তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে সুখে শান্তিতে দিনাতিপাত করছেন। সেই ঘরে জন্ম নিয়েছে ফুটফুটে আরেকটি সন্তান। 

অপরদিকে হাফেজ শহিদ ভাইয়ের স্ত্রী হয়ে যায় অনেকটা অসহায়। এক রকমের কূলকিনারাহীন। রাগের মাথায় সংসার ভেঙে গভীর সংকটে পড়ে যান তিনি। ওই পরিস্থিতিতে তার জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই তিনি আমার শরণাপন্ন হন।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয়ে পরামর্শ নেন। আর সেই দুঃসময়ে সহযোগিতা করার মতো আমি ছাড়া আর কেউ ছিল না তার। ইসলামী দৃষ্টিকোণ এবং অভিভাবকত্বের জায়গা থেকে আমি তার অর্থনৈতিক দায়িত্ব গ্রহণ করি। জীবনের করণীয় বিষয়ে দিক-নির্দেশনার জন্য নিয়মিতই আমার সাথে যোগাযোগ রাখতে হয় তাকে। 

এমতাবস্থায় একজন বেগানা নারীর সাথে এভাবে সম্পর্ক রাখাকে শরিয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে আমার কাছে ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়। তখন আমি সিদ্ধান্ত নেই, যত দিন তার অভিভাবকত্বের প্রয়োজন হবে আমার, তাকে বেগানা হিসেবে রেখে অভিভাবকত্ব করবনা, বরং ইসলামী শরিয়তের আলোকে বৈধ একটা সম্পর্ক তৈরি করে নেব। বিষয়টি নিয়ে ঘনিষ্টজনদের সাথে কথা বলি এবং এ বিষয়ে তাদের জানিয়ে শরিয়তের বিধান অনুযায়ী বিবাহের কালেমা পড়ে বিবাহ করে নেই। 

দু বছর যাবত এভাবেই মানবিক ও ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে আমি তার অভিভাবকত্ব করছি এবং একজন অসহায় নারীর দায়িত্ব গ্রহণ করে একটি পুণ্যের কাজ করেছি বলে বিশ্বাস করি। আমি যা বললাম, এটা আল্লাহর নামের হাজার বার শপথ করে বলতে পারব। বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য কুল্লামার শপথও করতে পারি।

বিষয়টি খোলাসা করার পরেও যুবলীগ, আওয়ামী লীগের গুন্ডারা আমার সাথে যে অমানবিক আচরণ করেছে এবং হামলা করেছে, গায়ে হাত তুলেছে, আমি এর বিচার চাই আল্লাহর কাছে, প্রশাসনের কাছে এবং জনগণের কাছে। পুলিশের উপস্থিতিতে তাদের এই হামলা ও আচরণ প্রমাণ করে বর্তমানে বাংলাদেশে মান-সম্মান কিংবা জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চলাফেরা করা সম্ভব না।

(মামুনুল হকের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)/সূত্র:বিডিপ্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ আর নেই


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
রবিবার, ০৫ ফেরুয়ারী, ২০২৩, ০৩:০২
পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ আর নেই

ফাইল ছবি

পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ আর নেই। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) তার পরিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সাবেক এই সামরিক শাসক দুবাইয়ের আমেরিকান হাসপাতালে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত বছরের জুনে তিনি ৩ সপ্তাহ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ২০১৮ সালে অল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এপিএমএল) ঘোষণা দেয়, তিনি বিরল রোগ অ্যামাইলয়েডোসিসে ভুগছিলেন।

তার মৃত্যুর পরপরই জারি করা এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর শোক প্রকাশ করেছে।

পারভেজ মোশাররফ ব্রিটিশ ভারতের দিল্লিতে ১৯৪৩ সালের ১১ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালের ১৯ এপ্রিল তিনি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি কাকুল থেকে কমিশন পান। সাবেক এই সামরিক শাসক ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের যুদ্ধেও অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর দেশটির একটি বিশেষ আদালত মোশাররফকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেয়। সাবেক এই  প্রেসিডেন্ট চিকিৎসার জন্য ২০১৬ সালের মার্চে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছিলেন এবং তারপর থেকে পাকিস্তানে ফিরে যাননি। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ