a মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গোলাম রাব্বানীর ঋণের হিসাব!
ঢাকা বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২, ২৫ জুন, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গোলাম রাব্বানীর ঋণের হিসাব!


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ০৭ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:৩০
মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গোলাম রাব্বানীর ঋণের হিসাব

ফাইল ছবি

ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী তার ফেসবুকে নিজের জীবনের ঋণ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। পাঠকের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো: ‘ঋণ করলে আত্মার অপমৃত্যু ঘটে, আম্মু এই কথাটা প্রায়ই বলতেন।

কথাটা আমিও মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি ও মানি। প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেন, ‘শহীদ ব্যক্তির সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। কিন্তু ঋণ ছাড়া।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৮৮৬) ‘মুমিনের আত্মা তার ঋণের সঙ্গে ঝুলন্ত থাকে, যতক্ষণ না তা পরিশোধ করা হয়।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১০৭৮) গতরাতে ভালো বোধ করছিলাম নাহ। অসুস্থ অবস্থায় ভাবছিলাম, কৃতজ্ঞতার ঋণ তো অনেকের কাছেই ঢের রয়েছে, তবে কারো নিকট কোন আর্থিক ঋণ রয়েছে কিনা।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে হল ও ক্যাম্পাসের কোন দোকান, ক্যান্টিন বা কোথাও আমি স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে একটি টাকাও ফাও বা বাকি খাইনি। অনেক সময় অনুজরা আমার জ্ঞাতসারে বঙ্গবন্ধু হলের মনির ভাই, রশিদ ভাই ও ক্যান্টিনে ডালিমের কাছে কিছু বাকি খেতো, যা ১/২ দিনে চাওয়ার আগেই শোধ করে দিয়েছি। অনেকের একান্ত প্রয়োজনে ধার দিয়েছি, কিন্তু কোনদিন নিজের প্রয়োজনে কারো কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছি বলে স্মরণে নেই।

তবুও, কারো নলেজে যদি আমার কাছে পাওনার কোন হিসেব থাকে, অনুগ্রহপূর্বক জানাবেন। আল্লাহ সবাইকে সম্পূর্ণ ঋণমুক্ত হয়ে কবরে যাওয়ার তাওফিক দিন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বিভ্রান্ত পথিক


ফেসবুক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১, ০৬:১৩
বিভ্রান্ত পথিক

ফাইল ছবি । মফিদা আকবর

বিভ্রান্ত পথিক
মফিদা আকবর

চলেছি অদ্ভুত এক শব্দহীন শহরে।
মনে হয় ডুবে যাচ্ছি অতল গহ্বরে,
উদ্দেশ্যহীন যাত্রায় একাকী যাত্রী আমি
ট্রেনের নির্জন কামরায় বসে থাকি।
গহীন আঁধারে ট্রেন ছুটে চলে - - -
অন্যরকম ট্রেনটি শাপের মতো হিস হিস করে
 এঁকেবেঁকে চলতে থাকে আপন নিয়মে
একের পর এক অচেনা স্টেশন এলে
ট্রেন থেমে যায় ধীরে ধীরে - - -
কোলাহলহীন স্টেশনগুলো আবছা আলোর
আবরণে চাপা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে জেগে থাকে।
বিকল বোধের কেমন করা এক প্রশ্ন?
বুকের ভেতর খামচে ধরে থাকে
আমি কি কখনো কারো ছিলাম? 
অথবা কেউ ছিলো কি অামার?
অদ্ভুত সব প্রশ্নগুলো মনের মাঝে
জোঁকের মত কামড়ে থাকে।
অবশেষে অচেনা এক পৃথিবীতে এসে
ট্রেনটি অাবারো থেমে যায় ধীরে ধীরে - - -
অচেনা যবুথবু লোকগুলো নেমে যায়
সাদা কাফনের মতো সেলাইবিহীন বস্ত্রগুলো
ওঁদের শরীরে আবরণ হয়ে লেপ্টে থাকে।
এ সময় যে যার মত মাথা নীচু করে
ধীর পায়ে হেঁটে যায় ওঁরা কেমন করে।
অবাক হয়ে চেয়ে থাকি ওঁদের পানে।
ওঁদের সাথে দলভুক্ত হলাম কেমন করে? 
মনে হয় ওঁরা বোধহীন, উদ্ভ্রান্ত।
এ কোথায় এলাম? নিজেই বিভ্রান্ত।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

শিক্ষামন্ত্রী বলেন ধর্ষককে কেন সম্ভ্রমহারা পুরুষ বলা হয় না


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
মঙ্গলবার, ০৯ মার্চ, ২০২১, ১০:৩৬
শিক্ষামন্ত্রী বলেন ধর্ষককে কেন সম্ভ্রমহারা পুরুষ বলা হয় না

ফাইল ফটো: বক্তব্য রাখছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাঁচ থেকে ছয় লাখ নারী অসম্মানিত, লাঞ্ছিত, ধর্ষিত, বিধবা বা নানাভাবে হয়রানি ও অপমানের শিকার হয়েছেন। 

আর এসব লাঞ্ছণাকারী রাজাকার, আলবদর, আল শামসদের ১৯৭৫ সালের পর এদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসানো হয়েছে, তাদের গাড়িতে পতাকা ওড়ানো হয়েছে। তারা ক্ষমতায় বসে দেশকে জঙ্গিবাদে পরিণত করেছে। নারীর অবমাননাকারীরা পূনরায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ফিরে এলে দেশে আবারও জঙ্গিবাদ ফিরে আসবে।

সোমবার ( ৮ মার্চ ) জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধে নারী’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, প্রেস ক্লাবের প্রবীণ নারী সদস্য মাহমুদা চৌধুরী এবং নারী নেত্রী কাজী সুফিয়া আখতার। 

ডা. দীপু মনি আরও বলেন, ধর্ষক বিচারের রায়ে শাস্তি পায়। আর যে নারী ধর্ষণের শিকার হন তার জন্য প্রতিদিনই মৃত্যুদণ্ড। সারাটা জীবন তাকে অস্পৃশ্য ভাবা হয়। এটা পুরোপুরি মানসিকতার ব্যাপার। আমরা ভাষা দিয়ে কীভাবে একজন নারীকে দাবিয়ে রাখি। যখন কেউ ধর্ষণের শিকার হয় আমরা বলি সম্ভ্রমহানি হয়েছে। আমাকে কুকুর কামড় দিলে তো সম্ভ্রমহানি হয় না। একটা পুরুষ ধর্ষণ করলে একটা নারীর কীভাবে সম্ভ্রমহানি হয়? সম্ভ্রমহানি তো সেই পুরুষের হওয়ার কথা। আমরা কেন ধর্ষককে সম্ভ্রমহারা পুরুষ বলি না?’

সভাপতির বক্তব্যে ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বীরাঙ্গনাদের অনেকেই অবজ্ঞার চোখে দেখা হয়। তাই সমাজের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন আনতে হবে। তিনি পাঠ্যসূচিতে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের কাহিনী অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি নারী মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন কাহিনী নিয়ে চলচ্চিত্র, ডকুমেন্টারি নির্মাণের সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / এম কে আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়