a সতর্কতার সাথে লাল মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
ঢাকা রবিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

সতর্কতার সাথে লাল মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ১১ জুলাই, ২০২২, ০৯:৫৭
সতর্কতার সাথে লাল মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো

ফাইল ছবি

লাল মাংসের স্বাদই আলাদা। তবে লাল মাংস নিয়ে বেশি সতর্কতার ফলে এই মাংসের প্রতি আমাদের এক ধরণের ভীতি জন্মেছে। সঠিক উপায়ে লাল মাংস থেকে তা শরীরের জন্য উপকারী।

কুরবানির ঈদে গরু, খাশি বা যে কোনো ধরনের লাল মাংস সচরাচর বেশি খাওয়া হয়।

লাল মাংস প্রচুর জিংকসমৃদ্ধ, যা আমাদের রক্তশূন্যতা পূরণ করে। তবে এর কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন নিউট্রিশনিস্ট অ্যান্ড ডায়েট কনসালট্যান্ট পুষ্টিবিদ জান্নাত আরা ঊর্মি।  

লাল মাংসে (রেডমিট) প্রচুর পরিমাণে সাচুরেটেড ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল থাকে,  উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, গ্যাস্টিক ও কোলেস্টেরলের সমস্যা হতে পারে।

আমরা আজ জানবো যেভাবে লাল মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো-

১. মাংস ছোট টুকরো করে কাটুন। মাংস সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে খেলে সবচেয়ে ভালো। এতে মাংস থেকে অতিরিক্ত চর্বি ও তেল থাকে না।

২. মাংসের দৃশ্যমান চর্বি ছড়িয়ে রান্না করুন।

৩. গরুর মাংসের যেসব জায়গায় অতিরিক্ত চর্বি থাকে, যেসব জায়গায় জীবাণু থাকার আশঙ্কা থাকে। তাই চর্বি ছাড়িয়ে নিন।

৪. অতিরিক্ত মাংস খাওয়া যাবে না। প্রতি বেলায় ২ থেকে ৩ পিস মাংস খেতে পারেন।

৫. মাংস রান্নায় তেলের ব্যবহার কমিয়ে ফেলুন। মাংসের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে সবজি ও সালাদ খান।

 ৬. লাল মাংস খেলে অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে। চাহিদা মাফিক পানি পান করুন।

৭. মাংস খেয়ে ক্যালোরির পরিমাণ বাড়ে। তাই প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করুন ও হাঁটুন। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২২, ১২:০১
ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

ফাইল ছবি

শীত মৌসুমে খুশখুশে কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা প্রায় লেগেই থাকে। এ জন্য রং চা খাওয়া যেতে পারে। আদা, লবঙ্গ, দারুচিনি, তুলসী, সামান্য লবণ ও মধু দিয়ে তৈরি লাল চা পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। একটু সচেতন হলেই এসব সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশিতে ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করে ‘ঠাণ্ডা’কে দূরে রাখা যায়।

মধু: ত্বকের পাশাপাশি শরীরের জন্যও মধু বেশ উপকারী। গলার খুসখুসে ভাব কমিয়ে দ্রুত আরাম দেয়। মধু গরম বলে ঠাণ্ডা প্রতিরোধ করে। হালকা গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়া আঙ্গুরের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে এমন কি চা-এ চিনির পরিবর্তে মধু দিয়ে খেতে পারেন। বয়স্করা মধুর সঙ্গে এক চামচ দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে খেলেও বেশ উপকার পাবেন।

আদা: প্রাচীনকাল থেকেই ঠাণ্ডা, জ্বর, কাশি ও মাথাব্যথার জন্য আদার ব্যবহার হয়ে আসছে। আদা চা গলার কফ পরিষ্কার করে ও খুসখুসে ভাব কমায়। এ ছাড়াও আদা রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে কুসুম গরম করে দিনে তিনবার খান। দ্রুত কাশি নিরাময় হবে।

রসুন: রসুনে রয়েছে আলিসিন ও অন্যান্য অর্গানোসালফার উপাদান যা সংক্রমণকারী ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিনাশ করে। গলা বসে গেলে রসুন থেঁতো করে তাতে গরম পানি দিয়ে শরবত করে নিন। পাঁচ মিনিট পর মিশ্রণটি পান করুন, অতি দ্রুত ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।

লেবু: লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা ঠাণ্ডার ভালো ওষুধ। লেবু চা খেতে পারেন। কুসুম গরম পানিতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খেয়েই দেখুন ভালো ফল পাবেন। গলাব্যথা বা গলা বসে গেলে গরম পানিতে লেবুর রস ও সামান্য লবণ দিয়ে গড়গড়া করুন। এভাবে দিনে বেশ কয়েকবার করুন।

গোলমরিচ: গরম পানিতে এক চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ার সঙ্গে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। গোলমরিচের দানা নিচে জমা হলে ধীরে ধীরে পান করুন। অতি দ্রুত ঠাণ্ডা থেকে মুক্তি পাবেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

পিয়াজের রস : পিয়াজের রস কাশি নিরাময় করে, এটি অনেকেরই অজানা। পিয়াজ রস করে তাতে মধু দিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়াও খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন কাঁচা পিয়াজ।

লবঙ্গ : কয়েক টুকরা লবঙ্গ সেদ্ধ পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে কুসুম গরম থাকতে খেয়ে নিন। এটি ভীষণ উপকারী। এ ছাড়াও লবঙ্গ ও আদা পানিতে ১৫ মিনিট সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গড়গড়া করলেও উপকার পাবেন।

হলুদ মিশ্রিত দুধ : হলুদে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যা বিভিন্ন ভাইরাসজনিত ইনফেকশন সারাতে কার্যকর।  গরম দুধের সঙ্গে খানিকটা হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে পান করলে সর্দি ও গলা ব্যথা থেকে অতি দ্রুত মুক্তি পাবেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা ৪ দিনের রিমান্ডে


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৪:২১
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা ৪ দিনের রিমান্ডে

ফাইল ছবি

সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাত করার অভিযোগে রাজধানীর ভাটারা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে করা মামলায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ৯জনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালত শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য আবদুর রব, ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসাইন, জামায়াতের শুরা সদস্য ইয়াসিন আরাফাত, সেক্রেটারি জেনারেলের গাড়িচালক মনিরুল ইসলাম ও জামায়াতকর্মী আব্দুল কালাম।

এদিন গ্রেপ্তার আসামিদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ভাটারা থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের ১০ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা দেশের জননিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করাসহ ব্যক্তিসত্তা ও প্রজাতন্ত্রের সম্পর্কের ক্ষতিসাধনসহ শেখ হাসিনার সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাত করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।

এ সময় আসামিপক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গতকাল রাতেই রাজধানীর ভাটারা থানায় গোলাম পরওয়ারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook