a
ফাইল ছবি
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২৪৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু রাজধানী ঢাকায় নতুন ভর্তি হয়েছে ২১১ এবং অন্যান্য বিভাগে ৩৫ জন।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরো জানানো হয়, গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১৫ হাজার ১৩২ জন। দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১ হাজার ৩১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।
এরমধ্যে ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি ৪১টি হাসপাতালে ৮৩৬ এবং অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ১৯৫ জন ভর্তি রয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৯ জন।
সংগৃহীত ছবি
ওশ স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, মস্কো, রাশিয়ার ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. গুপ্তপ্রসাদ রেড্ডি (বি ভি) বলেছেন, ক্যান্সার কোনো মরণব্যাধি নয়, কিন্তু মানুষ এই রোগে মারা যায় শুধুমাত্র উদাসীনতার কারণে। বিশেষজ্ঞ এই ডাক্তারের মতে, মাত্র দুটি উপায় অনুসরণ করলেই উধাও হবে মরণব্যাধি এই ক্যান্সার। উপায়গুলো হচ্ছে:-
১. প্রথমেই সব ধরনের সুগার বা চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন। কেননা, শরীরে চিনি না পেলে ক্যান্সার সেলগুলো এমনিতেই বা প্রাকৃতিকভাবেই বিনাশ হয়ে যাবে।
২. এরপর এক গ্লাস গরম পানিতে একটি লেবু চিপে মিশিয়ে নিন। টানা তিন মাস সকালে খাবারের আগে খালি পেটে এই লেবু মিশ্রিত গরম পানি পান করুন। উধাও হয়ে যাবে ক্যান্সার।
মেরিল্যান্ড কলেজ অব মেডিসিন- এর একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কেমোথেরাপির চেয়ে এটি হাজার গুণ ভাল।
৩. প্রতিদিন সকালে ও রাতে তিন চা চামচ অর্গানিক নারিকেল তেল খান, ক্যান্সার সেরে যাবে।
চিনি পরিহারের পর নিচের উল্লেখিত দুটি থেরাপির যেকোনো একটি গ্রহণ করুন। ক্যান্সার আপনাকে ঘায়েল করতে পারবে না। তবে অবহেলা বা উদাসীনতার কোনো অজুহাত নেই। ক্যান্সার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ডা. গুপ্তপ্রসাদ গত পাঁচ বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এই তথ্যটি প্রচার করছেন।
উল্লেখ্য ফেব্রুয়ারী ২০২১ রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ১৮ মিলিয়ন মানুষ ক্যান্সারে ভুগছে। এটি এমন একটি রোগ, যার কারণে প্রতিবছর প্রায় ৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন মানুষ মারা যাচ্ছে এবং এর মধ্যে প্রায় ৭০ ভাগই অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের মানুষ।
প্রতিকী ছবি
দেশে করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশে নতুন করে দেড় কোটি মানুষ দরিদ্র হয়েছেন। আর কাজ হারিয়েছেন দেশের মোট শ্রমশক্তির তিন শতাংশেরও বেশি মানুষ।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) যৌথ গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া যায়। শনিবার (১৭ এপ্রিল) আয়োজিত ওয়েবিনারে সিপিডির গবেষণা বিষয়ক পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এসব তথ্য জানান।
সংস্থাটি আরও জানায়, অনেক প্রতিষ্ঠান করোনার ধাক্কায় এরই মধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে। শহর এলাকায় অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে এমন ১০০ জনের মধ্যে চাকরি হারানোর ঝুঁকির মধ্যে আছে ৬৯ জন।
সিপিডি জানিয়েছে, চাকরি হারানোদের মধ্যে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ শহরাঞ্চলে অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মে নিয়োজিত ছিলেন। ২০২১ সাল শেষ হতে এখনও প্রায় আট মাস বাকি। এ সময়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ কর্মহীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে, করোনার প্রথম ঢেউয়ে ২০২০ সালের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাসে চার লাখ অভিবাসী শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন।
অন্যদিকে নারী উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে রয়েছেন। এশিয়া ফাউন্ডেশনের তথ্যানুযায়ী, ৫০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, দেশে দারিদ্র্য ক্রমশ বাড়ছে। যেখানে শ্রমনির্ভর দারিদ্র্য বেশি। এ হার ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৩ শতাংশ হয়েছে। অতি মহামারির প্রভাবে এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৬৪ লাখ মানুষ।
সিপিডি বলছে, কম আয়ের শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি আর্থিক জটিলতার মধ্যে পড়েছেন। বিলসের দেওয়া তথ্য মতে, ৪৭ শতাংশ বস্তিবাসী ও ৩২ শতাংশ শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী খাদ্য খরচ কমাতে বাধ্য হয়েছেন। উৎস: ইত্তেফাক